জেনারেল রাইটিং ||| ডাক্তার দেখানোর তিক্ত অভিজ্ঞতা ||| original writing by @saymaakter.
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা করি এই শীতের আবেশে পরুবারসহ সুস্থ আছেন এবং সুন্দরভাবে সময় অতিবাহিত করছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে বেশ ভাল আছি।
আমি সবসময় চেষ্টা করি সবকিছুর নিয়ম এর মধ্যে করার এবং প্রতিদিনের কাছে প্রতিদিনে করার। ঠিক তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আমি আপনাদের মাঝে জেনারেল রাইটিং নিয়ে উপস্থিত হতে চলেছি। তবে আমার কেন যেন মনে হয় আমার ব্লগ গুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগে।কারণ আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য গুলোর জন্যই আমার এই বিশ্বাস।চলুন আর কথা না বাড়ি আজকের ব্লগে কি লিখেছি তা দেখে নেওয়া যাক।
আমরা প্রত্যেককেই কমবেশি অসুস্থতায় ভুগি আর এই অসুস্থতা যখন জীবনে নেমে আসে তখন অবশ্যই সকলকে ডাক্তারের চেম্বারে যেতে হয় এটা বাধ্যতামূলক।আর এই কারণে আমি মনে করি সকলেরই ডাক্তারের চেম্বার সম্পর্কে কমবেশি অভিজ্ঞতা আছে। তবে সে অভিজ্ঞতা অবশ্যই ভালো না, আমার মনে হয় তিক্ত অভিজ্ঞতার পরিমাণেই বেশি হবে।ঠিক এরকম একটি তিক্ত অভিজ্ঞতায় আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
আমার এক আত্মীয় গ্রাম থেকে এসেছিল তার বাচ্চার অসুস্থতা নিয়ে।আর এখানে একটি ভাল ডাক্তার দেখাবে বলেই আমার বাসায় উঠেছিল।আর সেই শুবাদে আমার ডাক্তারের চেম্বারে যাওয়া হয়ে উঠল। আর চেম্বারে গিয়ে এত বেশি বিরক্ত বোধ করেছি যেটি আসলে হয়তো সম্পূর্ণটা লিখে প্রকাশ করতে পারবো না।
রোগীটি ছোট বয়স ১২ বছর আমার চাচা শ্বশুরের ছেলে।আমার চাচা শশুর এবং আমার চাচি শাশুড়ি মিলে এই ছোট ভাইটিকে নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে গেলাম।আমার এই ছোট ভাইটির গলায় সমস্যা আর এই সমস্যার কারণে ছোট মানুষ তো অনেক কান্নাকাটি করছিল।এই ছোট ভাইটিকে নিয়ে আমরা কোলে নিয়ে ছিলাম কিন্তু বসার মত জায়গাও চেম্বারের সামনে ছিল না। তাই ছোট ভাইটিকে একবার আমি কোলে নিয়ে হাঁটছিলাম আর একবার আমার চাচি শাশুড়ি নিয়ে হাঁটছিল। আর আমার চাচা শশুর অনেক দৌড়াদৌড়ি করছিল যে কিভাবে দ্রুত গতিতে ডাক্তার দেখানো যাবে।
কিন্তু কোন ভাবেই চেম্বারের দায়িত্বে যারা আছেন তারা ছাড় দিচ্ছিল না বলতেছিল বাচ্চাকে আপনারা শান্ত করেন সিরিয়াল অনুযায়ী রোগী দেখানো হবে।অথচ দেখা যাচ্ছে যে যাদের সিরিয়াল নেই কিন্তু তাদের একটু পরিচিতি আছে। তারা সিরিয়াল ছাড়াই ডাক্তার দেখাচ্ছেন এবং চলে যাচ্ছেন। আর আমরা যারা সিরিয়াল দিয়ে আছি তারা শুধু অপেক্ষা করছি কিন্তু আমাদের সিরিয়াল কোন ভাবেই আসছিল না।আবার এদিকে আমার ছোট ভাই খুব কান্নাকাটি করছিল তার গলার ব্যাথার কারণে তাই আমরা ধৈর্যচ্যুত হয়ে গিয়েছিলাম।একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল যে ডাক্তার না দেখিয়ে বাসায় নিয়ে গিয়ে তার সেবা-যত্ন করলে আমার মনে হয় তার গলার ব্যথা একটু হলেও ভালো হবে।
এবার আমি এবং আমার চাচী শাশুড়ি দুইজনে ডাক্তারের গেটের সামনে গিয়ে অনেক অনুনয় করে তাদেরকে বললাম, যে দেখেন বাচ্চাটি অনেক কষ্ট পাচ্ছে।যদি একটু ডাক্তারটা দেখিয়ে দিতেন তাহলে আমাদের জন্য খুবই ভালো হতো। কারণ আমরা তো সিরিয়াল দিয়ে অনেক সময় বসে আছি এখন পর্যন্ত আমাদের সিরিয়ালের আশেপাশে কাউকেই ডাকা হয়নি।এরপরেও তারা বলছে যে না আপনারা বসেন সিরিয়াল মেইনটেইন করেই রোগী দেখানো হবে। এভাবেই আরো কয়েক ঘন্টা বসে থাকার পরে ডাক্তার দেখাতে পেরেছি।
আর এই বিষয়টি আমার কাছে এত বেশি খারাপ লেগেছে সবকিছু লিখে তা প্রকাশ করতে পারলাম না। তবে খুব কষ্ট পেয়েছি মনে হচ্ছে এর পরে আর কখনো ডাক্তারের চেম্বারে যেন না যেতে হয় আল্লাহ যেন আমাদেরকে সুস্থ রাখেন।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
আজকের টাক্স
https://x.com/mst_akter31610/status/1859965318053216597?t=T1q7uJExSHD5ITJIpVmiZw&s=19
এই ধরনের অভিজ্ঞতাগুলো আসলেই লিখে প্রকাশ করা যায় না। এত অনুরোধের পর একটু কনসিডার করে এক্সট্রা ভাবে কিছু সময় দিলে খুব একটা ক্ষতি হয় না। তবে এই কাজটা কেউই করতে চায় না। যত ইমার্জেন্সি পেশেন্ট হোক না কেন। আপনার তিক্ত অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ।
ডাক্তার দেখাতে গেলে এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় অনেক সময়। মাঝে মাঝে তারা এমন আচরণ করে যে সমস্ত আচরণগুলো আমাদের কাছে খুবই দুঃখজনক মনে হয়। তবে কিছু করার নেই আপু এগুলো প্রত্যেকটা হসপিটালে একই অবস্থা। যাইহোক আপনার বাবুর জন্য দোয়া করি সব সময় যেন সবাই ভাল থাকে সেই দোয়া রইল।
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
সিরিয়াল নেই অথচ ডাক্তারের পরিচিত বলে ভিতরে ঢুকে যায়এই একটা বিষয় আমার ভীষণ খারাপ লাগে। যারা সিরিয়ালে দাঁড়ায় তারাও অনেক অসুবিধায় সমস্যায় পড়ে ডাক্তার দেখাতে আসে। আর তাদেরকে রেখে যদি অন্য মানুষ হুটহাট করে আগে ঢুকে যায় তাহলে এমনিতেই মাথা গরম হয়ে যায়। তবে আপনারা ধৈর্য সহকারে বসে ডাক্তার দেখিয়ে বাসায় এসেছেন এটা জেনে ভালো লাগলো। দোয়া করি আল্লাহ যেন সবাইকে সবসময় সুস্থ রাখে।
সহযোগিতামূলক মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপু এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা আমার মনে হয় অনেকেই পড়েছে। সত্যি আপু ডাক্তারের কাছে না গেলে হয় না আবার ধৈর্য্য ধরতে ধরতে তিক্ত হয়ে যেতে হয়। আর এগুলো সব জায়গায় হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপু।
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আমার তো কোনো কারণে হাসপাতালে যেতে মন চায় না আপু। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত রোগীরা। আর ডাক্তারদের ভাব দেখলে হয়ে যায় মনে হয় না যে তারা মানুষের সেবা প্রদান করার জন্য। যাই হোক আপনার ঐ অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন তাই অনেক কিছু জানতে পারলাম।
আপনার সাথে একমত আপু।
বতর্মান সময়ে এটা খুবই বিরক্তিকর। বিশেষ করে ভালো কোন ডাক্তারের কাছে গেলে এইরকম ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকা লাগে। এতে করে যেমন রোগী নিজে বিরক্ত হয় সঙ্গে যারা যায় তারাও বিরক্ত হয়।
মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ।
খুব খারাপ লাগলো আপনার কাছ থেকে এই পোষ্টটি পড়ে৷ আসলে এরকম অভিজ্ঞতা আমরা সকলেই অর্জন করি৷ কারণ এখন ডাক্তারদের যে অবস্থা হয়েছে তারা কোনভাবেই রোগীর প্রতি যত্নশীল নয়৷ তাদের অবহেলার কারণে প্রতিনিয়তই আমরা এরকম সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকি৷ আমরাও যখন ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম তখন ডাক্তারের আসার কথা ছিল বিকেলের দিকে৷ তবে তিনি এসেছিল সন্ধ্যা সাতটার পরে৷ যা আমাদের জন্যও অনেকটাই তিক্ত অভিজ্ঞতা৷
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
বেশিরভাগ হসপিটালে এমনই হয়। যারা সিরিয়াল লিখে, তাদের পরিচিত কেউ থাকলে আগে পাঠিয়ে দেয় ডাক্তারের চেম্বারে। তখন মেজাজটা একেবারে খারাপ হয়ে যায়। কারণ স্বজনপ্রীতি দেখলে যে কারোরই রাগ উঠে যায়। যেহেতু আপনাদের রোগী ছিলো ছোট মানুষ এবং তার সিরিয়াস অবস্থা ছিলো, এমন অবস্থায় আপনাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত ছিলো। যাইহোক এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মন্তব্য করার পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।