"জাগরণী সংঘের প্যান্ডেল পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা"
![]() |
|---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলেরই আজকের দিনটি খুব ভালো কেটেছে।
আজকের পোস্টের মাধ্যমে আবার আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি বান্ধবীদের সাথে ঠাকুর দেখার পর্ব। ইতিমধ্যে দুটি ক্লাবের ঠাকুর দেখার গল্প আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।
আজকের পোস্টের মাধ্যমে আমি তৃতীয় নম্বর প্যান্ডেলটি ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। বলাকা ক্লাবের প্যান্ডেল দর্শন করার পর আমরা যে ক্লাবটিতে গিয়েছি তার নাম ছিলো, - "জাগরণী সংঘ"।
প্রতিবছর এই ক্লাবের পূজা প্যান্ডেল সবথেকে বেশি উচ্চতার করা হয়ে থাকে শুনেছি। এর আগে যে বছর দেখতে গিয়েছিলাম সে বছরও অনেকখানি উচ্চতার প্যান্ডেলেই তৈরি হয়েছিলো।
যাইহোক দীপাবলি মানে আলোর উৎসব। তাই যে রাস্তা দিয়ে আমরা হেঁটে যাচ্ছিলাম, সেটাতে খুব সুন্দর টুনি লাইটের মাধ্যমে সাজানো হয়েছিলো। আর জাগরণী সংঘে ঢোকার মুখে তৈরি করা হয়েছিলো বিভিন্ন রঙের আলো দিয়ে সুন্দর একটা গেট।
যাইহোক পায়ে হেঁটে আমরা যখন প্যান্ডেল পর্যন্ত পৌঁছালাম, তখনও পর্যন্ত প্যান্ডেলের কাজ চলছে। সম্পূর্ণরূপে তা শেষ হয়নি। ভিতরের কারুকার্য সম্পন্ন হলেও, তখনও বাইরের দিকের বেশ কিছু জায়গার কাজ চলছিলো।
![]() |
|---|
তবে রাতের মধ্যে সেটা শেষ হয়ে যাবে বলেই আশা করছিলাম। যেহেতু সেদিন মানুষের ভিড় ততটাও ছিলো না, তবে তারপর দিন থেকেই ভিড় বেশি হবে জানতাম। তাই সেদিন রাতে প্যান্ডেলের শেষ করে ফেলাটা আবশ্যক ছিলো। বেশ কয়েকজন মিস্ত্রী মিলেই কাজ করছিলো। প্যান্ডেলের বাইরে কিছু সুন্দর উক্তিও লেখা বোর্ডও লাগানো হচ্ছিলো।
![]() |
|---|
![]() |
|---|
যাইহোক বাইরেটা একবার দর্শন করে আমরা ধীরে ধীরে ভেতরে থেকে প্রবেশ করলাম। দেখলাম বেশ কিছু মানুষের ভিড় তখন ভিতরেই রয়েছে। বেশ কিছুটা সিঁড়ি দিয়ে উঠে, তারপর আবার সিঁড়ি দিয়ে নিচের দিকে নেমে প্রতিমা দর্শন করতে হয়েছিলো।
![]() |
|---|
প্যান্ডেলের ভিতরের দিকে শোলা দিয়ে খুবই সুন্দর কারুকার্য করা ছিলো। প্রতিমাও ইতিমধ্যে নিয়ে আসা হয়েছিলো এবং পূজোর সামগ্রীও সেখানে রাখা ছিলো। যেখানে প্রতিমাকে বসানো হয়েছে, সেখানে লাল আলো লাগানো হয়েছিলো, যেটা মায়ের রূপকে আরও সুন্দর করে তুলেছিলো।
![]() |
|---|
এখানে দাঁড়িয়ে প্রথমে রিমিদের ফ্যামিলির একটা ছবি তুললাম। তারপর একে একে আমি ও রাখি এবং আমি, রাখি ও রিমি ছবি তুলে নিলাম।
এই প্যান্ডেলটা দর্শন করার পর আমরা পরবর্তী প্যান্ডেলের দিকে হাঁটতে শুরু করেছি। কিছুটা যাওয়ার পর রিমির ছেলে ঘুমিয়ে পড়ল। ফলত রিমির এবং ওর হাসবেন্ডের আর পরবর্তী প্যান্ডেলটা দেখা হলো না।
তাই আমি, রাখি এবং রিমির মেয়ে একটু জোর পায়ে হেঁটে পৌঁছে গিয়েছিলাম পরবর্তী অর্থাৎ বয়েজ ক্লাবের প্রতিমা দর্শন করতে। যার গল্প আমি আপনাদের সাথে পরবর্তী পোস্টে শেয়ার করবো।
যাইহোক, ভালো থাকবেন সকলে। শুভরাত্রি।
















