রেসিপিঃ-তেঁতুল আর বড়ই মিক্স ঝাল মিষ্টি আচারের রেসিপি।
সবাইকে শুভ রাত্রি,
প্রিয় কমিউনিটির সকল ব্লগার ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। আশা করি বন্ধুরা আপনারা সকলেই ভাল আছেন? আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভাল আছি আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। প্রতিনিয়ত ভালো থাকার চেষ্টা করি এবং সবাইকে ভালো রাখার চেষ্টা করি। প্রিয় বন্ধুরা আজকে আবারও উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। যদিও দিনের বেলায় করার চেষ্টা করি পোস্ট। কিন্তু আজকে অনেক বেশি ব্যস্ত ছিলাম তাই পোস্ট লিখতে অনেক দেরি হয়ে গেল। যেহেতু আজকে আপনাদের ভাইয়ের অফিসে একটি অনুষ্ঠান ছিল। তো সেখান থেকে আসতে আসতে অনেক লেট হয়ে গেল। আসার পরে ফ্রেশ হয়ে বসে পড়লাম পোস্ট লিখতে।
তেঁতুল আর বড়ই মিক্স ঝাল মিষ্টি আচারের রেসিপি।
আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি রেসিপি পোষ্ট। প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি একটি করে রেসিপি শেয়ার করার। চেষ্টা করি ভিন্ন ধরনের কিছু রেসিপি আপনাদের সাথে তুলে ধরার। যদিও অনেক সময় কারও রেসিপির সাথে অন্য কারও রেসিপির মিল হয়ে যায়। সেটা স্বাভাবিক যেহেতু আমরা সবাই বাঙালি জাতি। আমাদের রান্না বান্না খাওয়া দাওয়ার সাথে অনেক কিছু মিল আছে। আমরা যেহেতু মানুষ জাতি আমাদের চাল চলনের মধ্যে অনেক কিছু মিল থাকতে পারে একে অপরের। যাক সেটা বাদ দিলাম বন্ধুরা। আজকে আমি যে রেসিপিটি শেয়ার করব তা হচ্ছে তেঁতুল এবং বড়ই মিক্স আচারের রেসিপি। আপনারা তো অবশ্যই সকলেই জানেন আচারের নাম শুনলেই জিভে জল এসে যায়। যদি হয় টক ঝাল মিষ্টি আচার তাহলে তো আর বলার কথা নেই। কম বেশি সবাই আচার খেতে অনেক পছন্দ করেন।
তবে একেক জনের পছন্দের তালিকা একেক ধরনের হতে পারে। কেউ হয়তো মিষ্টি পছন্দ করেন। আবার হয়তো কেউ ঝাল খেতে পছন্দ করেন। অনেকে আবার মিষ্টি ঝাল দুটি পছন্দ করে থাকেন। আমি আজকে তৈরি করেছি তেঁতুলের সাথে বড়ই মিক্স করে সাথে ঝাল এবং মিষ্টি দুইটা মিক্স করেছি। তৈরি করার পরেই খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। সেই টেস্টি রেসিপিটি আমি আজকে আপনাদের সাথে ধাপে ধাপে শেয়ার করে নিব—---------------
প্রথমে সব উপকরণ সমূহ পরিমাণ মত নিয়ে দেখালাম।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|
তেঁতুল- ৫০০ গ্রাম।
বড়ই- গ্রাম।
রসুন- ৩ টি।
পাঁচফোড়ন - পরিমাণ মত।
চিনি- পছন্দমত।
লাল মরিচ গুঁড়া- পছন্দ মত।
লবণ- স্বাদমত।
সরিষার তেল- পছন্দমত।
সাদা সিরকা- ৫/৬ চামচ।
তেঁতুল আর বড়ই মিক্স ঝাল মিষ্টি আচারের রেসিপি তৈরির ধাপ সমূহঃ
রান্নার ধাপ-১
প্রথমে সব উপকরণ সমূহ উপরে তালিকা সহকারে নিয়ে দেখিয়েছি। এখন আমি সরাসরি রান্নার ধাপে চলে যাব। আচার তৈরি করার জন্য প্রথমে একটি পাত্র চুলায় বসিয়ে দিয়েছি। সেখানে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গরম হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবে তেল একটু একটু গরম হয়ে আসলে সেখানে রসুন দিতে হবে। সাথে পাঁচ ফোঁড়ন গুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে ভেজে নিতে হবে।
রান্নার ধাপ-২
পাঁচফোঁড়ন আর রসুনের পরিমাণ একটু বাড়িয়ে দিয়েছি। যেহেতু আচার তৈরি করতেছি আচারের মধ্যে পাঁচফোঁড়ন এবং রসুন খুবই ভালো কাজ করে। রসুন এবং পাঁচফোঁড়ন ভালোভাবে ভেজে নেওয়ার পরে দিয়ে দেব বড়ই। সাথে দিয়ে দিলাম তেঁতুল যেগুলো আগে থেকে আঁশ ছাড়িয়ে নিয়েছি। সেই সাথে দিয়ে দিছি পরিমাণ মতো চিনি। পরে আবারও চিনির স্বাদ দেখে দিতে পারেন আপনারা।
রান্নার ধাপ-৩
চিনি দেওয়ার পরে পরিমাণ মতো লবণ দিয়েছি। সাথে দিয়ে দিয়েছি পরিমাণ মতো ঝাল। তবে ঝাল এবং চিনি আপনাদের পছন্দমত দিবেন। কারণ ঝাল মিষ্টি নিজের পছন্দ মত দিতে পারেন। ধাপে ধাপে সব গুলো উপকরণ দেওয়ার পরে আসতে আসতে তেঁতুল আর বড়ই এক সাথে মিক্স করে নিব সব গুলো উপকরণ। চুলার আঁচ কমায় দিয়ে নেড়েচেড়ে ভাজতে থাকবো।
রান্নার ধাপ-৪
আচার যখন প্রায় সিদ্ধ হয়ে আসবে। অর্থাৎ চিনি গলে যাবে। এবং তেঁতুলের সাথে বড়ই মিক্স হয়ে যাবে এভাবে আমি নেড়েচেড়ে নিয়েছি। আচারের মধ্যে অবশ্যই আপনারা সকলেই জানেন তেলের পরিমাণ একটু বাড়াই দিতে হয়। এভাবে যখন প্রায়ই আচার গুলো হয়ে আসে সেখানে আমি সাদা সিরকা দিয়েছি। সাদা সিরকা দেওয়ার পরে আরও কিছু সময় নেড়েচেড়ে তাপ দিয়ে নিয়েছি। এরপরে আরও কিছুক্ষণ রেখে চুলা অফ করে দিলাম। চুলা অফ করে দিয়ে আমি যেই পাত্রতে আচার তৈরি করেছি সেখান থেকে একটি প্লেটের মধ্যে নিয়ে পরিবেশন করে দেখালাম।
রেসিপির পরিবেশনা
আপনারা তো অবশ্যই জানেন বন্ধুরা আচার এমন এক জিনিস যা দেখলেই জিভে জল এসে যায়। আচার দেখলেই লোভ সামলানো যায় না। যদি হয় এমন মিক্স আচার তাহলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। যেহেতু আমি তেঁতুল এবং বড়ই মিক্স করে মিষ্টি ঝাল আচার করেছি। খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আশা করি বেশ কয়েক দিন খেতে পারব। অনেক গুলো আচার এক সাথে নিয়েছি। বিশেষ করে গরমের দিনে খেতে পারব সেই চিন্তা ধারাই করেছি রেসিপিটি। অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে খেতে। আপনাদের কাছেও আশা করি আমার আজকের শেয়ার করা রেসিপিটি ভালো লেগেছে। বন্ধুরা আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ সবাইকে সময় দিয়ে আমার রেসিপিটি দেখার জন্য।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | আচারের রেসিপি |
আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি। আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
এই আচারগুলো সম্ভবত খিচুড়ি ভাতের সাথে বেশি মজা লাগবে। পরিবেশন দেখে আমার তো খেতে ইচ্ছে করছে আপু। কিভাবে মজাদার আচারের রেসিপি তৈরি করতে হয় সেটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি সম্ভবত সকালে পোস্ট করেন আজকে একটু দেরি হয়ে গিয়েছে ।আপনার ভাইয়ের অফিসে অনুষ্ঠান ছিল বলে। এরকম সমস্যা আমাদেরও হয় আপু ।তেতুলের আচার বা বরুয়ের আচার খেয়েছি কিন্তু কোনদিন দুইটা একসঙ্গে মিশ্রিত ভাবে খাইনি ।জানি না খেতে আচারটা কেমন হয়েছে।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে অনেক সময় দিয়ে আমার পোস্ট পড়ার জন্য।
আমার তো আপু ঝাল মিষ্টির কম্বিনেশন টা বেশি পছন্দের। তেতুল আর বড়ই এর কম্বিনেশন এ এভাবে আচার খাওয়া হয়নি। দেখেই লোভ লেগে গেল যে 🙆♂️
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আচারের রেসিপি গুলো দেখলে অটোমেটিক জিভে জল চলে আসে। আপনি আজকে খুবই মজাদার একটি আচারের রেসিপি তৈরি করেছেন। আচার খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। তবে এভাবে কখনো তেঁতুল এবং বড়ই একসাথে মিক্স আচার খাওয়া হয়নি। আচারের কালার দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। তবে টক ঝাল আচার গুলো খেতে আমি একটু বেশি পছন্দ করি। ধন্যবাদ মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
যেহেতু বড়ই এবং তেঁতুল মিক্স করেছি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে ভাইয়া।
আপু কি রেসিপি শেয়ার করলেন জিভের জল তো সরাতে পারছি না। তেঁতুল আর বরই আলাদা আলাদা আচার খেয়েছি কিন্তু মিক্সড আচার কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার এমন আচার দেখে তো জিভে জল চলে আসলো। আপনার উপস্থাপনা লোভনীয় হয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
তেঁতুল এবং বড়ইয়ের মিক্সড আচার খেতে খুবই ভালো লাগে আপু। এভাবে আপনি একদিন তৈরি করে খেয়ে নিতে পারেন।
যে কোন ধরনের আচার আমার খুব পছন্দের। আজ আপনি খুব সুন্দর করে তেঁতুল আর বড়ই মিক্স ঝাল মিষ্টি আচারের রেসিপি তৈরি করেছেন। আচার দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। বেশ লোভনীয় আচার তৈরি করেছেন। লাল মরিচ গুঁড়া দেওয়াতে খেতে বেশ ভালো লাগবে। এত সুন্দর রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
চলে আসেন ভাইয়া বাসায় আচার খেতে।
আচার নামটি শুনেই জিভে জল এসে যায় ৷ সেটা যে শুধু তা নয় সবার তবে মেয়েদের বেশি ৷ হিহিহিহি ৷ আপু আমার কাছে গরম ভাত আর আচার যা লাগে না বোঝাতে পারবো না৷ আপনি আজকে তেতুল ও বড়ই একসাথে মিক্স করে ঝাল ঝাল করে আচার করেছেন ৷ বাহ দেখে খেতে ইচ্ছা করছে সত্যি কথা ৷ সবমিলে ভালো লাগলো আপু৷
একদম ঠিক বলছেন ভাইয়া মেয়েরা আচার খেতে আলাদাভাবে বেশি পছন্দ করে। অনেক ধন্যবাদ।
আসলে আচার খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। তবে এভাবে কখনো তেতুল ও বড়ই দিয়ে ঝাল আচার রেসিপি তৈরি করা হয়নি। আপনার রেসিপি পরিবেশন দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধাপগুলো দেখে দেয় শিখে নিলাম।
আমার রেসিপিটি দেখে একদিন তৈরি করে নিবেন খেতে খুবই ভালো লাগে।
আহা কি লোভনীয় আচার রেসিপি দেখালেন 😋
আমি যদিও তেমন বেশি আচার খাইনা , তবুও আপনার রেসিপি দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না।
আর আমার হোম ম্যানেজার যদি এটা পায় তাহলে তো কথাই নেই 😄
যাইহোক দূর্দান্ত স্বাদের একটি রেসিপি প্রস্তুত করে দেখালেন আপু।
তাহলে তো ভাবীর জন্য কিছু পাঠিয়ে দিতে হয় আপনার ঠিকানা দিবেন ভাইয়া 😍😍😍।
https://twitter.com/nahar_hera/status/1764013527407481162?t=yx1426lR8FU2eqrt9wNqqQ&s=19