অনুভূতি পোস্ট ||| আরাফের জন্মদিন ||| original writing by @saymaakter.
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই-বোনেরা আশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থ ও সুন্দরভাবে দিন যাপন করছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।
তবে অনেক ব্যস্ততার সময় পার করছি। এতটা ব্যস্ত যা বলে বোঝানো যাবে না কারণ আজ একটা বিশেষ দিন।
আর সেই বিশেষ দিনটি নিয়েই আপনাদের মাঝে হাজির হলাম।প্রত্যেকটি সন্তান তার মা-বাবার কাছে সোনার টুকরা। তাই তো সন্তানদের নিয়ে আমাদের স্বপ্ন আশা-আকাঙ্ক্ষার শেষ নেই। প্রতিটি মা-বাবা চায় সন্তান কিসে ভালো থাকবে? কি করলে তার আনন্দে ভরে উঠবে মনটা? প্রতিটি সন্তানের জন্য মা-বাবা সব সময় কল্যাণময় দোয়া করে থাকে।আমরাও চাই আমাদের সন্তান যেন মানুষের মতো মানুষ হতে পারে।ঠিক ধরতে পেরেছেন আজ আমার ছোট্ট আরাফের জন্মদিন।
আমি আজ আরাফ বাবুর আনন্দময় দিনটি কিভাবে কাটালাম সেটাই আপনাদের মাঝে নিয়ে হাজির হলাম।আজ সারাটা দিন অনেক ব্যস্ততায় পার করেছি। কারণ ছেলের জন্মদিন বলে কথা। যার যেমন সামর্থ্য সে তেমন ভাবে তার সন্তানের জন্মদিনের দিনটি পালন করে। আমিও চেষ্টা করেছি সন্তানকে কিছুটা হলেও আনন্দ দেওয়ার জন্য।রাত বারোটার দিকে ওকে একটা সারপ্রাইজ দেওয়া হল।
আরাফ সেই সারপ্রাইজ পেয়ে অনেক খুশি।যদিও অনেক দামি কেক না তারপরও আমার কাছে আমার বাচ্চার আনন্দটা বিশাল কিছু। কেক পেয়ে আরাফ অনেক আনন্দিত। কেক কাটা যখন শেষ হয়ে গেছে তখন আরাফের বাবা আরাফের জন্য কিছু চকলেট নিয়ে এসেছে। সেই চকলেট পেয়ে আরাফ আরো বেশি খুশি হয়েছে।রাতে ওর আনন্দ চোখে মুখে দেখে আমারও অনেক ভালো লাগছিল। এতটা আনন্দ করছিল যে আনন্দের জন্য প্রচুর ডান্স করেছে রাতে। আরাফ মোটামুটি ভালই ডান্স করতে পারে। তারপর ওর জন্মদিনে ওকে সবাই উইশ করলো। আরাফের নানু জন্মদিনে আসতে পারিনি জন্য আরাফকে কিছু টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে আর সেই টাকা পেয়ে আরাফ আরো অনেক আনন্দিত।
আসলে একটি ছোট বাচ্চা টাকা দিয়ে সবকিছু বিচার করে না তার কাছে যেটা বেশি মূল্য সেটা হচ্ছে ভালোবাসা। এই জন্মদিনে ওকে কে কে মনে রেখেছে কে কে উইশ করেছে এই আনন্দটাই ওর কাছে অনেক বেশি। তাইতো বারবার বলছিল যে কেকটি যদি বন্ধুদের নিয়ে কাটা যেত তাহলে অনেক মজা হতো।বারবার ওর বন্ধুদের ফিল করছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ ছিল শুক্রবার। তাইতো বন্ধুদের সঙ্গে আর দেখা হলো না।
তবে চেষ্টা করেছি ওকে আনন্দ দেওয়ার জন্য। আর আমার ছেলে জন্মদিনের অনেক আনন্দ করেছে এটাই আমার কাছে সব থেকে বেশি বড় পাওয়া। সকাল হতে না হতে চেষ্টা করলাম সমস্ত রান্না কমপ্লিট করার জন্য। কারণ প্রচন্ড ইচ্ছা আছে ওর জন্মদিনের দুটো অসহায় মানুষকে খাওয়ানোর জন্য। তাইতো অনেক তাড়াহুড়া করে রান্না শুরু করে দিলাম। যদিও আরাফ বার বার আমার কাছে আসছিল এবং বলছিল আমাকে কিছু করতে হবে। আমি তোমাকে একটু হেল্প করি। না বাবা হেল্প করতে হবে না আমি একাই পারবো।তারপরও ছোট মানুষ চেষ্টা করেছে আমার রান্না করা খাবার গুলো টেবিলে সুন্দর করে সাজাতে। বেশ দারুণভাবে আরাফ খাবারগুলো সাজিয়েছিল। দেখতে মোটামুটি ভালই লাগছিল। আর এভাবেই কেটে গেল আজকের দিন।
সবার কাছে একটি আশা ও কামনা আমার ছেলের জন্য দোয়া ও আশীর্বাদ করবেন যাতে ওভবিষ্যতে একজন ভালো মানুষ হতে পারে এবং অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
আরাফের জন্মদিনে দারুন সময় কাটিয়েছেন। এরকম সুন্দর মুহূর্তগুলো উদযাপন করতেও ভালো লাগে। চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
প্রথমে জানাই আরাফকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আসলে আপু বাচ্চাদের কাছে টাকা পয়সা সব কিছু নয় তারা চাই একটু ভালোবাসা। আর বাচ্চাদের খুশি করতে তেমন কিছু লাগে না তারা সামান্য কিছুতেই খুশি হয়ে যায়। এভাবেই বারবার ফিরে আসুক এই দিনটি। ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ছেলের জন্মদিনে ব্যস্তময় মুহূর্ত কাটিয়েছেন। পাশে ব্যস্তময় মুহূর্তটা আমাদের মাঝে কিছুটা হলেও ভাগাভাগি করে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো আপু। আসলে আনন্দ নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে সে আনন্দের মূল্যায়ন হয় না। আর যখনই একাধিক মানুষের মাঝে প্রকাশ করা যায় তখনই সে আনন্দের পূর্ণতা পায়। আপনার খুশির পাশাপাশি আমরাও খুশি হলাম। বেশি ভালো লাগলো বাবুর জন্মদিনের সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করেছেন দেখে।
সুন্দর করে গুছিয়ে মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আরাফের জন্মদিনের অনাবিল শুভেচ্ছা 🌹🌹। ঠিক বলেছেন আপু প্রত্যেকটা বাবা মায়ের কাছে তাদের সন্তান সোনার টুকরার মতই। ওর জন্মদিনে ওর জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু।
প্রথমেই শুভকামনা জানাই আপনার বাবুর জন্য। আপনার বাবুর জন্মদিন খুব সুন্দর ভাবে উদযাপন। নিজের সন্তানের জন্মদিন বলে কথা। তাই আপনিও বেশ জাতি ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন বিভিন্ন কিছু ম্যানেজ করতে গিয়ে। আশা করব এভাবেই হাসি খুশির দিন ফিরে আসবে বারবার এবং আনন্দের সাথে নিজের সন্তানের জন্মদিন পালন করবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।আপু আপনার মন্তব্যটিতে কিছু শব্দের সমস্যা রয়েছে দেখে নিবেন।
প্রথমেই আরাফকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আসলে প্রতিটি মা বাবা চায় নিজের সন্তানের মুখে হাসি ফোটাতে। আর সন্তানের জন্মদিনে সারপ্রাইজ দিতে। আরাফ যেহেতু খুব খুশি হয়েছে,তাহলে আপনার আয়োজন একেবারে সার্থক। যাইহোক আরাফের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো।
জি ভাই আরাফের জন্য দোয়া করবেন। যেন ও মানুষের তো মানুষ হতে পারে।