লাইফ স্টাইলঃ- পরিবারের সাবাই মিলে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া।

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

সবাই কেমন আছেন?

প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলে ভাল আছেন? শীতের তীব্রতা মনে হচ্ছে দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে আমাদের এদিকে আমার তাই মনে হচ্ছে। কিছুতেই বসে থাকা যাচ্ছে না মনে হয় সারাদিন লেপের ভিতরে ডুকে পড়ি। আসলে তা কি করে হয় যেহেতু প্রতিদিনের ধারাবাহিকতায় কাজ গুলো করে নিতে হচ্ছে। তাছাড়া বাচ্চাদের স্কুল খোলা বাচ্চাদেরকে নেওয়া আসা সবকিছু মিলিয়েই শীত যেন আমাদেরকে ঝেঁকেই বসেছে। তো বন্ধুরা শত ব্যস্ততার মাঝেও পছন্দের কমিউনিটির কাজ গুলো করতে কিন্তু ভুলে যায় না। তাই যখন সময় সুযোগ হাতেই চলে আসে তখন বসে পড়ি পোস্ট লিখার জন্য।

F.jpg

আজকে আবার উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি টপিক্স নিয়ে আশা করি ভালো লাগবে। বন্ধুরা কিছুদিন আগে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম পানকৌড়ি রেস্টুরেন্টে ঘুরতে যাওয়া এবং খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত। যদিও সেদিন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম পানকৌড়ি রেস্টুরেন্টের এদিক ওদিক ঘুরাঘুরি করেছিলাম। যেহেতু যে কোন রেস্টুরেন্ট এর একটা নিয়ম আছে খাবার গুলো অর্ডার দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। অপেক্ষা করার মানে হচ্ছে খাবার গুলো তারা রেডি করে দিবেন। সেই ফাঁকে আমি এই সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। তাছাড়া যখন বাচ্চারা সাথে থাকবে তাহলে তো আর কোন কথাই নেই।

F9.jpg

F10.jpg

তারা এদিক ওদিক ছুটাছুটি করে এবং এটা ওটাতে হাত দেই তাই তাদের পিছনে পিছনে দৌড়াতে হয়। সেই দৌড়ানোতেও কিন্তু নিজের কাজ গুলো করে নিতে ভুলে যায় না হা হা হা। কি কাজ সেটা তো অবশ্যই বুঝতে পারছেন ফটোগ্রাফি করার কথা বলছি হ্যাঁ। সেই ফাঁকে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম যেগুলো আমি আপনাদেরকে ইতিপূর্বে শেয়ার করে নিয়েছি। তো আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব পানকৌড়ি রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার কিছু ফটোগ্রাফি। যেহেতু রেস্টুরেন্টে যাওয়া হল। রেস্টুরেন্টে যাওয়া মানেই তো খাওয়া দাওয়া তাইনা? তাই আমরা খাবার অর্ডার করেছিলাম বাচ্চাদের পছন্দ মত। আসলে সব বাচ্চারা মনে হয় একই রকম নিজেদের পছন্দ মত খাবার গুলো খেতেই সব সময় উদ্বিগ্ন থাকে।

F1.jpg

F4.jpg

তো তাদের পছন্দ মতো ফ্রেন্স ফ্রাই চিকেন ফ্রাই গুলো অর্ডার করেছিলাম। সেই সাথে ছোট মেয়ে তো আছে সেই কোকাকোলা খাবে। তার জন্য কোকাকোলা অর্ডার করলাম। এই বিষয়টা আমার কাছে একদম পছন্দের না। কারণ আমি কোকাকোলা কিংবা ড্রিংকস জাতীয় খাবার খুব কম খাই। বিশেষ করে কফি হলে হয় আমার জন্য। আর গরম গরম এক কাপ চা হলে এনাফ। বেশ কিছুক্ষণ এদিক ওদিক ঘোরাফেরা করার পরেই খাবার গুলো চলে আসে। আমি মনে করি প্রত্যেকটি রেস্টুরেন্টের খাবারের স্বাদ আলাদা। কখনো আমি মিল খুঁজে পাই নাই যে একটি রেস্টুরেন্টের খাবারের মিল অন্য একটি রেস্টুরেন্টের মধ্যে পাওয়া যায়। এবং তারা সব সময় আলাদা মসলা ইউজ করেন এবং আলাদা পদ্ধতিতেই করার চেষ্টা করেন।

F2.jpg

F3.jpg

তাহলে কি হয় খাবারের মধ্যে একটু ভিন্নতা চলে আসে এবং ভিন্ন স্বাদ পাওয়া যায়। তাছাড়া তারা ভিন্ন ভাবে পরিবেশন করার ও চেষ্টা করে থাকেন। সত্যিই আমার কাছেই যে রেস্টুরেন্টে যাই না কেন খাবার গুলো ভালোই লাগে। কারণ এক একটি রেস্টুরেন্টের মধ্যে এক এক ধরনের মসলা ব্যবহার করা হয়। যার কারণে খাবার গুলোর মধ্যে ভিন্ন ধরনের স্বাদ খুঁজে পাওয়া যায়। সেই দিনও বেশ ভালোই লেগেছিল ফ্রেন্স ফ্রাই গুলো খেতে বিশেষ করে আমার কাছে। আর রেড চিলি সস তো থাকবে। বাচ্চারা তো সহজে সস ছাড়া খাবে না। তবে বাচ্চাদের কথা কি আর বলবো আমারও খুব ভালো লাগে সস দিয়ে খেতে। তাছাড়াও হোয়াইট সস যেটা সেটাও আমার বেশ ভালই লাগে।

F5.jpg

F8.jpg

তবে হোয়াইট সস বাচ্চারা একদম খেতে চাই না। তবে আমি পছন্দ করি আমার খেতে খুব ভালোই লাগে। সবাই বসে পড়লাম খাওয়া-দাওয়া নিয়ে। যেহেতু আস্তে খাচ্ছিলাম হাতে সময় ছিল। তাছাড়া খোলামেলা পরিবেশের কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। তো খাওয়া দাওয়া শেষ করার পরে বাচ্চারা কোকাকোলা নিয়ে টানাটানি শুরু করে দিল। দুইজনের একই অবস্থা দুইজন এক সাথে হলে তো আর বলার কথা নেই। একজন যা করে অন্যজন তা করার চেষ্টা করে থাকেন। সে বিষয়টা আমাকে খুব বেশি এক্সাইটেড করে তুলে। কারণ তারা একজন আরেকজনের টা নিয়ে টানাটানি শুরু করে দেয়। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে সময় অতিবাহিত করার পরেই সবাই চলে আসার জন্য প্রস্তুতি নিলাম।

F6.jpg

F7.jpg

সেই ফাঁকে আরো কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। এবং ফটোগ্রাফি পর্ব শেষ করার পরে সোজা নেমে পড়লাম রেস্টুরেন্ট থেকে। একটা অটো নিয়ে আমরা বাসায় চলে আসি। আশা করি বন্ধুরা আপনাদের কাছে আমার বিষয়টি ভালো লাগলো। সময় দিয়ে পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।


24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1Eh2qs4cCyucf3FD7ahStNw2cTHPk2QiaQacbQjJNEWnuhyjY1PXfUUMr27ifyD15nkQhFHksgx6bm9BxYLdCkQDMy8JhQrktZHYy6njdzRU4bQ9b1d2xjCdoVzCDDY85pLPq2s7FhKBwPjpuHdozHaReDxEaFH2aYse13zaqogf9utVshuSban6ex1saRA.png

ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
Locationকক্সবাজার
ফটোগ্রাফার@samhunnahar
ক্যাটাগরিলাইফ স্টাইল


সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।

268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png

🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀


আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।

D5zH9SyxCKd9GJ4T6rkBdeqZw1coQAaQyCUzUF4FozBvW7DiLvzq9baKkST8T1mkhiizFXSFVv2PXDydTeMWpnYK2gToiY733FT9uwSdBSXWz7RnGmzsa8Pr9pGoyYaQFsuS3p.png

New_Benner_ABB1.png

Sort:  
 6 months ago 

পরিবারের সবাই মিলে একসাথে খেতে যাওয়ার মজাই আলাদা। সত্যি বলতে আজকে কয়েকদিন প্রচন্ড শীতের জন্য অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এজন্য কোন কাজ করতে ভালো লাগছে না। তবে আপনারা তো দেখছি আজকে অনেক পছন্দের খাবার খেলেন। ফ্রেন্স ফ্রাই আর চিকেন ফ্রাই দুটোই আমার অনেক পছন্দের। সবাই মিলে অনেক সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছেন।

 6 months ago 

তবে এতো শীতের মধ্যে যাইনি এগুলো কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম ভাইয়া।

 6 months ago 

এটা ঠিক বলেছেন আপু গত কয়েকদিন অনেক বেশি শীত পড়ছে। আর এই জন্য প্রতিদিন এর কাজগুলো করতে খুবই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা কিন্তু যতই ব্যস্ত থাকি কমিউনিটির কাজগুলো যথারীতি প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছি। তবে তার ফাঁকে খেতে বেরিয়েছেন এটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এবং চিকেন ফ্রাই দুইটাই খুবই পছন্দের খাবার। আসলে ছোটরা কোকাকোলা খেতে একটু বেশি পছন্দ করে। আপনার মেয়েও তাই নিলো দেখলাম। আর সেটার মধ্যে আমি নিজেও চা কিংবা কফি খেতে পছন্দ করি। সব মিলিয়ে বেশ দারুন একটা সময় কাটিয়েছেন।

 6 months ago 

এভাবে আপু সবাই মিলে খেতে খুবই ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 months ago 

আপু যেহেতু এখন মাঘ মাস তারজন্য সারা বাংলাদেশে শীত জেকে বসেছে। এই মাসটাই সবচেয়ে বেশি শীত পড়ে। তবে এই শীতে কিন্তু ঘোরাঘুরি আর খাওয়া দাওয়া করতে বেশ ভালো লাগে। আপনার মেয়েদের নিয়ে পানকৌড়ি রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। রেস্টুরেন্টের নাম যেমন সুন্দর তেমনি খাবার দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু। সব রেস্টুরেন্টের সেফ আলাদা আর একেক জনের রান্নার স্টাইল আলাদা। তারজন্য একেক রেস্টুরেন্টের খাবার একেক রকম হয়। আমিও ড্রিংকস জাতীয় খাবার খেতে পারি না তবে আপনার মতো চা কিংবা কফি হলে আমারও ভালো হয়। বুঝতে পেরেছি রেস্টুরেন্টে আপনি খুব সুন্দর সময় পার করেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো।

 6 months ago 

ঠিক বলছেন আপু এক একটি রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন এক এক রকমের। তাছাড়া খাবারের স্বাদ গুলোতেও ভিন্নতা পাওয়া যায়।

 6 months ago 

রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার দারুণ একটি মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। আপনার এই সুন্দর মুহূর্ত আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। মাঝেমধ্যে আমাদের এভাবে বাইরে খাওয়া-দাওয়া করা উচিত এতে মন ভালো থাকে। পাশাপাশি আপনার বর্ণনা পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম।

 6 months ago 

অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আমার পোস্ট আপনি সময় দিয়ে পড়লেন।

 6 months ago 

পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন রেস্টুরেন্ট। আসলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে এমন মুহূর্ত অতিবাহিত করার অনুভূতি বেশ দারুন হয়ে থাকে। রেস্টুরেন্টের পরিবেশ খুবই চমৎকার। চিকেন ফ্রাই খেতে খুব ভালো লাগলো। বেশ সুন্দর ভাবে খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত উপভোগ করেছেন । ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 6 months ago 

ঠিক বলছেন এভাবে যদি এক সাথে সময় কাটানো যায় তাহলে খুব ভালো লাগে।

 6 months ago 

আজ কয়েকদিন একদম অতিরিক্ত ঠান্ডা পড়তেছে। তবে আপনারা পানকৌড়ি রেস্টুরেন্টে গেলেন পছন্দের খাবার খেতে। তবে এরকম রেস্টুরেন্টে আমিও গেলে ফটোগ্রাফি করতে অনেক সময় ভুলে যায়। রেস্টুরেন্ট গেলে বাচ্চারা অনেক খুশি হয়। তবে আপনার মত আমি নিজেও রেস্টুরেন্ট গেলে কপি হলে চলে। তবে আমি অন্যান্য খাওয়ার দাওয়া করার পর কফি বা চা খাওয়ার চেষ্টা করি। ফ্রেন্স ফ্রাই এবং চিকেন ফ্রাই দুটো আমার নিজের অনেক প্রিয় খাবার। খুব সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 months ago 

এই খাবার গুলো সব সময় বাচ্চারা খেতে চাই।

 6 months ago 

পরিবারের সবাইকে নিয়ে রেষ্টুরেন্টে খাওয়াদাওয়ার আনন্দই আলাদা।অনেক কিছুই খেয়েছেন দেখছি। বাচ্চাদের পছন্দমতো খাবার অর্ডার করেছেন জেনে ভালো লাগছে।ধন্যবাদ সুন্দর খাবারের ফটোগ্রাফি ও অনুভুতি শেয়ার করার জন্য।

 6 months ago 

হ্যাঁ আপু সব বাচ্চাদের পছন্দের খাবার ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 months ago (edited)

আমার তো সব থেকে ভালো লেগেছে রেস্টুরেন্টের নাম টা 👌। আমাকেও কিন্তু ওখানে নিয়ে যাবেন আপু। একটা সময় বাইরের এই খাবার গুলো খুব ভালো লাগতো। কিন্তু এখন কেন যেন গ্যাস্ট্রিকের প্রবলেম হয়। তাই খুব কম খাই। তবে আপনার এত সাবলীল লেখার প্রলোভনে পড়ে গেলাম আবারও। হিহিহিহি। সবাই মিলে যে ভালো একটা সময় কেটেছে এটা খুব ভালো ভাবেই বোঝা গেল। অনেক ভালো থাকবেন আপু ।

 6 months ago 

এই খাবার গুলো আসলেই বাচ্চাদের বেশি আকর্ষণ করে। এটা সত্যি যে লিভারের জন্য খুবই খারাপ অবস্থা এই ধরনের খাবার। কি আর করার তাদেরকে তো মানানো যায় না। অবশ্যই নিয়ে যাব ভাইয়া আপনি আসলে।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 57800.38
ETH 3127.30
USDT 1.00
SBD 2.40