রেসিপি পোস্ট ||| টক বড়ইয়ের ঝাল মিষ্টি মাখা।
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা আশা করছি সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।আজ কদিন হলো প্রচন্ড শুষ্ক আবহাওয়া। এই আবহাওয়ায় ছোট বড় সবাই প্রচন্ড অসুস্থতায় ভুগছে। আমি নিজেও অসুস্থ ছিলাম তবে এবার অসুস্থতা সবাইকে খুব কষ্ট দিয়েছে। সহজে অসুস্থতার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাচ্ছিল না। আবহাওয়া চেঞ্জের কারণে হয়তো বা এমন হচ্ছে।সকালে ঘুম থেকে উঠে একটা জিনিস খুব ভালো লাগলো আজকের আবহাওয়াটা দেখে এবং প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। সেই বৃষ্টি দেখে আমার কেন জানি বেশ আনন্দ হল। কারণ আমার গাছগুলো একটু সতেজ হবে এবং প্রাণ ফিরে পাবে। বৃষ্টি দেখে তাই খুশির কোন দিক খুঁজে পাচ্ছিলাম না আর এমনিতেই বৃষ্টি দেখতে যেমন ভালো লাগে তেমনি ভিজতেও।কিন্তু কষ্টের বিষয় এখন আর এলার্জির সমস্যা ও ঠান্ডা জনিত কারণে বৃষ্টিতে ভিজতে পারি না। তারপরও বৃষ্টি দেখেই আনন্দ অনুভব করি।বাসায় সব সময় মিষ্টি বড়ই গুলো আনা হয় কিন্তু মিষ্টি বড়ই কেন জানি খেতে ভালো লাগে না।আমি টক বরই এর প্রতি একটু বেশিই দুর্বল।তাইতো সেদিন বেশ কিছু টক বড়ই বাজার থেকে কিনে নিয়ে এলাম। আমার থেকে আমার হাজব্যান্ড আরো বেশি টক পছন্দ করে।বড়ইগুলো দেখে খুব লোভ লেগে গেল একটু বড়ই মাখা খেতে। তাই তো সেই টকবড়ই মাখা নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। চলুন আর কথা না বলে "টক বড়ইয়ের ঝাল মিষ্টি মাখা" কিভাবে করেছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালী দেখে নেওয়া যায়।
উপকরণসমূহঃ-
১। টক বড়ই।
২। চিনি।
৩। গুড়।
৪। ভাঁজা শুকনা মরিচ।
৫। সরিষার তেল।
৬। লবণ।
প্রথমে বড়ইগুলো বেশ সুন্দর করে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিয়েছি।
এবার বড়ইগুলোর একটি ছুরি দিয়ে দুই সাইডে সুন্দর করে কেটে নিয়েছি।
এবার আরেকটি বাটিতে শুকনা মরিচ ও লবণ হাত দিয়ে মেখে নিয়েছি।
শুকনা মরিচ ও লবণ মেখে নেওয়ার ভিতরে গুড় দিয়ে দিয়েছি।
এবার মেখে নেওয়া মসলাগুলো বড়ইয়ের ভিতরে দিয়ে দিয়েছি।
এবার সব বড়গুলো হাত দিয়ে ভালো করে মেখে তার ভিতরে সরিষার তেল এড করেছি এবং ভালো করে মেখে নিয়েছি। আর এভাবেই হয়ে গেল আমার "টক বড়ইয়ের ঝাল মিষ্টি মাখা" রেসিপি।এবার এই "টক বড়ইয়ের ঝাল মিষ্টি মাখা" রেসিপির একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- রেসিপি পোস্ট "টক বড়ইয়ের ঝাল মিষ্টি মাখা"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
আপু এত রাতে এমন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন যা দেখেই জিভে জল চলে আসলো। টক বড়ইয়ের ঝাল মিষ্টি মাখা দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। টক বরই এভাবে মাখিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগে। এবার গ্ৰামে গিয়ে একদম গাছ থেকে পেরে এভাবে বরই মাখিয়ে ছিলাম আর খেতেও খুব ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ আপু জিভে জল চলে আসা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
টক দেখলে এমনিতেই আমাদের মেয়েদের মুখে জল এসে যায় আপু।
বৃষ্টিতে ভিজলে যদি এলার্জি সহ নানান সমস্যায় আক্রান্ত হন তাহলে বৃষ্টির থেকে দূরে থাকাই ভালো। যাইহোক আজকে দুলাভাইয়ের প্রিয় বড়ই মাখা রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন অনেক লোভনীয় লাগছে আপু আমারও তো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
টক বড়ই খেতে আমার অনেক ভালো লাগে৷ বেশিরভাগ সময় যেখানে টক বড়ই দেখি না কেন সেখান থেকে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে। আপনার কাছ থেকে এই টক বড়ই এর ঝাল মিষ্টি মাখা দেখে খুব ভালো লাগলো৷ খুব সুন্দর ভাবে আপনি এটি তৈরি করেছেন এবং যেভাবে এটিকে আপনি তৈরি করেছেন এটিকে একদমই লোভনীয় মনে হচ্ছে৷ ইচ্ছে করছে এখনই এখান থেকে খেয়ে ফেলি৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
শুধু ধন্যবাদ দিলে চলবে না৷ এই রেসিপি কষ্ট করে আমাদের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিয়েন৷
এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আপনি এবং আপনার হাসবেন্ড দুজনের টক বড়ই অনেক বেশি পছন্দ করেন। মিষ্টি বড়ই খেতে আমারও তেমন একটা ভালো লাগে না তবে টক বড়ই আপনার মত করে এরকম ভাবে যদি ঝাল মাখা তৈরি করা হয় তাহলে নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারি না। এই দুপুরবেলা দেখে তো জিভে জল এসে গেল, ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সব সময় মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
হঠাৎ করে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তবে দোয়া করি সমস্ত সুস্থ ব্যক্তিরা যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন। যাইহোক আপু আপনি টক বড় হয়ে ঝাল মিষ্টির মাখিয়েছেন। একটা সময় ছিল যখন আমাদের বড় আপুদের দিয়ে আমরা এই কুল বেটে খেতাম। ধনিয়া পাতা দিয়ে এগুলো বেটে খেতে ভীষণ ভালো লাগতো। আজকে আপনি খুবই সুন্দর করে এটি তৈরি করেছেন এবং তৈরির ধাপগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে কাজে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে সবাই কমবেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আর এই আবহাওয়ায় ভালো থাকাটা অনেক কঠিন। টক বড়ইয়ের ঝাল মিষ্টি মাখা দেখে খেতে ইচ্ছে করছে আপু। খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু উৎসহ মূলক মন্তব্য করার জন্য।
আপনি খুব সুন্দর করে বড়ইয়ের চমৎকার ঝাল মাখা রেসিপি করেছেন। বড়ই মাখা খাওয়ার মজাই আলাদা। বড়ই মাখা খেতে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগে। যদিও টক বড়ইয়ের মধ্যে মিষ্টি এবং শুকনো মরিচ দিলে খেতে অন্যরকম মজা লাগে। খুব সুন্দর করে বড়ই মাখা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
সব সময় সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু।
টক বড়ই মাখা দেখে জিভে জল চলে এসেছে। এভাবে বড়ই মাখলে খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। আমি তো ঠিক ভাবে কমেন্টই করতে পারছিনা মুখে পানি চলে এসেছে দেখেই অনেক বেশি খেতে ইচ্ছে করছে। টক বড়ই মাখা রেসিপি তৈরি করেছেন তার প্রতিটি ধাপ খুবই সুন্দরভাবে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
কিছুদিন আগে গ্রামে গিয়েছিলাম এভাবে টক বরই মেখে খেয়েছি। মুখে যেন সেই স্বাদ লেগেই আছে। আপনার বরই মাখানো দেখে মুখে পানি চলে এসেছে আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ তারপর ওই ঝাল মিষ্টি মাখার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু টক বরের মাথা খেতে অনেক মজা লাগে।