ছোট গল্প ||| তবুও ভালোবেসে যাবো।
আসসালামু আলাইকুম।আশা রাখি সবাই ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় ও ভালোবাসায় আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে "তবও ভালোবেশে যাবো শেষ পর্ব" গল্প নিয়ে হাজির হলাম।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে গল্পতে কি লিখেছি তা দেখে নেওয়া যায়।
যখন জ্ঞান ফিরলো তখন সোমা বললো আমার প্রিন্সকে আমি কোথাও যেতে দিব না। সবাই মিথ্যা কথা বলছে প্রিন্সের কিছু হয়নি।ও এমনেই ঘুমিয়ে আছে একটু পরে জেগে উঠবে। অনেকদিন ওর সঙ্গে কথা হয়নি তো তাই ও আমার সঙ্গে অভিনয় করছে। একটু পরে ও ঠিকই উঠবে এবং আমার সঙ্গে কথা বলবে। সোমার এই কথাগুলো শুনে সবাই আরো ভেঙ্গে পড়ল।এক প্রকার সোমা পাগলের মত হয়ে গেছে। সোমার বাবা-মা সোমাকে নিয়ে চলে গেল।
এদিকে সোমা বাসায় ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করে না। কিছুক্ষণ পরপর সেন্স হারিয়ে যাচ্ছে। পাগলের মত হয়ে থাকছে সব সময় আবোল তাবোল বলছে আর হাসছে। তার মা-বাবারও যেন সোমাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা শেষ হচ্ছে না। কিভাবে তার আদরের সেই মেয়েকে আগের মত নিয়ে আসা যায়।অনেক ভেবেচিন্তে তারা বাসা থেকে দূরে কোথাও সোমাকে নিয়ে ঘুরতে গেল। কিছুদিন পর সোমা একটু স্বাভাবিকে আসতে পেরেছে। কিন্তু তারপরেও কাজ হয়নি।কারণ সেই পরিবেশ এবং সেই স্মৃতিগুলো তাকে বারবার কুরে কুরে খাচ্ছিল।
সোমা আবারও আগের মত পাগলামি শুরু করে দিচ্ছিল। প্রিন্সের কিছু উপহার ছিল তার কাছে সেই জিনিসগুলো যখন সোমার বাবা ভেঙ্গে ফেলছিল। তখন সোমা তার বাবাকে বলল জিনিসগুলো হয়তো ভেঙ্গে ফেলতে পারবা কিন্তু মন থেকে প্রিন্সের স্মৃতি এবং প্রিন্সের ছবি তো মুছে ফেলতে পারবা না কখনো।কারণ প্রিন্স আমার জীবন আর আমিও খুব শীঘ্রই প্রিন্সের কাছে যাব। সোমার আবেগ প্রবল কথাগুলো তার বাবাকে খুব টেনশনে রেখেছিল।কারণ তার একটিমাত্র সন্তান।সে সন্তানের কিছু হয়ে গেলে সোমার বাবাও যে বাঁচবে না ।
দেখতে দেখতে একটি বছর যখন পার হয়ে গেল। তখনো সোমা প্রিন্সের স্মৃতি তার হৃদয় থেকে মুছতে পারেনি। অনেক কষ্টে সোমাকে পড়ালেখার দিকে এগিয়ে নিয়ে এসেছে তার বাবা। সোমা ডাক্তার হবে সেই জন্য তার বাবা তাকে প্রতিনিয়ত হেল্প করছে। কারণ প্রিন্সের স্মৃতি মন থেকে মুছে ফেলার জন্য সে কোয়ার্টার থেকে অন্য জায়গায় চলে গেছে। কিন্তু সেখানেও সোমা প্রিন্সকে ভুলতে পারেনি।একসময় সোমা ডাক্তারও হয়ে গেল।কিন্তু প্রিন্সকে ভূলতে আর পারল না।
সে প্রিন্সের স্মৃতি বুকে জড়িয়ে রেখে তার কর্মজীবন চালিয়ে যাচ্ছে। আর মা বাবাকে দেখাশোনা করছে। সোমার একটি কথা যতদিন তার দেহে রবে প্রাণ ভালোবেসে যাবে প্রিন্সকে আজীবন । হয়তো পরকালে তাদের মিলন হবে। তাদের ভালোবাসা ওদুজনের মনের মিল হবে। সত্যিই এ এক অন্যরকম ভালোবাসা। বর্তমান সময়ে এমন ভালোবাসা দেখাই যায় না। আসলে ভালোবাসা অদ্ভুত এক মায়া। আর কাউকে ভালবাসলে গভীরভাবে ভালোবাসাই উচিত। এখানেই শেষ হয়ে গেল আমার গল্প "তবুও ভালোবেসে যাবো" আশা করছি আমার গল্পটি আপনাদের ভালো লেগেছে।
আপনাদের সুচিন্তিত ভালো মতামত পেলে আবারো নতুন গল্প নিয়ে হাজির হব। আজ যাচ্ছি আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব সে পর্যন্ত ভালো থাকবেন।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
🇧🇩খোদা হাফেজ🇧🇩
আপু আপনি খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। আপনার এই গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। যদিও এর আগের পর্ব গুলো পড়া হয়নি তবে এই পর্ব পড়ে খুব ভালো লাগলো। সোমা তার জীবনের সব কিছু দিয়ে হয়তো ভালোবেসেছে বলেই প্রিন্সকে ভুলতে পারছে না। ভালোবাসলে এভাবেই ভালোবাসা উচিত। যারা সত্যিকারের ভালোবাসে তারা দ্বিতীয় বার জীবন সঙ্গী হিসেবে আর কাউকে চায় না। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে গল্প লেখার আগ্রহ অনেক গুন বেড়ে গেল আপু।