"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৫০ || যেমন খুশি তেমন সাজো।
আসসালামু আলাইকুম।প্রত্যাশা করছি আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা পরিবার নিয়ে সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আমার বাংলা ব্লগের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারলে নিজেকে অনেক ভালো লাগে তবে এবার প্রতিযোগিতা টা একটু ব্যতিক্রম ধরনের।"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৫০ || যেমন খুশি তেমন সাজো এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শৈশবের স্মৃতিময় দিনগুলো মনে পড়ে গেল।একসময় স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষার পর এই ধরনের খেলাধুলা ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হতো।আমিও যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে একটি সুন্দর প্লেট পেয়েছিলাম। আজ আবারও কেন জানি সেই স্মৃতিময় দিনটির কথা মনে পড়ে গেল।তবে আমার বাংলা ব্লগের যত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে আমি চেষ্টা করেছি সব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।এবারের প্রতিযোগিতায় আমি আমার ছেলেকে নিয়ে সেই আদিম যুগে জঙ্গলে বসবাসরত আদিম মানুষের পোশাকটাকে সবার সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।
এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে বেশ কষ্ট হয়েছে। কারন আমার ছোট বাবু আরাফকে নিয়েই এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি। আরাফকে যখনি সাজাতে গিয়েছিলাম তখনি আরাফ বারবার এতটা দুষ্টুমি করছিল যে আমার আরাফকে সাজাতে অনেক কষ্ট হচ্ছিল। মুখে ও আইলানার ও লিবিস্টিকের প্রলেপটি যখন দিচ্ছিলাম তখন মুখটা এতটা নড়াচ্ছিল যে আমি ঠিক ভাবে করতেই পারছিলাম না। তারপরও অনেক কষ্টে মুখ সাজানো হয়েছে। এরপর মরিচগুলো নিয়ে এসে প্রথমে তিন চার বার করে ধুয়ে নিয়েছি কারণ ছোট মানুষ গা জ্বলতে পারে এবং সেই মরিচগুলো আবার গামছা দিয়ে একটি একটি করে মুছে নিয়েছি।আমি চেষ্টা করেছি আমার ছোট বাবু আরাফকে দিয়ে আপনাদের মাঝে যেমন খুশি তেমন সাজার একটি বিনোদনের মাধ্যম নিয়ে হাজির হতে।তবে আরবকে যখনই এই প্রতিযোগিতার কথা বলেছি বাবু তোমাকে সাজাবো ও তখন থেকেই আমাকে সবসময় বলে যাচ্ছিল আমাকে কখন সাজাবে।আরাফ অনেক ছোটবেলা থেকেই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে জানে এবং অনেক ছোটবেলা থেকে ওকে নিয়ে সব সময় আমি হ্যাং আউট প্রোগ্রামগুলো শুনেছি। আর এজন্যই ওর উৎসাহটা অনেক বেশি।আমি আরাফের উৎসাহ দেখে অবাক হলাম এবং তাকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য "কাঁচামরিচ জিঙ্গালা" বেশে উপস্থাপন করলাম। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে "কাঁচামরিচ জিঙ্গালা"কিভাবে সাজিয়েছি তা দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১. কাঁচা মরিচ।
২. টেইলারিং সুতা।
৩. ঝাড়ুর কাঠি।
৪. পেঁয়াজের ফুল।
৫. লিবিসটিক।
৬. আইলানার।
প্রথমে কাঁচা মরিচ গুলো পানিতে সুন্দর করে ধুয়ে নিয়ে একটি গামছা দিয়ে ভালো করে মুছে নিয়েছি।
এবার কাঁচা মরিচ গুলো টেইলারিং সুতো দিয়ে একটি পর একটি করে সুন্দর করে বেঁধে নিয়েছি।
এবার ঝাড়ু কাটি গুলোকে দুটি করে একসঙ্গে সুতাতে দিয়ে বেঁধে দুটি স্ট্রিক করে নিয়েছি।
এবার এই কাটি দুটোর মাঝখানে সুতাই বাঁধা মরিচগুলো তিনটি ভাগে সুন্দর করে বেঁধে নিয়েছি।
এবার বাবুকে ছোট্ট একটি প্যান্ট পরিয়ে দিয়েছি যাতে আদি মানুষদের মতো লাগে।
এবার আইলানার বাবুর দুই গালে সুন্দর করে লাগিয়ে দিয়েছি।
বাবুর কপালে আইলানার দিয়ে দুটি দাগ দিয়ে দিয়েছি।
কপালে কালো দুই দাগের মাঝখানে লাল লিপস্টিক দিয়ে একটি দাগ দিয়েছি যাতে আদিম মানুষদের মতো লাগে।
এবার মরিচের জামা পড়িয়ে দিয়েছি বাবুকে।
এবার দুই হাতে কাঁচা মরিচের লাইনগুলো লাগিয়ে দিয়েছি।
এবার কাঁচা মরিচের লাইনগুলো মাথায় সাজিয়ে দিয়েছি।
এবার পেঁয়াজের ফুলগুলো মাথার সাইড দিয়ে লাগিয়ে দিয়েছি যাতে মুকুটের মত লাগে।
পেঁয়েজের ফুলের মাথা গুলো সব কয়টি এক জায়গায় করে সুতা দিয়ে সুন্দর করে বেঁধে দিয়েছি যাতে মুকুটটি সুন্দর হয়।
এবার কাঁচা মরিচের একটি মালা গলায় ঝুলিয়ে দিয়েছি।
এবার হাতে একটি লাঠি ধরিয়ে দিয়েছি যাতে পরিপূর্ণ একজন জিঙ্গালার মত দেখতে লাগে।
এবার পরিপূর্ণ একজন আদিবাসী জিঙ্গালার মত দেখতে লাগছে। আর এভাবে হয়ে গেল আমার "কাঁচামরিচ জিঙ্গালা"। এবার এই "কাঁচামরিচ জিঙ্গালা" একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- ডাই পোস্ট "কাঁচামরিচ জিঙ্গালা"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
এবারের প্রতিযোগিতাটা আসলেই অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং ছিল। আপনি দেখছি আপনার ছেলের মধ্যে আদিম মানুষের বিষয়টা ফুটিয়ে তুলেছেন। আর এটা ফুটিয়ে তোলার কারণে দেখতেও ভালো লাগতেছে। ভালো করেছেন মরিচ গুলো কয়েকবার করে ধুয়ে নিয়ে। কারণ এগুলো না দিলে আবার আপনার ছেলের শরীরটা জ্বলতে পারে। ভালোভাবে ধুয়ে ভালোভাবে মুছে নিয়েছিলেন দেখে ভালো লেগেছে। আসলে বাচ্চারা এমনিতে এইসব কিছুর প্রতি উৎসাহ বোধ করে। তবে যখন করা হয় তখন তারা অনেক দুষ্টামি করে। দুষ্টামির মধ্য দিয়েও আপনার ছেলে এটা শেষ করতে দিয়েছিল দেখে ভালো লাগলো।
গঠনমূলক মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
অভিনন্দন জানাই আমার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। মরিচ দিয়ে একদম দেখছি জংলি বানিয়ে ফেলেছেন। মনে হচ্ছে মরিচ ম্যান। দেখতে বেশ দারুণ লাগছে কিন্তু। ছোট বাচ্চা তো সেজন্য দুষ্টামি করবেই। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
জি ভাই তার শরীরে লাগানোর সময় অনেক দুষ্টামি করেছে এবং অনেকবার এই মরিচের লাইনগুলো ছিড়ে ছিড়ে গেছে।
আপু ,আপনার ছোট বাবুকে দেখে আমি তো হাসতে হাসতে পুরো শেষ।লঙ্কা দিয়ে এত সুন্দর জংলী মানুষ তৈরি করে ফেলেছেন দেখেই মুগ্ধ হলাম।খুবই সুন্দর মানিয়েছে চরিত্রের সঙ্গে আর লাঠি হাতে থাকায় পরিপূর্ণতা পেয়েছে।প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ও অভিনন্দন আপনাকে।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো দিদি মনে হচ্ছে যে এই পোস্টটি করা আমার সার্থক।
প্রথমেই আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আসলেই আদিম যুগে জঙ্গলে বসবাসরত মানুষেরা লতাপাতা দিয়ে তৈরি করা পোশাক পরিধান করতো। আপনার ছেলেকে তো কাঁচামরিচ এবং পেঁয়াজ পাতা দিয়ে দারুণভাবে সাজিয়েছেন আপু। আপনার ছেলে তো অনেক দুষ্টামি করেছে সাজানোর সময়। আপনার এই পোস্টটি দেখে তো হাসতে হাসতে আমার পেট ব্যথা হয়ে গিয়েছে আপু। আশা করি বিজয়ী হতে পারবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
জয় পরাজয় সেটি বড় কথা নয় তবে আমার ছেলের ইচ্ছা পূর্ণ করতে পেরেছি এটি আমার জন্য বড়।
যেনে ভালো লাগলো আরাফ আমাদের কমিউনিটি নিয়ে বেশ উৎসাহিত। ইতিমধ্য আমি দ্বিতীয় প্রতিযোগী হিসেবে আপনাকে দেখলাম তবে প্রথমে পোস্ট দেখে অনেক হেসেছি যাইহোক ভিন্ন কিছু দেখলাম।
হা হা হা।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনিও এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে খুব ভালো লেগেছে আপু। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। অনেক ইউনিক একটা আইডিয়া ছিল আপনার। আর সেই আইডিয়া থেকে আপনি আপনার ছেলেকে কাঁচা মরিচ জিঙ্গালা তৈরি করেছেন দেখছি। আসলে বাচ্চাদেরকে সাজানো ততটাও সহজ কাজ না। তাদের দুষ্টামির দিকে সবসময় মন থাকে। যার কারণে আপনার ছেলেকে সাজাতে পারছিলেন না সে দুষ্টামি করছিল বলে। অনেক কষ্ট করে তাকে সাজিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।
আমার ছেলের সাজ আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাই।
এবারের এত ইউনিক একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন। মরিচ এবং মাথায় পেঁয়াজের ফুল দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে আপনি আপনার ছেলেকে সাজিয়েছেন।বাবু ছোট তো তাই সাজানোর সময় একটু দুষ্টামি করেছে। কিন্তু দেখতে খুবই চমৎকার লাগছে।
আপনার কাছে আমার বাবুর সাজ ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে মনে হচ্ছে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা আমার সার্থক।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে প্রথমেই অসংখ্য ধন্যবাদ জানাতে চাই আপু। মরিচ দিয়ে দারুন ভাবে সাজিয়েছেন দেখছি। মাথায় পেঁয়াজের ফুল দেবার কারণে এটা দেখতে খুবই ভালো লাগছে।
জি ভাই মাথায় পেঁয়াজের ফুল দেওয়ার কারণে ভালো লাগছে তবে আইডিয়াটা আমার ছেলের।
প্রথমে আপনাকে প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার ছেলেকে আদিম যুগে জঙ্গলে বসবাসরত আদিম মানুষের পোশাকটাকে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আসলেই বাচ্চাদেরকে সাজাতে এতটাই সহজ নয় কারণ তারা সাজাতে গেলে খুবই দুষ্টুমি করে। আপনার ছেলেকে পোশাক টিতে খুবই মানিয়েছে। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
উৎসাহ মূলক মন্তব্য করে কাজের গতি বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
দেখে খুব হাসি পাচ্ছে। পুরাই জংলী মরিচ মানব। আসে পাশে গাছ পালা থাকলে দেখেত আরো মানাতো। প্রতিযোগিতার জন্য শুভকামনা রইলো।
আমার পোস্টটি দেখে আপনার হাসি পেয়েছে জেনে অনেক ভালো লাগলো কারণ হাসির জন্যই তো এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে আপু।