লাইফস্টাইলঃ-হোটেল জামানে খাওয়া দাওয়ার একদিন।
সবাইকে শুভ দুপুর,
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ব্লগার ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। আপনারা সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানিয়ে শুরু করতেছি আমার আজকের ব্লগিং। বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলে ভাল আছেন পরিবার পরিজনকে নিয়ে। আলহামদুলিল্লাহ সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে আমিও ভাল আছি। ভাল থাকার চেষ্টা করতেছি। কিন্তু ভালো থাকাটা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে আমার জন্য। কারণ মা হারানোর বেদনা আমার দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। কিছুতে আমি ভুলতে পারছি না আমার কষ্ট যেন আরো দিন যতই বেড়ে যাচ্ছে ততই দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। আপনারা সবাই আমার আম্মুর জন্য দোয়া করবেন। তো বন্ধুরা আজকে আবার উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আমি আজকে যে বিষয়ে শেয়ার করব তা হচ্ছে লাইফ স্টাইল পোস্ট।
বন্ধুরা আপনারা তো জানেন প্রায় সময় আমি বাচ্চাদের নিয়ে বের হয়। আসলে বের হলেই মাঝে মধ্যে খাওয়া দাওয়া হয় বাইরে গেলে। তবে হালকা নাস্তা পানি খেলেও ভারি খাবার টুকু কম খেয়ে থাকি আমরা বাইরে। মাঝে মধ্যে খাওয়ার চেষ্টা করি তবে বলতে গেলে খুবই কম। মেয়েদেরকে নিয়ে একদিন বের হয়েছিলাম। তবে বাচ্চারা বলছিল রাতে একেবারে খেয়ে আসবে বাসায়। দিনটি ছিল সেদিন শুক্রবার। তো বন্ধুরা সেদিন বেশ কয়েকটা নাম করা খাবারের হোটেলের মধ্যে মেজবানের আয়োজন চলছিল। আপনারা তো জানেন বন্ধুরা মেজবান খাবার কতটা মজার। বিশেষ করে যেগুলো পুরাতন এবং ঐতিহ্য হোটেল সেখানে সপ্তাহে শুক্রবার শনিবার মেজবান করে থাকেন। তো আমিও চিন্তা করছিলাম সেদিন মেজবানের খাবার খাব হোটেল থেকে।
আমাদের এখানে কক্সবাজারের পুরাতন হোটেলের মধ্যে জামান হচ্ছে অন্যতম একটি হোটেল। যেটা বেশ কয়েক বছর আগে অনেক বেশি জনপ্রিয় ছিল। এখন তো অনেক ধরনের হোটেল হয়েছে। কিন্তু ঐতিহ্য হিসেবে সেই হোটেল গুলোর মান এবং মানুষের আনাগোনা এখনো থেকে গেছে। বাচ্চাদেরকে কথা দিয়েছি রাতে খাবার খাওয়াবো। তো আমি ওদেরকে নিয়ে বের হয়ে গেছি। যেহেতু ওদের আব্বুর কিছু কাজ ছিল তাই আমি আগে বের হয়ে কিছুক্ষণ ঘুরলাম। যখন ওনার কাজটা শেষ হয়ে গেল তখন আমাকে ফোন দিল যেন হোটেলে পৌঁছে যায়। তো আমাদের বাসা থেকে বেশি দূরে ছিল না জামান হোটেলটি। সেখানে গেলাম যাওয়ার পরে খাবারের অর্ডার দিলাম।
তো আমাদের জিজ্ঞেস করলেন আমরা কোন প্লেটে খাব মেজবান খাবার। ওখানে মাটির পাত্রের ব্যবস্থা ছিল। তাছাড়াও ম্যানুয়াল যেগুলো দেই খাবারের প্লেট সব সময় সেগুলো ছিল। তো বন্ধুরা আমার থেকে জিজ্ঞেস করলেন আমি বললাম মাটির প্লেট দিয়ে খাব। যেহেতু মাটির জিনিস গুলো আমার খুব ভালোই লাগে। আসলে আমরা যখন ছোট ছিলাম আমাদের গ্রামে মাটির তৈরি জিনিসের অনেক ব্যবহার ছিল। আমার আম্মু অনেক ব্যবহার করেছিলেন। সেটা আমার খুব বেশি মনে আছে। কারণ তখন মাটির জিনিসের অনেক বেশি প্রচলন ছিল। তবে এখনো এমন কিছু গ্রাম আছে যেখানে মাটির জিনিস ব্যবহার করা হয়।
মাটির জিনিস দিয়ে খাবার পরিবেশন করার পরে আমার খুব ভালো লেগেছে। মনে হয়েছিল ঘরোয়া পরিবেশে বসে খাবার গুলো খেয়েছিলাম। জামান হোটেলটি অনেক পুরাতন একটি ভাতের হোটেল। যেহেতু এখনো ঐতিহ্য ধরে রাখছে এই হোটেল। যে কোন এলাকাতে কিছু ঐতিহ্য খাবারের হোটেল কিংবা অনেক কিছু থাকে। যেগুলো সেই জায়গার জন্য অনেক পুরাতন হলেও অনেক নামকরা। নামটি থেকে যায় সারা জীবন। তো আমরাও জামান হোটেলে গিয়েছিলাম এটাও আমাদের কক্সবাজারের অনেক নামকরা খাবারের হোটেল। বন্ধুরা খাওয়া দাওয়া করলাম বেশ ভালই লাগলো। অনেক সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছিলাম সেদিন বাচ্চাদেরকে নিয়ে। বাচ্চারা তো মাটির পাত্রের খাবার খেতে এত বেশি দেখে নাই। তাই তারাও অনেক বেশি এক্সাইটেড ছিল মাটির পাত্রের খাবার খেতে।
মেজবানের খাবারের আলাদা একটি ফ্লেভার আছে। আলাদা একটি মজা পাওয়া যায়। তো বন্ধুরা আইটেমটি নিয়েছিলাম খাসির মাংসের। খাসির মাংসের ভুনা টা অসাধারণ ছিল। খাসির মাংসের ভুনা, খাসির মাংসের বুটের ডাল রান্না। এছাড়াও পাতলা ডাল রান্না করেছিলেন খাসির মাংসের হাড় দিয়ে। প্রতিটি আইটেম বেশ ভালো লেগেছিল। তবে তাদের একটি আচারের আইটেম সেটাও অসাধারণ ছিল। সবকিছু মিলিয়ে খুব তৃপ্তি সহকারে খাবার গুলো খেয়েছিলাম। তবে বিরিয়ানির আইটেম খাইনি আমরা খেয়েছিলাম মেজবান খাবার। মেজবান খাবার কত মজার হবে নিশ্চয়ই বুঝতে পারতেছেন। আমি সাদা ভাত নিয়েছিলাম। সাদা ভাতে মাংস খেতে বেশ ভালোই লাগে গরম গরম মেজবানের মাংস।
আশা করি বন্ধুরা আমার আজকের এই মুহূর্তটা আপনাদের বেশ ভালো লেগেছে। তো সময় দিয়ে দেখার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমি কতটুকু লিখতে পেরেছি সেটা আমি নিজেও জানিনা। যেহেতু আমার মনের অবস্থা খুবই খারাপ। আসলে নীরবে থাকলেও আরো মন বেশি খারাপ লাগে। চেষ্টা করি ব্যস্ত থাকার কিন্তু কিছুতেই আড়াল করতে পারছি না আমার মাকে চোখের।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
আপু বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্ট প্রতি সাপ্তাহে একবার খাবারের আলাদা একটি অফার দেয়। আপনারা সেই অফারে মেজবানী খাবার খেয়ে আসলেন। হোটেল জামান নামটা শুনেই বুঝতে পারছি যে সেটা অনেক পুরাতন ঐতিহ্যবাহী হোটেল। মাটির পাতিলে খাবার রান্না করলে বা খেলে আলাদা একটি স্বাদ লাগে। ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন কক্সবাজারের অন্যতম হোটেল জামানে খাওয়া-দাওয়া একদিন। ছেলেমেয়েদের সাথে করে হোটেলে বেশ দারুন সময় কাটিয়েছেন। ভাইয়ের কাজ শেষে ফোন দিয়ে আপনারা বাড়ি থেকে হোটেলের দিকে রওনা দিয়েছিলেন জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। হোটেলে মাটির জিনিস দিয়ে খাবার পরিবেশন করা দেখে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
খাবার গুলো খুব মজার ছিল। তাছাড়া খুব সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছিলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
হোটেলটি দেখছি অনেক পুরনো তাহলে। এখনও পুরনো সেই ঐতিহ্য টিকিয়ে রেখেছে। মাটির পাত্রে সেই কবে খেয়েছিলাম মনেও নেই! খাসির মাংসের রেসিপিটা তাহলে ভালো ছিল।
মাটির পাত্রে খাওয়ার মজাই আলাদা বেশ ভালো লাগে আমার। ধন্যবাদ আপনাকে।
Twitter