রেসিপিঃ-মুলা এবং টমেটোর স্বাদে ছোট মাছের রেসিপি।
কেমন আছেন সবাই?
আসসালামু আলাইকুম ছুটির দিনে আশা করি আপনারা সকলেই ভালো আছেন? আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। বন্ধুরা সব সময় ভালো থাকার চেষ্টা করি শত ব্যস্ততার মাঝেও। সব সময় চেষ্টা করি কমিউনিটির কাজ গুলো করে নেওয়ার। যদিও মাঝে মধ্যে অনেক ব্যস্ত হয়ে পড়ি। কিন্তু ব্যস্ত হয়ে পড়লেও শত ব্যস্ততার মাঝে কাজ গুলো করে নিতে সতেষ্ট থাকি। আজকে আমি আবার উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আশা করি আমার আজকের ব্লগিং আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।
আমি আজকে নতুন একটি রেসিপি নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। যে রেসিপিটি আপনাদের কাছে আশা করি ভালো লাগবে। কারণ ছোট মাছ খেতে খুবই ভালো লাগে। আমরা ভাজাপোড়া, বিরিয়ানি অথবা যেকোনো ধরনের ভাজা খাই না কেন। মাঝে মধ্যে ছোট মাছ খেতে খুবই ভালো লাগে। কারণ ছোট মাছ স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। যদি নদীর বা সাগরের ছোট মাছ গুলো হয় তাহলে খেতে আরো বেশি সুস্বাদু হয়। আজকে আমি ছোট মাছের একটি রেসিপি নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। এখনও যেহেতু শীতের আমেজ থেকে গেছে। তাই চেষ্টা করেছি শীতের দিনের সবজি দিয়ে বিভিন্ন প্রকারের সবজি রেসিপি তৈরি করার।
আজকে আমি মুলা এবং টমেটোর স্বাদে ছোট কাচকি মাছের রেসিপি করেছি। ছোট মাছের মধ্যে কাচকি মাছ আমার খেতে খুবই ভালো লাগে। কারণ কাচকি মাছের ঝোল কিংবা চচ্চড়ি গুলো খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। আমি মুলা এবং টমেটো দিয়েছি হালকা ঝোল করে রান্না করেছি। আমার কাছে খেতে খুবই ভালো লেগেছে রেসিপিটি। সেই রেসিপিটি আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি বন্ধুরা আমার আজকের শেয়ার করা রেসিপিটি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে। তাহলে চলুন বন্ধুরা আমার আজকের রেসিপিটি আমি কিভাবে তৈরি করেছি সেই ধাপ সমূহ আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব—-----
উপকরণ | পরিমাণ |
---|
ছোট কাচকি মাছ- ৩০০ গ্রাম।
মুলা- ১ টি।
টমেটো- ২ টি।
পেঁয়াজ - ২ টি।
রসুন - ৪ কোয়া।
কাঁচা মরিচ পেস্ট- ২ চামচ।
ধনে পাতা কুচি- অল্প।
ধনে গুঁড়া, জিরে গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া - ১ চামচ করে।
লাল মরিচ গুঁড়া- ১ চামচ।
লবণ- স্বাদমত।
সরিষার তেল- পছন্দমত।
মুলা এবং টমেটোর স্বাদে রেসিপি তৈরির ধাপ সমূহঃ
রান্নার ধাপ-১
প্রথমে সব উপকরণ সমূহ উপরে তালিকা সহকারে নিয়ে দেখিয়েছি। এখন আমি সব সবজি গুলো এক সাথে নিয়েছি। সবজি নেওয়ার পরে খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি। এরপরে কুচি কুচি করে আমার পছন্দমত সাইজ করে কেটে নিয়েছি মুলা এবং টমেটো। অন্যান্য উপকরণ সমূহ সব রেডি করে নিয়েছি। মছ গুলো পরিস্কার করে ধুয়ে নিয়েছি। এখন রান্নার ধাপে চলে যাবো।
রান্নার ধাপ-২
এখন রেসিপি তৈরি করার জন্য চুলায় একটি পাত্র বসিয়ে দিয়েছি। সেখানে পরিমাণ মত তেল দিয়ে গরম হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবো। তেল গরম হয়ে আসলে প্রথমে পেঁয়াজ কুচি এবং রসুন কুচি দিয়ে দিয়েছি। সব উপকরণ এক সাথে দেওয়ার পরেই ভালোভাবে নেড়েচেড়ে ভেজে নিতে হবে।
রান্নার ধাপ-৩
পেঁয়াজ এবং রসুন ভালোভাবে তেলের মধ্যে কষিয়ে নেওয়ার পরে এখন দিয়ে দেবো শুকনো উপকরণ গুলো। লাল মরিচের গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া এবং কাঁচা মরিচ দেওয়ার পরে সামান্য পানি দিয়েছি। পানি দেওয়ার পরে সিদ্ধ করে নিতে হবে। হালকা সিদ্ধ করে নেওয়ার পরে সবজি গুলো দিয়ে দিছি।
রান্নার ধাপ-৪
ছোট মাছ যেহেতু তাই আমি আগে থেকে ভালো করে সবজি গুলো সিদ্ধ করে নিয়েছি। এরপরে সবজি যেহেতু প্রায় সিদ্ধ হয়ে আসে তখন ছোট মাছ গুলো দিয়ে দেব। যা আমি আগে থেকে ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়েছি।
রান্নার ধাপ-৫
যেহেতু ছোট মাছ তাই কম সিদ্ধ করব। বেশি সিদ্ধ করলে হয়তো একদম ভেঙ্গে যাবে। আগে সবজি গুলো সিদ্ধ করে নিয়েছি তাই বেশি আর সিদ্ধ করবো না। যখন পারফেক্ট সিদ্ধ হয়ে আসে তখন ধনেপাতা দিয়ে নামায় ফেলবো।
রেসিপির পরিবেশনা
এভাবে যখন পুরোপুরি সিদ্ধ হয়ে যায় তখন আমি পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত করে দিয়েছি। ছোট মাছ খেতে খুবই ভালো লাগে। যেহেতু সবজি দিয়ে রান্না করেছি খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল। শীতকালীন সবজি দিয়ে ছোট মাছ খেতে খুবই মজার হয়। টমেটোর স্বাদে এবং মুলার স্বাদে খুবই সুস্বাদু ছিল। আপনারাও এভাবে মুলা দিয়ে টমেটো দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন ছোট মাছের চচ্চড়ি। বন্ধুরা আশা করি আমার রেসিপিটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সময় দিয়ে দেখার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
<br
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি। আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
ছোট মাছ খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপু আপনি মুলা টমেটো দিয়ে চমৎকার ভাবে ছোট মাছ রান্না করছেন। দেখে তো মনে হচ্ছে রেসিপি টি ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল। রান্নার প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
ছোট মাছ খেতে বেশ ভালোই লাগে এভাবে টমেটো দিয়ে রান্না করলে।
যদিও মাঝে মাঝে অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারপরেও যে আপনি কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত সময় দিয়ে যাচ্ছেন এটা সত্যি অনেক বেশি প্রশংসনীয়। মজাদার একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বরাবরই আপনি অনেক মজাদার মজাদার রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরেন। ছোট মাছ আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে আর মুলা এবং টমেটো দিয়ে এরকম ভাবে খুবই কম খাওয়া হয়েছে। শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
শত ব্যস্ততার মাঝেও কমিউনিটিতে সময় দিতে অনেক ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে রেসিপিটি সময় দিয়ে দেখার জন্য।
ছোট মাছ মুলা এবং টমেটো দিয়ে দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। ছোট মাছ খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। বিশেষ করে টমেটো দেওয়ার জন্য মনে হচ্ছে খেতে আরো বেশি মজা হয়েছিলো। রেসিপির কালারটা চমৎকার এসেছে। ধন্যবাদ মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগে ভাইয়া। মাঝে মধ্যে একটু করে সবজি দিয়ে রান্না করলে খুব মজার হয়।
ছোট মাছ আমারে খুবই পছন্দের। ছোট মাছ খেতে আমি পছন্দ করি। আসলে বড় বড় মাছের চাইতে ছোট মাছ যদি সুস্বাদু ভাবে রান্না করা হয় সেই রেসিপি খেতে বেশী মজা লাগে। আপনার ছোট মাছের রেসিপি দেখে যেন মজাদার মনে হচ্ছে।
বড় মাছের চেয়ে ছোট মাছ স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী ভাইয়া।
মুলা এবং টমেটোর স্বাদে ছোট মাছের রেসিপিটা দারুন হয়েছে। আপনি রেসিপিতে সরিষার তৈল ব্যবহার করেছেন দেখলাম। আর কাচঁকি মাছ গুলো খেতেও ভীষন ভালো লাগে। আমার দাদার প্রিয় মাছ ছিল গুলো। অনেক সুন্দর রেসিপি হয়েছে। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া নিয়মিত সরিষার তেল খাওয়ার চেষ্টা করি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে রেসিপি ভিজিট করার জন্য ধন্যবাদ।
ছোট মাছ পুষ্টিকর এবং খেতেও অসাধারণ লাগে।
আপনি মূলা দিয়ে চমৎকার স্বাদের তরকারি রান্না করেছেন। এটা নিঃসন্দেহে পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাবার। আমি মাঝে একদিন এভাবে খেয়েছিলাম আর অসাধারণ লেগেছিল। আমি এগুলোকে তৃপ্তিদায়ক খাবার বলে থাকি।
অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার খাবারটি উপস্থাপন করার জন্য।
খুবই সুস্বাদু হয়েছিল রেসিপিটি। ছোট মাছ খুবই মজার হয়। তাছাড়া মুলা আর টমেটো দেওয়ার কারণে আরও অনেক বেশি ভালো লাগছিল খেতে।
অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। টমেটো মুলা দিয়ে ছোট মাছের রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। টমেটো দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে অনেক দারুন লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার রান্না করতে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে আমার রেসিপিটি দেখে ভালো লাগার জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন মুলা এবং টমেটোর স্বাদে ছোট মাছের রেসিপি রেসিপি তৈরির পদ্ধতি। আপনার তৈরি রেসিপি গুলো দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। এমনিতেই শীতকালীন সবজি দিয়ে ছোট মাছ খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। সবজির মধ্যে টমেটো হচ্ছে আমার সবথেকে ফেভারিট। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলছেন শীতকালীন সবজি দিয়ে যেকোন রেসিপি করতে ভালো লাগে। আর খুবই ভালো লাগে। যেহেতু ছোট মাছ দিয়ে মুলা এবং টমেট দিয়ে রান্না করেছিলাম খুব টেস্টি ছিল খাবার।
মুলা এবং টমেটোর সাথে ছোট মাছের রেসিপি অনেক ভাল লাগে খেতে। ছোট মাছের রেসিপি গুলো খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে তার সাথে যদি টমেটো দেওয়া হয় তাহলে দুর্দান্তভাবে জমে ওঠে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সময় দিয়ে রেসিপিটি ভিজিট করার জন্য।
বস্ত থাকার পরে ও চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন। ছোট মাছ খেতে ভীষণ সুস্বাদু লাগে। আপনি দেখছি সবজি দিয়ে রান্না করেছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে বেশ জমিয়ে খেয়েছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
খুবই সুস্বাদু ছিল ভাইয়া খেতে। ধন্যবাদ আপনাকে রেসিপিটি দেখে ভালো রাখার জন্য।