আত্মকাহিনী ||| আড়ং বুটিকস-৩।
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা রাখি এই বৃষ্টি ভেজা দিনে সবাই সবার পরিবারসহ সুন্দর ভাবে জীবন এবং সময় অতিবাহিত করছেন ও জীবনকে উপভোগ করছেন।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার আত্মকাহিনীর একটি গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি।জানিনা আমার এই গল্পগুলো আপনাদের কেমন লাগে? তবে আপনারা মন্তব্য করে যেভাবে উৎসাহ দেন তাতে মনে হয় আপনাদের একটু হলেও ভালো লাগে।
আপনারা মোটামুটি সবাই জানেন আমার উদ্যোগের নাম আড়ং বুটিকস।আর আড়ং বুটিকস গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করে এবং তাদের জীবন মান উন্নয়নে সবসময় সহযোগিতা এবং কাজ করছে।
আমরা যখন এই গ্রামের সাব অফিসগুলোতে মাস শেষে কাজের টাকা দিতে যায়।তখন দেখি সেই অবহেলিত মহিলাদের মুখে একটু হলেও সুখের হাসি।আর এই হাসিটুকু দেখতে পেলে আমার অনেক ভালো লাগে।কারণ আড়ং বুটিকস তাদের মুখে হাসি ফুটানোর জন্যই নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছে।
গ্রামের মহিলারা সারাদিন নিজের পরিবারের কাজকর্ম সম্পূর্ণ করে,আড়ং বুটিকস এর কাজ করে এবং সেই কাজের মূল্য মাস শেষে যখন তাদের হাতে বুইজে পায় তখন তাদের কেমন লাগে?
এই কথাটি আমি যখন আপাদেরকে জিজ্ঞেস করি।তখন তারা চোখে মুখে অনেক আনন্দ এবং খুশি নিয়ে বলে আপা আপনার মাধ্যমে আমরা যে টাকাটা ইনকাম করি। তা দিয়ে আমরা বাচ্চা এবং স্বামীসহ অনেক সুন্দর ভাবে পরিবার পরিচালনা করছি।যে ভালোলাগার কথাগুলো মুখের ভাষায় বলে বোঝানো সম্ভব না। এক কথায় আপা আপনার জন্য আমরা আমাদের জীবন বাজি রেখে আপনার সব কথা সুন্দরভাবে শুনে কাজ করব মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত।
আর কাজ শেষে যখন কাজের সাথে সম্পৃক্ত লোকজনের মুখে এই ধরনের কথা শুনতে পাই।তখন কাজ করতে যত কষ্ট এবং সমস্যায় পড়ে ছিলাম তা ভুলে যাই এবং কাজ করার আগ্রহ অনেক অনেক গুণ বেড়ে যায়।এই জন্যই আমি গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের কে নিয়ে কাজ করে যেতে চাই মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত।
পরিশেষে আবারো সবার কাছে আমার আড়ং বুটিকস পরিবারের জন্য দোয়া ও ভালবাসার দরখাস্ত রেখে আজকে বিদায় নিচ্ছি।আগামীতে আবার কোন গল্প নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব ইন-সা-আল্লাহ।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- আত্মকাহিনী "আড়ং বুটিকস-৩"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
অনেক পরিশ্রমের পর যখন তারা মাস শেষে টাকা পায় তখন সত্যিই অনেক খুশি হয়ে যায়। আসলে এসব অসহায় মানুষকে সাহায্য করতে পারলে অনেক ভালো লাগে। তারা শ্রম দিয়ে যাচ্ছে আর তার বিনিময়ে আপনারাও তাদেরকে সাহায্য করতে পারছেন দেখে সত্যিই ভালো লাগলো আপু।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনার পোস্টটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। আপনি গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, যা সত্যিই খুব প্রশংসনীয়। আসলে কারো মুখে হাসি ফোটাতে পারলে, মনের মধ্যে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। আপনি তাদেরকে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন এবং তারা কাজের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করে তাদের সংসার ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারছে। এর চেয়ে ভালো আর কি হতে পারে। সর্বোপরি আড়ং বুটিকস অনেক দূর এগিয়ে যাক,সেই কামনা করছি।
সুন্দর করে গুছিয়ে মন্তব্য করে আমাদেরকে উৎসাহিত করার জন্য আড়ং বুটিকের পক্ষ থেকে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।