DIY ||| এসো নিজে করি ||| রঙ্গিন কাগজে রঙ্গিন মাছ।
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা আশা করছি সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে একটি নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি।নিজের জ্ঞান বিবেক বুদ্ধি দিয়ে কোন কিছু তৈরি করাই সৃজনশীলতা। এই পৃথিবীতে একটি মানুষের সব কিছু সম্পর্কে জ্ঞান ধারণা থাকে না । সে যদিও অনেক জ্ঞানী হয় তারপরেও কিছুটা হলেও কমতি থেকে যায়। কারণ মানুষ সব দিক থেকে পরিপূর্ণ থাকলে সে যে মানুষ সেটা ভুলে যাবে। তাইতো সৃষ্টিকর্তা প্রত্যেকটি মানুষকে কিছু না কিছু ব্যাপারে কমতি রেখেছেন। আমি আজ আপনাদের মাঝে "রঙ্গিন কাগজে রঙ্গিন মাছ" এর একটি ডাই পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।রঙ্গিন কাগজ দিয়ে যেকোনো কিছু তৈরি করলে দেখতে আসলে অনেক ভালো লাগে। কাগজ দিয়ে যে কোন ডাই পোস্ট তৈরি করতে গেলে অনেক সাবধানে তৈরি করতে হয় কারণ কাগজটি অসাবধানতায় ছিড়ে যেতে পারে। আমরা যে কাজটাই করি না কেন খুব সাবধানের সাথে আমাদের কাজগুলো করতে হয়। আর প্রত্যেকটি কাজ করতে গেলে বুদ্ধি খাটিয়ে এবং তার পেছনে সময় ব্যয় করে কাজটি করতে হয়। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আমি আজ আপনাদের মাঝে "রঙ্গিন কাগজে রঙ্গিন মাছ" এর ডাই পোস্টটি কিভাবে তৈরি করেছি তার প্রস্তুত প্রণালী দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১।রঙ্গিন কাগজ।
২।কাঁচি।
৩।কালো কলম।
প্রথমে রঙিন কাগজ চারদিক সমান রেখে কেটে নিয়েছি।
এবার সেই কেটে নেওয়া কাগজটি এক প্রান্ত থেকে ভাঁজ করে নিয়েছি ত্রিভুজাকৃতি করে।
এবার ত্রিভুজ আকৃতি ভাঁজটি খুলে সোজা এবং অপজিট সাইডে ভাগ করে নিয়েছি।
এরপর সম্পূর্ণ ভাঁজটি খুলে সেই ভাঁজে ভাঁজে আরেকটি চতুর্ভুজ আকৃতি ভাঁজ করে নিয়েছি।
চতুর্ভুজের এক প্রান্ত থেকে চিকন করে আরেকটি ভাঁজ করে নিয়েছি।
একইভাবে অপরপ্রান্তেও সেভাবে ভাঁজ করে নিয়েছি।
এবার পানের খিলির মতো ভাঁজ করা কাগজটির ভেতরে যে অবশিষ্ট কাগজ ছিল সেটি বের করে নিয়েছি এক সাইডে।
একইভাবে পরের সাইডের অংশটিও সমান মাপে বের করে নিয়েছি।আর এভাবে মাছের উপরের অংশটুকু হয়ে গেল।
এবার আলাদা আরেকটি কাগজ নিয়ে মাঝে ভাঁজ করে ত্রিভুজাকৃতি করে কেটে নিয়েছি।
সে ত্রিভুজ আকৃতি করে কেটে নেওয়া কাগজটি সুন্দর করে মাছের লেজ বানানোর জন্য আবারো কেটে নিয়েছি।
এবার মাছের উপরের অংশ ও লেজটি সুন্দর করে লাগিয়ে দিয়েছি এবং একটি কালো সাইন পেন দিয়ে মাছের চোখটি গোল ভরাট করে নিয়েছি এবং মাছের মুখ এঁকে দিয়েছি। আর এভাবে হয়ে গেল আমার "রঙ্গিন কাগজে রঙ্গিন মাছ" ডাই।এবার এই "রঙ্গিন কাগজে রঙ্গিন মাছ" এর একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- ডাই পোস্ট "রঙ্গিন কাগজে রঙ্গিন মাছ"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
রঙিন কাগজের রঙিন মাছটি দেখতে অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে। নিজের বিচার বুদ্ধি দিয়ে নতুন কিছু তৈরি করার আনন্দই আলাদা। আপনি খুব সুন্দর একটি মাছ তৈরি করেছেন আপু। দেখে খুবই ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি ডাই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার ডাই পোস্টটি আপনার পছন্দ হয়েছে এটি আমার জন্য বড় পাওয়া।
রঙিন কাগজ দিয়ে যে কোন জিনিস তৈরি করলে দেখতে খুব সুন্দর লাগে। আজ আপনি বেশ চমৎকার ভাবে কাগজ দিয়ে মাছ তৈরি করেছেন । কাগজের মাছ দেখে খুব ভালো লাগলো । মাছের তৈরি করার প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আমার ডাই পোস্টটি আপনার পছন্দ হয়েছে শুনে অনেক ভালো লাগলো।
রঙিন কাগজ দিয়ে চমৎকার একটি মাছের অরিগামি আজ শেয়ার করলেন। আমার কাছে রঙিন কাগজের যা কিছু বানানো হোক দেখে ভীষণ ভালো লাগে।রঙিন কাগজের কিছু বানাতেও খুব ভালো লাগে। আপনি চমৎকার ভাবে মাছটি করে শেয়ার করলেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর এই মাছটি ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য।
মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
বাহ মাছটি তো খুবই সুন্দর হয়েছে, চমৎকার ছিল এর প্রত্যেকটি ধাপ রঙ্গিন কাগজ ব্যবহার করার কারণে এটা খুবই সুন্দর হয়েছে বিশেষ করে লেজের ডিজাইনটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।
রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি করা জিনিস গুলো বেশ ভালই লাগে। আপনি আজকে খুব সুন্দর রঙিন কাগজ দিয়ে একটি নকশা সহ মাছের অরিগ্যামি তৈরি করলেন। দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
রঙিন কাগজের তৈরি করা এই মাছটা দেখতে খুবই কিউট লাগছে। মাছটা দেখে মনে হচ্ছে এখনই নদীতে ছেড়ে দিলে সাঁতার কাটবে। নদীতে কিন্তু এরকম রঙিন মাছগুলো দেখা যায় অনেক বেশি। আর মাছগুলো দেখলে খুবই ভালো লাগে আমার কাছে। খুব সুন্দর করে আপনি আজকে নীল কালারের রঙিন কাগজ ব্যবহার করে এই মাছটা তৈরি করেছেন। এবং মাছটার চোখ মুখ আঁকার কারণে বেশি ভালো লাগছিল দেখতে। এরকমভাবে মাছ তৈরি করার পদ্ধতি শিখে নিলাম আপনার পোস্টটা দেখে।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থেকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
রঙিন কাগজ দিয়ে অনেক সুন্দর একটি মাছ তৈরি করেছেন আর রঙিন কাগজ দিয়ে কিভাবে মাছ তৈরি করতে হয় সেটা আজকে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। কাগজ গুলোকে কিভাবে ভাঁজ করে মাছ তৈরি করতে হয় সেটা আমাদেরকে দেখানোর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
রঙিন কাগজের মাছ তৈরি টি দেখতে বেশ চমৎকার লাগছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার তৈরি পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
পৃথিবীতে কোন মানুষই পরিপূর্ণ নয় সৃষ্টিকর্তা কোন না কোন দিক দিয়ে মানুষকে অপূর্ণ রেখেছে। রঙিন কাগজ দিয়ে খুবই চমৎকারভাবে রঙিন মাছ তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। এ ধরনের রঙিন কাগজ দিয়ে এরকম রঙিন মাছ তৈরি করতে অনেক বেশি দক্ষতার প্রয়োজন হয় তারপরও আপনি এটা চমৎকার ভাবেই তৈরি করেছেন, শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রতিটি সময় উৎসাহমূলক মন্তব্য করে কাজের আগ্রহ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
রঙিন কাগজ দিয়ে যে কোন জিনিস তৈরি করলে দেখতে যেমন ভাল লাগে তেমনি বানাতেও বেশ ভালো লাগে। আপনার আজকের রঙিন কাগজের মাছ টি বেশ চমৎকার হয়েছে ।দেখতে বেশ ভালো লাগছে ।প্রতিটি ধাপের উপস্থাপন বেশ ভালো ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
সব সময় সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু।