ট্রাভেলিং- কক্সবাজার ইনানী ভ্রমণে সুইমিং পুলে গোসল (শেষ মুহূর্ত)।
শুভ দুপুর প্রিয় বন্ধুরা
প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। প্রতিদিনের মত ফিরে আসতেই খুব ভালো লাগে আপনাদের সাথে নিজের ভালো-মন্দ শেয়ার করার জন্য। এবং নিজের ভালো লাগার এবং খারাপ লাগার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য। বন্ধুরা আজকে আবার নতুন একটি টপিক্স নিয়ে হাজির হয়ে গেছি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। লেখা শুরুতে আপনাদেরকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাচ্ছি আমার আজকের ব্লগিং পর্বে। বন্ধুরা আমি আপনাদেরকে গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম কক্সবাজার ইনানীতে ঘুরতে যাওয়ার খুব সুন্দর সুন্দর কিছু মুহূর্ত। আজকেও আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনানী ভ্রমণের আরো কিছু সুন্দর মুহূর্ত।
বন্ধুরা আমি আপনাদের সাথে গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম বাচ্চারা যেহেতু সুইমিংপুলে গোসল করতে নামলো। তো আমি এদিক-ওদিক থেকে কিছু ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম। সেই সাথে তাদের সুন্দর মুহূর্তটি আমিও উপলব্ধি করেছিলাম বসে বসে। তো বাচ্চারা এত বেশি হইহুল্লোড় করছিল বলার মতই না। নিশ্চয়ই আপনারা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বুঝতে পারবেন কতটাই উত্তেজিত ছিল তারা। প্রথমে যেহেতু লোকজনের সংখ্যা কম ছিল। কিন্তু যতই বেলা বাড়ছিল ততই যেন সেখানে মানুষের ভিড় জমে গেল। অনেক জমজমাট একটি পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে গেল। ছোট, বড়, বৃদ্ধ সবাই নেমে গেল সুইমিং পুলে মজা করার জন্য। এখানে দুটি সাইট ছিল একটা কিডস জোন অন্যটা হচ্ছে বড়দের জন্য।
কিডস জোন টা একটু গভীরত্ব কম ছিল তো সেখানে বাচ্চারা খেলাধুলা করছিল। তারপরও বাচ্চাদের জন্য নিরাপত্তার জন্য সুইমিং রিং গুলো দিয়েছিল। তো যেটা বড়দের জন্য ছিল সেটা একটু গভীরত্ব ছিল। তবে সেখানে বাচ্চাদেরকে যাওয়া নিষেধ ছিল। কারণ কোন ধরনের যদি দুর্ঘটনা হয় বাচ্চাদের তাহলে তো বিপদে তাদেরই পড়ে যায়। বাচ্চারা অনেক বেশি ছোটাছুটি করেছিল। তো আমি বললাম তাদেরকে চলে আসার জন্য। যেহেতু বাচ্চারা তেমন একটা পানিতে সাঁতার কাটে না কিংবা গোসল করে না। যেহেতু টাউনে তাকে এখানে তো পুকুরের কোন ব্যবস্থা নেই। তো তারা এমন সুন্দর একটি সুইমিং পুল পেয়ে অনেক বেশি আনন্দিত ছিল। তাই পানি থেকে আর আমি তাদেরকে নিয়ে আসতে পারতেছি না।
তাদের বাবা তো অনেক বেশি বিরক্ত করছিল যেহেতু দুইজনকে সামলানো যাচ্ছিল না। বিশেষ করে ছোট মেয়ে টা অনেক বেশি জিদ ধরে। তাই তাকে সুইমিং পুল থেকেই নিয়ে আসা যাচ্ছিল না। যেহেতু ওদের বাবা খুব বেশি উত্তেজিত হয়ে গেল তাদের নিয়া। তখন ভাবলাম আমাকে নামতে হবে বুঝতে পারছি। কারণ এতক্ষণ বিরক্ত করলে এমনিতেই মানুষ বোরিং হয়ে যায়। যেহেতু দুইজন দুই দিকে ছোটাছুটি করছিল। তখন ভাবলাম আসলে আমাকে নেমে যাওয়াই উচিত। তখন আমি মোবাইল টা ব্যাগে মধ্যে রেখে দিয়ে সোজা নেমে গেছি। আসলে প্রথমে আমার কোন প্রস্তুতি ছিল না সেখানে নামার জন্য। তাছাড়া আমি উপরে যাইনি ড্রেস চেঞ্জ করার জন্য। তো যেরকম ছিলাম সেভাবে নেমে গেলাম। আসলে সেখানে নামার পরে বুঝতে পেরেছি অনেক বেশি ভালো লাগছিল।
বাচ্চাদের সাথে আমিও কিছুক্ষণ সময় কাটালাম। ছোট মেয়েকে কিছুক্ষণ সাঁতার শেখালাম। এবং বড় মেয়েকেও শেখালাম কিভাবে সাঁতার দিতে হয়। দেওয়ার পরে দেখতেছি বাচ্চাদের শরীর একদম শীতল হয়ে গেছে। তো আমি বললাম চলো ফিরে যাই আমরা আগামীকাল আবার নামবো পানিতে। কিন্তু কিছুতে শোনাতে পারি না তাদেরকে। বুঝতে পারছেন আসলে বাচ্চাদেরকে সহজে কোন কথাই কাজ হয় না। তাই তাদেরকে বললাম তোমরা যদি এরকম করো তাহলে আর কোন দিনই আসা হবে না। তখন বুঝিয়ে সুঝিয়ে বলার পরে উঠে গেলাম। উঠে গিয়ে তাদেরকে ভালো মত কাপড় চোপড় দিয়ে তোয়ালে দিয়ে মাথা এবং শরীর মুছে দিলাম। মুছে দেওয়ার পরেই সোজা চলে গেলাম আমাদের রুমে।
আসলে পানি গুলো নিরাপদ থাকার কথা না। যেহেতু সবাই নামে সেখানে ছোট বাচ্চারাও নামে। তো গোসল তো করতেই হবে। তাই সোজা রুমে চলে এসে দুই মেয়েকে গোসল করাই দিলাম। এরপর আমি নিজেও করে নিলাম। গোসল করে নেওয়ার পরে কিছুক্ষন রেস্ট নিলাম। রেস্ট নেওয়ার পরে যখন সন্ধ্যা হয়ে যায় তখন আবার বেরিয়ে পড়লাম সবাই মিলে। মুহূর্তটি খুবই মজার ছিল বন্ধুরা। আশা করি আপনাদের কাছে আমার আজকের মুহূর্তটি বেশ ভালই লেগেছে।
আপনারা সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। সময় দিয়ে আমার পোস্ট গুলো পড়ার জন্য। প্রতিনিয়ত আমাকে এত সুন্দর ভাবে সহযোগিতা করার জন্য বেশ ভাল লাগে।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার ইনানীর রয়েল টিউলিপে |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | ট্রাভেলিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
সুইমিংপুলে দেখছি বেশ সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন পরিবার নিয়ে। জি কিডস জোন এ গভীরতা মেলা তাই সাবধানে তাদের সব সময় দেখাশোনা করা উচিত। নাহলে যেকোনো সময় দুর্ঘটন করতে পারে। বাচ্চাগুলি খুব ইনজয় করেছে মনে হচ্ছে। তাদের হাঁসি মুখটা ফুটে উঠেছে অনেক সুন্দর ভাবে। মুহূর্তটি আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। খুব শীঘ্রই যাব মনে করছি। অনেক ভালোলাগার একটি জায়গা।
একটা বিষয় খুব ভালো লেগেছে বাচ্চারা অনেক বেশি আনন্দ করছিল।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/cxrcb
আগেও ইনানীর ছবি পোস্ট করেছিলেন, আজ শেষ মুহূর্তে বাচ্চাদের সুইমিং পুলে আনন্দ ঝাঁপাঝাপি সেই গল্পের সাথে নিজেকে ভাগাভাগি করতে পেরে খুব ভালো লাগলো, চমৎকার একটা দিন কাটিয়েছেন এবং স্মৃতির পাতায় স্মৃতি হয়ে থাকবে বলে মনে হচ্ছে।
আমার শেয়ার করা দুইটা্ পোস্ট আপনি সময় দিয়ে পড়েছেন।এবং বেশ ভালই অনুভূতি প্রকাশ করলেন।
আর বলবেন না আপু আমার ছেলেও সুইমিংপুলে নামলে একদম উঠতেই চায় না। অনেক জোর করে উঠাতে হয় ওকে।মেয়েদেরকে নিয়ে খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন এবং মেয়েরা সুইমিং পুলে গোসল করতে পেরে খুবই খুশি হয়েছে দেখছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু কক্সবাজারে ভ্রমণে গিয়ে সুইমিং পুলে গোসল করার মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলছেন আপু খুবই বিরক্ত করছিল বাচ্চারা।
আশা করি আপু ভালো আছেন? কক্সবাজার ইনানী ভ্রমণে সুইমিং পুলের আজকের শেষ পর্ব পড়ে খুব ভালো লাগলো। বেশ চমৎকার মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আসলে পরিবারের সকলকে নিয়ে এত চমৎকার মুহূর্তের অনুভূতি সত্যি বেশি দারুণ। সুইমিং পুলের বাচ্চারা বেশ আনন্দ উপভোগ করেছে। এতো চমৎকার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমর পোস্ট সময় দিয়ে পড়েছেন এবং খুব সুন্দর একটি গঠনমূলক মতামত দিলেন ভালো লাগলো।
Twitter