আমার অনুভূতির গল্প ||| মা যখন সন্তানদের ভাগের বিষয় হয় শেষ পর্ব।
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন?আশা রাখি বাংলার এরপর ওপারের সকল ভাই ও বোনেরা পরিবারসহ আনন্দে এবং সুস্থ ভাবে জীবন যাপন করছেন।আমিও আপনাদের ভালোবাসায় ও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সপরিবারে সুস্থ ভালো আছি।
আজকে আপনাদের সামনে "মা যখন সন্তানদের ভাগের বিষয় হয় শেষ পর্ব" নিয়ে হাজির হতে চলেছে।আপনাদের মূল্যবান মতামত ও সহযোগিতার কারণে লেখাটি শেষ করতে পেরেছি।এজন্য সবাইকে আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে জানাই ধন্যবাদ।
সে এখন এই টাকা কোথায় পাবে তার স্বামী মিরাজ উদ্দিন তার জন্য যতটুকু রেখে গিয়েছিল ছেলেমেয়েদের পিছনে সমস্ত কিছু ব্যয় করে তার এখন ক্ষেতের একটি জমি ও বাড়ির ভিটা ছাড়া আর কিছুই নেই।ছেলেরা বলেছিল আমরাই তোমাকে দেখব। কিন্তু জেসমিন ছেলেদের কথা না শুনে জমিটি বিক্রি করেনি রেখে দিয়েছে। কিন্তু যখন জেসমিনের টাকার প্রয়োজন ওষুধ এর জন্য তখন ছেলেরা তাকে বলল শুধু আমরা দিব কেন?
তোমার তো মেয়ে আছে মেয়েরাও দিবে। জেসমিন কথাটি শুনে তার মেয়েদেরকে বলল তার মেয়েরা তখন তার ভাইকে বলল এত বড় কথা তুমি মাকে বলতে পারলে। জেসমিনের দুই মেয়ে তাকে বাসায় নিয়ে আসার জন্য অনেক জোর করে কিন্তু সে তার স্বামীর ভিটা ছাড়া কোথাও যাবে না। জেসমিন মেয়েদের কাছ থেকে কিছু চাইতে লজ্জা বোধ করত কারণ সেখানে তার মেয়ের জামাই আছে যদি সে শুনে ফেলে তাহলে তার মান সম্মান কোথায় যাবে।
এই মান সম্মানের ভয়ে সে মেয়েদের কাছে কিছু চাইতো না ছেলেদের কাছেই চাইত কিন্তু ছেলেরা যখন মাকে ভাগের দাঁড়িপাল্লায় দাঁড় করালো তখন জেসমিনের কান্নার শেষ সীমানা রইল না।কারণ তাদের জীবনের যত ইনকাম ছিল তার সর্বস্ব দিয়ে ছেলেমেয়েদেরকে মানুষ করেছে। আজ মানুষ করার পর ছেলে মাকে যখন ভাগের দাঁড়িপাল্লায় উঠিয়ে বিচার করছে।
আমারও মা তোমারও মা দুজনকেই দিতে হবে। আর মাকে যখন বলল তোমার দায়িত্ব ছিল তুমি মানুষ করেছো আমাকে। তাই বলে যখন তখন তোমাকে টাকা দিতে হবে আর আমার সংসারে সমস্ত খরচ বন্ধ করে রাখতে হবে এটা তো কোন কথা ছিল না। সেই কথাটি শুনে মা তার ছেলের কাছে আর কখনো কিছু চাইনি।একটি কথাই বলতে চাই মা কখনো কারো বেশি হয় না। পৃথিবীতে মাকে দেখলে আমার মনে হয় সৃষ্টিকর্তা আরো রহমত বরকত বাড়িয়ে দেয়।
পরিশেষে একটি কথাই বলতে চাই বর্তমান যুগ আগের যুগের মত নেই যায় দিন ভালো আসে দিন খারাপ । কখনো কোন মায়ের কপালে যেন এই ধরনের সন্তান না জুটে এই কামনাই করি। পৃথিবীর সকল মা-রা ভালো থাক। আর সকল মায়ের পায়ের নিচে যেন সন্তানদের জান্নাত হয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- আমার অনুভূতির গল্প "মা যখন সন্তানদের ভাগের বিষয় হয় শেষ পর্ব"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
যেটা ভেবেছিলাম সেটাই হলো অবশেষে। দুই ছেলের এমনটা করা মোটেই উচিত হয়নি। এতো টাকা পয়সা খরচ করে পড়াশোনা করিয়ে বিয়ে পর্যন্ত করিয়ে দিলো,কিন্তু সেই মা-কে এখন ভরণপোষণ ঠিকমতো দেয় না। সেই হিসেবে মেয়েরা খুব ভালো। কিন্তু মেয়েদের কাছ থেকে নিতে অবশ্য খারাপ লাগারই কথা। যাইহোক যে যেমন কর্ম করবে তেমন ফল পাবে। হয়তো দুই ছেলের সাথে ভবিষ্যতে এর চেয়ে আরো খারাপ কিছু হবে। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
এত কিছুর পরেও সেসব সন্তানের জান্নাত মায়ের পায়ের নিচে কিভাবে আর হয়। তারপরেও মায়েরা নিঃস্বার্থ ভাবে এত কিছুর পরেও ছেলে মেয়েদের জন্য সব সময় দোয়া করে যায় কিন্তু যত দোয়াই করুক মনের কষ্ট তো মনেই থেকে যায়। তবে প্রত্যেক সন্তান যদি এই বিষয়টা মাথায় রাখেন যে একটা সময় তার সন্তানদের কাছেও তাকে এরকম পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে তাহলে মনে হয় কোন সন্তানের তার বাবা মাকে অবহেলা করতে পারে না বা করবে না। দারুন লিখেছেন পড়ে বেশ ভালো লাগলো, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার সাথে একমত আপু।