শিশুদের মধ্যে থাকা সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত করার সুযোগ দেওয়া প্রত্যেক অভিভাবকের কর্তব্য
|
---|
Hello,
Everyone,
আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন,সুস্থ আছেন এবং আজকের দিনটা সকলে অনেক ভালো কাটিয়েছেন।
আমার দিনটা মোটামুটি ব্যস্ততার মধ্যেও, ভালোই কেটেছে। আমি আগেও অনেকবার আমার লেখার মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়েছে যে, আমি তিতলি এবং তাতানের সঙ্গে যখন থাকি, তখন আমার মন এমনিতেই ভালো থাকে।
আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব তাতানের সঙ্গে কাটানো কিছু মুহূর্তের কথা। আসলে ছোট থেকে আমি তিতলির ভীষণ কাছের। কারণ তিতলি জন্মানোর পর থেকে মনে মনে আমি বিশ্বাস করি, আমার মা তিতলির মাধ্যমে আবার আমাদের কাছে ফিরে এসেছেন।
আর তখন যেহেতু তিতলি একা ছিল,তাই সবার সব আদর একপ্রকার তিতলি পেয়েছে বলতে পারেন। তারপর যখন তা তাতান জন্মালো, তখন বেশিরভাগ সময় দিদি ওর শ্বশুর বাড়িতে থাকতো। যেই কারণে ছোটবেলা থেকে তাতানের সাথে আমার তিতলির মতন বন্ডিং তৈরি হয়নি।
|
---|
তবে হ্যাঁ যদি এখনের কথা বলি, তাহলে তাতালের সাথে আমার বেশ ভালো বন্ডিং তৈরি হয়েছে। তাতান আসলে ভীষণ মা ভক্ত।ছোটবেলা থেকেই আমরা একটা কথা শুনে থাকি যে, মেয়েদের বন্টিং তার বাবার সাথে ভালো হয়। আর ছেলেদের বন্ডিং ভালো হয় মায়ের সাথে। তাতান বোধহয় তার একটা প্রত্যক্ষ প্রমাণ।
যদি দিদি বাড়িতে থাকে তাহলে তাকে স্নান করানো বলুন, বা খাওয়ানো বলুন, সবকিছুই দিদিকে করতে হয়। কারণ দিদি সামনে থাকা অবস্থায়, অন্য কারোর কাছে সে থাকে না। অথচ গতকাল রাতে দিদির নাইট ডিউটি থাকায় দিদি কিন্তু বাড়িতেই ছিল না। সেই সময় সে দিব্যি আমার সাথে খেলা করলো, আমার হাতে খেলো, আবার রাতের বেলায় বাবার সাথে ঘুমিয়ে পড়ল।
তখন মায়ের কথা মনে পড়লেও, মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য বিরক্ত করেনি এতটুকুও। বেলুন তাতানের ভীষণ প্রিয়। আর ছবি আঁকতে সেই সব থেকে বেশি ভালোবাসে।তাই কাল রাতে যতক্ষণ সে না ঘুমালো, ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে আমরা ছবি আকার সরঞ্জাম দিয়ে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করেছি।
তাছাড়া টিভি এবং মোবাইল তো আছেই।এখনকার দিনে বাচ্চাদেরকে ব্যস্ত রাখার বা তাদেরকে দিয়ে কোন কাজ করিয়ে নেওয়ার সবথেকে ভালো উপায় হল তাদেরকে মোবাইল দিতে হবে। যাতে করে নিজেদের পছন্দ মতন কার্টুন দেখতে পারে।
তিতলি ও তাতনের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয় না। আজকাল নতুন একটা ভিডিও দেখে কি অদ্ভুত সব নাম সাইরেন হেড, রেইনবো ফ্রেন্ডস আরও কি সব। যদিও এইসব কার্টুনের কোনো মানে আমি খুঁজে পাই না।
ছবি আঁকার কথা হয় তাহলে তাকাতে টিভিতে বা মোবাইলে দেখা ওই সকল কার্টুনে দেখানো ছবিগুলো বেশ সুন্দর করে আকাঁর চেষ্টা করে। ছবি আঁকার পরে যদি সে দেখিয়ে জিজ্ঞেস করে, - "মিমি, কেমন হয়েছে?"
|
---|
তখন একগাল হাসি দিয়ে বলতে হয়,-"দারুন হয়েছে।" তা নাহলে আবার সে কান্না শুরু করে।তবে মিথ্যে কথা বলবো না, ওর সাথে বসে, বা ওকে খাওয়ানোর সময় যতটুকু আমি নিজে কার্টুনগুলো দেখেছি, তার সাথে তার আকাঁর যথেষ্ট মিল রয়েছে। আর এর থেকেই বুঝলাম আকাঁর ক্ষেত্রে ওর যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে।
আসলে এই ছোট ছোট জিনিস গুলো দিয়েই আমরা বুঝতে পারি বাচ্চাদের মধ্যে কোন জিনিসটা শেখার আগ্রহ রয়েছে বা দিকে বাচ্চাটির প্রতিভা রয়েছে সেই অনুযায়ী যদি আমরা অভিভাবকেরা বাচ্চাদেরকে চালিত করতে পারি তাহলে তারা কিন্তু বিভিন্ন দিকে নিজেদের প্রতিভাকে বিকশিত করার সুযোগ পায়।
যেকোনো ক্ষেত্রেই বাচ্চাদের সাফল্যের পেছনে কোথাও না কোথাও তার অভিভাবকদের যথেষ্ট অবদান থাকে। কারণ ছোট বয়সে আমরা নিজেরা বুঝতে পারি না আমাদের প্রতিভা কোন দিকে রয়েছে। সেক্ষেত্রে যদি অভিভাবকেরা আমাদেরকে সঠিক পথে চালিত করে,আমাদের ভালোলাগা গুলোকে গুরুত্ব দেয় তাহলে আমরাও জীবনে ভালো জায়গায় পৌছাতে পারি।
তিতলিকে যদিও আকাঁর স্কুলে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু তিতলি এবং তাতানের আকার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে এবং আমার নিজস্ব অনুভূতি দিয়ে আমি এটা বলতে পারি যে, তিতলির থেকেও তাতানের মধ্যে ছবি আঁকার উৎসাহ অনেক বেশি।
সবার যে সব ব্যাপারে উৎসাহে থাকবে এমনটা নয়। এই কারণেই আমি দিদিকে বলেছি তাতানকেও যেন আকাঁর স্কুল ভর্তি করে। এমনটা হতেই পারে ভবিষ্যতে তিতলি আর আকঁতে চাইবে না, অথচ তাতান আকাঁর মাধ্যমেই নিজের প্রতিভাকে বিকশিত করতে পারবে। যদিও সব কিছুই এখনো অনেক সময় সাপেক্ষ কিন্তু তবুও চেষ্টাটা ছোট থাকে শুরু করা উচিৎ।
আপনার বাচ্চার মধ্যেও যদি এমন কোন প্রতিভা থাকে তাহলে তাকে অবহেলা করবেন না একটু লক্ষ্য রাখবেন এবং তাকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবেন।
ভালো থাকবেন। শুভ রাত্রি।
তাদের মধ্যে কী সুন্দর বন্ধন বিদ্যমান, শিশুরা খুব মহৎ এবং সৎ, তারা সবসময় যা অনুভব করে তা প্রকাশ করবে। এটা ভাল যে আপনি তাদের সঙ্গ এতটাই উপভোগ করেন যে তারা আপনার জন্য দিনের সেরা সময়।
শুভেচ্ছা ও আশীর্বাদ।
(গুগল অনুবাদ)
আসলে এটাই স্বাভাবিক কার মধ্যে কি গুণ লুকিয়ে আছে, সেটা কেউই আগে থেকে বলতে পারে না।
তাতান বাবু ছবি আঁকা নিয়ে ব্যস্ত। সেই সাথে সে খুবই সুন্দর একটা ছবি এঁকেছে। যদিও আমি ঠিক বুঝতে পারছি না ছবিটা কিসের। তার পরেও আমি মনে করি, সে যতটুকু এঁকেছে তার জায়গা থেকে অনেক সুন্দর হয়েছে।
প্রত্যেকটা মানুষেরই এক একটা গুণ রয়েছে।সেটা যে যেভাবে পারে প্রকাশ করছে। আপনার পোস্ট পড়ে বেশ ভালো লাগলো আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।