||মজাদার ফেলন বীচি ভাজা রেসিপি||@shy-fox 10%
সবাই কেমন আছেন??
আমি@samhunnahar।
আমি রেসিপিটি কিভাবে রান্না করেছি তাহলে চলুন দেখে আসি--- |
---|
উপকরণ সমূহ নিয়ে দেখিয়েছিঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|
ফেলন বীচি- ৫০০ গ্রাম।
আলু সিদ্ধ- ১৫০ গ্রাম।
সরিষা বাটা- ২ চামচ।
কাঁচা মরিচ কুচি -৭/৮ টা।
পেঁয়াজ কুচি- দুইটি।
রসুন কুচি- ৫/৭ কোয়া।
আদা পেস্ট- ২ চামচ
গরম মসলা, তেজপাতা,
বেসন-৩ চামচ।
হলুদ গুঁড়া -২ চামচ।
জিরা ও ধনিয়ার গুঁড়া -২ চামচ।
লবণ- স্বাদমতো
তেল-পরিমানমতো
রান্নার ধাপে চলে যাবঃ
প্রথমে ফেলন বীচি গুলোকে আমি দু’তিন ঘন্টা আগে ভিজিয়ে রেখেছিলাম।ভিজানো হয়ে গেলে বীচি গুলোকে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে ফ্রেসার কুকারে দিয়ে সাথে প্রয়োজন মত আলু দিয়ে ঢাকনা লাগাই দিয়ে চুলায় বসায় দিয়েছি।সাথে লবণ ও দিয়েছি।
চুলায় বসায় দেওয়ার পর ফ্রেসার কুকারে এক থেকে দুইটা সিটি দিলে চুলা বন্ধ করে দিয়ে নামায় ফেলবো।বীচি গুলোকে ঢেলে নিয়েছি এরপর আলু গুলো খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি এবং প্রয়োজনমতো সব উপকরণ নিয়ে নিয়েছি।
রান্নার জন্য চুলায় একটি পাত্র বসিয়ে দিয়ে গরম হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবো।পাত্রটি গরম হয়ে গেলে পরিমাণ মতো তেল দিব।তেল গরম হয়ে গেলে কুচি করে রাখা পেঁয়াজ, রসুন, আদা এবং কুচি করে রাখা কাঁচা মরিচ দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে ভেজে নিতে হবে।
সাথে পরিমাণমত লবণ ও সরিষা বাটা দিয়ে আরো কিছুক্ষণ সিদ্ধ করে নিবো।
আরো কিছুক্ষণ সিদ্ধ করার পর দিয়ে দিবো ফেটে রাখা আলু এবং অন্যান্য মসলা।
এখন সব উপকরণ ভাল ভাবে কষা হয়ে গেলে দিয়ে দিবো সিদ্ধ করা ফেলন বীচি গুলো।মিক্স করে নেওয়ার পরে আবার দিব বেসন।সবগুলো ভাল মত মিক্স করে নেওয়া হয়ে গেলে সিদ্ধ হওয়ার জন্য অল্প পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে।
আরো কিছুক্ষণ সিদ্ধ করে নেওয়া হয়ে গেলে এখন তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের মজার রেসিপি ফেলন বীচি ভাজা।চুলা বন্ধ করে নামায় ফেলবো।ঠান্ডা হওয়ার জন্য কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে।
হালকা ঠান্ডা হলে একটা প্লেটে শসা ও ধনেপাতা দিয়ে সাথে ফেলন ভাজা নিয়ে নিলাম।সাথে ছিল মুচমুচে মুড়ি খেতে দারুণ ছিল।
সত্যি বলতে কি করে বুঝাবো আপনাদের যারা খান নাই তারা বুঝবেন না ফেলন বীচি ভাজা কত মজার।আপনারা ও চাইলের আমার রেসিপি দেখে তৈরি করে খেয়ে নিতে পারেন।খেতে অনেক ভাল লাগবে।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি।আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে।সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন। |
---|
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar।আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে।আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি।আমি রান্না করতে পছন্দ করি।ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা।আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি।আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত।তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
আমি তো প্রথমে ফেলন গুলোকে দেখে ছোলা মনে করছিলাম। ফেলন নামটি আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন। আজকে আপনার প্রথম আপনার পোস্টের মাধ্যমে নামটি জানতে পারলাম। যাইহোক রেসিপিটি অনেক ইউনিক ছিল। দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর ইউনিক রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক মজার একটি খাবার বীচি গুলো দেখতে ছোলার মতোই ঠিক বলছেন।
আমিতো হঠাৎ করে দেখে ছোলা ভাজাই মনে করেছিলাম। ফেলন নামটি আজকে প্রথম শুনলাম। মনে হয় এ বিচিগুলো দেখেছি তবে নাম আমি জানিনা। কখনো খাইনি এটা যে এভাবে ভাজা যায় আজকে প্রথম দেখলাম। তবে খেতে মনে হয় ভালোই লাগে ছোলার মতই মনে হচ্ছে মুড়ি দিয়ে খেতে ভালোই লাগবে। নতুন একটি রেসিপি সম্পর্কে আপনার কাছ থেকে জানলাম।
এই বীচি খেতে অনেক মজার আপু আমি প্রায় সময় ভেজে খেয়ে থাকি।আপনিও একদিন এভাবে তৈরি করে খেয়ে দেখবেন অনেক ভালো লাগবে।
নামটাই আজ প্রথম শুনলাম,খাওয়া তো দূরের কথা।তবে দেখে মনে হলো,ছোট শিমের বিভির মতো।যদিও শিওর না।
উপস্থাপনা ভালো ছিল, শুভ কামনা রইলো।
খেতে অনেক মজার এবং সুস্বাদু আপনি নিশ্চয়ই ইউটিউব অথবা গুগল সার্চ দিলে পাবেন।
আপনার জানামতে এগুলোর কি অন্য নাম আছে? আজ পর্যন্ত কেন এত সুন্দর একটি খাবারের নাম শুনলাম না।আমি প্রথমে ছোলা ভুনা ভেবেছিলাম।যাই হোক রেসিপি টি অনেক ইউনিক ছিল।ধন্যবাদ নতুন একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমি ছোটবেলা থেকে এই নামে চিনি এবং আমি অনেক চার্জ করে দেখেছি এই নামটি ঠিক আছে। আপনিও দেখবেন সার্চ করে আশা করি আপনার ক্লিয়ার হয়ে যাবে কিন্তু খেতে অনেক সুস্বাস্থ্য হয়েছিল।
আপু প্রথমেই বলি আপনার রেসিপিটি দেখেই আমার খেতে ইচ্ছে করছিল। আপনি খুব সুন্দর করে রেসিপি তৈরি করেছেন। কিন্তু কথা হল ফেলন বীচি নামক এই শব্দটি আমি প্রথম শুনলাম। তবে দেখতে অনেকটা মোটরের বীজের মত লাগছে। রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে রেসিপিটি অনেক সুস্বাদু হয়েছে। যাইহোক এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
যে কোন বীচি থেকে তো বীজ সংগ্রহ করা হয় ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন।আমাদের এখানে অনেক বেশি চাষ হয় এই ফেলনের।খেতে অনেক সুস্বাদু একটি খাবার অনেক ভালো লাগে আমার কাছে।
হ্যাঁ ভাইয়া ঠিক বুঝতে পারছেন আসলে খেতে অনেক মজার হয়েছিল তবে এই বীচিকে অনেকে মাসকলায় ডাল বলে মনে হচ্ছে।
আপু আমার মনে হচ্ছে এগুলো বরবটির বিচি আমি শিওর না তবে আমি এই বিচি দেখেছি। এই বিচি ছোলা ভাজার মতো খাওয়া যায় জানা ছিল না। আপনি রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসল। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ধাপগুলো বর্ণনা করেছেন। আপনার এত মজাদার রেসিপি দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু এই বীচি গুলো ছেলার তুলানাই অনেক দাম খেতে অনেক মজার।তবে বরবটি না ঠিক বরবটির মতো আরেকটি জাত আছে সেই গাছের বীচি।
থাম্বনেইল এর ছবি দেখে ছোলা ভাজাই মনে করেছিলাম। ফেলন বিচি সালাদের সাথে আমি খেয়েছি কিন্তু এভাবে ছোলার মত করে ভুনা খাইনি। ছোলার মত ভুনা হলেও আপনার রেসিপি আমার কাছে ইউনিক লেগেছে। আলু সিদ্ধ করে অনেকগুলো ধাপে আপনি ফেলেন বিচি ভাজা সম্পন্ন করেছেন। আপনার পরিবেশন খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
ফেলন বীচি ছোলার মত করে ভেজে খেলে অনেক মজার হয়।আমার কাছে ছোলার চাইতে অনেক বেশি মজার মনে হয়েছে।
আপনার আজকের এই রেসিপি দেখে নতুন একটি রেসিপির সাথে পরিচিত হতে পারলাম। মনে হয় এ রেসিপিটা পূর্বে আমি দেখি নাই, নতুন একটি ইউনিক রেসিপি সাথে পরিচিত হতে পারলাম। তবে বিচি গুলো দেখে মনে হচ্ছে বরবটির বিচি। যা কিছুদিন আগে এভাবে আমার বাড়িতে রান্না করা হয়েছিল। তবে আপনি যে নামটি ব্যবহার করেছেন এটা আমার কাছে অপরিচিত।
ভাইয়া বরবটি তো অনেক লম্বা লম্বা সাইজের হয় কিন্তু ফেলন বীচি একটু ছোট আকারের হয়ে থাকে শিম।বরবটির তুলনায় ছোট এবং ভিন্ন একটি জাত।
সব সময়ই সিমের থেকে আমার কাছে তার বিচি খেতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে। সিমের বিচি ভাজি করার দারুন একটা পদ্ধতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন আপু। আপনার দেখানো ধাপগুলো অবলম্বন করে দেখছি এই ধরনের একটা রেসিপি তৈরি করে খেয়ে দেখতে হবে।
এটা শিমের বীচি নয় ভাইয়া এটা ফেলন বীচি ভাজা করেছি খেতে অনেক সুস্বাদ হয়।