সবাই কেমন আছেন?
সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাচ্ছি আমার আজকের ব্লগে। প্রিয় কমিউনিটির ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন পরিবার-পরিজনকে নিয়ে? আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তা অসীম রহমতে। সব সময় চেষ্টা করি ভালো থাকার। বন্ধুরা আজকে আবার উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো একটি রেসিপি পোস্ট। যদিও ইদানিং তেমন কিছু তৈরি করা হয় না। কোন রকম ঝটপট রান্না করে পেট শান্তি করতে পারলে হয় এতটুকুই রান্না করি। রেসিপি করব সাজিয়ে গুছিয়ে রান্না করব সেই ধৈর্য টুকু শরীরের মধ্যে নেই বললেই চলে। তারপরও গতকাল হঠাৎ পিঠা তৈরি করতে মন চাইলো। যেহেতু বাচ্চাদেরকে বাইরের খাবার অনেক খাওয়াইছি কয়েকদিন।
আসলে বাইরের খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। আর মন চায়নি বাইরে থেকে খাবার অর্ডার করে খেতে। তাই ভাবছিলাম ঘরে একটা কিছু তৈরি করা যায় কিনা। যেহেতু মেয়ে অনেকদিন ধরে বলছিল তালের রস দিয়ে পিঠা তৈরি করে দেওয়ার। সেই চিন্তা ভাবনা করে তালের রস দিয়ে ভাপা পিঠা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিলাম। যখন রেসিপি তৈরি করতে গেলাম তখন মাগরিবের আজান দিচ্ছিল। মোটামুটি পিঠা তৈরি করার প্রসেস গুলো তৈরি করে নামাজ পড়তে গেলাম। নামাজ শেষ করে এসে চুলাতে বসায় দিলাম পিঠা। বেশ কিছুক্ষণের মধ্যে পিঠা তৈরি হয়ে যায়। তারপরে গরম গরম বাচ্চাদেরকে দিলাম আমিও খেয়েছি। প্রায় সময় তো তালের রস দিয়ে বিভিন্ন প্রকারের তেলের পিঠা তৈরি করা হয়। তবে এবারে ভিন্ন ধরনের তেল ছাড়া ভাপা পিঠা তৈরি করেছি।
যদিও এই রেসিপিটি ইউটিউবের মধ্যে অনেক দেখেছি। এক একজন অনেক ধরনের করে তৈরি করে। পিঠা নামানোর পরে গরম গরম খেয়ে নিলাম। খেতে ভালো লাগছিল। তবে আমি যে পরিমাণ চিনি দিয়েছিলাম সেগুলো হবে মনে করেছিলাম। কিন্তু পিঠা যখন নামিয়ে নিলাম তখন চিনির পরিমাণ একটু কম হয়েছিল। তো যতটুকু স্বাদ লেগেছে আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু চিনির পরিমাণ যদি আরেকটু বাড়িয়ে দিতাম তাহলে স্বাদ আর একটু বেড়ে যেত। আশা করি এই ঝটপট রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আপনারাও চাইলে এভাবে তৈরি করে নিতে পারেন। তাহলে তালের রসের ভাপা পিঠা কিভাবে তৈরি করেছি তা দেখিয়ে দিব—
রেসিপির প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহঃ |
বন্ধুরা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন প্রথমে আমি উপকরণসমূহ পরিমাণ মতো উল্লেখ করেছি এবং পরিমাণ মত আপনাদেরকে নিয়ে দেখিয়েছি।
কলা ও নারকেলের স্বাদে মুচমুচে বড়া পিঠা তৈরীর ধাপ সমূহঃ
রান্নার ধাপ-১
প্রথম ধাপে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সুজির প্যাকেট খুলে একটি বড় বাটিতে নিয়ে নিলাম। সেখানে পরিমাণ মতো চিনি দিলাম। সেই সাথে নারকেল দিলাম।
রান্নার ধাপ-২
এখন দেখতে পাচ্ছেন তালের রস দিলাম। অল্প পরিমাণ বেকিং সোডার দিলাম। সাথে পরিমাণ মতো লবণ দিয়েছি। সব উপকরণ দেওয়া শেষ হলে হাত দিয়ে মেখে নিব। এই পর্যায়ে ভালোভাবে মেখে নিয়েছি।
রান্নার ধাপ-৩
যখন ডো তৈরি করা শেষ তখন কিছুক্ষণের জন্য ঢাকনা দিলাম। এরপরে কাপগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে সেখানে হালকা তেল মেখে নিয়েছি। চামচের সাহায্যে কাপের মধ্যে পিঠার ডো দিয়ে দিলাম।
রান্নার ধাপ-৪
পিঠার ডো কাপের মধ্যে দিয়ে সব কাপ রেডি করে নিলাম। এখন চুলায় বসিয়ে দেওয়ার জন্য একটি পাত্র চুলায় দিলাম। সেখানে গরম পানি সিদ্ধ হয়ে আসলে কাপগুলো ভাপের উপরে বসায় দিবো।
রান্নার ধাপ-৫
কাপগুলো ভাপের উপর বাসায় দিয়ে ঢাকনা দিলাম ভালোভাবে যাতে ভাপ গুলো বের হয়ে না যায়। বেশ কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে সিদ্ধ করে নিলাম। প্রায় 15-20 মিনিট পরে দেখে নিলাম পিঠা হয়েছে কিনা। দেখতে পেলাম বেশ ভালোভাবে ভাপের মধ্যে পিঠাগুলো হয়ে গেছে।
রেসিপির পরিবেশনা
বন্ধুরা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন কিছুক্ষণ ঠান্ডা করার দিয়ে কাপ থেকে পিঠাগুলো বের করে নিলাম। একটি প্লেটের মধ্যে সাজিয়ে নিয়েছি খাওয়ার জন্য। প্রথমে ভাবছিলাম ভিতরে কাঁচা থেকে যাবে কিন্তু একদম পারফেক্ট হয়ে গেছে। যেহেতু নতুন পদ্ধতিতে রান্না করেছি কিন্তু আমার ভালো লাগছে। আমি বেশ ভালোভাবে নারকেল দিয়েছিলাম। কারণ এ ধরনের ভাপা পিঠাই নারকেল হলেই ভালো লাগে খেতে। আশা করি বন্ধুরা আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আপনাদের কেমন লাগলো জানালে খুশি হব। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সময় দিয়ে দেখার জন্য।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি। আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
@samhunnahar
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
সুজি দিয়ে ভাপা পিঠা কখনো খাওয়া হয়নি। সাথে আবার তালের রস দিয়েছেন। মনে হচ্ছে খেতে সুস্বাদু হয়েছিল। চমৎকার একটি রেসিপি তৈরির পদ্ধতি তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তালের রস আমি অনেকদিন খাইনি। বিভিন্ন এলাকায় তালের রস হয়। কুষ্টিয়ার কিছু এলাকাতেও লক্ষ্য করেছি। আজকে আপনি সেই তালের রস দিয়ে দারুন রেসিপি তৈরি করে দেখিয়েছেন। আশা করি অনেক অনেক সুস্বাদু ছিল আপনার তৈরি এই মজার রেসিপি।
আমাদের এখানে প্রচুর পরিমাণ তাল পাওয়া যায়। পিঠাগুলো খেতে তো খুব ভালো লাগে আমার।
তালের রসের ভাপা পিঠা খেতে অনেক মজার। আমি ও অনেক দিন আগে বানিয়েছিলাম।আপনার পিঠা দেখে লোভ লেগে গেল। মনে হচ্ছে একপিস খেয়ে দেখতে পারতাম। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খেতে ভালো লাগছিল আপু অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ চমৎকারভাবে তালের রস আর সুজি দিয়ে ভাপা পিঠা তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আসলে তালের রস দিয়ে কখনো পিঠা বানিয়ে খাওয়া হয়নি। তবে তালের রস অনেক খেয়েছি। আপনার ইউনিক পদ্ধতির পিঠা তৈরির রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে আপু। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার রেসিপিটি ভিজিট করলেন।
ভাপা পিঠা তো অনেক খাওয়া হয়েছে তবে তালের রস এবং সুজি দিয়ে ভাপা পিঠা কখনোই খাওয়া হয়নি। ইউনিক একটা রেসিপি দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। এই রেসিপিটা একদিন ট্রাই করে দেখব। ধন্যবাদ আপু লোভনীয় এই রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমিও প্রথম তৈরি করেছি আপু খেতে খারাপ হয়নি। চিনির পরিমাণ কিংবা মিষ্টি পরিমাণ একটু বাড়িয়ে দিলে খেতে বেশ ভালো লাগে।
ভাপা পিঠা শীতের সময় অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে তালের রস আর সুজি দিয়ে ভাপা পিঠা তৈরি করেছেন। আসলে এখন পর্যন্ত কোন দিন তালের রস আর সুজি দিয়ে ভাপা পিঠা তৈরি রেসিপি খাওয়া হয়নি।তবে, আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ বেশ মজাদার হয়েছিল।
বেশ ভালো লাগছে পিঠাগুলো খেয়ে আপনিও তৈরি করে দেখবেন।
খুবই ইউনিক একটি রেসিপি আপনি তৈরি করেছেন । তালের রস আর সুজি দিয়ে ভাপা পিঠা তৈরির রেসিপি আমার খুবই প্রিয় একটা রেসিপি। তালের রস দিয়ে তৈরি পিঠা খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু । এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।
তালের পিঠা খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তালের রস দিয়ে অনেক রকমের পিঠা তৈরি করা যায়। আজ আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত চমৎকার ভাবে তালের রস আর সুজি দিয়ে ভাপা পিঠা তৈরি করেছেন বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। তালের রস আর সুজি দিয়ে ভাপা পিঠা দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আপনার পিঠা তৈরি উপস্থাপন বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। এতো সুন্দর রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
বাসায় দাওয়াত দিলাম ভাইয়া চলে আসেন আবার তৈরি করব।
বর্তমান বাইরের খাবার অস্বাস্থ্যকর বেশি হয়ে থাকে । যাইহোক, বাড়িতেই এই ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়ার মজাই আলাদা। এই ধরনের ভাপা পিঠা আগে কখনো খাওয়া হয়নি এবং দেখাঐ হয়নি। তালের রস দিয়ে খুব সুন্দর একটি ভাপা পিঠার রেসিপি তৈরি করেছেন দারুন ছিল। ভালই উপভোগ করলাম দেখে।
বাড়িতে তৈরি করে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা।
রেসিপিটা আমার কাছে একদম ইউনিক লেগেছে, তালের রস আর সুজির সমন্বয়ে ভাবা পিঠা তৈরি করা যায় সেটা জানতাম না। যাই হোক নতুন লোভনীয় রেসিপির সাথে পরিচিত হয়ে ভালো লাগলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
কক্সবাজারে বেড়াতে আসুন আপনাদের সবাইকে তৈরি করে খাওয়াবো তালের পিঠা।