রেসিপি পোস্ট ||| মজাদার কাঁঠালের তরকারি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে। যেকোনো রেসিপি তৈরি করতে অনেক ভালো লাগে। আর সেই রেসিপিটি যদি সুস্বাদু হয় এবং খেতে মজা লাগে তখন মনে হয় সেই রেসিপিটি আমি আমার প্রিয় বাংলা ব্লগে সকল ভাই-বোনদের মাঝে একটু শেয়ার করি।
বর্তমান সময়টা প্রচুর কাঁঠাল পাওয়া যাচ্ছে।আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠাল এই কাঁঠালের গুনাগুনের কথা বলে শেষ করা যাবে না। কাঁঠাল ফলটি অনেকেই পছন্দ করে না।কিন্তু এই ফলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও পুষ্টিগুনে ভরপুর।আমিও একটি সময় কাঁঠাল অতটা পছন্দ করতাম না কিন্তু কাঁঠাল সম্পর্কে পুষ্টিগুণ ও বিস্তারিত সবকিছু জেনে নিজের শরীর স্বাস্থ্যের দিক ভেবে চেষ্টা করি কাঁঠাল খাওয়ার জন্য। তবে কাঁঠালের তরকারি আমি খেয়েছি বেশ কয়েক বার। কিন্তু নিজে কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি। এবার আমি নিজে কাঁঠালের রেসিপিটি তৈরি করেছি এবং বুঝতে পারলাম এই রেসিপিটি তৈরি করা অনেক কষ্টের।তবে রেসিপিটি তৈরি করতে যেমন কষ্ট তেমনি খেতেও কিন্তু সেই সুস্বাদু। আসলে কষ্ট না করলে যেমন কেষ্ট মেলে না ঠিক তেমনই।হয়তো কষ্ট না করলে এই রেসিপির স্বাদ টুকু বুঝতে পারতাম না। আমি আজ আপনাদের মাঝে সুস্বাদু কাঁঠালের রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালী দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১।কাঁঠাল।
২।কাঁচা মরিচ।
৩।পেঁয়াজ।
৪।রসুন।
৫।জিরা গুঁড়ো।
৬।হলুদের গুঁড়ো।
৭।মরিচের গুঁড়ো
৮।আদা বাটা।
৯।গরম মসলা।
১০।তেজপাতা।
১১।লবণ।
১২।তৈল।
প্রথমে কাঁঠালটিকে কেটে কাঁঠালের খোসা ও আঠার উপরের অংশটি কেটে ফেলে দিয়েছি।
এবার সেই কাঁঠালের টুকরোগুলোকে আরেকটু ছোট ছোট অংশে কেটে নিয়েছি।
সেই ছোট পিস করা টুকরো কাঁঠাল গুলো পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি।
এবার প্রেসার কুকারে কাঁঠাল গুলোকে সিদ্ধ করে নিয়েছি।
কাঁচা মরিচ পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।
পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি ।
রসুনের খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে রসুন থেতলে নিয়েছি।
এবার একটি পাতিলে পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন কুঁচি, কাঁচা মরিচও তৈল দিয়ে ভালো করে ভেঁজে নিয়েছি।
ভেঁজে নেওয়া পেঁয়াজে, জিরা গুঁড়ো, হলুদের গুঁড়ো, মরিচের গুঁড়ো, রসুন বাটা,আদাবাটা,তেজপাতা, গরম মসলা, লবন ও তৈল দিয়ে আবারো মসলাটি ভালো করে কষে নিয়েছি ।
এবার কষানো মসলায় সিদ্ধ করা কাঁঠালগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েছি এবং ঢেকে দিয়েছি।
এবার সেই কাঁঠালে সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে আবারো নেড়ে ঢেকে দিয়েছি আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছি। যখন রেসিপির পানি শুকিয়ে গিয়েছে তখন নামিয়ে নিয়েছি।আর এভাবে হয়ে গেল আমার "মজাদার কাঁঠালের তরকারি" রেসিপি।এবার এই "মজাদার কাঁঠালের তরকারি" রেসিপির একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল, আর এই কাঁঠালের রেসিপি খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। কাঁঠালের রেসিপি মাংস রেসিপি মতনই হয়। আপনার আজকের রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো। তাই রেসিপিটি ধাপ গুলো দেখে শিখে নিলাম পরবর্তীতে তৈরি করব।
সব সময় গঠনমূলক মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
কাঁঠালের পুষ্টি গুনাগুন বলে শেষ করা যাবে না। তবে কাঁঠাল কিন্তু সবজি হিসেবেও আমরা খেয়ে থাকি। কাঁঠালের রেসিপি খেতে কতটা মজাদার সেটা যে খেয়েছে কেবল সেই বলতে পারবে। তোমার কাছে তো ভীষণ ভালো লাগে। আপনি চমৎকারভাবে কাঁঠালের রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। দেখে মনে হচ্ছে একটু খেয়ে দেখি। কিন্তু সেটা তো আর সম্ভব নয় 😔। চমৎকার লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার রেসিপিটি আপনার পছন্দের শুনে ভালো লাগলো ভাই।
আপনি খুবই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপহার দিলেন। কাঁঠালের তরকারি আমার কাছেও অনেক মজা লাগে। আপনি ঠিক বলেছেন কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি এবং ভিটামিন এ যা আমাদের দেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনার রেসিপির ধাপসমূহ সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। নিশ্চয়ই পরিবারের সবাই জমিয়ে খেয়েছেন। আমাদের সঙ্গে চমৎকার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আজকে বেশ সুন্দর একটি রেসিপি সম্পন্ন করেছেন কাঁঠালের তরকারি এবার আমিও খেয়েছি কাঁঠালের তরকারি ভীষণ ভালো লাগে। আপনি বেশ দারুন ভাবে সম্পন্ন করেছেন। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
একটি কথা ভালো লাগলো যে রেসিপিগুলো খেতে সবচেয়ে সুস্বাদু হয় সেইগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করে থাকেন। হ্যাঁ আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠাল। সেই কাঁঠাল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করা যায় । বর্তমান সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই। আপনি আজকে কাঁঠালের তরকারি রেসিপি করেছেন দারুন ছিল ।য়এই ধরনের পুষ্টিকর খাবার গুলো সবাই খেতে চাইবে।
গঠনমূলক মন্তব্য করে অনেক ভালো লাগলো ভাই।
কাঁঠালের তরকারি খেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।প্রতি বছরই কাঁঠালের তরকারি খাওয়া হয়।তবে, এ বছর এখনো কাঁঠালের তরকারি খাওয়া হয়নি। আপনি দেখছি খুবই সুন্দর করে বেশ কয়েকটি উপকরণের সমন্বয়ে কাঁঠালের তরকারি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল।
জি রেসিপিটি খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার ছিল।
মজাদার কাঁঠালের তরকারি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কাঁঠালের মধ্যে পুষ্টিগুণে ভরপুর। এভাবে অনেক আগে খাওয়া হয়েছিল। আজকে আপনার পোস্ট দেখে মনে পড়ে গেলো। চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। আপনার কাছে থেকে রেসিপি শিখে নিলাম। বেশ সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা।
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে কাজে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
কাঁঠালের তরকারি আমার কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি প্রথমবারের মতো নিজে তৈরি করে খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। দেখে তো মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। চমৎকারভাবে প্রত্যেকটা ধাপ উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপু।
রেসিপিটি খেতে অনেক মজাদার ছিল। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
বর্তমান সময় বিভিন্ন ফল পাওয়া যায় এর মধ্যে কাঁঠাল একটি। কাঁচা কাঁঠাল রান্না করা হয় এটাকে আমাদের গ্রাম অঞ্চলে এ এচোঁড় বলে। আপনি যেভাবে তৈরি করেছেন ঠিক এভাবেই কিন্তু আমাদের এখানে রান্না করা হয়ে থাকে। গরমে তরকারির সাথে রুটি ভীষণ ভালো লাগে। এত মজাদার একটু তরকারি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে কাজে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
কাঁঠাল খেতে আমার কাছে এমনিতে অনেক বেশি ভালো লাগে। কিন্তু কাঁঠাল এরকম ভাবে কখনো রান্না করে আমার খাওয়া হয়নি। আপনি তো দেখছি নিজের হাতে খুব মজাদার ভাবে কাঁঠালের তরকারি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা এই রেসিপিটা দেখে, আমি তো খুব সহজেই শিখে নিলাম রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি। আসলে কষ্ট করা ছাড়া কোন কিছুতে ভালো ফল পাওয়া যায় না। আপনি কষ্ট করার কারণে এত মজাদার রেসিপি তৈরি করতে পেরেছেন। কষ্টের ফল আসলেই সব সময় মিষ্টি হয়। রেসিপিটা সত্যি খুব ভালো লাগলো।
আমার রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে এটাই আমার কাজের সার্থকতা।