||বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় ঘোরাঘুরির-(শেষ-পর্ব)||
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের
সকল বন্ধুরা আসসালামুয়ালাইকুম সবাই কেমন আছেন? শুক্রবারে সবাই অনেক ব্যস্ত আছেন দেখতেছি। সবার ব্যস্ততা আসলেই থাকার কথা। যেহেতু শুক্রবার তাই বাড়তি কাজ গুলো করে নেওয়ার জন্য সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তাছাড়া এখনো অনেকে গ্রামের বাড়ি থেকে ফিরছেন ঢাকা শহরে। তো বন্ধুরা আজকের দিনটা কেমন কাটলো আপনাদের আশা করি জানাতে ভুলবেন না। আপনারা তো সবাই জানেন শুক্রবার আসলে আমার অনেক ব্যস্ত সময় যায়। শুক্রবারে বাজার করা এছাড়া ও বাচ্চাদেরকে শুক্রবার শনিবার গানের স্কুলে নিয়ে যেতে হয়। আজকেও কিন্তু তার ব্যতিক্রম ছিলনা যদিও প্রচুর বৃষ্টি আমার এখানে।
তো বৃষ্টির দিনে অনেক ভাল লাগতেছে ঠান্ডা ঠান্ডা এবং নিরব পরিবেশে বৃষ্টির দিন গুলো আমার অসাধারণ কাটে। তো ভাবলাম সকাল থেকে কি পোস্ট করব আসলে মাঝে মধ্যে খুব বিভ্রান্তিতে পড়ে যায় কি পোস্ট করব তা নিয়ে। আমি কিছুদিন আগে আপনাদের সাথে ঢাকায় ঘোরাঘুরির চিড়িয়াখানায় যাওয়ার বিষয়টি শেয়ার করেছিলাম। ঢাকায় বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় ঘোরাঘুরি আমি আপনাদের সাথে তৃতীয় পর্ব পর্যন্ত শেয়ার করেছিলাম। তো আজকে ভাবলাম বাকি অংশটুকু আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিব। গত শীতের সময় পরিবারের সবাইকে নিয়ে তাছাড়াও আমাদের সাথে আরো একটি পরিবার মিলে আমরা সবাই ঢাকায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। আসলেই নিজ এলাকা ছেড়ে কোথাও তেমন যেতে ইচ্ছে করে না। কারণ আমাদের কক্সবাজার শহরে দেখার অনেক কিছু আছে। তারপরও ভিন্নতার খুঁজে যেতে হয় বাচ্চাদেরকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় কিংবা সুন্দর সুন্দর পার্ক দেখানোর জন্য।
সেই দিন যখন চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম তখন বাচ্চারা অনেক বেশি খুশি ছিল সেখানে বিভিন্ন ধরনের জীবজন্তু পশু পাখি দেখে। তাছাড়া আপনাদের শেয়ার করেছিলাম বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার আওতাধীন শিশু পার্কের ভিতরে প্রবেশ করার বিষয়। সেখানে অনেক খেলাধুলা ছিল এছাড়াও মিনি ট্রেন গুলো ছিল সেখানে অনেক খেলাধুলা করার পরে আবারো বেরিয়ে পড়ি বাকি দৃশ্য গুলো দেখার জন্য। দেখতে পেলাম আমরা অনেক বড় বড় হাতি। দেখলাম জলহস্তী এছাড়াও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য। আসলে ক্লান্ত হয়ে গেছিলাম মাঝে মধ্যে ফটোগ্রাফি নিতে খুবই বেশি ক্লান্ত লাগে ভালো লাগেনা। তাই আর ফটোগ্রাফি তেমন নিই নাই।
তাছাড়া বাচ্চারা ও অনেক বিরক্ত করছিল হাঁটতে হাঁটতে একদম ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। তো ভাবলাম আমরা বের হয়ে যাব তাই বের হয়ে যাবার উদ্দেশ্যে আমরা রওনা দিলাম সবাই। যেহেতু শেষ বিকেল সবাই বের হয়ে যাচ্ছিল। সেই হিসাবে আমরা সবাই বের হওয়ার জন্য রওনা দিলাম। সে সাথে আবারো শুরুতে দেখছিলাম যে হরিণ গুলো সেগুলো দেখে দেখে যাচ্ছিলাম। ছোট মেয়ে তো আবদার করলো আর হাঁটবে না। ছোট মেয়ে আর হাঁটবে না তাই বাবার কাঁধে উঠে গেল। সব বাবারাই মনে হয় এমন বাচ্চাদেরকে কাঁধে নিয়ে অনেক বেশি ঘোরাঘুরি করে। আর বাচ্চারা ও বেশ পছন্দ করে এই মুহূর্তটি।
বাবা মেয়ের এমন সুন্দর মুহূর্তটি আমি কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম। এরপরে সবাই মিলে গ্রুপিং করে স্মৃতি হিসেবে রাখার জন্য কিছু ফটোগ্রাফিও করে নিলাম। শেষ মুহূর্তে আর দেরি না করে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে যায় সবাই। কারণ অনেক খিদা লেগেছিল সবার। বের হয়ে একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম দেখি খাবার দাবার প্রায় শেষ সব ঠান্ডা হয়ে গেল। যেহেতু শেষ পর্যায়ে বিকেল ঘনিয়ে আসছিল। তো আর কি করার বাচ্চাদেরকে নিয়ে যা ছিল তা অল্প খাবার দাবার খেয়ে আবারো আমরা চলে গেলাম গন্তব্যস্থলে।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | ট্রাভেলিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় ঘুরাঘুরির অসাধারণ মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপনি। আপনার এই সুন্দর একটি আনন্দঘন মুহূর্তটা খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনার সাথে উপস্থাপন করেছেন দেখে ভালো লাগলো। পাশাপাশি প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফিও ছিল অসাধারণ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/wpvui-or-or-or-or
পরিবারের সবাইকে নিয়ে মিরপুর চিড়িয়াখানায় গিয়ে চমৎকার মহূর্ত কাটিয়েছিলেন। চিড়িয়াখানায় আমি চার বছর আগে গিয়েছিলাম। দেখি সময় করে আবারো যাবে। আপনাদের সবাইকে এক ফ্রেমে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।
চার বছর আগে যেহেতু গিয়েছিলেন আবারো যেতে পারেন ভাইয়া তবে নিত্য নতুন কিছু এড হয় প্রতিনিয়ত তাই।
আপু আমার প্রতিদিনের তুলনায় আজকের দিন খুব ভালো কেটেছে। কারণ বৃষ্টি ছিলও সারাদিন আম্মুও বাসায় ছিলও না তাই মন ইচ্ছা মতো ভিজেছিলাম বৃষ্টি তে।আর আপনি আপু পরিবার নিয়ে চিরিয়াখানায় ঘুরতে গিয়েছেন।ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝতে পারছি দারুণ সময় কাটিয়েছেন।অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল আপু।
তাহলে তো আপনি দারুন সময় কাটালেন বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে। তবে জ্বর আসলে কিন্তু ভালো হবে না আপু।
আসলে আপু শুক্রবার দিনটা অনেক ব্যস্ত যায়, আজ ও তার ব্যতিক্রম হয়নি।আপনি ঠিক বলেছেন আপু নিজ এলাকা ছেড়ে কোথাও যেতে ইচ্ছে করে না। যাইহোক আপু বাবারা বাচ্চাদের একটু বেশিই ভালো বাসে।আপনারা সবাই মিলে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। আর আবহাওয়া ঠান্ডা ছিল বিধায় আরো ভালো সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু শুক্রবার দিন আসলে আমার অনেক ব্যস্ত সময় যায়। আর চিড়িয়াখানায় তো অনেক ভালো সময় কাটালাম সবাই মিলে।
Twitter Link Share