Better Life With Steem | The Diary game |30th December |
সকাল |
---|
আজকে সকালে ঘুম ভেঙে গেছে ছয়টার দিকে।উঠে ফ্রেশ হয়ে এসে আবারও বিছানার গিয়েছিলাম এটা ভেবে যে একটু পরে উঠে যাব। কিন্তু মানুষ ভাবে এক জিনিস আর হয় আরেক জিনিস। যার কারনে আবারো ঘুমিয়ে পরেছি।
ওঠে দেখি প্রায় ৮ টা বেজে গেছে। বড় ছেলে রেডি হয়ে বের হয়ে যাচ্ছে।জানতাম খাবে না তারপরও জানতে চাইলাম খাবে কিনা।
যথারীতি মানা করে দিলো৷ প্রতিদিন এর মতোই।তবে বলে গেল যে আজকে দ্রুতই চলে আসবে। নিচ থেকে একটু ঘুরে এসে আমাদের জন্য নাস্তা বানাই। কিন্তু ছোট ছেলেকে খেতে বলার পরও খায় নাই।
নাস্তা বানানোর আগেই গরম পানিতে গরুর মাংস ভিজিয়ে রেখেছিলাম কারন জমাট বাঁধা বরফ ছুটতে সময় লাগে। আজকে আলসেমি লাগতেছিলো কেন জানি।
যার কারনে রান্না ঘরে একটু পরেই ঢুকেছি। ঢোকে দেখি গ্যাস প্রায় নেই বললেই চলে।আমার বাসায় সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত মোটামুটি ভালোই গ্যাস থাকে এরপর বলা যায় নাই হয়েই যায়। যার কারনে আর তেমন কিছুই করি নাই। ভাত আর মাংস রান্না করেই শেষ করে ফেলি দুপুরের রান্না।ভাবি যে রাতে কিছু একটা করবো।
দুপুর |
---|
বড় ছেলের আসতে আসতে প্রায় দুটো বেজে যায়। কিন্তু ও বাসায় ঢুকেই সোফায় শুয়ে ঘুম এসে পরে।যার কারনে ওকে বাদ দিয়েই খেয়ে নিতে হয়। ছোট ছেলে সকালে নাস্তা না করার কারনে ও আগেই খেয়ে নিয়েছিলো।
বিকেলের দিকে বড় ভাবি ফোন করে বলে যে রাতে যেন তাদের বাসায় যাই।সবজি খিচুড়ি খাওয়াবে।বিকেলে বড় ছেলে ওঠে খেয়ে বড় ভাই এর বাসায় চলে যায়।
কারন ওই বাসায় ওরা সবাই নিউইয়ার পার্টির আয়োজন করেছে। আগেতো বড়রা করতো। কিন্তু দুইবছর ধরে ওরাই সবকিছু করে। তবে বড়রা সাহায্য করে প্রয়োজন হলে।
রাত |
---|
সন্ধ্যা হওয়ার পর থেকেই ভাই আর ভাবি কল দিতে শুরু করে কিন্তু আমি ইচ্ছে করেই নটার দিকে বের হই।নাহলে ছোট ছেলেও যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে উঠবে। ওর সাথে কন্ডিশন হয় যে, খাওয়া শেষ হলেই ও আর আমি চলে আসবো। আমার বড়ো ভাইয়ের বাসায় একটা ছোট্ট বাগান আছে যেটা আমার খুব ভালো লাগে। ভাবি দেখি কিছু ভিজানো পিঠাও রেখেছে। পরে খেয়ে বের হতে হতে প্রায় এগারোটার মতো বেজে গেল।
বাইরে বের হয়ে আমি ওদেরকে বললাম চলো যাই আমরা ১০/A এর দিক থেকে ঘুরে আসি মিনিট দশেক এর জন্য। রাস্তায় বেশ কিছু বিয়ে বাড়ি চোখে পরে। আসলে এখন বিয়েরই সিজন চলছে।যার জন্যই এত বিয়ে বাড়ি। আমাদের সাথে অবশ্য বড় ছেলে আসে নাই কারন ওরা আগামীকাল এর অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যাস্ত আছে। পরে বাসায় এসে আমি বেশ কয়েকটা কমেন্ট করি স্টিমিট এ ঢুকে। তারপর শুয়ে পরি।আর এভাবেই শেষ হয়ে যায় আজকের দিনটাও
◦•●◉✿ Thanks Everyone ✿◉●•◦
◦•●◉✿ Thanks Everyone ✿◉●•◦
আপনার ভোর ছটার দিকে ঘুম ভেঙে গেল তারপর আবার কিছুক্ষণের জন্য শুয়ে পড়লেন তারপর আটটা বাজে উঠলেন। আপনাদের সকালে খাবারে আইটেমটা কিন্তু বেশ লোভনীয় ছিল। আপনার ভাইয়া ভাবি বাসায় গেলেন এবং সেখান থেকে ১১ঃ০০ টা বাজে আসলেন। আসার পথে বিয়ে বাড়ি চোখে পরলো আর বিয়ে বাড়িটা এত সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে যে চোখ জড়িয়ে যায়।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সারাদিনে কাজকর্মগুলো আমাদের সাথে খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করেছেন ।
চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আজ সকালে আপনার ছয়টার দিকে ঘুম ভেঙে গেল। সকালে ফ্রেশ হয়ে আবার বিছানায় গেলেন 😅এটা যদি আমি করি আমার কান দুটো ছিদ্র হয়ে যায় আম্মুর বকা শুনতে শুনতে 😅সকালের খাওয়ার আইটেম কিন্তু অসাধারণ পিঠা খিচুড়ি গরুর মাংস। আমি তো লোভ সামলাতে পারছিনা। আর গরুর মাংস আর চালের গুড়া দিয়ে রুটি খেতে অসাধারণ লাগে রাস্তায় বেশ কিছু বিয়ে বাড়ি চোখে পরে।বিয়ে বাড়ির লাইটিং গুলো কিন্তু দেখতে চমৎকার। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর একটি দিনের মতো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার মা-ও এমনি করতো। মায়েরা এমনি হয়। আমিও আমার ছেলেদের বকি ইচ্ছেমতো 🤣এটা চলতেই থাকেবে। সমস্যা নেই সামনে আপনিও বকতে পারবেন।আপনার দিন সামনে আাসতেছে।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য
আপনার মত অবস্থা আমারও হয়। আপনার মত আমি ঘুম থেকে উঠে ভাবি এই তো ১০ মিনিট পরে আর উঠে যাব কিন্তু এই ১০ মিনিট দুই ঘন্টা হয়ে যায়। রাজধানীর অনেকখানেই এখন শীতের সময় গ্যাসের খুব সমস্যা হচ্ছে। তারপরও আপনি কিছুটা রান্না করতে পেরেছেন। অতঃপর ভাই ভাবির দাওয়াতে আপনি ভাইয়ের বাসায় গেলেন। সেখানে নববর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতি চলছিল তা দেখে আসলেন। ভেজানো পিঠাও খেলেন। আবার ছোট ছেলের জন্য জলদি চলে আসলেন। সব মিলিয়ে যথেষ্ট ব্যস্ত দিন আপনি পার করলেন।
গ্যাসের সমস্যা পাগল করে দিতেছে। চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনার বড় ছেলে কি কাজের জায়গায় গিয়ে সকালবেলার নাস্তা করে? কারণ সকালে অনেকক্ষণ পেট খালি রাখাটাও ঠিক নয়। ডিপ ফ্রিজে রেডমিট যেমন গরুর মাংস বা পাঁঠার মাংস রাখলে বাইরে বার করে গরম জলে ভেজানোটাই শ্রেয়, তাতে মাংস তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক রুম টেম্পারেচারে চলে আসে এবং অনেকটা নরম হয়ে যায়।
একটা ইন্ডাকশন কুক টপ কিনে ফেলুন, তাহলে আর গ্যাসের উপর নির্ভর করতে হবে না। আমাদের দেশে একটা গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম এখন প্রায় এক হাজার টাকা। আমার কাছে যেহেতু আগে থাকতে একটা ইন্ডাকশন ছিল তাই আমি বেশিরভাগ রান্না এখন ইন্ডাকশনে করি। তাতে অনেকটাই টাকার সাশ্রয় হয় এবং গ্যাসের উপর নির্ভরশীল হয়েও থাকতে হয় না।
ও একটা কোচিং সেন্টারে পার্টটাইম কাজ করে মাঝে মাঝে । খাওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। খেতে হলে বাইরে বের হতে হবে।সমস্যা হচ্ছে ওকে কিছুতেই খাওয়াতে পারি না।ক্লাস ৯/১০ উঠার পর থেকেই নাস্তা নিয়ে ঝামেলা শুরু করেছে।
ইন্ডাকশন আমি একটা গিফট পেয়েছিলাম কিন্তু নস্ট হয়ে রয়েছে। ঠিক করা যায় কিনা সেটাও জানি না।
দেখতে হবে খোজ নিয়ে আর নাহলে কিনতে হবে।
আপনি সকালে একবার ঘুম থেকে উঠেছিলেন আর তার পরে আবার গিয়ে শুয়ে ছিলেন।আর বিয়ের বাড়ির দৃশ্য গুলো অসাধারন ছিলো। তাঁরা সাজিয়েছে অনেক সুন্দর করে। আমাদের সাথে আপনার এতো সুন্দর একটি দিনের কার্যক্রম গুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইলো আপ্নার জন্য।
যেহেতু শশুরের সাথে থাকি তাই ঘুম থেকে উঠতে খুব একটা অলসতা করতে পারি না। তবে আপনার মত একটু অলসতা আমার ভিতরে ও আছে।
তবে আমার যতটুকু মনে হয় আপনার হাতের সালাত টা দেখতে আমার চোখে অসম্ভব সুন্দর লাগে। খাবারের রুচি বাড়াতে আমার কাছে সালাত খুবই ভালো লাগে,,।
পরিবার নিয়ে এইভাবে আনন্দ উল্লাসে দিনযাপন করুন এই প্রত্যাশায় রাখছি।
সালাদ আমার পরিবারের সবাই পছন্দ করে এজন্যই থাকে।ধন্যবাদ চমৎকার ভাবে মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।