রেসিপি পোস্ট |||| মুখরোচক তেঁতুল ও লেবুর পিনিক।
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা আশা করছি সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টিকর রহমতে বেশ ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আসলে প্রত্যেকটি রেসিপি নতুন ভাবে তৈরি করা এটি একটি শিল্পীর কাজ।আর সব জায়গায় সবাই একই রকম ভাবে রেসিপি তৈরি করে না এক একজনের জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে একেক ভাবে রেসিপি তৈরি করে এর ফলে রেসিপির স্বাদ গুলো ভিন্ন রকম হয়। ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যাওয়া-আসা করাতে সেখানে কিছু ভাবিদের সঙ্গে মোটামুটি একটা ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে।আসলে এখানে আমার কেউ আপনজন না সবাই অপরিচিত তারপর প্রতিদিন যাওয়া আসার মাঝে একটি সম্পর্ক তৈরি হয়।আর এই সম্পর্ক গুলো কিন্তু অনেক ভালোবাসার সম্পর্ক।কারণ যাদের সাথে কখনো পরিচয় ছিল না একটি সময় তারাই ভালো লাগার মানুষ হয়ে যায়।আসলেই ভালোবাসাটা অন্যরকম। কার সাথে কখন কি রকম সম্পর্ক গড়ে উঠবে আমরা কেউ বলতে পারি না। আরেকটি জিনিস ব্যবহার ও আন্তরিকতা যদি থাকে তাহলে সবার সাথে সম্পর্ক ভালো রাখা যায়।সেখানে গিয়ে মোটামুটি তিন ঘণ্টার মতো বসে থাকতে হয়। ঠিক সেখানেই ভাবীরা একটি রেসিপির আয়োজন করে।
সেই আয়োজনে রেসিপিটি খেয়ে আমার এত ভালো লেগেছিল তারপর আমি বাসায় সেই সব কিছু উপকরণ নিয়ে এসে আমি আমার হাজব্যান্ড ও বাবুদের কে তৈরি করে দিয়েছি তারাও বলেছে অনেক মজা ছিল। যাদের জ্বর হয় সেই সময় এই রেসিপিটা খেলে মুখে কিছুটা হলেও রুচি চলে আসবে এবং শরীরটাও ভালো লাগবে।আমি আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি "মুখরোচক তেঁতুল ও লেবুর পিনিক" নিয়ে। আসলে এই রেসিপিটি এতটা সুস্বাদু খেতে এত মজা লেগেছে বলে বিশ্বাস করাতে পারবো না আপনারা যদি বাসায় তৈরি করে না খান। চলুন রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি তার সমস্ত প্রক্রিয়া দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১।পাকা তেঁতুল।
২।লেবু।
৩।কাঁচা মরিচ।
৪।শুকনা মরিচ।
৫।চিনি।
৬।লবন।
৭।সরিষার তেল।
৮।বিট লবণ।
প্রথমে লেবু পরিষ্কার করে নিয়ে সেই লেবর উপরের গায়ের খোসা গুলো ছিলে নিয়েছি।
এবার লেবুগুলো গোল গোল করে পাতলা করে কেটে নিয়েছি।
একটি বাটিতে পাকা তেঁতুল নিয়ে নিয়েছি।
এবার কাঁচা মরিচ গুলো ছোট ছোট করে কেটে নিয়েছি।
শুকনা মরিচ কাঁচামরিচ, লবণ, চিনি সব একত্রে মেখে নিয়েছি।
মেখে নেওয়া মসলার ভিতর তেঁতুল দিয়ে আবারো ভাল করে মেখে নিয়েছি।
এবার মেখে নেওয়া তেঁতুলে সেই কেটে নেওয়া লেবুগুলো দিয়ে আবারো কিছুক্ষণ মেখে নিয়েছি।
এবার সরিষার তৈল দিয়ে আবারো মেখে নিয়েছি। আর এভাবে হয়ে গেল "মুখরোচক তেঁতুল ও লেবুর পিনিক" রেসিপি।এবার এই "মুখরোচক তেঁতুল ও লেবুর পিনিক" রেসিপির একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
আপনার মাধ্যমে আজকে আমি একটি নতুন রেসিপির নাম জানতে পারলাম। আসলে আমি কোনদিন তেঁতুল ও লেবুর পিনিক রেসিপির কথা শুনি নাই। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে মুখরোচক তেঁতুল ও লেবুর পিনিক রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনি বেশ কয়েকটি উপকরণের সংমিশ্রণে ধারাবাহিক ভাবে খুবই সুন্দর করে মুখরোচক তেঁতুল ও লেবুর পিনিক রেসিপি তৈরি করেছেন।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু বাচ্চার স্কুলে যেয়ে ভাবিদের কাছ থেকে বেশ ইউনিক একটি রেসিপি শিখেছেন দেখছি ।তেতুঁল ও লেবুর পিনিক এরকম রেসিপি এর আগে কখনো দেখিনি। খাওয়াও হয়নি। তবে দেখে কিন্তু জিভে জল চলে এসেছে। দারুন লাগলো রেসিপিটি ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
তবে রেসিপিটি অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু।
এটা কি দেখালেন আপু। দেখেই তো পারছি না লোভ সামলাতে। তেতুল ও লেবুর পিনিক তৈরি করেছেন। বুঝতেই পারতেছি এটা অসম্ভব মজাদার হয়েছে। এটা খাওয়া হলে আসলেই রুচি আসবে। এটা কিন্তু সত্যি মুখরোচক একটা খাবার। যেটা দেখলে বেশিরভাগ মানুষের জিভে জল চলে আসবে। আমার তো অলরেডি জিভে জল চলে এসেছে। ঘরে যেহেতু লেবু এবং তেতুল দুটোই রয়েছে, আমি তো ভাবছি এটা আমি আজকেই তৈরি করবো। আশা করছি অনেক ভালো লাগবে খেতে।
সব সময় সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
মুখের স্বাদের এখন যে অবস্থা এই তেতুল আর লেবুর পিনিকই খাইতে হবে। দারুণ তৈরি করেছেন এটা আপু। এটা একেবারে আলাদা ছিল। এবং দেখেই বেশ লোভনীয় লাগছে। দারুণ তৈরি করেছেন এটা আপু। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভিন্ন মানুষ ভিন্নভাবে ভিন্ন কিছু উপস্থাপন করে। তেমন রেসিপি তৈরি করতে গেলে অনেকেই ভিন্নভাবে রেসিপি তৈরি করে থাকেন এবং এর স্বাদও ভিন্ন হয়ে থাকে। আপনি আজকে মুখরোচক তেতুল ও লেবুর পিনিক রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপি তৈরি করা ধাপগুলো সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে কাজে উৎসাহ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ।
ওয়াও আপনার রেসিপিটা দেখেই তো লোভ সামলানো মুশকিল। জিভে জল চলে এসেছে, তেতুল এবং লেবু দেখলেই সবারই খেতে ইচ্ছা করে খুব।মুখরোচক তেঁতুল ও লেবুর পিনিক, প্রতিটি ধাপ বেশ দক্ষতার সহিত আমাদের মাঝে তৈরি করেছেন। রেসিপিটি আমি শিখে নিতে পেরেছি আশা করি তৈরি করে খাব ধন্যবাদ।
অবশ্যই ভাইয়া বাসায় একদিন ট্রাই করে দেখবেন । খেতে অনেক ভালো লাগবে।
তেঁতুল আর লেবু সবারই পছন্দের খাবার।আপনি জিভে জল আনা একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব ভালো ছিল।রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। এটা দেখে যে কেউ সহজেই রেসিপিটি তৈরি করে নিতে পারবেন।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বেশ সুস্বাদু দেখতে একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি৷ এই রেসিপিটিতে দেখে একেবারেই লোভনীয় মনে হচ্ছে এবং এটিকে এখনি খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে৷ যেভাবে আপনি রেসিপিটি তৈরি করে ধাপে ধাপে শেয়ার করেছেন তা বেশ অসাধারণ হয়েছে৷ ধন্যবাদ এরকম একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য৷
সত্যিই ভাই রেসিপিটি অনেক মজাদার ছিল । ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমিও রেসিপিটি দেখে খেয়ে ফেললাম এমন মনে হচ্ছিল।
এরকম লোভনীয় জিভে জল আসার মত রেসিপি দেয়া ঠিক নয় আপু হা হা। আমার কিন্তুু জিভে জল এসেছে আপনার রেসিপিটি দেখে।ভাবীরা মিলে বেশ ভালোই আয়োজন করেছিলেন স্কুলে। স্কুলের বানানোর রেসিপি অনুসরণ করে বাসায় তৈরি করে আমার লোভ লাগিয়ে দিলেন। সত্যি আমার এখন জ্বর চলছে এরকম যদি রেসিপি আমি খাই তাহলে মন শরীর পুরাই ঠিক হয়ে যাবে। রেসিপিটি খুব ভালো করে ফলো করলাম খুব দ্রুত বানিয়ে খাব ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপি ভাগ করে দেয়ার জন্য।
জি আপু রেসিপিটি অনেক মজাদার বাসায় একদিন ট্রাই করবেন। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।