রেসিপি পোস্ট ||| মজাদার ফিন্নি।
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা আশা করছি সকলে ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আমার রেসিপি নাম "মজাদার ফিন্নি"।বর্তমান সময়টা একটু শীত শীত ভাব এই সময়টা পিঠা পায়েস খেতে ভালই লাগে।আসলেই মনে হয় পিঠা পায়েসের ধুম পরে প্রত্যেক বাঙালির ঘরে ঘরে।শীতের হালকা ঠান্ডা বার্তা এনে দেয় পিঠা খাওয়ার ধুম।আর পিঠা খাওয়ার ধুম শীতকালে বেশি পড়ে।কারণ গরমে মানুষ এমনিতে অল্প খেলেই অস্থির হয়ে যায়।আর অতিরিক্ত গরমে তেমন কিছু খেতেও ইচ্ছে করে না। আমার মনে হয় গরমের থেকে শীতকালে মানুষ একটু ভালো খেতে পারে।বর্তমান ডিজিটাল যুগে কমবেশি সবার ঘরে সব ধরনের ইলেকট্রিক মেশিন রয়েছে। আমরা ইচ্ছা করলে যে কোন জিনিস অতি নিমিষেই বাসায় তৈরি করে খেতে পারি।একটি সময় ছিল অনেক কষ্ট করে সবকিছু তৈরি করতে হতো।কিন্তু এখনকার সময় কষ্টের দিন আর নেই।যেমন ধরন আগে যত রকমের মসলা সব শিলপাঠায় পিসা হতো কিন্তু এখন আমরা অতি নিমিষেই ব্লন্ডারে ব্ল্যান্ড করতে পারছি। খড়ির চুলায় ঘণ্টার পর ঘন্টা যেকোনো খাবার সিদ্ধ হওয়ার জন্য বসে থাকতে হতো কিন্তু এখন আমরা প্রেসার কুকারে রান্না করে অনেক সময় আমরা সেভ করতে পারছি।নানান রকম জিনিসপত্র ডিজিটাল যুগের ডিজিটাল রান্নার ব্যবস্থার সুযোগ আমরা পাচ্ছি। তাইতো আমাদের রান্নায় বেশিক্ষণ সময় নিতে হয় না এবং যেকোনো কিছুই ইচ্ছা করলেই দেখে নিয়ে বাসায় অতি নিমেষেই বাসায় পরিবারসহ করে খেতে পারি। আমি আজ আপনাদের মাঝে "মজাদার ফিন্নি" নিয়ে হাজির হয়েছি।চলুন "মজাদার ফিন্নি"রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালী দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১।গাভীর দুধ।
২।পোলাও চাল।
৩।চিনি।
৪।কিসমিস।
৫।বাদাম।
৬।সাদা এলাচ।
৭।নারকেল।
প্রথমে নারকেল ফাটিয়ে সেই নারকেলটি কোরানি দিয়ে
কুড়িয়ে নিয়েছি।
এবার পোলায়ের চাউল পানিতে ভিজিয়ে নিয়েছি।
কিছুক্ষণ ভেজার পর সেই চাউল পানি ঝরিয়ে একটি বাটিতে নিয়েছি।
এবার সেই চালগুলো শিলপাঠাই পিষে নিয়েছি।
এবার একটি সাসপেনে গাভীর দুধ জাল করে নিয়েছি।
সেই জাল করা দুধের ভিতরে পিষে নেওয়া চালগুলো দিয়ে দিয়েছি।
দুধে চাল দেওয়ার পর অনর্গল নেড়েছি চাল গুলো ফুটার আগ পর্যন্ত।
তারপর যখন চালগুলো ফুটে এসেছে তখন তার ভিতরে নারকেল দিয়ে দিয়েছি।
সেই দুধে কিসমিস এলাচ ও বাদাম দিয়ে অনর্গল নেড়েছি যেন নিচে না লেগে যায়।
যখন চালগুলো ফুটেছে এবং সবকিছু হয়েছে।তখন তার ভিতরে চিনি দিয়ে দিয়েছি এবং অনবরত নেড়েছি যেন নিচে লেগে না যায়।যখন ঘন হয়ে এসেছে তখন নামিয়ে নিয়েছি। আর এভাবে হয়ে গেল আমার "মজাদার ফিন্নি" রেসিপি।এবার এই "মজাদার ফিন্নি" রেসিপির একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- রেসিপি পোস্ট "মজাদার ফিন্নি"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
বর্তমান সময়টা শীত শীত ভাব। এই সময়ে পিঠা পায়েশ তো ভালোই লাগে অবশ্য। পিঠা খাওয়া ধুম শীতকালে বেশি পড়ে এবং অনেক আত্মীয়-স্বজন একসাথে হয়ে বেশ ভালোই লাগে পিঠা খেতে।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ফিন্নি আমার খুব ভালো লাগে এবং এটা মজাদার একটা খাবার এবং এর মধ্যে পুষ্টিগুণ রয়েছে, আপনি চমৎকার ভাবে একটা মজাদার ফেনী তৈরি করার রেসিপি দেখালেন। পরিবেশনটা খুব চমৎকার ছিল।
সুন্দর মন্তব্য করেছেন এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
বড়ই লোভনীয় একটি রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। ভালো লাগলো সুন্দরভাবে এই রেসিপিটা তৈরি করেছেন এবং তা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে। এ জাতীয় রেসিপি গুলো দেখলে লোভ সামলানো বড় কঠিন।
জি ভাই ঠিক বলেছেন।
ফিন্নি আমার খুব পছন্দের। ফিন্নি খাওয়ার অনুভূতিতে সত্যি বেশ অন্যরকম হয়ে থাকে। আজ আপনি খুব সুন্দর করে। অত্যন্ত চমৎকারভাবে ফিন্নি তৈরি করেছেন। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। এত চমৎকার রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফিন্নি আমার অনেক পছন্দ। আপনার রেসিপিটা দেখেই জিভে জল চলে এসেছে। রেসিপি টা দেখে একটু টেস্ট করতে ইচ্ছা করছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
তাহলে চলে আসেন আপু।
মজাদার ফিন্নি রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে তাই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার খুবি ভালো লেগেছে। শেয়ার করার জন্য অনেকে ধন্যবাদ।
মন্তব্য করে উৎসহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আপু এত রাতে এমন সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করে তো লোভ লাগিয়ে দিলেন। আমি ফিন্নি খেতে খুবই পছন্দ করি। আপনি যেভাবে তৈরি করেছেন এভাবে ফিন্নি আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দের। আপনার উপস্থাপনা খুব লোভনীয় হয়েছে। শীত শুরু হয়ে গিয়েছে আর এই সময়টা সবার ঘরে ঘরে পিঠা পুলি পায়েসের ধুম লেগে যায়। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
মন্তব্য করে উৎসহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ফিন্নি খেতে আমি অনেক বেশি পরিমাণে পছন্দ করি। আর আজকে আপনার কাছ থেকে এর রেসিপি দেখতে পেরেও খুবই ভালো লাগলো৷ খুবই সুন্দর ভাবে আপনি এই রেসিপিটি শেয়ার করেছেন৷ একই সাথে এত অল্প পরিমাণ উপকরণ দিয়ে এরকম সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করার মাধ্যমে আপনি আপনার ক্রিটিভিটিকে খুবই ভালোভাবে তুলে ধরেছেন৷ আমিও চেষ্টা করব এরকম একটি রেসিপি তৈরির করার।
আমার রেসিপি আপনার পছন্দের শুনে অনেক ভালো লাগছে আপু।
ঠিক বলেছেন আপু, এখন সবকিছুতেই কষ্ট অনেক কমে গেছে প্রযুক্তির কারণে। শীতকালে মিষ্টি জাতীয় জিনিস গুলো ভালই লাগে খেতে। আর মিষ্টি জাতীয় যেকোনো কিছু আমার ভীষণ পছন্দ। আপনার ফিন্নি রেসিপি দেখে লোভ লাগছে। বোঝাই যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার রেসিপি আপনার পছন্দের শুনে অনেক ভালো লাগলো আপু।
ফিন্নি খেতে আমার কাছেও দারুন লাগে।আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু, এরকম হালকা শীতে ফিন্নি পায়েস পিঠা বাঙ্গালীদের ঘরে ঘরে যেন উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করে। আপনার রান্না ফিন্নি দেখেই বেশ খেতে ইচ্ছে করছিল। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ প্রিয় আপু।♥♥
জি আপু মোটামুটি এ ধরনের খাবার অনেকেই পছন্দ করেন।