ছোট গল্প ||| অপেক্ষায় ছিলাম পর্ব-০১।
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা প্রত্যাশা করতে পরিবারকে নিয়ে সুস্থ ভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি।
আমি প্রতিনিয়ত আপনাদের মাঝে আমার স্বরচিত কবিতা নিয়ে হাজির হই।আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি কবিতার পাশাপাশি গল্প বা উপন্যাস নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হতে। আমি কিছু বাস্তব জীবনের গল্প আপনাদের মাঝে নিয়ে হাজির হয়েছি।আজ আপনাদের মাঝে নতুন আরেকটি গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার গল্পের নাম 'অপেক্ষায় ছিলাম"। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে গল্পের মূলে যাওয়া যাক।
ভুবনটা বড়ই সুন্দর।এই সুন্দর ভুবনে কত কিছু আমরা দেখছি। যা দেখছি সবই ভালোলাগে।এই ভালো লাগারও একটি বয়স আছে একেক বয়সের ভালোলাগা গুলো একেক রকম। সব ভালোলাগা সবার সমান হয় না। বয়সের তালে মানুষের সবকিছু পরিবর্তন ঘটে। যখন সুন্দর পৃথিবীতে একটি শিশুর আগমন ঘটে তখন সেই শিশু যখন হাঁটতে শিখে এবং তখন তার ভালো লাগে খেলনা জাতীয় জিনিসপত্র নিয়ে খেলতে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে সবকিছুই পরিবর্তন হয়। আর সব ভালোলাগার ব্যাপারগুলো সব বয়সে যায় না সমাজে কিছু নিয়ম নীতি থাকে সেই নিয়ম নীতি অনুযায়ী আমাদের সকলকে চলতে হয়।
জীবনের একটি মুহূর্ত আসে সবার এস.এস-সি পাস করার পর ফার্স্ট ইয়ার।এ বয়সে ছেলেমেয়েদের মাঝে অন্যরকম একটি মনোভাব দেখা যায়।তাই বলে যে সবার মনোভাব একরকম হয় তা কিন্তু নয়, তবে বেশিরভাগ ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রে এমন হয় দেখেছি।
গল্পের নায়িকার নাম নীলা।নীলা তার পরিবারের একমাত্র সন্তান বাবা কলেজের প্রফেসর এবং মা সরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি করেন।বেশ সৌখিনতায় মানুষ হয়েছে নীলা।যেমন মিশুক তেমনি প্রচন্ড রাগ ও অভিমান তার দেখতে যে নীলা মোটামুটি সুন্দর তা নয় রূপে গুণে অনন্যা যেমন ফর্সা গায়ের রং তেমনি তার মাথা পতি কেশ অপূর্ব রুপের অধিকারী নীলা।
যেদিন কলেজে প্রথম ক্লাস ছিল সেই দিন নীলা অনেক তাড়াহুড়ো করে ক্লাসে যাচ্ছিল ঠিক সেই সময় একটি ছেলেকে নীলা দেখতে পায়।প্রথম দেখাতেই নীলা নিরবকে ভালোলাগে।আসলে কার কখন কাকে ভালো লাগে সেটা বোঝা অনেক কঠিন। কিন্তু নীলা ক্লাসে গিয়ে দেখে ভাগ্যক্রমে সেই ছেলেটি/নিরব তারই ক্লাসে পড়ে।নীলা মনে মনে অনেক খুশি হতে লাগলো।এভাবে চলে গেল কিছু মাস, মনের ভেতর কথাটি চাপা রেখে ঠিক ভাবেই লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিল।
একদিন নিরব একা রুমে বসে আছে তখন নীলা নীরবের সঙ্গে পরিচিত হতে চায়।বেশ ভালো ভাবেই কথা চলছিল দুজনার।নিরব বন্ধু ভেবেই নীলার সঙ্গে কথা বলছিল এভাবে পাশাপাশি থেকে বন্ধু ভেবে তারা ভার্সিটি পর্যায়ে গিয়েছিল।
তাদের বন্ধুত্বের কোন সীমা নেই।নীলা ও নীরবের মাঝে এতটা বন্ধুত্ব হয়েছে যে এমন বন্ধু সচরাচার দেখা যায় না।এদিকে নীলাও মনের কথা নীরবকে বলার আজও কোন সুযোগ পেল না বা বলা হয়নি।কারণ তাদের ভিতর এমন বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। যে সম্পর্ক শুধু বন্ধুই ভাবা যায়। কিন্তু নীলা আপন মনে নিরবকে সেই কয়েক বছর আগেই ভালোবাসার মানুষ হিসেবে ভেবে নিয়েছে।এই অপেক্ষা যেন শেষ হতে চায় না।কবে নিরবকে মনের সকল কথা খুলে বলবে। নিরব বড়ই শান্ত ও প্রকৃতি প্রেমী একজন ছেলে।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার ও উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে এবং নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে ও নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে চেষ্টা করি এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষদের নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতা করতে নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- ছোট গল্প "অপেক্ষায় ছিলাম পর্ব-০১"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
আপনি আজকে অপেক্ষায় ছিলাম গল্পটার প্রথম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে, আমার কাছে প্রথম পর্বটা পড়তে খুব ভালো লেগেছে। নীলা যদিও নিরবকে শুরু থেকেই ভালোবাসতো, তবে নিরব কিন্তু নীলাকে সবসময় বন্ধুই মনে করত দেখছি। আর এখন তো দেখছি নীলা কিছুতেই বলতে পারতেছে না নিরবকে তার মনের কথা। পরবর্তীতে বলতে পারবে কিনা এখন এটাই দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
ধন্যবাদ ভাই আমার গল্পটি সুন্দরভাবে পড়ার জন্য।
প্রথম দেখাতেই দেখছি নিলা নিরবকে অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলেছিল। পরবর্তীতে নীলা নীরবের সাথে ফ্রেন্ডশিপ করেছিল। নিরব সব সময় নীলাকে ফ্রেন্ডের চোখেই দেখতো। কিন্তু নীলা তো তাকে মন প্রাণ দিয়ে ভালোই ভেসে যাচ্ছিল। এখন দেখা যাক তাদের এরকম ভালো একটা বন্ধুত্বের মাঝে নীলা তার ভালোবাসার কথা তাকে বলতে পারে কিনা। আর নীরব কি তার ভালোবাসায় রাজি হবে? নাকি কখনোই নীলা বলতে পারবে না? অপেক্ষায় থাকলাম এগুলো জানার জন্য। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হবেন।
অবশ্যই আপু পরবর্তীতে আপনার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবেন ইন-সা-আল্লাহ।
বেশ ভালো লাগলো আপনার সুন্দর গল্পটি পড়ে। এর প্রথম পর্বের মধ্যেই আপনি অনেকগুলো বিষয় এখানে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ আসলে ভালোবাসা একটি মূল্যবান জিনিস৷ এটি যেকোনো সময় যে কারো সাথে হয়ে যেতে পারে৷ যেহেতু নিলা এখন নিরবকে ভালোবেসে ফেলেছি এবং সে কিছুতেই নিরবকে সে বিষয়টি বলতে পারছে না৷ আশা করি পরবর্তী পর্বগুলোর মধ্যে সেই বিষয়টি সে বলতে পারবে৷ পরবর্তী পর্বের আশায় রইলাম৷
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলে উঠতি বয়সে ছেলে মেয়েদের মধ্যে আবেগ জিনিসটা বেশি কাজ করে। তাই হুটহাট করে কাউকে পছন্দ হয়ে যায়। পরবর্তীতে সম্পর্ক হলেও, বেশিরভাগ সম্পর্কের পরিণতি খারাপ হয়। যাইহোক নীলা নিরবকে মনে মনে ভালোবাসলেও, নিরব যেহেতু নীলাকে বন্ধু ভাবে, পরবর্তীতে নিরব যদি রাজি না হয়,তাহলে তাদের বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়। গল্পটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমার গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।