রেসিপি পোস্ট |||| মুচমুচে পুলি পিঠা।
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগের এবং বাংলার এপার ওপারের সকল ভাই ও বোনেরা প্রত্যাশা করছি পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুস্থ ভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে "মুচমুচে পুলি পিঠা" র রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি।প্রকৃতির অপরূপ রূপ। সেই রূপ আমাদের মাঝে বিলিয়ে দেয় এবং প্রকৃতির প্রেমে আমরা সবাই মুগ্ধ হই। দিন যায় প্রকৃতিরও পরিবর্তন হয় তাই তো গরমের পর চলে আসে শীত। শীতের পর গরম। এভাবেই প্রকৃতি ধারাবাহিক ভাবে তার পরিবর্তনের প্রভাব ফেলে। আর সেই পরিবর্তনে আমাদের সামাজিক কিছু নিয়ম নীতির মধ্যে পড়ে । সমাজে চলতে ফিরতে মানুষের ধারাবাহিক অনেক নিয়ম নীতি রয়েছে এবং সামাজিক অনেক অনুষ্ঠান পালন করতে হয়। যেমন শীতকালে পিঠার উৎসব।পিঠা খাওয়া প্রত্যেক বাংলার ঘরে ঘরে চলে। বাঙালিরা খেতে অনেক পছন্দ করে। তাইতো বাঙালিরা সবাই নানান আইটেমের রেসিপি তৈরি করতে যেমন পছন্দ করে তেমনি অতিথি আপ্যায়নেও অনেক পারদর্শী। কিছু কিছু পিঠা সেই অনেক আগে থেকে চলে আসছে এবং সেই পিঠাগুলো এতটা জনপ্রিয়তা যার কারণে এখনো শীত এলেই প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে পড়ে যায় পিঠা পুলির ধুম। তাইতো আমি আজ আপনাদের মাঝে "মুচমুচে পুলি পিঠা" রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। চলুন পিঠাটি কিভাবে তৈরি করেছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালী দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১।চালের গুড়া।
২।নারকেল।
৩। চিনি।
৪।গ্লাস।
৫।সামান্য পরিমাণ লবণ।
৬।তৈল।
প্রথমে একটি সসপ্যানে গরম পানি ফুটিয়ে নিয়েছি।
এবার সেই সসপ্যানে সামান্য পরিমাণ লবণ দিয়ে আটা গুলো একটি খুমার করে নিয়েছি ।
এবার সেই খুমার গুলো সুন্দর করে বেলুন পিরিতে নিয়ে গোল ছোট বল আকৃতি করে নিয়েছি ।
বল আকৃতি করা আটা গুলোকে রুটি করে নিয়েছি ।
নারকেল কুঁড়িয়ে নিয়েছি।
কুরানো নারকেল চিনি ও তৈল দিয়ে ফ্রাইপ্যানে ভেঁজে নিয়েছি ।
এবার রুটির ভিতরে সেই ভেঁজে নেওয়া নারকেল কোরানো দিয়ে একটি গ্লাস দিয়ে হাফ করে কেটে নিয়েছি।
এভাবে পর্যায় ক্রমে প্রত্যেকটি রুটির ভেতরে নারকেল দিয়ে পুলি পিঠা বানিয়ে নিয়েছি ।
একটি কড়াইয়ে তৈল দিয়ে পিঠাগুলো ভেঁজে নিয়েছি । এসাইট ভাঁজার পর অপর সাইট ভেঁজে উঠিয়ে নিয়েছে আর এভাবেই হয়ে গেল আমার "মুচমুচে পুলি পিঠা" রেসিপি।এবার এই "মুচমুচে পুলি পিঠা" রেসিপির একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- রেসিপি পোস্ট "মুচমুচে পুলি পিঠা"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
নারিকেল দিয়ে তৈরি পুলি পিঠা দেখেই তো লোভ লেগে গেলো আপু।এইরকম পুলি পিঠা গুলো দারুণ লাগে খেতে।আর গরম গরম হলে তো কোন কথায় না।যাইহোক আপনি চমৎকার ভাবে রেসিপি টি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমার রেসিপিটি আপনার পছন্দ হয়েছে শুনে অনেক ভালো লাগলো।
শীতকালে পিঠা খেতে আলাদা একটা মজা লাগে। তবে এটি ঠিক বলেছেন শীতকাল হচ্ছে পিঠা বানানোর উৎসব। আজকে আপনি খুব সুন্দর করে মুচমুচে পুলি পিঠা বানিয়েছেন। এই পিঠাগুলো অনেকে বিভিন্ন ধরনের জিনিস দিয়ে বানিয়ে থাকে। সত্যি বলতে এই পিঠাগুলো খেতে খুব মজা লাগে। বিশেষ করে মেহমান আসলে এই পিঠাগুলো বেশি বানায়। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে পুলি পিঠাগুলো বানিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
কিছুক্ষণ আগে পুলি পিঠা একজনও বানিয়েছিল দেখছিলাম। আজকে আপনি আবারও মুচমুচে পুলি পিঠা বানিয়েছেন। এটা আমাদের মাঝে নিয়ে হাজির হয়েছেন। সত্যি অনেক ভালো লাগলো। শীতকাল আসলেই তো পিঠার ধুম পড়ে যায়। পিঠা খাওয়া প্রত্যেক বাংলার ঘরে ঘরে চলে। এটা ঠিক। বাঙালি অনেক পছন্দ করে এটা। আপনি দারুন দক্ষতা এই রেসিপিটি সম্পূর্ণ করেছেন । প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আমার রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে শুনে অনেক ভালো লাগলো ভাই।
শীতকাল মানেই পিঠাপুলি খাওয়া। শীতকালে পিঠা খেতে যত মজা লাগে অন্য ঋতুতে তেমন মজা লাগে না। আর নারিকেল পুলি খেতে বেশ মজা লাগে। আমার প্রিয় পিঠার মধ্যে একটি। আর আজ আপনি সেই পুলি পিঠার রেসিপি শেয়ার করেছেন। দেখেই খেতে মনে চাচ্ছে। মজাদার পুলি পিঠার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
পুলি পিঠা এটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আবার শীতের আগমনে বিভিন্ন ধরনের পিঠা বানিয়ে খায় সবাই। তবে আমাদের এদিকে যে কোন অনুষ্ঠানে এই পুলি পিঠাগুলো বানিয়ে থাকে মেহমান আপ্যায়ন করার জন্য। সত্যি বলতে পিঠাগুলো দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আপনি খুব চমৎকারভাবে মুচমুচে পুলি পিঠা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
মাঝে মাঝে সমাজের বিভিন্ন রীতিনীতি আমাদেরকে মেনে নিতে হয় আপু। যাই হোক আপু প্লেটে সাজানো মচমচে পুলি পিঠা দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। পিঠাগুলো দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে আপু। দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে।
আমার রেসিপিটি আপনার পছন্দ হয়েছে শুনে অনেক ভালো লাগলো।
শীত মানেই বাঙালির পিঠা উৎসব চলে আসা।শীতকাল আসার আগেই পিঠা তৈরি করা শুরু করে দিয়েছেন আপু।দেখেই আমার লোভ লেগে গেল।শীতকালে যেকোনো পিঠা খেতে দারুণ মজা লাগে আর পুলি পিঠাও দারুণ ভালো লাগে আমার খেতে।আপনার রেসিপিটি ও তার প্রত্যেকটি ধাপ সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
যে দিদি শীতকালে পিটা না খেলে কি হয় তাই তো খেয়ে ফেললাম।