Better Life With Steem | The Diary game | January 31, 2024 |
সকাল |
---|
সকাল বেলা বিছানায় শুয়ে শুয়ে ৩২ নাম্বার থেকে জয় বাংলা আর জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান শুনতে পাচ্ছিলাম। স্লোগান শুনেই বুঝতে পারলাম যে হয়তোবা আজকে প্রধানমন্ত্রী বাড়িতে এসেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর ধানমন্ডিতে ঢুকলেই আমার প্রথম যে কথাটি মাথায় আসে সেটা হল আজকে কি বার আর স্কুল কি খোলা নাকি বন্ধ। যদিও প্রধানমন্ত্রী ছুটির দিনগুলো ছাড়া বাকি দিনগুলোতে আসলে সাধারনত সকালবেলাই আসেন আর সাড়ে সাতটার আগেই বের হয়ে যান।
কিন্তু ততক্ষণে যা হবার তা হয়ে যায়। মোটামুটি সেদিন দুপুর পর্যন্ত জ্যাম থাকে। স্কুলের কারণে এমনিতেই ধানমন্ডিতে প্রচন্ড জ্যাম প্রধানমন্ত্রীর আসা মানে সেটা আরো বেড়ে যাওয়া।
বিছানা ছেড়ে উঠে ফ্রেশ হয়ে বারান্দায় গিয়ে দেখলাম যে, বাজপাখি আর কাকের মাঝে যুদ্ধ চলতেছে। এই জিনিসটা আমি প্রায়ই খেয়াল করি। এই এলাকায় একটাই বাজ দেখি।
কিন্তু এই বাজটার সাথে কাকদের যে কি সমস্যা বুঝতে পারি না, দেখলেই তাড়ায়। বেচারা আগে আগে ওড়ে আর ওর পেছনে পেছনের কাকরা ওড়তে থাকে কা কা করতে করতে।
পাখিদের যুদ্ধ দেখলে কাজ হবে না তাই এসব দেখা বাদ দিয়ে রান্নাঘরে ঢুকে পরলাম নাস্তা বানানোর জন্য।
ছোট ছেলে আজকে স্কুলে যাবে তাই সে না খেয়েই যাবে।
শুধুমাত্র ওর বাবার জন্য রুটি সালাদ আর ডিম ভাজি করলাম। বড় ছেলেও নাস্তা করে নাই। রুটি আগে থেকেই ফ্রিজে বানানো ছিল তাই নতুন করে বানাতে হয় নাই।
টমেটো শেষ হয়ে গিয়েছিল তাই নিচ থেকে টমেটো আর গাজর কিনে নিয়ে আসি।
দুপুর |
---|
দুপুরের রান্নাও শেষ করে ফেলি দ্রুতই । খুব বেশি কিছু করিও না। এর মাঝে ছোট ছেলেও স্কুল থেকে চলে আসে। ও আসার পরে আমরা তিনজন একসাথেই খেয়ে নেই।
আজকে কাজিন এর বিয়ের দাওয়াত ছিলো রাজার বাজারের দিকে। কিন্তু কদিন থেকে মন এতোটাই খারাপ যে শেষ পর্যন্ত যাবো না বলেই সিদ্ধান্ত নেই। সাধারণত এমন করি না আমি। পারিবারিক অনুষ্ঠানগুলো মিস করি না আমি পারতপক্ষে।
এটা মিস করেও খারাপ লাগতেছিলো।মানুষের মন আসলেই অদ্ভুত।হাসবেন্ড অবশ্য বলছিলো চলে যেতে কিন্তু তাকেও মানা করে দেই।
সে সাথে গেলেও হয়তো যেতাম কিন্তু তার ব্যাংকের মান্থ ক্লোজিং ছিলো। যার কারনে সেও যেতে পারবে না আগেই জানিয়ে দিয়েছিলো।সব কিছু মিলিয়ে আর যাওয়া হয় নাই।
রাত |
---|
রাতে ছেলে বলে কাবাব খাবে।পরে স্টার কাবাব থেকে শিক কাবাব আর তন্দুর রুটি নিয়ে আসে।রাতের খাবার এটা দিয়েই হয়ে যায় ওদের। যার কারনে রাতে আর কিছু করতে হয় নাই । টিউটোরিয়াল ক্লাস ছিল আজকে রাত নয়টার দিকে। ক্লাস শেষ করে ঘুমাতে যাই আর এভাবেই আজকের দিনটা শেষ হয়ে যায়।
◦•●◉✿ Thanks Everyone ✿◉●•◦
◦•●◉✿ Thanks Everyone ✿◉●•◦
আপনার রাতের ফটোগ্রাফিগুলো সত্যিই অসাধারণ লাগে। ভালো থাকবেন।।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সব সময় শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আমার মতামতের উওর দেওয়ার জন্য।।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
৫-A দিকে জ্যামটা তুলনামূলক ভাবে কিছুটা কম। বাজ যে কাকের বাচচা খায় এই বিষয়টা আমার জানা ছিলো না।ধন্যবাদ এটা জানানোর জন্য। কারন এটা নিয়ে আমি অনেক ভেবে কোন কূল কিনারা করতে পারি নাই।
এত চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
বাজ তো শিকারিপাখি।ও শুধু যে কাকের বাচ্চা খায় তা শুধু নয় যেকোন পাখি ই খেয়ে ফেলে অনায়াসে।হে একটু কম জ্যাম। ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার মূল্যবান মতামত জানানোর জন্য।
যাইহোক আপনার পোস্ট পরিদর্শন করার মাধ্যমে জানতে পারলাম। যে প্রধানমন্ত্রী যখন বাড়িতে আসে তখন আপনারা বুঝতে পারেন। এবং আপনি মাঝে মাঝে চিন্তা করেন যে আজকে কি বার। আসলে ছেলেমেয়েদের ইচ্ছে গুলো পূরণ করে আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। তাই আপনি আপনার ছেলের জন্য শিক্ষা বা এবং নান রুটি নিয়ে এসেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
শেখ মুজিবের ৩২ নাম্বারের বাড়ি আমার বাসার কাছাকাছিই। একারনেই প্রধানমন্ত্রী বা বড় কোন নেতা যদি আসেন তাহলে স্লোগান দিলে আমার বাসা থেকে শোনা যায় এজন্যই বুঝতে পারি যে কেউ এসেছেন।
আর প্রধানমন্ত্রী সাধারণত সকালবেলা আসেন।
আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সবসময়ই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধানমন্ডি মানেই অভিজাত এলাকা, আর মন্ত্রি এম্পিদের আনাগোনা। ভি আই পি মানেই তার জন্যে এক ঘন্টার জ্যামে সাধারণ মানুষকে বিড়ম্বনায় পড়া।
স্টার কাবাব এ অনেক দিন যাওয়া হয় না, আগে শুধু লেগ রোস্ট খাওয়ার জন্যে বন্ধুরা মিলে প্রায়ই যেতাম।
ধানমন্ডি এলাকা শুধ অভিজাত না । আমাদের মতো মধ্যবিত্ত লোকও আছে কিছু,যারা অনেকটা বাধ্য হয়েই এখানে বসবাস করে।স্টার কাবাবের লেগ রোস্ট আমার ছেলেরও খুব পছন্দ। কিন্তু লেগ রোস্ট বাসায় না খাওয়াচ্ছে বসে খেলেই বেশি ভালো লাগে।
চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন সব সময়।
আপনার সকালবেলা ঘুম ভেঙ্গে গেছে জয় বাংলার ধনীতে। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম আপনার বাসার কাছেই প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি । প্রধানমন্ত্রী বাসায় আসলে এরকম জয়ের ধনী শোনা যায়। আপনার ছেলে ও দেখি সকাল বেলা না খেয়েই স্কুলে যেতে চাই যেমনটা আমিও ছোটবেলায় করতাম।
বাচ্চারা ভালোই থাকে। একটু বড় হলেই ঝামেলা করে খাওয়া নিয়ে।
আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সব সময় এই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।