রেসিপি পোস্ট |||| সুস্বাদু ঝাল ঝাল চিংড়ি ভুনা।
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা আশা করছি সুস্থ ও সুন্দরভাবে পরিবারকে নিয়ে দিন যাপন করছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ও মহান আল্লাহতালার রহমতে ভালো আছি।
বর্তমান সময়টা যে অবস্থায় যাচ্ছে এর ভেতর সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকা এটাও সৃষ্টিকর্তার একটি বড় রহমত। তবে যে যেখানে যেভাবেই থাকেন না কেন সৃষ্টিকর্তার কাছে একটি প্রার্থনা করি সৃষ্টিকর্তা যেন সবাইকে ভালো রেখে পরিবারের সাথে সুন্দরভাবে দিনগুলো পার করান। কারণ একটি পরিবারের একজনের সমস্যা মানে সেই পরিবারের সকলের সমস্যা।আসলে সেই সময় মনের ভেতরেও কারো শান্তি কাজ করে না শুধু বারবার মনে হয় কি করলে সেই পরিবারের আপনজন সুস্থ হবে এবং সবার মুখে হাসি ফুটবে।পরিবারের আপনজন সবার কাছে অনেক প্রিয়। একটি পরিবারের গুরুত্ব তার পরিবারের লোকজনের মধ্যে থাকে।পরিবার পাশে না থাকলে আপদে-বিপদে তার পাশে কেউ দাঁড়ায় না।যার আপনজন বা পরিবার পাশে নেই সেই বোঝে আপনজনের কষ্ট।
আমি আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আরেকটি নতুন ব্লগ নিয়ে আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। আজ আমি আপনাদের মাঝে রেসিপি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে যেমন ভালো লাগে তেমনি সেই রেসিপি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে আরো বেশি উৎসাহ পাই।চিংড়ি মাছ ছোট বড় মাঝারি সব ধরনের হয়ে থাকে। তবে বড় চিংড়ি মাছের চেয়ে আমার কাছে কেন জানি ছোট নদীর চিংড়ি মাছগুলো খেতে বেশি সুস্বাদু লাগে। কিছুদিন আগে একমাছ আলা বাসার সামনে এসেছিল অনেকগুলো নদীর চিংড়ি মাছ নিয়ে। তো চিংড়ি মাছ গুলো দেখে অনেক টাটকা মনে হয়েছিল। তাই সবগুলো চিংড়ি মাছ কিনেছিলাম।আর সেই মাছগুলি দিয়ে আজ আপনাদের মাঝে মজার একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি।চিংড়ি ভুনা খেতে সবারই ভালো লাগে । আমার তো অনেক প্রিয়।গরম ভাতের সঙ্গে যদি এমন চিংড়ি ভুনা হয় তাহলে অতুলনীয়। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে "সুস্বাদু ঝাল ঝাল চিংড়ি ভুনা" রেসিপিটা কিভাবে তৈরি করেছি তার সমস্ত প্রস্তুতি প্রণালী দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১। চিংড়ি মাছ।
২।কাঁচামরিচ।
৩।পেঁয়াজ।
৪।রসুন।
৫।জিরা গুঁড়ো।
৬।হলুদের গুঁড়ো।
৭।মরিচের গুঁড়ো।
৮।লবণ।
৯।পরিমাণ মতো তৈল।
চিংড়ি মাছগুলো পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়েছি।
এবার সেই মাছের মাথা ও লেজের অংশ কেটে নিয়েছি।
কেটে নেওয়া মাছগুলো লবণ পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি।
কাঁচা মরিচ পরিষ্কার করে ধুয়ে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি ।
পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।
রসুনের খোসা ছাড়িয়ে রান্নার উপযোগী করে নিয়েছি।
এবার একটি ফ্রাইপেনে পেঁয়াজ কুঁচি, মরিচ কুঁচি ও তৈল দিয়ে ভালো করে ভেঁজে নিয়েছি।
ভেঁজে নেওয়া পেঁয়াজ মরিচ কুঁচিতে অন্যান্য মসলার উপকরণ দিয়ে মসলাটি কষিয়ে নিয়েছি ।
এবার কষিয়ে নেওয়া মসলাতে পরিষ্কার করা চিংড়ি মাছগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ ভেঁজে নিয়েছি।
ভেঁজে নেওয়া মাছে একটু পর কিছু পরিমাণ পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে নিয়েছি।কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছি রান্না হওয়ার আগ পর্যন্ত। চিংড়ি মাছের পানি যখন শুকিয়ে গিয়েছে তখন চুলায় আরেকটু ভেঁজে চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি। আর এভাবেই হয়ে গেল আমার "সুস্বাদু ঝাল ঝাল চিংড়ি ভুনা" রেসিপি।এবার এই "সুস্বাদু ঝাল ঝাল চিংড়ি ভুনা" এর একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
চিংড়ি মাছ আমার ভীষণ পছন্দ আজকে আপনি চিংড়ি মাছের দারুন একটি রেসিপি তুলে ধরেছেন আপু।আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে ভীষণ লোভ লেগে গেল।খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। যা দেখতে খুবই আকর্ষণীয় লাগছে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
এটা ঠিক বলেছেন আপু, পরিবারে একজনের যে কোন সমস্যা মানে সবার সমস্যা। যাইহোক চিংড়ি মাছ আমার ভীষণ পছন্দের। ছোট বড় যে কোন সাইজের হোক না কেন আমার ভালো লাগে খেতে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে চিংড়ি মাছের ভুনার রেসিপিটা উপস্থাপন করেছেন। বেশ লোভনীয় লাগছে রেসিপি টা দেখতে। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন আপু এই দুর্যোগের সময় পরিবার পরিজন নিয়ে সুস্থভাবে বেঁচে থাকাটাই আল্লাহর সবচেয়ে বড় নেয়ামত । এটা ঠিকই বলেছেন চিংড়ি মাছ ছোট বড় যেটাই হোক না কেন খেতে কিন্তু ভালো লাগে । আপনার চিংড়ি মাছ ভুনা দেখে তো আমারই এখনই গরম ভাত দিয়ে খেতে ইচ্ছা করছে । খুবই লোভনীয় লাগছে আপনার রেসিপিটি ।
জি আপু ঠিক বলেছেন এ ধরনের ভুনা দিয়ে গরম ভাত অনেক মজা লাগে।
সুস্বাদু ঝাল ঝাল চিংড়ি ভুনা রেসিপি টা দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। চিংড়ি মাছ আমার অত্যন্ত পছন্দের একটা মাছ। চিংড়ি মাছ খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। রেসিপি তৈরি করার প্রতিটা ধাপ আপনি সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু ও লোভনীয় হয়েছে। খুব ভালো লাগলো এমন একটি রেসিপি দেখে।
জি আপু রেসিপিটি খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার ছিল।
একদম ঠিক বলেছেন আপু চারপাশে যে পরিস্থিতি এ সময় ভালো থাকাটাই সবথেকে বড় বিষয়। কখনো কার কি হয়ে যায় বলা যায় না। যাই হোক আপনার আজকের চিংড়ি মাছের রেসিপি দেখে লোভ লেগে যাচ্ছে। এরকম চিংড়ি মাছ রান্না করলে খেতে খুব ভালো লাগে। খুব সুন্দর কালার এসেছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু পরিবারের কেউ অসুস্থ থাকলে ভীষণ খারাপ লাগে। দোয়া করি সবার পরিবারের সবাই যেন সব সময় সুস্থ থাকে। আপু আপনি আজকে অনেক মজা করে সুস্বাদু চিংড়ি ভুনা করেছেন। এ ধরনের রেসিপি গুলোতে একটু বেশি ঝাল হলে খেতে ভীষণ মজা লাগে। আপনার রেসিপিটা দেখতে ভীষণ লোভনীয় হয়েছে আপু খেতে হয়তবা অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
জি আপু খেতে অনেক মজাদার ছিল।
সত্যি আপু কখন কার কি হয় বুঝা মুশকিল। যাইহোক আপু আপনার চিংড়ি মাছের রেসিপি কিন্তু দারুণ হয়েছে। আসলে চিংড়ি মাছ সবাই অনেক পছন্দ করে তবে আমি কিন্তু খায় না আপু। আপনার রেসিপির কালারটা দারুণ এসেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
সুস্বাদু ঝাল ঝাল চিংড়ি ভুনা করার দারুন পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। যেহেতু চিংড়ি মাছ খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে তাই আপনার তৈরি করা রেসিপিটা আমার কাছে দেখেই লোভ লেগে গিয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন লোভনীয় একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার রেসিপিটা আপনার কাছে পছন্দ হয়েছে শুনে অনেক ভালো লাগলো ভাই।
আপু আপনি ঠিকই বলেছেন পরিবারের কেউ অসুস্থ থাকলে সত্যি অনেক খারাপ লাগে। আপু আজ আপনি খুব সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।চিংড়ি মাছ আমার অনেক পছন্দের। আপনার তৈরি করার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। রান্নার কালার কম্বিনেশনটাও অনেক দারুন লাগছে। আপনি ঝাল ঝাল চিংড়ি ভুনা রেসিপি প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে আপনাকে ধন্যবাদ।
জি আপু রেসিপিটি খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার ছিল।
আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝাই যাচ্ছে যে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
আপনি ঠিক বলছেন একটি পরিবারের একজন সমস্যা পরা মানে পুরো পরিবার সমস্যায় পরা।যাইহোক আপনি অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করছেন। এইরকম ঝাল ঝাল চিংড়ি ভূনা খেতে খুবই ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আমার রেসিপিটি আপনার ভালো লাগে শুনে ভালো লাগলো।