আত্ম কাহিনী ||| সামান্য অসতর্কতা এনে দিতে পারে বিপদ।
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা আশা করছি সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টিকর্তা রহমতে ভালো আছি।
তবে মনের দিক থেকে একটু দুশ্চিন্তায় আছি। বর্তমান সময়টায় পরেছে প্রচন্ড ঠান্ডা। এই ঠান্ডার সময়টা আশা করবো সবাই সবার পরিবারকে নিয়ে সুস্থ ভাবে দিনযাপন করবেন এবং নিজের প্রতি যত্নশীল হবেন। আমি আজ আপনাদের মাঝে কোন কবিতা বা রেসিপি নিয়ে হাজির হয়নি। আজ হাজির হয়েছি অন্য রকম একটি পোস্ট নিয়ে।
প্রকৃতি তার সৌন্দর্য আমাদের মাঝে বিলিয়ে দেয়। তাইতো এক ঋতু যায় আরেক ঋতু আসে।এই পরিবর্তনের মাঝে চলে প্রকৃতির খেলা। সব সময় একই রকম আবহাওয়া যদি থাকতো তাহলে একঘেয়েমিও এসে যেত আমাদের কাজ-কর্মের প্রতিটি ক্ষেত্রে। তাইতো বিধাতা যা করে সবকিছু মঙ্গলের জন্যই করে আমাদের ভালোর জন্যই করে। গরমের পর চলে শীত।এই শীতের ঠান্ডা আবহাওয়া কার কেমন লাগে জানি না তবে আমার ভালো লাগে।গরমের থেকে শীতের আবহাওয়া আমার বেশি পছন্দ।কিন্তু আমার পছন্দ হলে তো হবেনা হয়তোবা আমরা ভালো আছি ভালো থাকতে পারি কিন্তু আমাদের আশেপাশের রাস্তায় অবহেলিত কিছু মানুষ আছে যারা খেতে পারে না তিন বেলা তিন মুঠো ভাত।
তারা তাদের আহার জোগাতেই পারেনা তাহলে কি করে শীতের পোশাক তারা কিনবে। যদিও কষ্ট লাগে তাদের দেখলে। বিশেষ করে শীতে রাতের দিকে বেরোলে রাস্তার দুই সাইড দিয়ে দেখতে পাওয়া যায় কিভাবে কষ্টে তারা রাত্রি যাপন করছে। আমরা এত আরাম-আয়েশে আছি তারপরও আমাদের ছেলে মেয়েরা বা নিজেরা এই ঠান্ডায় নিজেকে সুস্থ রাখতে পারছি না। বাসায় এসেছে গেস্ট। এই গেস্টের সঙ্গে একটু গল্প আড্ডা দেওয়া ঘুরাফেরা করা প্রত্যেকেই করে। কিন্তু এই ঘুরতে যাওয়া সময় দেওয়া তাদের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে আমার বাবুর দিকে একটু অযত্ন হয়ে গেছে।বাচ্চাদের আমি একটু কম সময় দিয়েছি। ও নিজে নিজেই একা যা পেরেছে তাই করেছে। সব থেকে বড় কথা আমি একটু অসতর্ক ছিলাম ওর প্রতি। আর এই শীতে অসতর্কতা থাকার কারণে যে এমন অসুস্থ হয়ে পড়বে তা আমার জানা ছিল না। সামান্য একটু অসতর্কতা এত বড় বিপদ বয়ে আনবে বুঝতে পারিনি।ঠান্ডা পানি দিয়ে খেলেছে এবং অনেকক্ষণ সেই পানি শরীরিরের পোশাক ভিজিয়ে রেখেছিল তা বুঝতে পারিনি। আসলে অসুস্থ মানুষ একদিনে হয় না। হয়তো ওই পানি দিয়ে ভিজিয়ে অনেকক্ষণ খেলার কারণেই প্রচন্ড ঠান্ডা লেগেছে এবং ঠান্ডা থেকে বমি হচ্ছে।
বুঝতে পারছি অসতর্কতার জন্য আজ বাবুর এত সমস্যা হচ্ছে। তাইতো চলে গেলাম ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার ওষুধ দিয়েছে এগুলো খেয়ে ভালো হয়ে যাবে আশা রাখি। যতটুকু চেষ্টা অতটুকু আমি করব ওকে যত্ন নেওয়ার জন্য। আসুন শীতে আমরা সবাই সতর্কতার সাথে সব কাজ করি। নিয়ম মেনে সব কাজ করি। একটু নিয়মের মধ্যে থাকলে আসলে সবাই সুস্থ থাকতে পারি। তাইতো যে কোন কাজ করার আগে যেমন পরিকল্পনা মাফিক করা উচিত তেমনি শরীর ভালো রাখার জন্য নিয়মের মধ্যেই সবকিছু করতে হয়। আমরা সবাই পরিবারের প্রতি যত্নশীল হই। আর সবার পরিবারের জন্য দোয়া রইল সবাই যেন সুস্থ থাকে।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি আবারো কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব ইন-সা-আল্লাহ।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- আত্মকাহিনী "সামান্য অসতর্কতা এনে দিতে পারে বিপদ"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
আমাদের সব সময় সজাগ সচেতন থাকতে হবে। যেখানে আপনি অসতর্কতা অবলম্বন করবেন, সেখানে আপনার ক্ষতি হয়ে আসতে পারে। আর সেটা হতে পারে ছোট অথবা বড় আজকের কিছুটা ভুলের কারণে দেখলাম উনার অসুস্থতা। আর এভাবেই তো মানুষের ভুলের রূপ হয়ে দাঁড়ায়।
গঠনমূলক মন্তব্য করে কাজে উৎস দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলে আপু অসর্তকতা আমাদের জন্য অনেক বিপদ বয়ে আনে। তবে এটা ঠিক বাসায় মেহমান আসলে তাদের সাথে সময় দিতে গিয়ে বাচ্চাদের অযত্ন হয়ে যায়। যাইহোক আপু সাবধান থাকা আমাদের অবশ্যই জরুরি। দোয়া করি আপনার বাচ্চা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক।ধন্যবাদ আপু।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু।
এটা কিন্তু ঠিক কথা, দেহ ভালো তো সব ভালো। আর দেহ কে সুস্থ রাখতে চাই কিছু সচেতনতা। আমরা যদি আমাদের সকল কাজের দিকে সচেতন হতে পারি, হতে পারি যত্নশীল তাহলে আমাদের অনেক রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি। আর দেহ সুস্থ থাকলে অবশ্যই সব ভালো লাগবে। দারুন ছিল আজকের পোস্টটি।
ঠেক এবং ধারুন শব্দ দুইটি কি ঠিক আছে আপু তাহলে এর অর্থই বা কি?