সবাই কেমন আছেন?
আশা করি বন্ধুরা আপনারা সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি পরিবার পরিজনকে নিয়ে। সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাচ্ছি আমার আজকের রেসিপি ব্লগে। আজকে আমি উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি রেসিপি নিয়ে। প্রতি সপ্তাহে একটি করে রেসিপি পোস্ট শেয়ার করি। যদি হাতের সময় সুযোগ থাকে তাহলে ইউনিক কিছু রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করি। রেসিপি তৈরি করার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ সময় দিতে হয় এবং ইউনিক রেসিপি করতে হলে অনেক সময় দরকার। বর্তমান সময়ে ইলিশের সিজন। আমরা কম বেশি সবাই ইলিশ মাছ খেতে অনেক পছন্দ করি। যে কোন সিজনেই আমাদের ইলিশ মাছ খেতে খুব ভালো লাগে। বন্ধুরা ইলিশ মাছ এমন একটি মাছ যে কোন ভাবে রান্না করলে খেতে দারুন হয়।
আজকে দুপুরে এই রেসিপি তৈরি করেছি। আপনারা হয়তোবা অনেকেই জানেন আমাদের কক্সবাজারের অনেক এলাকায় পানিতে ডুবে গেছে। এত প্রচুর বৃষ্টি হল যার কারণে বেশ কিছু জায়গায় পানি উঠে গেছে। কিন্তু আমরা ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। এই বৃষ্টির দিনে আমার ইচ্ছে করলো ইলিশ মাছের রেসিপি তৈরি করার। বিশেষ করে ইলিশের সাথে কচুর মুখী দিয়ে রান্না করলে খেতে খুবই মজার হয়। আর ইলিশ মাছ মানে তো সরিষা বাটা দিলেই আর কথাই নেই। আমি দুটি জিনিসের সমন্বয়ে আজকের রেসিপিটি তৈরি করেছি। দুপুর বেলায় গরম গরম খেতে দারুণ লেগেছে। ইলিশ মাছ এমন একটি মাছ যে কোনভাবে রান্না করলে খেতে সুস্বাদু হয়। ইলিশ মাছ এমন একটি মাছ যেকোন সবজির সাথে খেতে বেশ ভালো লাগে।
আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে রান্না করার চেষ্টা করি। তবে আজকে সরিষা বাটা এবং কচুর মুখি দিয়ে ইলিশ মাছের ঝোল করেছি। ইলিশ মাছ ভুনা খেতে যেমন ভালো লাগে পাতলা ঝোল খেতে আরো অনেক ভালো লাগে। সবকিছু মিলিয়ে দারুন একটি রেসিপি হয়েছিল। বন্ধুরা আর দেরি না করে সেই রেসিপিটি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছি—
রেসিপির প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহঃ |
বন্ধুরা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন প্রথমে আমি উপকরণসমূহ পরিমাণ মতো উল্লেখ করেছি এবং পরিমাণ মত আপনাদেরকে নিয়ে দেখিয়েছি। ইলিশ মাছ পরিস্কার করে ধুয়ে নিয়েছি। আর কচুর মুখি খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি।
সরিষ বাটা, কচুর মুখির সাথে ইলিশের সুস্বাদু রেসিপি তৈরীর ধাপ সমূহঃ
রান্নার ধাপ-১
যেহেতু উপকরণ সমূহ বিস্তারিত আপনাদের সাথে উল্লেখিত পরিমাণ নিয়ে দেখিয়েছি। এখন সরাসরি রান্না করার জন্য একটি রান্নার পাত্র চুলায় বসিয়ে দিয়ে তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গরম হওয়ার জন্য অপেক্ষা করলাম। যখন তেল গরম হয়ে আসে তখন পেঁয়াজ ও রসুন কুচি দিয়ে দিয়েছি।
রান্নার ধাপ-২
পেঁয়াজ ও রসুন কুচির সাথে দিয়ে দিলাম সরিষা বাটা। নেড়েচেড়ে বেশ কিছুক্ষণ কষিয়ে নেওয়ার পরে শুকনো উপকরণ গুলো দিয়ে দিলাম।
রান্নার ধাপ-৩
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমি কাঁচা মরিচ বাটা দিয়ে দিছি। সব উপকরণ দেওয়ার পরে হালকা পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে।
রান্নার ধাপ-৪
এরপরে কচুর মুখি দিয়ে দিলাম সাথে কেটে রাখা এবং পরিষ্কার করে রাখা ইলিশ মাছ দিয়ে দিছি। দেওয়ার পরে সব উপকরণ মিশিয়ে নিয়েছি।
রান্নার ধাপ-৫
যেহেতু আমি ইলিশ মাছের পাতলা ঝোল করব তাই হালকা করে ঝোল দিলাম। ঝোল দেওয়ার পরে সিদ্ধ করে নিতে হবে যাতে কচুর মুখি এবং মাছ সিদ্ধ হয়ে আসে। যখন সিদ্ধ হয়ে আসে তখন পরিবেশনের জন্য রেডি করে নিয়েছি।
রেসিপির পরিবেশনা
বন্ধুরা দেখতে পাচ্ছেন আপনারা তৈরি করে নিলাম আমার পছন্দের রেসিপি কচুর মুখি আর ইলিশ মাছের পাতলা ঝোল। এভাবে খেতে খুবই ভালো লাগে। তবে আমার ক্ষেত্রে ইলিশ মাছ যেভাবে রান্না করা হোক আমার খুবই পছন্দের। অনেকেই ইলিশ মাছে বেশি কাঁটা তাই কম পছন্দ করেন। কিন্তু কাঁটা হলেও আমার খেতে খুব ভালো লাগে। রেসিপি তৈরি করার পরে খেতে খুবই ভালো লাগলো। সেই সুস্বাদু রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম। আশা করি বন্ধুরা আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে। আপনাদের কেমন লাগলো জানালে অনেক বেশি ভালো লাগবে। সময় দিয়ে আমার রেসিপি ভিজিট করার জন্য ধন্যবাদ।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি। আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
@samhunnahar
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
কচুর মুখি ইলিশ মাছ রান্নার এক দারুন সহযোগী সবজি কচুর মুখি দিয়ে যেকোনো মাছ রান্না করলেই বেশ দারুন লাগে তবে একটা সমস্যা এই তরকারি বেশি সময় রাখলে সেটা নষ্ট হয়ে যায়।সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।
আপনি ঠিক বলছেন কচুর মুখি বেশিদিন রাখা যায় না নষ্ট হয়ে যায়।
খবরের দেখেছি কক্সবাজারের অনেক জায়গায় পানি উঠেছে । তবে আপনারা ভালো আছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো।দোয়া করি পানি বন্ধি মানুষেরা যেনো নিরাপদে থাকে।যাইহোক আপনার বানানো রাসিপিটি বেশ মজা হয় খেতে। আমিও করি। কচুর মূখী আমার বেশ প্রিয়। এলার্জির জন্য খুব কম খাওয়া হয়। তবে কচুমূখী আর ইলিশ মাছের রেসিপিটি এক কথায় দুর্দান্ত একটি রেসিপি। মজার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি ঠিক বলছেন ইলিশ মাছ এবং কচুর মুখি দুইটা খেলে এলার্জি একটু বেড়ে যেতে পারে।
আপু আপনার টাইটেলে সরিষা বানান ভুল রয়েছে।ইলিশ মাছ খেতে কম বেশি সকলেই ভালোবাসে।ইলিশ মাছ ভাজা কিংবা ভুনা খেতে বেশ ভালোই লাগে।গরম ভাত কিংবা পোলাওয়ের সঙ্গে ইলিশ ভাজা খেতে অমৃত লাগে।তবে আপনি সরিষা বাটা, কচুর মুখি দিয়ে বেশ চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।কখনও এইভাবে ইলিশ মাছ খাওয়া হয়নি।আপনার রেসিপিটি দেখে বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এভাবে একদিন খেয়ে দেখবেন আপু খেতে খুবই ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সর্বপ্রথম মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন সবাই কে হেফাজতে রাখেন সকল বিপদ আপদ থেকে। যাইহোক আপু আপনি কিন্তুু আমার খুবই পছন্দনিও একটি রেসিপি আজ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সরিষা বাটা এবং কচুর মুখির কম্বিনেশনে রেসিপিটা কিন্তুু দারুন হয়েছে। রেসিপির কালার টা দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। যাইহোক ছোট আপু একটি লোভনীয় সুস্বাদু রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার সুন্দর মতামত আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কচুর মুখীর সাথে ইলিশ মাছের কম্বিনেশনটা আমার ভীষণ পছন্দ। খুবই ভালো লাগে এই রেসিপিটা খেতে। তবে সরিষা বাটা দিয়ে কখনোই রেসিপি টা তৈরি করে খাওয়া হয়নি। কালার টা দেখে তো মনে হচ্ছে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে খেতে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু লোভনীয় এই রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য।
আমার আপু বার বার খেতে ইচ্ছে করে এভাবে রান্না করে।
ইলিশ মাছের সুস্বাদু একটি রেসিপি তৈরি করে দেখিয়েছেন। আপনার চমৎকার এই রেসিপি দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে। কচু দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে খুব ভালো লাগে। আমি বেশ কিছুদিন ধরে এভাবে পাঙ্গাস মাছের সাথে রান্না করে চলেছি। আশা করি আপনার এই রেসিপি অনেক সুস্বাদু ছিল।
ঠিক বলছেন আপু কচুর মুখি রান্নার স্বাদ অনেক বাড়িয়ে দেয়।
ইলিশ মাছ যে কোন ভাবে রান্না করে খেতে ভালো লাগে আর কচুর মুখী দিয়ে যা রান্না করা যায় তাই মজাদার হয়।আপনার রেসিপিটি ভীষণ লোভনীয় হয়েছে। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমারও বেশ পছন্দের সবজি আপু।
ইউনিক কিছু করতে গেলে তো সময়টা একটু বেশি দিতে হয় আপু । অনেকদিন হলো কচুর মুখি দিয়ে ইলিশ মাছ খাওয়া হয় না । কচুর মুখীই খাওয়া হয়না খুব একটা। আপনার রেসিপিটি দেখে তো ভালো লাগছে লোভও লাগছে । কারণে ইলিশ মাছ আমার অনেক পছন্দের মাছ । অনেক মজা করে রান্না করেছেন বোঝা গেল।
বাসায় চলে আসেন আপু আপনার জন্য আবার রান্না করবো।
আমার কাছে তো এরকম রেসিপি খেতে অসম্ভব ভালো লাগে। দেখে তো বুঝতেই পারছি এটা অনেক বেশি মজাদার হয়েছিল। সবাই একসাথে খেতে অসম্ভব ভালো লাগবে। এখন যদি পেতাম তাহলে তো মজা করে খেতে পারতাম। যারা কখনো এই রেসিপিটা তৈরি করেনি তারা সহজে এটা শিখে নিতে পারবে। নিশ্চয়ই মজা করে খেয়েছেন এই মজার রেসিপিটা। সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এখন কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণ ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে কক্সবাজার ঘুরতে আসেন সবাই মিলে একসাথে খাব।
আজ আপনি আমাদের মাঝে একটা দারুন রেসিপি নিয়ে হাজির হলেন। কেননা এত সুন্দর একটা রেসিপি দেখে আমার খুব লোভ হচ্ছিল। এছাড়াও রেসিপিটা তৈরি পুরো প্রক্রিয়াটি আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনার কাছ থেকে এত সুন্দর গঠনমূলক মতামত পেয়ে বেশ ভালো লেগেছে।