Better Life With Steem | The Diary game 6, July |

in Incredible India4 months ago (edited)
IMG_5721.jpeg

সকাল

সারা রাতই কেমন যেন জানি ভাঙা ভাঙা ঘুম হয়েছে। যার কারনে ভোরের দিকে ঘুম ভেঙে গেলেও আবার ঘুমিয়ে পরেছিলাম। উঠেছি একেবারে ৯টার দিকে। উঠে দেখি হাসবেন্ড বাসায় নেই।
তাকে কল দেয়ার পরে বললো যে, সে মিরপুরে গিয়েছে। আসলে মিরপুরে একটা প্লট কিনেছে আমার হাসবেন্ড ও তার কয়েকজন ব্যাংকার বন্ধুরা মিলে। সেখানে বিল্ডিং এর কাজ চলছে। প্রতি সপ্তাহের ছুটির দিনে সবাই একসাথে মিলে কাজকর্ম কতটা এগিয়েছে সেটা দেখতে যায়। এছাড়া অন্য দিন সময় দিতে পারে না।

IMG_5718.jpeg

আমাদের বিল্ডিং এর পাশেই আরো একটা প্লট বিক্রি হচ্ছে। সেটাও দেখতে গিয়েছে। আসলে টাকা কম থাকলে যা হয়। কিনতে ইচ্ছে করে সবই কারন কিনলেই লাভ। কিন্তু দেখে ফেরত আসা ছাড়া তেমন কিছু করা হয় না।
তারপরও নিজেদেরকে সৌভাগ্যবান ভাবি কারন আমাদের থেকে অনেক মানুয খারাপ আছে।
যাই হোক, ছেলেদের ডাকাডাকি শুরু করি আর পাশাপাশি রান্নার প্রস্তুতি নেই।
ফ্রিজ থেকে মুরগি বের করে ভিজাই। সাথে মুসুরির ডালের ভর্তা, ও পটল ভাজি করি।আজকে ধরেই নিয়েছিলাম যে,

আজকে বুয়া আসবে না কিন্তু দেখি এসেছে। এখন চিন্তার আছি,এটা ভেবে যে, কবে যে বিনা মেঘে বজ্রপাত হবে কে জানে।

IMG_5713.jpeg

হাসবেন্ড কল দিয়ে বলেছিলো যে, আজকে দ্রুতই চলে আসবে আর আমাদেরযে নিয়ে কোথাও বেড়াতে যাবে। কিন্তু তার আসার কোন খোঁজ খবর নেই।
পরে দুইটার সামান্য আগে বাসায় ঢুকে। খেতে খেতে আড়াইটা বেজে যায়। এত বেলা হওয়ার আজকে আর কোথাও যাওয়া হবে না ধরেই নেই।
খাওয়া শেষ করে চা বানাতে বলে আমাকে। চা নিয়ে আসার পরে ছেলেকে দেখি ওর বাবা জিজ্ঞেস করতেছে যে যাওয়া ক্যানসেল কিনা। তখন আমি বলি যে, প্রায় বিকদল হয়ে আসছে, এখম আর কই যাব।তখন সে বলে যে চলো আগে বের হই।

বের হয়ে আমার বড় ভাইকে কল দেই যে যাবে কিনা। তখন সেও রাজী হয়ে যায়। তখন ওদের বাড়ির নিচে গিয়ে ওদেরকেও নিয়ে যাই। সম্পূর্ন নতুন একটা জায়গায় যাই আমরা। সেখানে গিয়ে চমৎকার আমরা সবাই মিলে চমৎকার একটি বিকাল কাটাই।.

রাত

IMG_5792.jpeg

এরপরে বাড়ির দিকে রওনা দেই। ওই গ্রামের পথ থেকে বের হওয়ার পর থেকেই মারাত্মক রকমের জ্যাম দেখা যায়। সেই জ্যাম পুরোটা রাস্তায় ছড়িয়ে পরছে। বাসায় আসতে আসতে সাড়ে নটার বেশি বেজে যায়।

পরে শুনলাম যে, ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছেলেমেয়েরা রাস্তা বন্ধ করে রেখেছিলো যার কারনে এতো মারাত্মক রকমের জ্যাম ছিলো আজকে।

IMG_5944.jpeg

দুপুর এর ভাত তরকারি রয়ে গিয়েছিল তাই আর কিছু করি নাই।সেগুলোই সবাই মিলে খেয়ে নেয়। সাথে আম কেটে দিয়েছিলাম।
সবার খাওয়া শেষ হলে সব কিছু ফ্রিজে ঢুকিয়ে ফেলি। এরপর ডায়েরি গেম লিখতে বসি।এভাবেই দিনটা কাটিয়েছি।

Post Details

CameraiPhone 14
Photographer@sayeedasultana
LocationDhaka,Bangladesh


Thank You So Much For Reading My Blog

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPmPayXPfM22kXaj3xKw37oQ9tua3JfrnuMRWWqGHfhuyA1UYheY5qjiFbP3BW...JWNUaLb1UAxtVkvpEzFvrbCpiTVHr2qys8cnVHpyrfv38wVPMc1Luya71X8AzcNNuKjF1rHwqMTUWN8r39rGXHzGTLWtLUbqpNh6DHaWG6eK2zUkgnx8ShFKdg.png

Sort:  
Loading...
 4 months ago 

টাকা থাকলে অনেক প্লান পূরণ করা যায় আর টাকার অভাবে অনেক প্লান থাকার পরেও পূরণ হয় না।। সকালে উঠে দেখেন ভাইয়া নেই ফোন করে জানতে পারেন প্লট দেখতে গেছেন।। আবার ফোন করে বলে আজকে বাইরে যাবে ঘুরতে।। বিকাল মুহূর্তে সবাই মিলে ঘুরতে গিয়েছিলেন নিশ্চয়ই অনেক মজা হয়েছে।। অবরোধ থাকলে রাস্তা অনেক বেশি জ্যাম থাকে।

 4 months ago 

একদম ঠিক কথা বলেছেন যে, টাকা থাকলে অনেক কিছুই প্ল্যান করা যায় আর টাকা না থাকলে অনেক কিছু প্ল্যান করার পরও সেটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না।
আসলেই গতকাল অনেক আনন্দ হয়েছে।ঢাকার এত কাছে এত সুন্দর জায়গা আছে এটা জানতামই না।

 4 months ago 

হঠাৎ করে সুন্দর কোন জায়গায় ঘুরে আসলে সত্যি অনেক ভালো লাগা কাজ করে।। অনেক সময় আমাদের আশেপাশে অনেক কিছুই থাকে কিন্তু আমরা এগুলা জানি না হঠাৎ করে দেখার পর একটু আশ্চর্য লাগে।।

 4 months ago 

আসলে যদি কোন জায়গায় যাওয়া হয় তখন যদি রাস্তায় জ্যাম পড়ে তখন এমনিতেই মাথায় আর কাজ করে না আবার যদি হয় সেটা বাড়ি যাওয়ার পথে যাই হোক আজকে আপনি আপনার সারাদিনের কার্যক্রম অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন,

 4 months ago 

আসলেই রাস্তার মাঝে জামে পড়াটা খুবই বিরক্তিকর একটা বিষয়। তবে ঢাকায় চলতে হলে এই জ্যামের সাথে যুদ্ধ করেই বাচতে হয়।
এতে গতকালকে জ্যামটা ছিল একটু অন্য রকমের। সহ্যের বাইরে ছিলো।।

 4 months ago 

আপনি বিকেলে যেই জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলেন সে জায়গাটি নিঃসন্দেহে খুবই সুন্দর। আমি আপনার পোস্টের প্রথম ছবি দেখে ভেবেছিলাম এটি বোধহয় ডাউনলোড করা। প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে কার না ভালো লাগে। মাঝে মাঝে বিকেল বেলায় এরকম ঘুরে আসলে মন্দ হয় না। মনটাও রিফ্রেশ হয়। বাসায় আসার পথে জ্যামে পড়েছিলেন। ঢাকা শহরে এমনিতে জ্যাম লেগেই থাকে। তার উপরে যদি হিয় আন্দোলন। যাহোক তবুও সুন্দর একটা দিন কাটিয়েছেন। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 4 months ago 

জায়গাটা আসলেই খুব সুন্দর। আর সবচেয়ে বড় কথা হল এখনো ভিড় বাড়েনি। তবে দেখলাম যে হোটেল তৈরি হওয়ার কাজ চলতেছে। ধারণা করলাম যে পরের বার যদি যাওয়া হয় তাহলে চারপাশটা লোকজনে ভর্তি দেখতে পাবো।
এখনো সেইভাবে লোকজন খোজ পায় নাই।ঢাকার আশেপাশে ঘুরতে যাওয়ার
জায়গার খুবই অভাব। যার কারনে লোকজন কোন একটা জায়গার সন্ধান করে পেলে সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো।

 4 months ago 

আমাদের সকলের নিজের নিজের অবস্থানে সুখি হওয়া উচিত কারন আমাদের আশেপাশে এমন অনেকেই আছে যারা ঠিক মতো তিনবেলা খেতে পারে না। আপনাদের বিল্ডিং এর কাজ চলছে আর এখানে মাঝে মাঝে কাজ দেখতে যাওয়া উচিত যে সব কিছু ঠিকমত চলছে কিনা।

মাঝে মাঝে নানা আন্দোলনের কারনে রাস্তায় ভীষণ জ্যাম তৈরি হয়। আর জ্যামে বসে থাকাটা সত্যি খুব বিরক্তিকর।

 4 months ago 

একদম ঠিক বলেছেন সবারই নিজের নিজের অবস্থান এ থেকে সুখি হওয়া প্রয়োজন। নিজেদের বিল্ডিং বলতে পুরো বিল্ডিং না আমাদের না ওইখানকার একটা আপার্টমেন্টে আমাদের হবে যদি শেষ পর্যন্ত খরচ দিতে পারি।
ছাএদের আন্দোলন এর জ্যাম হচ্ছে অনেক বেশি। যদিও তাদের আন্দোলনে আমারও সাপোর্ট আছে কিন্তু জ্যাম দেখলে অস্থির লাগে।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.16
JST 0.028
BTC 67628.32
ETH 2424.36
USDT 1.00
SBD 2.35