ট্রাভেলিংঃ- রাঙ্গামাটির আদিবাসী গ্রামে হুক্কা খাওয়ার দৃশ্য।
সবাইকে শুভরাত্রি বন্ধুরা,
প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন? আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। বন্ধুরা সব সময় ভালো থাকার চেষ্টা করি। তবে মাঝে মধ্যে বিপত্তি ঘটে যায়। আজকে খুব জটিলতাই ছিলাম যার কারণে পোস্ট লেখা হয়ে উঠেন। মাঝে মাঝে বেশি কিছু ঝামেলাই পড়ে যাই যা আমি আপনাদের সাথে পরে শেয়ার করবো। অনেক ব্যস্ত ছিলাম যার কারণে পোস্টার লেখা হওয়া সম্ভব হয়নি। বন্ধুরা যখন ফ্রি হয়ে গেলাম তখন চেষ্টা করেছি আপনাদের সাথে পোস্ট শেয়ার কররার। তাহলে চলুন বন্ধুরা আজকে আমার ব্লগিং শুরু করি। আজকে শেয়ার করব রাঙামাটি থেকে কিছু কেনাকাটার মুহূর্ত।
সেই সাথে হুক্কা খাওয়ার সুন্দর একটি মুহূর্ত। যদিও অনেক ব্লগ শেয়ার করেছিলাম রাঙ্গামাটির ঘোরাঘুরির কয়েকটি পর্ব। যখনই আমরা আদিবাসী গ্রামে প্রবেশ করি তখন বেশ সুন্দর সুন্দর দোকান ছিল সেখানে। আমি আপনাদের সাথে তাদের জীবন যাত্রার বৈচিত্র তুলে ধরেছিলাম। তারা এত কষ্ট করে জীবন যাপন করে। মাঝে মধ্যে তারা লেকের পানি খাওয়া দাওয়া করে। তাছাড়া তারা সরাসরি লেক থেকে গোসল করে এবং কাপড়-চোপড় দোয়া এবং সবকিছু করে থাকে। শুধু খাবার পানি গুলো তারা টিউবওয়েল থেকে খেয়ে থাকেন। অথবা ঝর্ণার পানি থেকে সংগ্রহ করে থাকেন।
সেখানে গিয়ে বেশ সুন্দর সুন্দর ড্রেস দেখছিলাম। আমার কাছে পাহাড়িয়া আদিবাসীদের ড্রেস গুলো খুবই ভালো লাগে। প্রথমত তাদের পেশা হচ্ছে তারা কাপড় তৈরি করে থাকেন। তাছাড়া তারা পাহাড়ের ঢালে চাষ করে থাকেন। বিশেষত তাদের এই চাষ গুলো হচ্ছে প্রধান আয়ের উৎস। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখেছি তারা হাতের তৈরি তাঁতের কাপড় গুলো তৈরি করে থাকে। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের শাক সবজির বাগান করে থাকেন। সেই চাষ করা শাকসবজি গুলো তারা বাজারে বিক্রি করে তাদের অন্যান্য চাহিদা গুলো পূরণ করে থাকেন। এছাড়াও তাদের একটি ভালো দিক হচ্ছে তারা প্রায় শাক সবজি খেয়ে থাকেন।
যখন কাপড়ের দাম গুলো জিজ্ঞেস করেছি তখন অনেক বেশি দাম বলেছিল। আসলেই তারা অনেক বেশি দাম রাখার কারণ হচ্ছে সবাই যেহেতু ভ্রামণে যায় সেখানে ঘুরতে যাই। সেখান থেকে তারা কাপড়-চোপড় কেনা কাটা করে থাকেন। যাক নিজের জন্য থ্রিপিস এবং শাড়ি কাপড় দেখতেছিলাম। কিন্তু এত দাম বলার কারণেই নেওয়া হয়নি। তবে বাচ্চাদের জন্য দুইটা ড্রেস নিয়েছিলাম সেগুলো আমি আপনাদের সাথে ফটোগ্রাফির আকারে শেয়ার করেছি। সব চেয়ে একটি বিষয় আমার কাছে অবাক লেগেছে সেটা হচ্ছে যে তাদের হুক্কা খাওয়ার বিষয়টি। তাদের কাছে এখনো হুক্কা খাওয়ার প্রচলন থেকে গেছে।
যদিও হুক্কা খাওয়ার প্রচলনটা আমাদের গ্রামেও ছিল। কিন্তু পাহাড়িয়া আদিবাসীদের মাঝে এখনো থেকে গেছে। যখনই আমরা কাপড় কিনতে যাই তখনই এই হুক্কা খাওয়ার বিষয়টা আমাকে বেশ মুগ্ধ করে। অনেক ছোট বেলায় দেখেছি গ্রামের মধ্যে মুরুব্বিরা হুক্কা খেতেন। সেদিন পাহাড়িয়া আদিবাসীদের গ্রামে ঘুরতে গিয়ে সেই দৃশ্য গুলো চোখে পড়ে। আপনারা অবশ্যই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছেন একজন মহিলা আদিবাসীদের কাছ থেকে হুক্কা নিয়ে খাচ্ছেন। যদিও উনি ঢাকা থেকে এসেছিলেন ঘুরতে।
উনার হুক্কা খাওয়ার দৃশ্য দেখে তো আমি অবাক হয়ে গেছিলাম রীতিমত। মেয়ে মানুষ এভাবে হুক্কা খাচ্ছিল যেন আমার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। তাই আমি আর দেরি না করে সেখান থেকে কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম। তাছাড়াও আমাদের সাথে আরও একটি ফ্যামিলি গিয়েছিল। তাদের বাচ্চার জন্য এবং আমার মেয়েদের জন্য কিছু ড্রেস কিনেছিলাম। সেই ড্রেস গুলো কেনার পরে সোজা আবারও আমরা আমাদের গন্তব্য ফিরে আসার জন্য আবার যাত্রা শুরু করি। সেই যাত্রা চলাকালীন অনেকগুলো ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম। পাহাড়ের ঢালের এইদিক ওদিকের সবুজে ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল।
ফটোগ্রাফি গুলো নিয়ে শুধু আমরা বোটের মধ্যে উঠে পড়ি। তারপরে আমরা আবারও যাত্রা শুরু করি। বন্ধুরা আপনারা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বুঝতে পারছেন সেগুলো কত সুন্দর ছিল। আশা করি আমার আজকের ব্লগ আপনাদের কাছে বেশ ভালই লাগবে। সময় দিয়ে আমার আজকের ব্লগিং দেখার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। কারণ এত সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছি সেখানে। আপনাদের কাছে শেয়ার করতে পারছি বলেই নিজেকে অনেক বেশি ভাগ্যবান মনে করছি। সবার জন্য শুভকামনা রইল পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | রাঙ্গামাটির আদিবাসি গ্রাম |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | ট্রাভেলিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
আপনি কতটা ভ্রমন পিপাসু আমি জানি।
যাইহোক আদিবাসী গ্রাম ঘুরে কি চমৎকার একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছেন। এটা আমার কাছে নিঃসন্দেহে চমৎকার একটি পোস্ট কারন আমিও ঘুরে বেড়াতে ভীষণ পছন্দ করি।
আদিবাসীদের জিনিসপত্র একটু দাম হবেই কারন ওদেরকে জীবন জীবিকার তাগিদে এই কঠোর পরিশ্রম করা। সত্যি বলতে হুক্কা খাওয়ার দৃশ্যটা দারুন দেখাচ্ছে।
এই মেয়ে হুক্কা খাচ্ছে দেখে আমি তো অবাক হয়ে গেছিলাম ভাইয়া হি হি হি।
https://twitter.com/nahar_hera/status/1765111406297506034?t=-WWyzohXnWSEnWmQ1VqLkQ&s=19
হুক্কা খাওয়ার দৃশ্য গুলো দেখে ভালো লাগলো। অনেক দিন পরে দেখলাম। আদিবাসীরা অনেক পরিশ্রমি মানুষ। তারা বিভিন্ন ভাবে কাজ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। আশাকরি খুব ভালো সময় উপভোগ করেছিলেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য।
আমিও খুব ছোটবেলায় দেখেছিলাম হুক্কা খাওয়ার দৃশ্য। বিশেষ করে গ্রামের মুরুব্বীরা খেতো। কিন্তু রাঙ্গামাটি ভ্রমনে গিয়ে এই জেনারেশনের মেয়ের হুক্কা খাওয়া দৃশ্য দেখে আমি তো মুগ্ধ হয়ে গেছিলাম।
হঠাৎ করেই ব্যস্ততা যেন নিজেকে আঁকড়ে ধরে এমনটা দেখছি আপনার ক্ষেত্রেও হয়েছে। তবে এই পোস্টে মেয়েদের হুক্কা খাওয়ার দৃশ্য দেখে আমিও রীতিমতো অবাক হয়েছি। রাঙ্গামাটি ভ্রমণের কিছু দৃশ্য শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমি তো দেখি অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকছিলাম অনেকক্ষণ ভাইয়া হা হা হা।
রাঙ্গামাটি ঘুরতে গিয়ে তাহলে ভালই সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন দেখছি। প্রথম যখন বান্দরবান ঘুরতে গিয়েছিলাম তখন একটা আদিবাসী গ্রামে গিয়ে দেখেছিলাম মেয়েরা এরকম হুক্কা খাচ্ছে দেখে কিছুটা অবাক হয়েছিলাম। আসলে আদিবাসীদের জীবনযাপন অনেকটাই কষ্টের তারা অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করে। যাইহোক প্রত্যেক জায়গাতেই দেখছি একই রকমের অবস্থা আদিবাসীদের এলাকা থেকে কোন কিছু কিনতে গেলে দামটা একটু বেশি রাখে। যাইহোক হুক্কা খাওয়ার দৃশ্যটা আসলেই অন্যরকম ছিল দেখে কিছুটা হাসি পাচ্ছিল। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হুক্কা খাওয়ার দৃশ্য গ্রামে ছোটকালে দেখেছিলাম। তবে এর মধ্যে আর দেখি নাই হুক্কা খাওয়ার এমন দৃশ্য। কিন্তু রাঙ্গামাটি যেয়ে দেখেছি আবার।
তামাক সাজিয়ে হুঁকো টানার কথা অনেক শুনেছি তুমি কখনো দেখা হয়নি।
শুনেছি আগেকার দিনের লোকেরা নাকি এগুলো খেতো।
আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আজকে প্রথমবারের মতো হুকা কিভাবে টানে সেটা দেখলাম।
খুবই ভালো লাগলো সেই সাথে অনেক সুন্দর ফটোগুলো একটু শেয়ার করেছেন পোশাকের সেটা অনেক ভালো ছিল।
সেই দৃশ্য ছোটবেলায় অনেক দেখেছি গ্রামে। আবারো সরাসরি দেখেছি রাঙ্গামাটি ভ্রমণে যেয়ে।
রাঙ্গামাটিতে আমার একজন বন্ধু আছে। সে সবসময় বলে সেখানে ঘুরে আসার জন্য৷ তবে সময়ের কারণে সেখানে ঘুরতে যাওয়া হয়না৷ আজকে আপনার কাছ থেকে রাঙ্গামাটির সুন্দর একটি দৃশ্য দেখতে পেলাম এবং যেভাবে আপনি আদিবাসীদের এই হুক্কা খাওয়ার দৃশ্যটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা দেখে খুব ভালো লাগলো৷ একইসাথে আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার পোস্ট দেখার জন্য।