আমার অনুভূতি ||| কৃষকদের আনন্দ ও দুঃখ।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখি সকলেই এই জন্মদিনের অনুষ্ঠান নিয়ে অনেক ব্যস্ততার মধ্যেই সময় কাটাচ্ছেন এবং অনেক আনন্দ করছেন।আমিও বেশ ভাল সময় কাটাচ্ছি আপনাদের সঙ্গে।
আজকে আমি আবারো আপনাদের মাঝে আমার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছে।"কৃষকদের আনন্দ ও দুঃখ" নিয়ে কিছু অজানা কথা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবো। জানিনা আপনাদের আমার কথাগুলো ভালো লাগবে কি না তবে আমি তাদেরই বলা কথাগুলোই আমার লেখনি দিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব।
কৃষক কৃষানীরা যখন জমিতে ধান রোপন করে।তখন অনেক আনন্দ, অনেক আশা,অনেক স্বপ্ন বুকে ধারণ করে ধান গাছগুলো রোপন করে।আর সেই স্বপ্ন,সেই আশা এবং সেই আনন্দকে কেন্দ্র করে সে ধান গাছগুলোর পরিচর্চা করে নিজের জীবনকে বাজি রেখে।প্রতিটি কৃষক তার জমি চাষ যখন করে তখন তার নিজের জীবনটাকে বাজি রাখে এবং জমির ফসলটিকে তার নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালবাসে।তারা কোন কিছুর কমতি রাখেনা তিন বেলার জায়গায় তারা দুবেলা খাবে এরপরেও ফসল কে কীটনাশক, সার সঠিকভাবে জমিতে দিয়ে পরিচর্যা করবে।
জমির পরিচর্যা করতে গিয়ে দেখা যায় তারা উচ্চ সুদে টাকা ঋণ করে সার কীটনাশক ক্রয় করে এবং সেটি জমিতে প্রয়োগ করে।একটি আশা তাদের স্বপ্ন হবে পূরণ বাচ্চা কাচ্চাদের হবে নতুন জামা নিজেরা তিন বেলা তিন মুঠ খেতে পারবে পেট পুরে খেতে পারবে সঙ্গে হয়তোবা মাছ মাংস ভাত।
আর এই সময় বাচ্চারা যখন বাবা মাকে বলে বাবা আমার জামা লাগবে জুতা লাগবে তখন বাবা-মা বলে আসছে ধান সেই ধান কাটবো সেই ধান বিক্রি করব এবং নতুন জামা লাল জামা কিনে দিবো তোমাদের। নতুন জুতা পড়ে তোমরা যাবে স্কুলে কিন্তু আসলে কি সেই স্বপ্নগুলো কৃষকের পূরণ হয়।না কখনোই না তাদের সেই স্বপ্নগুলো স্বপ্নই রয়ে যায় থেকে যায় শুধু তাদের কষ্ট দু চোখে শুধু ঝড়ে কষ্টের লোনা পানি।আসলে আমরা কেউ কখনো এই কৃষকের পাশে দাঁড়াই না। তাদের সেই হাহাকার কষ্টের কথাগুলো কান পেতে মন দিয়ে শুনি না।
এরপরে ধান যখন কাটা হয়।ধান কাটার পরে সেই ধানগুলো মাড়াই করে বিক্রি করে।বিক্রি করার পরে যখন সেই উচ্চ সুদে নেওয়ার ঋণ পরিশোধ করতে যায়। তখন দেখা যায় তাদের হাতে কোন টাকা আর থাকে না। হয় না তাদের ছেলেমেয়েদের লাল জামা কেনা লাল জুতা কেনা হয় না তাদের স্বপ্নটা পুরনো হয় না তাদের মাছ-মাংস খাওয়া।
তখন শুধু দুই নয়ন দিয়ে ঝরে লোনা পানি আর এই লোনা পানিটাই হয় তাদের সম্বল এবং শক্তি। এই শক্তিকে নিয়েই তারা আছে বেঁচে আমাদের মাঝে।তাই আমাদের উচিত এ কৃষক ভাইদের মাঝে আমাদের কিছু সময় দেওয়া এবং তাদেরকে সেই উচ্চ সুদের ঋণের হাত থেকে রেহাই পেতে আমাদের সহযোগিতা প্রয়োজন তাদের।
আজকে এখানেই শেষ করছি আবারো নতুন কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব খুব শিগগিরই সে পর্যন্ত শুভ বিদায়।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
একজন কৃষক সবসময় তার জীবন বাজি রেখে জমিতে ফসল ফলায়। তাছাড়া এটা সত্যি কথা যে, কৃষকরা তার ফসল কে তাদের নিজেদের থেকেও বেশি ভালোবাসে। আপনি আসলে আজ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে কৃষকদের জীবনের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন আপু। যখন একজন কৃষক জমিতে ধান কিংবা অন্য ফসল লাগায়, তখন তাদের মনে অনেক আশা থাকে। কিন্তু ধান বিক্রি করার পর সমস্ত দেনা শোধ করে তাদের হাতে আর কিছুই থাকে না, সেটা হোক সন্তানের জন্য কিংবা পরিবারের ভরণপোষণের জন্য যা বেশ দুঃখজনক বিষয়।
গঠনমূলক মন্তব্য করে সব সময় উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।