ছুটির দিনে বাবা মেয়েদের আনন্দময় কিছু মুহূর্ত।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার।
আসসালামু আলাইকুম লেখা শুরুতে সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানিয়ে আমি আজকের ব্লগিং পর্ব শুরু করতেছি। আশা করি সকলেই ভাল আছেন? আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে অনেক ভালোবাসি এবং সুস্থ আছি। বন্ধুরা দুই একদিন বৃষ্টি হয়েছিল তাই ওয়েদারটা অনেক ঠান্ডা ঠান্ডা ছিল। কিন্তু আজকে আবারো অনেক বেশি গরমের মাত্রা অস্থির হয়ে গেছি। তাছাড়া পরিবারের দুইজন বাচ্চা অসুস্থ সর্দি কাশি লেগেছে। কিন্তু দিনকাল তেমন একটা ভাল যাচ্ছে না বলা যায়। চারদিকে শুধু অসুস্থতার খবর শুনতেছি পরিস্থিতি তেমন ভালো নয় বললে চলে।
গ্রামে এসেছি তিন দিন হল তবে একটু ব্যস্ততার মধ্যে যাচ্ছে দিনকাল। কারণ একটা বিশেষ কারণে আসা হয়েছে সেজন্য। তো সেই ব্যস্ততার মাঝেও আপনাদের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য চেষ্টা করি আজকে আবারো ফ্রি হয়ে আপনাদের সাথে যুক্ত হলাম নতুন একটি বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করব বলে। আসলে শুক্রবার শনিবার দুই দিন অফিস ছুটি থাকে আমার হাজবেন্ডের তাই বাচ্চারা অনেক বেশি খুশি থাকে। বলতে পারেন শুক্রবার শনিবার ২ দিন বাচ্চাদের জন্য ঈদের দিন হয় কারণ এতই বিরক্ত করে ওরা বাবাকে কোন দিকে স্থির করে বসে থাকতে দেয় না তা শুক্রবার শনিবার আসলে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে নেওয়া হয়। তাছাড়া সময় সুযোগ হলে সাইকেল নিয়ে বাইরে চলে যায়। তবে প্রায় সময় যাওয়া হয় তাদের নিয়ে ওদের বাবা। তবে তারপর ও ভাল থাকার চেষ্টা করি সব সময়।
বড় মেয়েটা এখন আস্তে আস্তে বড় হয়ে যাচ্ছে তাই বাবাকে একটু কম বিরক্ত করার চেষ্টা করে এখন। কিন্তু ছোট মেয়েটাকে তো কিছুতেই সামলাতে পারি না অনেক বেশি বিরক্ত করে মেয়েটি বাবাকে। তাছাড়া একটু চঞ্চল টাইপের বেশি তাই কোন কিছুতেই তাকে সামলে রাখানো কষ্টকর হয়ে যায় আমার পক্ষে। আমার কাছ থেকে জিজ্ঞেস করতে থাকবে সব সময় আম্মু আজকে কি বার? শুক্রবার আসতে আর কয়দিন আছে মা? এরকম জিজ্ঞেস করতে থাকে কারণ শুক্রবার-শনিবার হলে তাদের জন্য খুব সুবিধা হয়। আমার কাছ থেকে এত বেশি সুযোগ সুবিধা পাই না তাই ওরা বাবার জন্য অপেক্ষা করে শুক্রবার শনিবার আসার জন্য।
আগে থেকে বলে রাখছিল ওর বাবাকে নিয়ে সাইকেল চালানোর জন্য বের হয়ে যাবে। সেজন্য গত শুক্রবারে দুই মেয়ে এবং বাবার সাথে জেলা পরিষদের প্রাঙ্গনে সাইকেল চালানোর জন্য চলে যাই। জেলা পরিষদ ভবন আমাদের বাসা থেকে খুবই কাছাকাছি তাই ওদের বাবা তাদেরকে নিয়ে জেলা পরিষদের ভবনে গিয়েছিল। সেখানে অনেক খোলামেলা জায়গা আছে তাই সাইকেল চালানোর জন্য সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। যেহেতু মাঠের মধ্যেই ভিজা ছিল বর্ষাকাল তাই। বাবার সাথে মেয়েরা গিয়েছিল বিকেল চারটার দিকে সাইকেল চালানোর জন্য। তবে তারা বাসায় ফিরে বিকেল ছয়টার দিকে। অনেক ঘেমে ভিজে একদম টায়ার্ড হয়ে চলে আসলো বাসায়। একদম দুর্বল হয়ে গেছিল দেখে তো আমি অবাক তাদের কান্ড দেখে। চিনাই যাচ্ছিলো না রোদে পুড়ে একদম কালো হয়ে গেছিল।
তবে আমি তাদের সাথে একটুও রাগারাগি করি নাই। কারণ তারা তো সব সময় বের হতে পারে না। শুক্রবার শনিবার আসলে বাবার সাথে একটু খেলাধুলা করে অনেক আনন্দ পায়। সেজন্য তারা যখন বাসায় আসলো তাদেরকে আমি গোসল করায় দিলাম। গোসলের পরে নাস্তা খেতে দিয়ে একটু করে সময় দিলাম রেস্ট নেওয়ার জন্য। এভাবে শুক্রবার শনিবার আসলে দুই মেয়ে বাবা সাথে অনেক আনন্দের মুহূর্ত সময় কাটায়। আমার তো দেখেই অনেক ভালো লাগে। দেখে আমিও আনন্দ পাই সত্যি বলতে।
আশা করি আপনাদের কাছে আমার আজকের ব্লগিংটা অনেক ভালো লেগেছে। আপনারা আমার দুই মেয়েদের জন্য দোয়া করবেন। আজ এই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন আর সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইসের নাম | স্যমসং গ্যালাক্সি |
---|---|
মডেল | A51 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
লোকেশন | কক্সবাজার জেলা পরিষদ, বাংলাদেশ |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/b8c8daebc5ace
সাপ্তাহিক দুইটা দিন ভাগ্নীদের সাথে ভাইয়ার সময় দেয়া জরুরি। তবে ভাইয়াও তো রেস্ট করতে বাসায় আসে আর ভাগ্নীরাও বড় হচ্ছে। বাহিরের পরিবেশ দেখা দরকার, উপভোগ করতে হবে। আজকের বিকেলটা ভাগ্নীদের ভালোই কেটেছে তাহলে
ঠিক বলছেন ভাইয়া আসলে বাচ্চাদের বের করা দরকার।
Twitter
আসলে এখন মানুষের কর্মব্যস্ততা এতটাই বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছে যার কারনে পরিবারের সাথে সময় দেয়াটা যেন কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। ভালোই করেছিলেন শুক্রবারে ভাগ্নিদের কে নিয়ে সাইকেল চালানো শেখাতে যেয়ে। এতে তারাও একটু মজা পেল সাথে সাইকেল চালানোটা ও অনেকটাই শিখে গেল।
জি ভাইয়া মাঝে মধ্যে ওদেরকে নিয়ে বের হয় সাইকেল চালানোর জন্য। দোয়া করবেন আপনার ভাগ্নীদের জন্য।