ট্রাভেলিংঃ-রাঙ্গামাটির পলওয়েল পার্কের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য-(পর্ব-৪)।
শুভ দুপুর সবাইকে,
আসসালামুআলাইকুম প্রিয় ভাই ও বোনেরা আশা করি ভালো আছেন। সবার দিনকাল কেমন যাচ্ছে বন্ধুরা আপনাদের। আজকে আমার এখানে মেঘলা আকাশ একটু ঠান্ডা যদিও বেশি গরম না বেশ ভালো লাগতেছে। হয়তো এভাবে থাকলে সময়টা বেশ ভালো যাবে। একটু বৃষ্টি হলে আরো ঠান্ডা লাগবে। এই সুন্দর ওয়েদারে আমি আবার উপস্থিত হয়েছি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আমি আজকে আপনাদেরকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমার নতুন ব্লগিংয়ে। আমি সব সময় চেষ্টা করি আমার দৈনন্দিন জীবনের ভালো মন্দ বিষয়গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিতে। আজকে আমি আবারও উপস্থিত হয়েছি রাঙ্গামাটির পার্কে ঘোরাঘুরি চতুর্থ পর্ব নিয়ে।
আমি আপনাদের সাথে এর আগে বেশ কয়েকটি পর্ব শেয়ার করেছি। আপনারা খুব সুন্দর ভাবে আমার পর্বগুলো পড়েছেন এবং অনেক সুন্দর সুন্দর অনুভূতি পড়তে পেরেছি আপনাদের কাছ থেকে। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো রাঙ্গামাটির পলওয়েল পার্কের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কিছু ফটোগ্রাফি এবং কাটানো মুহূর্ত। সত্যি কথা বলতে বন্ধুরা রাঙ্গামাটিতে যখন ভ্রমণে গিয়েছিলাম তখন প্রতিটি মুহূর্ত খুবই আনন্দের ছিল। কারণ আমরা অনেকগুলো জায়গা ভ্রমণ করেছিলাম কম সময়ের মধ্যে।
যদিও বাচ্চাদেরকে নিয়ে গেছিলাম আবার কখন যেতে পারবো তার হিসাব নেই সেজন্য আমরা একেবারে মেইন পয়েন্ট গুলো দেখার চেষ্টা করেছিলাম। যদিও এখানে মেইন পয়েন্ট দেখার কোন শেষ নেই তাই যতটুকু আমাদের সময় হাতে ছিল ততটুকু আমরা কিন্তু সময় একদম নষ্ট করি নাই। যখন আমরা রাঙ্গামাটির পলওয়েল পার্কে প্রবেশ করতে গেলাম তখন প্রথমে মনে হয়েছিল যে আসলে এখানে তেমন কিছু সুন্দর দেখতে পাবো না। কিন্তু ভিতরে প্রবেশ করার পরে একই অবাক কান্ড! এত সুন্দর একটি পার্ক দেখে তো মনে হলো সিঙ্গাপুরে গেছি!
কারণ পলওয়েল পার্কের সাথে লাগোয়া বেশ সুন্দর সুন্দর লেক এবং সেই লেক এর দৃশ্যগুলো অনেক বেশি সুন্দর ছিল। তবে বিকেল বেলা এই পরিবেশে সময় কাটাতে অনেক বেশি ভালো লাগবে। যদিও আমরা বিকেল বেলা অব্দি থাকি নাই এর আগেই চলে এসেছি। কিন্তু যতটুকু দেখেছি পলওয়েল পার্কের চারদিকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যগুলো অসাধারণ ছিল আমাকে অনেক বেশি মুগ্ধ করেছিল। বিশেষ করে লেক গুলো এত সুন্দর করে তারা কৃত্রিমভাবে সাজিয়ে নিয়েছিল সেখানে রেখেছিল সুন্দর বোট গুলো। বোট গুলো কেন রাখছে আপনারা বুঝতে পারছেন কেন? যারা পর্যটকরা যাবেন তারা এই বোটে করে লেক পরিদর্শন করেন। এই বিষয়টা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ইন্টারেস্টিং ছিল।
আমরা যেহেতু কাপ্তাই লেক ভ্রমণ করেছিলাম পুরো একটা দিন তাই আমরা পলওয়েল পার্ক এর লেকের মধ্যে আর নেমে ঝামেলা করি নাই। তবে আমি বেশ সুন্দর করে উপভোগ করেছিলাম চারপাশের দৃশ্যগুলো। আপনারা যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যগুলো দেখতে পাচ্ছেন প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পাচ্ছেন এগুলো বাস্তবে অনেক সুন্দর একটি জায়গা ছিল। কারণ প্রতিটি লেক এর চারপাশে খুব সুন্দর করে গাছপালা দিয়ে সাজানো ছিল। তবে লেক এর পানি গুলো অনেক বেশি সুন্দর ছিল একদম নীল কালারের।
তাছাড়াও লেক এর চারপাশে বসার জায়গা ছিল এবং সিঁড়ি করা ছিল ওঠা নামা করার জন্য বেশ সুবিধা ছিল। তবে বাচ্চারা এখানে প্রবেশ করে অনেক বেশি খুশি ছিল। পলওয়েল পার্কের ঝুলন্ত ব্রিজ অনেক সুন্দর ছিল। তাছাড়া সেখানকার ফুলের বাগানো আরো অনেক সুন্দর ছিল। এছাড়াও সুন্দর ছিল লেকের সৌন্দর্যগুলো। কৃত্রিমভাবে সেখানে অনেক কিছু সাজিয়ে রাখা হয়েছিল। আমি আরো কয়েকটি পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করবো দেখলে বুঝতে পারবেন আপনারা কত সুন্দর একটি পার্ক।
সেখানে বিভিন্ন ধরনের ভাস্কর্য করেছে। এছাড়া ও বিভিন্ন গ্রামীন দৃশ্য গুলো ভাস্কর্য করে রাখা হয়েছে। আর বাচ্চাদের খেলাধুলার ব্যবস্থা তো দারুণ ছিল। আরো সুন্দর ছিল সেখানকার ক্যান্টিন গুলো। বিকেল সময় কাটানোর জন্য খুব সুন্দর পরিবেশ ছিল সেখানে। সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে বেশ ভালো লাগছিল। রাঙ্গামাটির মেইন ঝুলন্ত ব্রিজের তুলনায় পলওয়েল পার্কের ঝুলন্ত ব্রিজ অসাধারণ ছিল। তাছাড়া ও লেকের মাঝখান পর্যন্ত খুব সুন্দর একটি ব্রিজ করা হয়েছিল যেখানে পর্যটকরা যেয়ে সময় কাটাবে। তবে ব্রিজ টি এভাবে স্থাপন করা হয়েছে লেকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলে যাওয়ার সুযোগ আছে।
আমরা যখন গেছি তখন অনেক বেশি রোদ ছিল সেই ব্রিজের মাঝখানে আমি যাইনি। বাচ্চারা যাওয়ার জন্য অনেক বেশি বায়না করছিল। তাদের বাবা নিয়ে যায় বাচ্চাদের। যদিও আমরা শীতকালে গেছিলাম। কোথায় ঘুরতে বের হলে গরম একটু বেশি বেড়ে যায়। তাছাড়া এমন খোলামেলা পরিবেশে রোদের তাপ অনেক বেশি। বিশেষ করে আমি যতটুকু শুনেছি পাহাড়ি এলাকায় গরম বেশি। এই রাঙামাটি শহরটা তো পুরো লেক এবং পাহাড় দিয়ে বিস্তৃত ছিল। তাই সেখানে গরম অনেক বেশি। শীত এর মাত্রা একটু কম ছিল।
আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে রাঙ্গামাটির পলওয়েল পার্কের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্যগুলো। আপনাদের কেমন লেগেছে বন্ধুরা জানাতে ভুলবেন না।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | রাঙ্গামাটি পলওয়েল পার্ক |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | ট্রাভেলিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
https://twitter.com/nahar_hera/status/1792804357089726856?t=fzQ9n5FUaPlw6AA7f-Ap3g&s=19
আপু এর আগে আপনাদের রাঙ্গামাটি ভ্রমণের পর্বগুলো দেখেছিলাম। তবে আজকে পলওয়েল পার্ক ভ্রমন করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আসলে ঠিক বলেছেন কোথাও ঘুরতে গেলে তখন যেন গরম একদম বেড়ে যায়। আর খোলামেলা জায়গা গুলোতে অনেক বেশি রোদ থাকে। ভালোই হয়েছে আপনি ব্রিজের মাঝখানে না গিয়ে, বাচ্চাদেরকে ওদের বাবা নিয়ে গেল। তবে জায়গাটা দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুন্দর। সব মিলিয়ে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন।
অনেক গরম ছিল আপু সেখানে তাই ব্রিজের দিকে যায়নি। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
রাঙ্গামাটি পলওয়েল পার্কের দৃষ্টিনন্দর কিছু কিছু দৃশ্য আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করে। প্রতিটা ফটোগ্রাফি দেখে মনে হচ্ছে জায়গাটা অসম্ভব সুন্দর রয়েছে। বর্ণনাগুলো ও খুবই সাবলীল ভাবে দিয়েছেন যেটা আমার ভীষণ পছন্দ হয়েছে। চেষ্টা করব সম্ভব হলে রাঙ্গামাটি পোলওয়েল পার্ক ঘুরে আসার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার গুরুত্বপূর্ণ সময় দিয়ে আমার পুরো পোস্ট পড়লেন।
রাঙ্গামাটির পলওয়েল পার্ক সত্যিই অসাধারণ । আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জায়গাটির কিছু অংশ দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। তবে আপনি ঠিকই বলেছেন পাহাড়ি এলাকায় একটু গরম বেশি আমিও শুনেছি। আপনারা শীতকালে গিয়েছিলেন আর সেই দিন অনেক রোদ। ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে বোঝা যাচ্ছে কেননা রোদের জন্য ছবিগুলো একটু উজ্জ্বল হয়ে গেছে। তবে ঘুরতে গিয়ে আপনি যে ব্রিজের উপর ওঠেনি এটা কিন্তু ঠিক করেনি ভাইয়া ও মেয়েরা উঠেছিল পড়লাম। খুবই ভালো লাগলো আপু আপনার ভ্রমন পোস্ট পড়ে।
অনেক সুন্দর ছিল আপু এই পার্ক। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মূল্যবান সময় দিয়ে পোস্ট করলেন এবং আমাকে অনেক উৎসাহ দিলেন।