বাস্তব ঘটনা ||| ভালোবাসার কষ্ট।
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগে সকল ভাই ও বোনেরা প্রত্যাশা করছি সুস্থ ভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে বাস্তব জীবনের ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা নিয়ে হাজির হয়েছি। তবে আমার বাস্তব জীবনের ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা নিয়ে হাজির হতে অনেক ভালো লাগে।কারণ বাস্তবতা থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি।বাস্তব কখনো কঠিন আবার কখনো কারো জীবনে অনেক আনন্দ বয়ে নিয়ে আসে। দুদিনের দুনিয়া এই পৃথিবীতে কেউবা আছে অনেক আনন্দে আবার কেউবা আছে অনেক কষ্টে।
সুখ-দুঃখ নিয়েই জীবন তবুও আমাদেরকে সবকিছু ম্যানেজ করে চলতে হয়। সুখের পর যেমন দুঃখ বাসা বাঁধে তেমনি দুখের পর সুখ আসে কারো জীবনে কোন কিছু চির স্থায়ীভাবে থাকে না।জীবনটা চলছে সবার কেমন জানিনা। কারণ এই পৃথিবীতে সবার খোঁজ নেওয়া সম্ভব না আর বর্তমান সময়টা সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে এবং কর্মব্যস্ততা মানুষকে এতটা ব্যস্ত রাখছে যে মানুষ নিজেকেই ভুলে যাচ্ছে। হাতে গোনা দুই একজন ছাড়া পরিবার-পরিজনের খোঁজ সবাই করেনা। আসলে বাস্তব কথাগুলা লিখতে ও বলতে আমার ভালো লাগে কারণ সামাজিক প্রেক্ষাপটে যা ঘটছে তাই দেখেই বলছি। আমি আপনাদের মাঝে একটি গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি "ভালোবাসার কষ্ট"।
ছোট্ট একটি পরিবার।যে পরিবারে বাস করত হাবিব আর নীলা।পরিবারের অভিভাবকদের মাধ্যমেই বিয়ে হয়েছিল হাবিব আর নীলার। তবে পাত্র পাত্রী দুজন দুজনকে দেখেও অতটা অপছন্দ করেনি কেউ কাউকে। কারণ তাদের কথা অভিভাবকরা যা করেছেন ভালোর জন্যই। তাই মেনে নিয়ে বিয়ের পিরিতে বসেছিল তারা দুজন।
একটি পর্যায়ে দুই পরিবার বেশ দারুন ভাবে আত্মীয়তা হয়ে যায়। বিয়ের পর দুই পরিবারের সম্পর্ক অনেক গভীর হতে থাকে। আমাদের সমাজের নিয়ম অনুযায়ী যেমন হয় ঠিক তেমনি তাদেরও পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
হাবিব একটি চাকরি করতো এবং তার পাশাপাশি বিজনেস করতো। দুটোই সামলিয়ে নিত। কারণ হাবিব ছিল অনেক পরিশ্রমি।সে জীবনের বাস্তব কথা বলতে বেশি ভালোবাস তো। সবার সামনে বলতো জীবনে টাকা পয়সা না হলে কিছুই হবে না।তাইতো তাকে বলতে শোনা যেত যতদিন শরীরে বল আছে অতোদিন পরিশ্রম করে যাব আর টাকা পয়সা উপার্জন করে যাব।সে সময় মেনটেইন করে চলত। এভাবে চলে গেল তার কিছুদিন।
তারপর সে একদিন বাবা হল। হাবিবের ঘর আলোকিত করে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নিল।সেই সন্তানটির নাম নিলয়। নিলয় অনেক আদর যত্নে মানুষ হচ্ছিল। এক দিকে নিলয়ের বাবা হাবিব তাকে যেমন ভালোবাসে তেমনি নিলয়ের মা নীলার ভালোবাসা যেন কমতি নেই। সন্তানের প্রতি ভালোবাসা সব পরিবারেরই থাকে। কিন্তু নীলা একটু ব্যতিক্রম ছিল সব সময় নিলয় কে চোখে হারাতে দিত না।
নিলয়ের কিছু প্রয়োজন হলে সে নিজেই তার সব চাহিদা মেটাতো। নিলয় খাওয়ার প্রতি ছিল অন্যরকম অমনোযোগী। বাসার রুটিন মাফিক তার মা তাকে খাওয়ানোর জন্য অনেক চেষ্টা করে কিন্তু নিলয় কে কিছুতেই সেই অনুযায়ী খাওয়াতে পারছিল না।সব সময় একটি খাবারের বাটি নিয়ে নিলয়ের পিছু পিছু ঘুরতো।সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলে হাবিব, নীলা ও নিলয় সবাই মিলে অনেক ঘুরতো এবং রেস্টুরেন্টে গিয়ে কিছুক্ষণ আনন্দে সময় কাটাতো। মোটকথা পরিবারটি অনেক সুন্দর একটি পরিবারে পরিপূর্ণ ছিল।যেখানে শুধু ভালোবাসা ঘেরা।কেউ কাউকে ছাড়া যেন কল্পনা করতে পারে না একটি মুহূর্ত। কিন্তু কিছু সময় বড়ই নিষ্ঠুর। এই সময় গুলো মেনে নেওয়া যায় না কষ্ট। আর কষ্টের দাগ এভাবে বুকে গেঁথে যাবে এই নরম কমল শিশুটির বুকে তা কেউ কল্পনা করতে পারেনি। এত ভালোবাসা এত স্নেহ যে চোখে হারাতো না সন্তানকে।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- বাস্তব ঘটনা "ভালোবাসার কষ্ট-১"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
গল্পের প্রথম থেকে প্রায় শেষ অবধি বেশ মজা পাচ্ছিলাম কিন্তু শেষ প্রান্তে এসে একটু ধাক্কা খেলাম অনেকটাই কষ্ট লাগলো। মানুষ তো চায় সব সময় সুখে থাকতে কিন্তু সেটা তো আর সব সময় সম্ভব হয় না।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার গল্পটা পড়ে অনেক ভালো লেগেছিল কিন্তু শেষে এসে সত্যি অনেক খারাপ লাগলো। আসলে আপু জীবন এমনি জীবনে কখনো হাসি কখনো কান্না। সত্যি যে মানুষটা সব সময় ভালোবাসায় মাতিয়ে রাখত। মূহুর্তেই ভালোবাসায় দাগ পড়ে গেল।ধন্যবাদ আপু।
উৎসাহ মূলক মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ আপু।