রেসিপি- চিংড়ি দিয়ে বাঁধাকপি ভাজি রেসিপি।
চিংড়ি দিয়ে বাঁধাকপি ভাজি রেসিপি।
সবাইকে জুমা মোবারক!
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ @amarbanglablog কমিউনিটির সকল ব্লগার ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। লেখার শুরুতে সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাচ্ছি। শুক্রবারের ছুটির দিনটা সবার ভাল কাটুক এই কামনা করি। তো বন্ধুরা আপনাদের সবার দিনকাল কেমন যাচ্ছে? আশা করি সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে আপনারা সকলে ভালো আছেন? আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় পরম করুণাময়ের অসীম রহমতে বেশ ভালোই আছি। আজকে শুক্রবার সকাল সকাল অনেক ব্যস্ত ছিলাম। যেহেতু বাড়িতে সবাই আজকে আছে তাই খাওয়া দাওয়া করলাম একসাথে। সেই সাথে একটু ফ্রি হয়ে আবার উপস্থিত হয়ে গেলাম আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগিং শেয়ার করার জন্য।
কমিউনিটির কাজের ধারাবাহিকতায় আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি শেয়ার করব। এখন যেহেতু শীতকাল চলে এসেছে। তাছাড়া শীতকালীন সবজি গুলো বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ দেখা যাচ্ছে। আপনারা তো সকলেই জানেন শীতকালে বাঁধাকপি খেতে খুবই ভালো লাগ। সবার অনেক প্রিয় একটি সবজি হচ্ছে বাঁধাকপি। আমরা তো বিভিন্ন ভাবে বাঁধাকপির রেসিপি করে খেয়ে থাকি। তবে বিভিন্ন ভাবে খেতে খুবই ভালো লাগে আমার কাছে। আমি চিংড়ি মাছ দিয়ে বাঁধাকপি রান্না করেছি। সেই রেসিপি টা খেতে খুব ভালো লেগেছিল।
তো বন্ধুরা চিংড়ি দিয়ে তো যেকোনো সবজি রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। আমার আজকের শেয়ার করা রেসিপিও খেতে অসাধারণ ছিল। একদিকে শীতকালীন সবজি বাঁধাকপি। অন্যদিকে চিংড়ি মাছ সব মিলিয়ে রেসিপিটি বলতে গেলে দারুণ হয়েছে। এই ধরনের রেসিপি গরম ভাতের সাথে কিংবা রুটি পরোটার সাথে খেতে খুবই ভালো লাগে। চলুন বন্ধুরা আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিচ্ছি। আমি কিভাবে তৈরি করেছি সেই ধাপ গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব—---
প্রথমে আমি আপনাদেরকে উপকরণ সমূহ পরিমাণ মত নিয়ে দেখালাম।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
বাঁধাকপি | ৫০০ গ্রাম |
টমেটো | ২ টি |
চিংড়ি মাছ | ১৫০ গ্রাম |
পেঁয়াজ কুচি | ২ টি |
রসুন কুচি | ৪/৫ কোয়া |
কাঁচা মরিচ ফালি | ৭/৮ টি |
লবণ | স্বাদমত |
লাল মরিচ গুঁড়া | ১ চামচ |
হলুদ গুঁড়া | ১ চামচ |
জিরা গুঁড়া | ১ চামচ |
ধনে গুঁড়া | ১ চামচ |
সরিষার তেল | পরিমাণ মত |
চিংড়ি দিয়ে বাঁধাকপি ভাজি রেসিপির ধাপ সমূহ
রান্নার ধাপ-১
যেহেতু আপনাদেরকে প্রথমে সব উপকরণ সমূহ পরিমাণ মতো নিয়ে বিস্তারিত দেখালাম। এখন সরাসরি রান্নার ধাপে চলে যাচ্ছি। তো রান্না করার জন্য একটি পাত্র চুলায় বসায় দিলাম। তাতে পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়ে গরম হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবো। গরম হয়ে আসলে কুচি করে রাখা পেঁয়াজ, রসুন এবং কাঁচা মরিচ ফালি গুলো দিয়ে দেব।
রান্নার ধাপ-২
এখন পেঁয়াজ, রসুন এবং কাঁচা মরিচ এর সাথে আগে থেকে ধুয়ে রাখা চিংড়ি মাছ গুলো দিয়ে দেব। এক সাথে সবগুলোকে ভালোভাবে ভেজে নিব। তো ব্রাউন কালার না আসা পর্যন্ত ভেজে নিতে হবে। তাতে সামান্য পরিমাণ লবণ দিব।
রান্নার ধাপ-৩
এখন আগে থেকে দেওয়া উপকরণ সমূহ প্রায় কষা হয়ে গেলে সেখানে দিয়ে দেব টমেটো কুচি। টমেটো কুচি গুলো দেওয়ার পরে আরো কিছুক্ষণ তেলের মধ্যে কষিয়ে নিতে হবে। টমেটো কুচি দিলে বাঁধাকপি খেতে যেমন ভালো লাগে। তেমনি কালারটাও খুব সুন্দর হয়।
রান্নার ধাপ-৪
এখন দিয়ে দেবো অন্যান্য মসলা গুলো। সেখানে ছিল লাল মরিচের গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, ধনিয়ার গুঁড়া এবং পরিমাণ মতো লবণ। যেহেতু মশলা গুলো শুকনা তাই পুড়ে না যাওয়ার জন্য পরিমাণ মত পানি দিলাম। পানি দিয়ে সব উপকরণ গুলোকে কিছুক্ষণ সিদ্ধ করে নিতে হবে।
রান্নার ধাপ-৫
এইবার দিয়ে দেবো কুচি করে রাখা বাঁধাকপি গুলো। বাঁধাকপি দেওয়ার পরে ভালো মত মিক্স করে নিলাম। তো মিক্স করে নেওয়ার পরে ঢাকনা দিয়ে সিদ্ধ করতে দিব। বেশ কিছুক্ষণ ঢাকনা দিয়ে সিদ্ধ করতে দিয়েছি।
রান্নার ধাপ-৬
তো কিছুক্ষণ সময় নিয়ে সিদ্ধ করে নিয়েছি। প্রায় সিদ্ধ করা যখন হয়ে যায় তখন চুলা বন্ধ করে দিলাম। চুলা বন্ধ করে দিয়ে বাঁধাকপি ভাজি গুলো চুলা থেকে নামায় ফেলেছি।
রেসিপির পরিবেশনা
যেহেতু বেশ কিছুদিন গ্যাপ গেল বাঁধাকপি ভাজি খাচ্ছি না। তো অনেকদিন পরে যেহেতু খেয়েছি অনেক ভালো লেগেছে। তাছাড়া চিংড়ি মাছের ফ্লেভারে আরো দারুণ ছিল খেতে। টমেটো দেওয়ার কারণে রেসিপির কালারটাও অসাধারণ ছিল। যদি কালারটা সুন্দর হয় তাহলে খাওয়ার আগ্রহটা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। বিশেষ করে চিংড়ি দেওয়ার কারণে কিন্তু খুব বেশি ভালো লেগেছিল। তো বন্ধুরা আশা করি আমার আজকের রেসিপি টা আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। তাহলে আপনারাও তৈরি করে নিতে পারেন আমার রেসিপিটি দেখে। ধন্যবাদ সবাইকে সময় দিয়ে আমার আজকের রেসিপি টি দেখার জন্য।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি। আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
আমার প্রিয় মাছ গুলোর মধ্যে চিংড়ি মাছ অন্যতম। চিংড়ি মাছ খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটা বেশ লোভনীয় লাগছে। দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি আপনার রান্না পদ্ধতি আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন ।শুভকামনা রইল আপনার জন্য
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/6vchkp
হুম শীতকালে বাঁধাকফি তো অনেক প্রিয়। এটাতো অনেক ভালো লাগে শীতকালের সময়। তার সাথে যদি হয় চিংড়ি তাহলে তো জমে ক্ষীর। চিংড়ি দিয়ে যেকোনো সবজি রান্না করলে অনেক ভালো লাগে আপু আর আপনি অনেক সুন্দর করে রেসিপি সম্পন্ন করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল। আপনার প্রতিটি পোস্ট আমার অনেক ভালো লাগে আপু।
অনেক ভালো লাগলো আমার রেসিপি টি আপনার পছন্দ হয়েছে জানতে পেরে।
আপু চিংড়ি দিয়ে আমরা যা কিছু রান্না করি না কেন অনেক ভালো লাগে। আসলে আপু চিংড়ি দিয়ে বাঁধাকপি কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমার তো বেশ ভালো লাগে আপু বাঁধাকপি চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলে।
বাঁধাকপি ভাজি আমার খুবই প্রিয়।আর চিংড়ি মাছ দিয়ে ভাজি করলে তো কথাই নেই। গরম গরম ভাতের সাথে বা রুটি পরোটা দিয়ে খেতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলছেন আপু রুটি বা পরোটার সাথে বেশ জমে।
গানের পাখি আপু, আপনি তো বেশ ভালো রাধুনী দেখছি। আর তাইতো চিংড়ি মাছ দিয়ে বাঁধাকপি ভাজি খুব মজার করে তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে, খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। বাঁধাকপি ও চিংড়ি মাছ এ দুটোই আমার খুবই পছন্দের। আর তাই আমার পছন্দের সবজি ও মাছ দিয়ে রেসিপি তৈরি করেছেন, দেখে খুব ভালো লাগলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, রন্ধন প্রণালীর প্রতিটি ধাপ শেয়ার করার জন্য।
তাহলে চলে আসেন ভাইয়া আপনার যেহেতু অনেক প্রিয় আবারো রান্না করে খাওয়াবো।
আপনি অনেক সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। বাঁধাকপি এই বছরে এখনো খাওয়া হয়নি। তবে চিংড়ি মাছ দিয়ে বাঁধাকপি খেতে খুবই মজা লাগে। আপনার রেসিপির পরিবেশন দেখে বুঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। রান্নার ধাপ গুলো দারুণ ভাবে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
এখন কিন্তু বাজারে যথেষ্ট পরিমাণ পাওয়া যাচ্ছে বাঁধাকপি।
চিংড়ি দিয়ে বাঁধাকপি ভাজির দুর্দান্ত একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আজকে আপু। তবে রান্নার মধ্যে আপনি টমেটো ব্যবহার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। কেননা টমেটো আমার সবথেকে প্রিয় একটি সবজি। আপনার রেসিপিটি দেখতে ভীষণ লোভনীয় হয়েছে খেতেও মনে হয় ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
টমেটো দিলে খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি কালারটা অসাধারণ হয়।
চিংড়ি দিয়ে বাঁধাকপি ভাজি রেসিপি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে আপু। যদিও এ ধরনের রেসিপি আগে কখনো খাইনি তবে আপনার রেসিপিটা দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। খুবই সুন্দরভাবে প্রতিটি ধাপ এ পোষ্টের মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
তাহলে চলে আসেন আপনাকে বাসায় দাওয়াত দিলাম।
বাহ আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে অসাধারণভাবে চিংড়ি দিয়ে বাঁধাকপি ভাজি রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে সত্যিই জিভে জল চলে আসছে আপু। আসলে চিংড়ি মাছ দিয়ে বাঁধাকপি কখনো এভাবে রান্না করে খাওয়া হয়নি। রেসিপি তৈরির শেষে পরিবেশনা সত্যি বেশ দারুন ছিল। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য।
খেতে অনেক মজার হয়েছিল ভাইয়া অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।