রেসিপি পোস্ট |||| মজাদার জাম্বুরা মাখা।
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা আশা করছি যে যেখানে আছেন সকলের পরিবারকে নিয়ে সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।
ছেলেকে নিয়ে যখন স্কুলে গিয়েছিলাম এবং স্কুল থেকে ফেরার পথে দেখি একটি বৃদ্ধ লোক অনেকগুলো জাম্বুরা একসঙ্গে নিয়ে এসেছিল স্কুলের সামনে বিক্রি করার জন্য।জাম্বুরা গুলো দেখে আমার মনে হলো খেতে অনেক ভালো লাগবে। সেই বৃদ্ধ চাচা টিকে বললাম চাচা জাম্বুরা গুলো খেতে ভালো লাগবে কি আর ভিতরে কি লাল রঙের হবে? বৃদ্ধ চাচাটি সঙ্গে সঙ্গে বললো হে মা অনেক ভালো হবে তুমি বিশ্বাস করে নিতে পারো।তাই তো চার-পাঁচটি জাম্বুরা একসঙ্গে কিনে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম । কারণ কিছুদিন আগে আমার প্রচন্ড জ্বর ঠান্ডা গেল এমনিতেই অসুস্থ আর এই সময়টা একটু এই ধরনের ফল খেতে পারলে ঠান্ডার হাত থেকে একটু হলেও রেহায় পাওয়া যাবে। কারণ ভিটামিন সি যত খাওয়া যায় অতো শরীরের জন্য ভালো। তাই জাম্বুরা গুলা কিনে নিয়ে এসে বাসায় যখন জাম্বুরার খোসা ছিলছিলাম তখন মনে হল বৃদ্ধ লোকটি ঠিকই বলেছে জাম্বুরা নিয়ে আমি ঠকিনি।আসলে আজকাল যুগে সবাই জিনিস বিক্রির সময় সত্য কথা বলে না বেশিরভাগ মিথ্যা কথা বলেই জিনিস বিক্রি করে কিন্তু বৃদ্ধ লোকটি ব্যতিক্রম ছিল। আমি আজ আপনাদের মাঝে "মজাদার জাম্বুরা মাখা" নিয়ে হাজির হয়েছি। চলুন "মজাদার জাম্বুরা মাখা" কিভাবে তৈরি করেছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালী দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১।জাম্বুরা।
২।শুকনা মরিচ।
৩।লবণ।
৪।চিনি।
৫।সরিষার তৈল।
 |  |
|---|
 |  |
|---|
প্রথমে জাম্বুরার খোসা গা থেকে ছিলে নিয়েছি।
এবার খোসা ছাড়িয়ে নেওয়া পুরো জাম্বুরাটিকে পিস পিস করে কেটে নিয়েছি।
এবার জাম্বুরার কুয়া গুলো গা থেকে খুলে নিয়েছি।
এবার আলাদা একটি বাটিতে লবণ শুকনা মরিচ সরিষার তৈল চিনি একত্রে মেখে নিয়েছি।
এবার জাম্বুরার ভিতরে সেই মেখে নেওয়া মরিচ গুলো দিয়ে দিয়েছি।
 |  |
|---|
সেই জাম্বুরা গুলো আবারো কিছুক্ষণ হাত দিয়ে মেখে নিয়েছি। আর এভাবে হয়ে গেল আমার "মজাদার জাম্বুরা মাখা" রেসিপি। এবার এই "মজাদার জাম্বুরা মাখা" রেসিপির একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- রেসিপি পোস্ট "মজাদার জাম্বুরা মাখা"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
জাম্বুরা মাখা আমার খুবই ফেভারেট। গতকাল রাতেও বন্ধুদের সাথে এক বন্ধুর গাছ থেকে পেড়ে নিয়ে রাতের বেলায় মাখিয়ে খেয়েছি মসলা দিয়ে।
আপনার মাখানো দেখেই খুব লোভ হচ্ছে ঝাল ঝাল মিষ্টি মিষ্টি খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হয়েছিল
মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলে এখনকার দিনে জাম্বুরা কেনা বেশ মুশকিল। কেননা বিক্রির সময় লোকরা ভালো বলে আবার বাসায় আনলে দেখা যায় যে ভেতরে কাঁচা ।তবে বৃদ্ধ লোকটি আপনাকে ঠকাইনি জেনে ভালো লাগলো ।একসঙ্গে অনেকগুলো কেনে এনেছেন ধীরে ধীরে খেতে পারবেন। আর এটি সত্যি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী ।ঠান্ডা লাগলে তো আরো বেশি উপকারী। আপনার যেহেতু ঠান্ডা লেগেছিল তাহলে এটি খেয়ে বেশ উপকার পাবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু লোকটি আমাকে ঠকায়নি।
আপু জ্বর হলে এই ধরনের টক জাতীয় ফলগুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার জাম্বুরা মাখা দেখে এত রাতে লোভ লেগে গেল। এখন কি করা যায়?🤔যাইহোক লোভনীয় এই জাম্বুরা মাখার রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য।
জাম্বুরা খেতে খুব একটা পছন্দ করি না।কিন্তু যখন ঠান্ডা সর্দি বা জ্বর হয়, তখন মুখের রুচির পরিবর্তনের জন্য জাম্বুরার জুড়ি মেলা ভার। তাই তখন বাধ্য হয়েই খেতে হয়।আপু আপনার জাম্বুরা মাখা গুলো দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে।লোভনীয় কি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমার রেসিপি আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে অনেক ভালো লাগলো দিদি।
জাম্বুরা আমার অনেক পছন্দের। আর আপনার কাছ থেকে এরকম ভাবে জাম্বুরা মাখানো দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো৷ খুবই সুন্দরভাবে আপনি এটিকে মাখিয়েছেন৷ জাম্বুরাকে এমনি খাওয়ার ছেয়ে যদি এভাবে মাখিয়ে খাওয়া যায় তাহলে এটি অনেক সুস্বাদু হয়ে যায়৷ যা আপনার এই ডেকোরেশন থেকে খুবই ভালো ভাবে বোঝা যাচ্ছে৷
সুন্দর মন্তব্য করে উৎস দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
শুকনো মরিচ পোড়া দিয়ে এভাবে জাম্বুরা মাখা রেসিপি খেতে অনেক বেশি লোভনীয় হয়ে থাকে। এ ধরনের জাম্বুরা মাখা খেতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। প্রতিটি ধাপ আপনি অনেক চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন ধন্যবাদ।
আমার রেসিপিটি আপনার পছন্দের। এই জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।
জাম্বুরা মাখা আমার খুব পছন্দ। ঠিক আপনার মতো করেই মেখে খাই আমি বেশ মজা লাগে খেতে।আপনার জাম্বুরা মাখার পদ্ধতি বেশ সুন্দর হয়েছে। দেখতেও বেশ লোভনীয় লাগছে।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
জাম্বুরা মাখা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে সবাই কম বেশি জাম্বুরা মাখা খেতে পছন্দ করে। আপনি খুব সুন্দর করে জাম্বুরা মাখা রেসিপি করেছেন। যদিও এই জাম্বুরা গুলো আপনার ছেলের স্কুলের সামনে থেকে বৃদ্ধ লোক থেকে কিনেছেন। তবে আপু আপনি কিছুদিন আগে অসুস্থ ছিলেন এই জাম্বুরা গুলো খেলে আপনার জন্য ভালো হবে। ধন্যবাদ আপনাকে জাম্বুরা মাখা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
দূর আপু আপনার পোস্ট দেখে তো মনে হয়ে গেল। ভেবেছিলাম দুপুরে একটি শুকনো মরিচ পুড়িয়ে ভাত খাবো, তা আবার ভুলে গেলাম। কি হলো বলেন তো। আপনার জাম্বুরা ভর্তা দেখে সেটা মনে হয়ে গেল। তবে আপনার শুকনা মরিচ দিয়ে জাম্বুরা মাখানো কিন্তু বেশ দারুন হযেছে। দেখেই তো খেতে মনে চাচেছ।
অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্ট দেখে যে আপনার এ ধরনের ইচ্ছা মনে এসেছে।
বৃদ্ধ লোকটির কাছ থেকে বেশ ভালো কিছু জাম্বুরা কিনেছেন। যাইহোক জাম্বুরা আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। এটি বিশেষ করে আমাদের দেহের ভিটামিন-সি এর ঘাটতি পূরন করে। যাইহোক রেসিপিটি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে বেশ। বেশ ভালো উপস্থাপন করেছেন আপনি।
জি আপু বৃদ্ধ লোকটি আমাকে ঠকাইনি।