"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৪৮ || শীতকালীন ফটোগ্রাফি।
আসসালামু আলাইকুম/আদাব
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির @amarbanglablog সকল ব্লগার ভাই ও বোনেরা সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি লেখার শুরুতে। আশা করি সকলেই অনেক ভাল আছেন। যেহেতু এখন আস্তে আস্তে শীতের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে ওয়েদারটা বেশ দারুন হয়ে যাচ্ছে। শীতকাল আসলে অনুভূতিতে বেশ ভালো লাগা কাজ করে। বাচ্চাদের পরীক্ষা শেষ হবে অনেক ঘোরাফেরা করবো। অনেক মজার মজার শীতকালীন পিঠা খাব। অনেক আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে যাব। খুব সুন্দর সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য অনুভব করব অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটাবো। সেই কল্পনা করতে করতে আসলেই অনেক সময় কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যাই। ভীষণ ভালো লাগার একটি মুহূর্ত আমার কাছে শীতকাল ঋতু। তো বন্ধুরা অনেক কথা বলে ফেলেছি এইবার চলে আসি মূল কথায়। আজকে আমি উপস্থিত হয়েছি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।
আসলে প্রতিযোগিতা এমন এক ভাল লাগা কাজ করে অংশগ্রহণ করতে না পারলে ভালো লাগে না। কারণ আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির প্রতিযোগিতা মানে সব সময় ইউনিক কিছু দেখার সুযোগ হওয়া। এছাড়া আমরা সকলেই চেষ্টা করি নিজেরাই নতুন এবং ভিন্ন কিছু শেয়ার করার জন্য। আমি প্রথমে ভাবছিলাম আসলে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারব না। কারণ যেহেতু শহরে আছি এখানে তেমন শীতকালীন প্রাকৃতিক দৃশ্য উপলব্ধি করা যায় না। যদিও শীতের প্রকৃত আনন্দ উপভোগ করতে হলে গ্রামে কিংবা পাহাড়ে গেলে যথেষ্ট পরিমাণ ভালো লাগা কাজ করে। প্রথমে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য। প্রথমে ধন্যবাদ জানাই আমাদের শ্রদ্ধেয় প্রিয় দাদাকে @rme দাদা। এছাড়া আরো অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই আমাদের সকল সম্মানিত এডমিন মডারেটর ভাই-বোনদেরকে। যারা প্রতিনিয়ত আমাদেরকে অনেক অনেক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
তো বন্ধুরা এইবার চলে আসি মূল কথায়। আজ সকালে ভাবলাম যেহেতু মেয়ের পরীক্ষা আছে একদম সকাল আটটায়। তো আমি ছয়টায় ঘুম থেকে উঠেছি। নামাজ পড়ে একটু কোরআন তেলাওয়াত করলাম। এরপরেই ভাবলাম একটু বাইর থেকে হেঁটে আসবো। এর পরে শীতকালীন কোন দৃশ্য পাই কিনা একটু দেখে আসব। আবার ভাবলাম মেয়ের যেহেতু পরীক্ষা আসলেই মেয়েকে পরীক্ষার হলে না দিয়ে আগে আমার বের হওয়া ভালো হবে না। তখন কিন্তু বেলা বেড়ে যাচ্ছিল সূর্য উঠে যাচ্ছিল। তাই মেয়েকে খাওয়া-দাওয়া করিয়ে রেডি করায় দিলাম। এর পরেই মেয়েকে স্কুল রুমে প্রবেশ করাই দিয়ে আমি বের হয়ে পড়ি স্কুল থেকে।
তার পরে ভাবলাম একটু হাঁটবো এরপরে কোন শীতকালীন দৃশ্য পাই কিনা দেখব। আমাদের বাসা থেকে বিশ ত্রিশ মিনিট হাঁটলেই একটি হিল টপ এরিয়া আছে। তো সেখানে উঁচু পাহাড় একদম ঘন জঙ্গল। বলতে গেলে একদম গ্রামের মতোই সব সময় কুয়াশা লেগে থাকে একদম অন্ধকার এমন একটি জায়গা। ভাবলাম সেদিকে যাব। আসলে সেখানে একা যাওয়া অনেক রিস্কের কারণ। কারণ সন্ধ্যা হলে সেখানে থাকা যায় না। একদম সকাল হলেও অনেক সমস্যা। কারণ অনেক চোরেরা সেখানে থাকে। যদি একা মেয়ে মানুষ পাই হাতে মোবাইল পেলে তাহলে তো সমস্যা হতে পারে। সেজন্য আসলে আমি বের হচ্ছিলাম না সকাল বেলায়। কারণ শহরে যে শীত নেই আসলে সেটা ভুল ধারণা।
আমরা যেহেতু শহরের বিল্ডিং এর মধ্যে আবদ্ধ থাকি। তাছাড়া ঘুম থেকেই বিশেষ করে অনেক দেরি করে ওঠি। ততক্ষণে কিন্তু বেলা অনেক বেশি বেড়ে যায়। যার কারণে আমরা শীত আসলেই অনুভব করতে পারি না শহরের মধ্যে। যা আমি আজকে সকালে হাঁটতে যেয়ে বুঝতে পেরেছি। হিল টপ এরিয়াতে পৌঁছানোর আগে পাশাপাশি একটি আমি খুব সুন্দর নার্সারি দেখতে পাই। আসলে ওই নার্সারি আমি এর আগেও দেখেছি। কিন্তু কখনো প্রবেশ করা হয়নি। ভাবলাম যে যেহেতু নার্সারি একদম খোলামেলা একটি পরিবেশ এখানে আসলে কিছু পাওয়া যাবে হয়তো। সেই চিন্তা করে ঢুকে পড়লাম। কিন্তু কোন মানুষের সন্ধান পেলাম না। আমি তো ফুলের ফটোগ্রাফি নিলাম। এছাড়া কুয়াশা পড়েছে এমন কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি পেয়েছি। তো কিছুদূর গিয়ে দেখলাম দুই তিনজন মানুষ সেখানে কাজ করতেছে।
তাদের থেকে অনুমতি নিলাম ফটোগ্রাফি গুলো করার। তো সেখান থেকে কিছু কুয়াশাচ্ছন্ন ফুলের ফটোগ্রাফি এবং প্রকৃতির ফটোগ্রাফি নিয়ে আবার বেরিয়ে পড়ি। আর একটু হাঁটার পরে হিল টপ এরিয়াটিতে পৌঁছে গেলাম। তো সেখানে গিয়ে দেখলাম আসলে সূর্য উঠে গেছে। আসলে এই জায়গায় কুয়াশা ছিল কিন্তু সূর্য ওঠার কারণে কুয়াশা চলে গেছে। তো বন্ধুরা যতটুকু পেলাম বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিলাম। এই জায়গাটি অনেক সুন্দর একটি জায়গা। বিশেষ করে যারা গোপনে প্রেম টেম করে দেখা করতে চাই তারাই বেশি এই জায়গায় চলে আসে হা হা হা। তবে এখন জঙ্গল গুলো পরিষ্কার করে নেওয়া হয়েছে। আশা করি একদম ভোর বেলায় গেলে বেশ সুন্দর দৃশ্য দেখতে পেতাম।
তো বন্ধুরা মূল কথা হচ্ছে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করতে পারবো না সেটা আসলে খুবই দুঃখের ছিল আমার কাছে। আসলেই জিতা বা হেরে যাওয়া সেটা কোন বিষয় না। আমার কাছে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা মানে অনেক ভালো লাগার কাজ করে। আমার ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে শীতের কোন অনুভূতি খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা সেটা আমি জানি না। কিন্তু আমি চেষ্টা করেছি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার। কিছুটা হলেও শীতের প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো নেওয়ার চেষ্টা করেছি।
আশা করি আপনাদের বেশ ভালোই লাগবে। সময় দিয়ে দেখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ সবাইকে। সবার জন্য শুভকামনা রইল।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | শীতকালীন প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি। |
আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি। আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
অনেক সুন্দর ভাবে আপনি এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন। যেখানে শীতের সময় শিশির পরে, আর সেই শিশির পড়া ফুল পাতা দৃশ্য আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। পাশাপাশি প্রাকৃতিক পরিবেশের দৃশ্য সূর্য উঠার দৃশ্য, বেশ ভালো লাগলো আপনার সুন্দর সুন্দর এ ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেরে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সময় দিয়ে আমার পোস্টে দেখার জন্য। খুব সুন্দর গঠনমূলক মতামত দেওয়ার জন্য।
শীতকালীন এত সুন্দর সুন্দর আকর্ষণীয় সব ফটোগ্রাফি নিয়ে, এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি কিন্তু খুব সুন্দর ভাবেই ফুটে উঠেছে। আসলে শহর অঞ্চল মানেই হচ্ছে ঘরের মধ্যে বন্দী হয়ে থাকা। বাহিরে হাঁটতে গিয়েছিলেন এবং তখন এই ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন সত্যি অসম্ভব সুন্দরই লাগছে দেখতে। ফুল গুলোর উপরে শিশির পড়ে থাকার কারণে আরও সুন্দর লাগছে দেখতে।
অনেক ভালো লাগলো আপু আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভালো লেগেছে জানতে পেরে।
Twitter
অসাধারণ কিছু আলোচিত্র আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন খুবই ভালো লাগলো। শীতের আবহাওয়া খুব ভালোই বুঝতে পারছি দিন যত যাবে শীত আরো বেশি তীব্র হবে। শীতের শুরুতেই এমন আয়োজন এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে সবার ফটোগ্রাফি দেখতে খুবই ভালো লাগছে।
আপনার ফটোগ্রাফি এবং লেখা গল্পগুলো খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে
ঠিক বলছেন যতই দিন আসতেছে ততই শীত আরও বেশি বেড়ে যাবে। অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সবার জন্য অপেক্ষা করতেছে।
শহরের দিকে থাকলে শীতকালটা ভালোভাবে উপভোগই করা যায় না, এই বিষয়টা আমার মনে হয়। গ্রাম অঞ্চলে শীতের আবাস টা ভালোই পাওয়া যায় । যাইহোক আপনি সকালবেলায় উঠে চেষ্টা করেছেন সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করার যেগুলো ভালো লাগলো দেখে। এরকম নিরিবিলি জায়গা গুলো আমার খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে হাঁটতে বেশি ভালো লাগে এরকম জায়গায়।
ঠিক বলছেন ভাইয়া গ্রামে শীতের মজা আলাদা উপভোগ করা যায়। অনেক ধন্যবাদ আমার ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লাগার জন্য।
আপু শহরে থেকেও আপনি বেশ সুন্দর শীতকালীন ফটোগ্রাফি করেছেন। আমি তো ফটোগ্রাফি করার মতো তেমন কিছুই খুঁজে পাচ্ছি। আমার বাসার আশেপাশে তেমন কিছুই নেই। যেদিকে তাকাই শুধু ইট পাথরের বড় বড় দালান দেখা যায়। মেয়েকে সকালে স্কুলে দিয়ে আপনি হাঁটতে বের হয়ে ভালো করেছেন। তারজন্য আমরাও এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু চেষ্টা করেছি অনেক দূর হেঁটে গিয়ে এই ফটোগ্রাফি গুলো নেওয়ার। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
বাহ! বেশ ভালই ফটোগ্রাফি করেছেন আপু । বিশেষ করে সূর্যের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ।শেষের ফটোগ্রাফিটা দারুণ ছিল । সব মিলিয়ে আপনার ফটোগ্রাফির পর্বটা উপভোগ করলাম ।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে আমার পোস্ট পড়ার জন্য সময় দিয়ে।
প্রথমেই আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আসলে শীতকালে ঘুরাঘুরি করতে এবং মজার মজার পিঠা খেতে সত্যিই খুব ভালো লাগে। যাইহোক আপনি চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। শিশির ভেজা বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি দেখে খুব ভালো লাগলো। নিরিবিলি জায়গায় এমনিতেও চোরের উৎপাত বেশি থাকে। নার্সারিতে ঢুকেও বেশ কয়েকটি ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। সবমিলিয়ে বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সত্যি ভাইয়া শীতকালের সিজন টা অনেক দারুন বলতে হয়।