আমার অনুভূতি ||| ছেলের খাতা দেখার অভিজ্ঞতা।

আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা আশা করছি সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ও বিধাতার রহমতে ভালো আছি।

আজ সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে।কিন্তু রাতে যখন স্পেশাল হ্যাং আউট শেষ হয়ে গিয়েছিল তারপর দেখছিলাম আকাশটা একটু পরিষ্কার। হঠাৎ রাতে ফোনে মেসেজ এল স্কুল থেকে।মেসেজটিতে লিখাছিল কাল বাচ্চাদের খাতা দেখানো হবে অভিভাবকদের স্কুলে আসতে হবে।তারপর রাতের মেসেজটি দেখে ঘুমিয়ে গেলাম সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বৃষ্টি। কিন্তু এই বৃষ্টির ভিতর রিক্সা পাওয়াও একটু কষ্টকর ছিল।অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে তারপর একটি রিকশা পেলাম। বেশ কিছুক্ষণ লেট হয়ে গিয়েছে এবং আমি আতঙ্কের ভেতর পড়ে গেছি। স্কুল গেট আবার লাগিয়ে দেয় কিনা।

অভিভাবকদের যেতে বলেছে বাচ্চাদের খাতা দেখাবে তাদের খাতায় কোন ভুল ত্রুটি হয়েছে কিনা সেটা দেখানোর জন্য।তাই আমি যত ব্যস্ততাই থাকি না কেন সেটা আর মিস করলাম না।কিছুক্ষন পর স্কুলে পৌঁছলাম। স্কুলের গেটে পৌঁছতে পৌঁছতেই দেখি এত অভিভাবকের ভিড়। চলে গেলাম তিনতলায় বাচ্চাদের ক্লাস রুমে তাদের খাতা দেখানো হচ্ছে। সেখানে গিয়ে আমার ছেলের খাতাটিও ম্যামকে বলে আমি নিলাম। তারপর ছেলে পাশে বসে থাকলো আর আমি ছেলের খাতাগুলো ক্যালকুলেশন করলাম। তবে ছেলে অংক এবং ইংরেজিতে বেশ ভালো করেছে ইসলাম ধর্মে দুই মার্ক কম পেয়েছে।সেটা দেখে একটু মনটা খারাপ হলো। কিন্তু কিছুই করার নেই ছেলে তো চেষ্টা করেছে ভালো কিছু করার জন্য তারপর ছেলেকে উৎসাহ দিলাম।

তুমি নতুন ক্লাসে উঠে নতুন বই পড়বে এর থেকে আরও ভালো করবে।আসলে আমি আমার ছেলেকে নিজেই পড়াই ওকে বাইরে কোন শিক্ষকের কাছে দেওয়া হয়নি কোন কোচিং এ দেওয়া হয়নি। আর আমি যে পড়াটি আমার ছেলেকে পড়াই বা বোঝায় সেটা ও জানি অন্য কোথাও বুঝতে পারেনা। তাই শত ব্যস্ততার মাঝেও আমি চেষ্টা করি আমার ছেলেকে নিয়ে একটু সময় দিতে। খাতাগুলো দেখে যখন ম্যাম এর কাছে খাতাগুলো বুঝিয়ে দিচ্ছিলাম তখন ম্যাম বলল কোন সমস্যা। আমি বললাম না ম্যাম কোন সমস্যা না।

তারপর যখন তৃতীয় তলা থেকে নিচে নামছিলাম তখন উপর থেকে স্কুল টা এত ভালো লাগছিল দেখতে এবং খুব নিরিবিলি লাগছিল। তাই বিয়াম মডেল স্কুল এন্ড কলেজের একটি ছবি তুলতে ভুল করলাম না।চার দিকটা এত নিরিবিলি যে বৃষ্টির জন্য মাঠে কেউ ছিল না।প্রকৃতির চুপচাপ এবং বৃষ্টির শব্দ আমাকে মুগ্ধ করেছে।প্রকৃতি নিয়ে ভাবতে আমার ভালো লাগে তাই প্রকৃতির একটি ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।

আসলে বাচ্চাদের আমরা যদি আদর স্নেহ ও ভালোবাসা দিয়ে নিজেরা পড়াই তাহলে আমার মনে হয় বাচ্চাদের অনেক উন্নতি হয়।আমি যদিও প্রচুর সময় দিতে পারিনি তারপরও চেষ্টা করেছি আলহামদুলিল্লাহ আমার ছেলে বেশ ভালো লিখেছে খাতায় এবং তার খাতা দেখে আমি তো রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছি।বাসায় যখন খাতায় লিখলে প্রচন্ড কাটাকাটি করে কিন্তু ও ইস্কুলে তার খাতাগুলো দেখেছি অনেক ফ্রেশ ছিল। যা আমাকে অনেক অবাক করেছে।প্রথমত অনেকদিন পর বৃষ্টিতে বের হয়েছি এবং ছেলের খাতাগুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

আজকে যাচ্ছি তবে একেবারে যাচ্ছি না আবার হাজির হব অন্য কোন নতুন ব্লগ নিয়ে।আশা রাখি সে পর্যন্ত অবশ্যই আপনারা আমাকে মনে রাখবেন।

আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।

বিষয়ঃ- আমার অনুভূতি "ছেলের খাতা দেখার অভিজ্ঞতা"।

কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।

আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........

🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩