লাইফ স্টাইলঃ-মেয়েদের সাথে সমুদ্রে ঘোরাঘুরি এবং কিছু খাওয়া দাওয়া।
শুভ সন্ধ্যা সবাইকে,
সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাচ্ছি ব্লগিং প্রিয় ভাই ও বোনেরা। বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলেই অনেক ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। আজকে পোস্ট লিখতে অনেক বেশি দেরি হয়ে গেল। যেহেতু সারাদিন অনেক বেশি ব্যস্ত ছিলাম। মাঝে মধ্যে ব্যস্ততা অনেক বেশি বেড়ে যায়। আসলেই এত বেশি ব্যস্ত ছিলাম পোস্ট লিখার সম্ভব হয়নি। আজকে আমাদের কক্সবাজারে একটি বাংলা ভাষা চর্চাকারী প্রতিষ্ঠান শব্দায়ন এর ৪০তম জন্মদিন ছিল। মেয়ে সেখানে প্রতি সপ্তাহে প্র্যাকটিস করতে যায় বাংলা আবৃত্তি।
তো অভিভাবকদেরকে বলা হয়েছে শব্দায়নের ৪০ তম জন্মদিন উপলক্ষে পিঠা তৈরি করে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তাই আজকে সেখানে সারাদিন সময় দিতে হয়েছে। যেহেতু পিঠা তৈরি করে নিয়ে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে হয়েছে। তাই একটু ব্যস্ত সময় কাটিয়েছি। সন্ধ্যা সাতটায় বাসায় প্রবেশ করেছি। এরপরে ফ্রেশ হয়ে পোস্ট লিখতে শুরু করে দিলাম। বন্ধুরা আপনাদের দিনকাল কেমন যাচ্ছে আশা করি বেশ ভালোই যাচ্ছে। যাক বন্ধুরা অনেক কথাই বলে ফেলেছি এবার মূল পর্যায়ে চলে আসি।
আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব বাচ্চাদেরকে নিয়ে ঘোরাঘুরির একটি মুহূর্ত। আপনারা তো অবশ্যই বুঝতে পারছেন আসলে বাচ্চারা বেশি বিরক্ত করে সব সময় বের হওয়ার জন্য। যদিও তাদের নিয়ে আমি তেমন বের হই না ওরা বাবার সাথে বেশি বের হয় অফ ডে তে। অফ ডে শুক্রবার শনিবার ওরা বাবার সাথেই ঝামেলা করে। আর বাকি পাঁচ দিন ঝামেলা আমার উপরে চলে যায়। যদিও ঘোরাফেরা করতে হলে বেশি দূরে যেতে হয় না। একটা অটো নিয়ে ২০-৩০ টাকা দিলে সোজা সমুদ্র সৈকতে চলে যেতে পারি। আর সময়ও বেশি প্রয়োজন হয় না পাঁচ সাত মিনিট হলেই পৌঁছে যেতে পারি। সেই জন্য সেই প্রিয় জায়গাতে বার বার ফিরে যায়।
বাচ্চারা ও যেমন আনন্দ পাই তেমনি আমারও ভালো লাগে। কিছুদিন আগে ছোট মেয়ে বলছিল উর্মি বিজিবি ক্যাফে তে খাবে। ওখানকার চিকেন ফ্রাই এবং ফ্রেন্স ফ্রাই গুলো খুবই সুস্বাদু হয়। তাই মা মেয়ে তিনজনে রেডি হয়ে সোজা চলে গেছি লাবনী পয়েন্টের দিকে। সেখানে যাওয়ার পরেই বেশ ভালই লাগছিল। যেহেতু একটু সূর্য থাকা অবস্থায় গেছিলাম তাই সবদিকে ঝলমলে আলো দেখতে পেয়ে খুব বেশি ভালো লেগেছিল। কিছুক্ষণ খেলাধুলা করার পরেই যখন সন্ধ্যা হয়ে আসতেছিল তখন চলে আসার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। সূর্য যখন অস্ত যাওয়ার সময় হলো তখন কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম।
সমুদ্র সৈকতের সূর্যাস্তের ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়। তাছাড়া এদিক ওদিক কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিয়ে নিলাম। আসলেই স্বল্প সময়ের জন্য যাওয়া তাই বেশি সময় অপেক্ষা করি নাই। সোজা বিজিবি ক্যাফে তে চলে যাই। সেই সাথে মেয়েদের পছন্দের খাবার ফ্রেন্স ফ্রাই অর্ডার করেছি। এরপরেই মিষ্টি দই খাবে মেয়েরা তাই দই অর্ডার করলাম। তারপরে দিয়েছি ঝাল ঝাল দুইটি চটপটি। মেয়েরাও আমার সাথে ঝাল ঝাল চটপটি খাবে। ভীষণ ভালো লাগে উর্মি বিজিবি ক্যাফের চটপটি গুলো। যেহেতু কোন ভারি খাবারই অর্ডার করি নাই অর্ডার করার কিছুক্ষণের মধ্যে খাবার গুলো চলে আসে।
যদিও দুই চার দশ মিনিট সময়ের প্রয়োজন হয়েছিল। ততক্ষণ অপেক্ষা করছিলাম এদিক ওদিক ফটোগ্রাফি নিয়েছি। যখন খাবার গুলো চলে আসে তখন আর দেরি না করে খাওয়া শুরু করে দিয়েছি। যেহেতু মাগরিবের পরে মেয়ের কোচিং শুরু হয়ে যায়। তাই সেখানে আর থাকার ইচ্ছে করেনি। তারপরে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া শুরু করি। সত্যিই চটপটি গুলো এতই সুস্বাদু ছিল বলার মতই না। তাছাড়া বাচ্চারা মিষ্টি দই খুব ভালো করে খেয়েছিল। যেহেতু মেয়েরা আইসক্রিম খাবে বলছিল আমি আইসক্রিম না দিয়ে মিষ্টি দই দিয়েছি। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবারো হাঁটা শুরু করে দিলাম।
এর পরে কিছু দূরে যেয়ে ভাবলাম আসলে খাওয়া দাওয়া তো করেছি একটা চা না খেলে কি করে হয়। সেই চিন্তা ভাবনা থেকেই আমি আমার জন্য একটা চা অর্ডার করে নিলাম। যেহেতু বাচ্চারা দই খাচ্ছিল তাই তাদেরকে চা খেতে দিই নাই। আমি চা খেলে তারা খেতে চাই আমার সাথে। কিছু কিছু চায়ের দোকানের চা গুলো খুবই সুস্বাদু হয় খেতে। যখন চা টা আমাকে দিল দোকানদার মুখে দিলাম এতই মিষ্টি যে বলার মতই না। মনে হয়েছিল একদম গলা ছিঁড়ে যাবে এমন অবস্থা। তারপর দোকানদার কে বললাম একটু করে চায়ের মধ্যে লিকার দেওয়ার জন্য। যেহেতু উনি আবারও গরম গরম রঙ পানি দিল তখন মিষ্টির পরিমাণ একটু কমে যায়।
এরপরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চা খেয়ে নিলাম। খাওয়ার পরে আবারো নিজের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে আসার জন্য সোজা হাঁটতে শুরু করে দিয়েছি। একটা আবারও অটো নিয়ে সোজা বাসায় চলে আসি। এই হচ্ছে মা মেয়ে তিনজনেরই ঘোরাফেরা। হুট করে যখন মন চাই ছুটে চলে যাই। এদিক ওদিক আট ঘন্টা এক ঘন্টা সময় ব্যয় করে আবারও ছুটে চলে আসি এই হচ্ছে আমার ঘোরাফেরা। আশা করি বন্ধুরা আমার আজকের ব্লগিং আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় দিয়ে দেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সবাইকে।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার লাবণী পয়েন্ট |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
বিশেষ একটি মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার আজকের এই পোস্ট কিন্তু আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। যেখানে নিজের সন্তানদের সাথে ঘোরাঘুরি এরপর খাওয়া দাওয়া। সব মিলে কিন্তু অসাধারণ ছিল আপনার এই পোস্ট।
প্রায় সময় বের হয় ভাইয়া মেয়েরা বেশি বিরক্ত করে তাই।
আপু বাচ্চাদের নিয়ে বাইরে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। আসলে আপু বাচ্চারা মাকে ছাড়া আর কাকে জ্বালাবে। আর মাঝে মাঝে বাইরে গেলে অনেক ভালো লাগে। তবে আপনার তো বেশি সময় লাগে না। যাইহোক আপু অনেক ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন বেশ ভালো খাওয়া দাওয়া করেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু চেষ্টা করি বাচ্চাদের নিয়ে সময় কাটাতে।
আপনি মেয়ের সাথে সমুদ্রের চরে অসাধারণ কিছু মুহূর্ত অতিক্রম করেছেন। আসলে বাচ্চাদের এরকম ছোট ছোট আবদার সব সময় লেগেই থাকে, একটার পর একটা আবদার লেগেই থাকে। এরকম আবদার পূরণ করার মা বাবার। আপনি আপনার মেয়ের আবদারে সমুদ্রের মাঝে অনেক সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছেন।
ভাইয়া কিছু দিন বের না হলে অনেক বেশি বিরক্ত করে তাই বের হতে হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
দেখতেছি সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গিয়ে মজার কিছু খাবার খেলেন। তবে ছোট বাচ্চারা ঘুরাঘুরি করতে একটু পছন্দ করে। আর সমুদ্র সৈকত আপনাদের কাছে বিদায় একটু সুবিধা হয়েছে। বিশেষ করে সমুদ্র সৈকতে গেলে আবহাওয়া অন্যরকম ভালো লাগে। তবে বাইরে গেলে চা খেতে আমার কাছেও খুব ভালো লাগে। তবে এটি ঠিক অনেক সময় না বলে অতিরিক্ত চিনি দিয়ে থাকে চায়ের মধ্যে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে পোষ্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আজকাল চা তে একদম চিনি খেতে ভাল লাগেনা।
Twitter