আমার অনুভূতি |||| বই উৎসব।
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখছি ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
পুরাতনের যত গ্লানি যত কষ্ট যত দুঃখ সব বিসর্জন দিয়ে নতুনকে আকড়ে ধরে মেনে নিয়ে সুন্দরভাবে জীবন যাপন করাই এই ভূবনের নীতি। তাই বলে আমরা যে পুরাতনকে শুধু অবহেলা করে তাকে আর স্মরণ করব না তা কিন্তু নয়। পুরাতন থেকেও অনেক স্মৃতিময় ঘটনা আছে যেটা স্মরণ করে সঠিকভাবে সেই অনুপাতে চললে আমাদের জীবনের সফলতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে আসতে পারে।তাই বলে যে চলে গেছে তার দিকে আর ফিরতে নেই তা কিন্তু নয়।আমাদের জীবনের একটি দিন যাচ্ছে তার মানে আমরা একটি দিন হারিয়ে ফেলছি।এখন মূল কথায় আসা যাক। আমি মনে করি একটি মানুষের জীবনের সব থেকে কাছের বন্ধু হলো বই।আমাদের জীবনে কাউকে গভীর ভাবে আমরা বিশ্বাস করলে সবকিছু থেকে ঠকতে পারি কিন্তু বই এমন একটি সঙ্গী বা বন্ধু যে শুধু আমাদেরকে জ্ঞানের পাহাড় দিতে পারে।
আমাদের অলস মস্তিষ্কে নানান রকমের কথার পাহাড় বসে থাকে। তাইতো সেই মস্তিষ্কে যখন শয়তান নাড়া দেয় তখন আমরা বিভিন্ন কাজে লিপ্ত হই।নানান রকম অন্যায় অত্যাচারে জড়িয়ে যাই।কিন্তু আমরা যদি এই বই সব সময় পড়ি এবং সেই অনুপাতে কাজ করি তাহলে আমাদের জীবনে উন্নতি সম্ভব।বই আমাদের জ্ঞানের ভান্ডার, বই থেকেই আমরা সফলতা অর্জন করতে পারি।প্রত্যেক বছরে বাচ্চাদের বার্ষিক রেজাল্ট এর পর নতুন বই উৎসব হয়। এ উৎসব যেন আনন্দের বন্যা বয়ে দেয় বাচ্চাদের।নতুন বছরের একটি আনন্দ এবং নতুন বছরের নতুন বই পেতে বাচ্চাদের মুখে যেন খুশির বন্যা বয়ে যাচ্ছে।কিছুক্ষণ বই উৎসবে অনেক গুণী মান্য ব্যক্তিরা ভাষণ দিয়েছেন এবং তাদের কথাগুলো শুনতে অনেক ভালো লেগেছিল।
তাদের কথাগুলো শুনে বাচ্চারা বলতে লাগলো যে এগুলো কি বিষয়ে কথা বলছে, তখন বললাম বাবা একটু বড় হলে তোমরাও এগুলো সম্পর্কে জানতে পারবে।যত পড়বে তত জ্ঞান অর্জন করবে।এখন হয়তো তোমরা ছোট এই জন্য এই মনীষী গুণি ব্যক্তির এবং বিভিন্ন রাইটারদের নাম তোমরা হয়তোবা জানতে পারলা কিন্তু বুঝতে পারছ না। কিন্তু যেদিন অনেক বড় হবে যত বড় ক্লাসে উঠবে এবং যত পড়বে অত সেগুলো ব্যাপারে জ্ঞান অর্জন করবে। কিছুক্ষণ প্রিন্সিপাল ও অন্যান্য ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখার পর বই দেওয়া শুরু হয়ে গেল। বাচ্চাদের আনন্দের সাথে কেন জানি আমাদের মত অভিভাবকদেরও আনন্দ হচ্ছিল। কারণ নতুন বই পড়ার আনন্দই আলাদা।বাচ্চারা নতুন বই সম্পর্কে জানতে পারবে এবং জ্ঞান অর্জন করতে পারবে এজন্য আরও বেশি ভালো লাগছিল।
আমি প্রত্যেক বার বাচ্চার সঙ্গে এই বই উৎসবে যাই আমার অনেক ভালো লাগে। আর বিশেষ করে প্রিন্সিপাল ও অন্যান্য যারা ভাষণ দেন তাদের কথাগুলো আমার অনেক ভালো লাগেছে শুনতে। বাচ্চারা বই যখন হাতে পেল অনেক খুশি।এখন তাদের এই বইগুলোর সঙ্গে অন্যান্য বুকলিস্ট ধরিয়ে দিয়েছে এগুলো বাইরে থেকে কিনতে হবে। প্রথম স্কুলের দিন বাচ্চাদের বইয়ের উৎসাহটা টিচাররা আরও দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। আসলে ছোটদের পড়াতে যা লাগে শুধু আদর ও ভালোবাসা দিলেই বাচ্চারা অনেক খুশি আর কিছু লাগে না। তখন তারা আগ্রহর সাথে বই উৎসবে আগ্রহ বোধ করে। এই ছিল আমার বই উৎসবের আনন্দ।
আজ যাচ্ছি অন্য কোনদিন আবার হাজির হবো নতুন ব্লগ নিয়ে।সে সে পর্যন্ত বিদায় নিচ্ছি আপনাদের নিকট থেকে।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- আমার অনুভূতি "বই উৎসব"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
আপু আপনার পোস্ট পড়ে বেশ ভালো লাগলো কিন্তু আমার মনে হচ্ছে আপনার টাইটেলে একটু ভুল আছে সংশোধন করে নিয়েন।
ধন্যবাদ ভাই।
মাঝে মাঝে এরকম উৎসবে যেতে নিজেদেরও ভালো লাগে আর বাচ্চারাও অনেক আনন্দিত হয়।আপনার এই বই উৎসবের পোস্টি দেখে আমারও মন খুশি হয়ে গেছে আপু। এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
বাচ্চাদের শেখার আগ্রহ তৈরি করতে হবে। ওরা যত বড় হবে যত পড়বে তত শিখবে। বাংলাদেশে জানুয়ারি মাসের প্রথমদিন বই উৎসব পালন করা হয়। সত্যি এখন অনেক মনে পড়ে। নতুন বই পাওয়ার মধ্যে যে কত মজা ছিল সেটা বলে বোঝানো যাবে না। আপনার মেয়ের স্কুলে গিয়ে আপনারও এইরকম একটা অনূভুতি সৃষ্টি হয়েছে।
উৎসব মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার ধন্যবাদ ভাই।
সরকারের পক্ষ থেকে বছরের প্রথম দিকেই এখন প্রতিটি স্কুলে প্রতিটি ক্লাসের বাচ্চাদের মাঝে বই বিতরণ করা হয়। এটিকেই বই উৎসব নাম দেয়া হয়েছে। আমাদের সময় তো জানুয়ারি মাস এর অনেকদিন লেগে যেত বই কিনতে কিনতে। আসলেই, নতুন বছরের নতুন বই এর আনন্দ টা এক্কেবারে অন্যরকম আনন্দ। বাচ্চাদের তো ভালো লাগবেই, সাথে গার্জিয়ানদেরও যে ভালো লাগে,এটা বুঝলাম আপনার পোষ্ট পড়ে।
অবশ্যই দিদি বাচ্চাদের আনন্দই তো গার্জিয়ানদের আনন্দ।
অনেক সুন্দর একটি কথা বলেছেন, জীবনের প্রত্যেক মুহূর্ত যেন হারানোর মাঝেই সীমাবদ্ধ।যখন স্কুল জীবনে নতুন বই হাতে পেতাম তখন আমাদেরও আনন্দের সীমা থাকতো না।তেমনি বাচ্চাদের সেই অনুভূতিটা সকল অভিভাবক ভালোভাবেই অনুভব করতে পারে।আপনারা সুন্দর মুহূর্ত পার করেছেন, ধন্যবাদ আপু।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ দিদি।