রেসিপিঃ-বিন্নি চালের গুঁড়া দিয়ে পাকন পিঠা তৈরি।
সবাইকে শুভ বিকেল,
আশা করি পরিবার-পরিজনকে নিয়ে আপনাদের দিনকাল বেশ ভালোই যাচ্ছেন। আমিও ভাল আছি আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। অনেক বেশি ভালো লাগে সুদূর কক্সবাজার থেকেও আপনাদের সাথে প্রতিনিয়ত ব্লগিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত থাকতে পারি বলে। আরও অনেক বেশি ভালো লাগে নিজের ক্রিয়েটিভিটি গুলো সব সময় আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারি তাই। এত সুন্দর একটি প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে পারি বলে নিজেকে অনেক বেশি ধন্য মনে করি। কারণ বাংলা ভাষায় নিজের মনের ভাব গুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পারি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি শেয়ার করব। প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি একটি করে রেসিপি শেয়ার করার। সেই মোতাবেক আমি আজকে আবারও একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি যে রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব তা হচ্ছে পাকন পিঠার রেসিপি।
আপনারা সকলেই কম বেশি পিঠা সম্পর্কে পরিচিত। আমরা বাঙালি জাতি শীতকাল কিংবা বিভিন্ন ঋতুতেই বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেতে অভ্যস্ত। অনেকেই বেশি পরিমাণ পিঠা খেতে পছন্দ করেন। আবার অনেকেই কম বেশি এই রকমই। তবে পিঠা খেতে আমার খুব ভালো লাগে। আজকে আমি শেয়ার করব বিন্নি চাউলের গুঁড়া দিয়ে পাকন পিঠার রেসিপি। বিন্নি চালের গুঁড়া দিয়ে পাকন পিঠা তৈরি করলে খেতে খুবই ভালো লাগে পিঠা গুলো সফট হয়ে যায় একদম। নরম তুলতুলে পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে। সাথে আমি কলা মিক্স করেছি খেতে খুব সুস্বাদু ছিল এক নিমিষে সব শেষ। আমি দেখেছি আমাদের মায়েরা যখন গ্রামে পাকন পিঠা তৈরি করতেন তখন কিছু বিন্নি চালের গুঁড়া মিক্স করতেন। যার কারণেই পাকন পিঠা গুলো খেতে খুবই নরম হয় খেতে খুবই ভালো লাগে। আজকে আমি শেয়ার করব বিন্নি চালের গুঁড়ার সাথে ময়দা মিক্স করেছি সাথে কলা দিয়ে তৈরি করেছি। রেসিপিটা আপনারাও ফলো করতে পারেন যদি আপনাদের কাছে ভালো লাগে।
তাহলে বন্ধুরা শেয়ার করা যাক সুস্বাদু তুল তুলে বিন্নি চালের গুঁড়ার পাকন পিঠার রেসিপি—-
উপকরণ | পরিমাণ |
---|
বিন্নি চালের গুঁড়া- ৩০০ গ্রাম।
ময়দা- ১০০ গ্রাম।
কলা- ৪/৫ টি।
চিনি- পছন্দমত।
লবণ- স্বাদমত।
সয়াবিন তেল- পিঠা ভাজার জন্য।
বিন্নি চালের গুঁড়া দিয়ে পাকন পিঠা তৈরির ধাপ সমূহঃ
রান্নার ধাপ-১
এই ধাপে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন প্রথমে আমি সব উপকরণ সমূহ নিয়ে সাজিয়ে নিয়েছি। বিন্নি চালের গুঁড়া দিয়ে পাকন পিঠা তৈরি করতে যেসব উপকরণ দরকার হয় সব গুলো নিয়ে নিলাম।
রান্নার ধাপ-২
দ্বিতীয় ধাপে সব উপকরণ গুলোকে একত্রিত করব। প্রথমে চালের গুঁড়া এবং ময়দা এক সাথে নিয়েছি। এরপরে পরিমাণ মতো চিনি দিয়েছি সাথে দিয়েছি স্বাদ মত লবণ। সব গুলো উপকরণ এক সাথে মিক্স করার পরে সাথে দিয়েছি কলা।
রান্নার ধাপ-৩
সব উপকরণ যেহেতু দেওয়া শেষ সব গুলোকে হাত দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিতে হবে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমি হাত দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিচ্ছি।
রান্নার ধাপ-৪
যখন মেখে নেওয়ার শেষ হয়ে যায় তখন রেখে দেবো ঢাকনা দিয়ে দুই তিন ঘন্টার জন্য। কারণ পাকন পিঠার ডো গুলো যত বেশি রেস্টে রাখা যায় তত বেশি ভালো হয়। পিঠা গুলো তেলে দিলে ফুলে ওঠে বেশি খেতে তুল তুলে খুবই মজার হয়।
রান্নার ধাপ-৫
দুই তিন ঘন্টা পরে পিঠা গুলো তৈরি করার জন্য আমি ডো গুলো নিলাম। সেই সাথে চুলায় একটি পাত্র দিয়ে তেল বসিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবো। একটা বাটিতে অল্প পরিমাণ তেল নিয়েছি। সাথে একটা প্লেট নিয়েছি পিঠা তৈরি করার জন্য।
রান্নার ধাপ-৬
এখন প্লেটের মধ্যে হালকা তেল দিয়ে সেখানে পিঠার ডো দিয়ে ভালো করে বেলে নিয়েছি। পিঠা সাইজ করে বেলে নেওয়ার পরে তেলের মধ্যে ছেড়ে দিয়েছি। তেলের মধ্যে ছেড়ে দিয়ে নেড়েচেড়ে ভেজে নিয়ে তুলে নিলাম। এভাবে সব গুলো পিঠা তৈরি করে নিয়েছি।
রেসিপির পরিবেশনা
বন্ধুরা দেখতেই পাচ্ছেন পিঠার কালার গুলো কতই সুন্দর হয়েছে। তাছাড়া খেতে তো খুবই সুস্বাদু ছিল। আমার কাছে তো খুবই ভালো লেগেছে খেতে। বিশেষ করে বিন্নি চালের গুঁড়া দেওয়ার কারণে পিঠা গুলো খেতে খুবই সফট হয়েছিল। কিছু কিছু পিঠা আছে যেগুলো সফট হলে খেতে খুবই ভালো লাগে। এই রেসিপিটি আপনারাও তৈরি করে নিতে পারেন যদি ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধুরা সময় দিয়ে দেখার জন্য আমার আজকের রেসিপিটি।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | পিঠার রেসিপি |
আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি। আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
বিন্নি চালের গুঁড়া দিয়ে তৈরী পাকন পিঠাগুলো বেশ মজাদার হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। আপনি বেশ চমৎকারভাবে কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
এতই সুস্বাদু হয়েছিল রাতে খাবার খাইনি হা হা হা। পিঠার পরিমাণ বেশি খেয়েছিলাম।
পাকন পিঠা রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। এর আগে বিন্নি চালের ভাপা পিঠা খেয়েছে তবে পাকন পিঠা কখনো খাওয়া হয়নি। অনেক সুন্দর একটি পিঠার রেসিপি আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
বিন্নি চালের ভাপা পিঠা যেমন সুস্বাদু হয় তেমনি পাকন পিঠা আরও অনেক বেশি সুস্বাদু হয়।
খুবই সুস্বাদু একটি পিঠার রেসিপি শেয়ার করেছেন। এই পাকন পিঠা আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। তবে অনেকদিন হলো এই পিঠা খাওয়া হয় না। আপনাদের তৈরি পাকন পিঠার রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। তেলে ভাজার কারণে অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে এই পিঠা। রেসিপিটি ধরনটি বেশ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন যা বুঝতে অনেক সুবিধা হয়েছে। শুভকামনা রইল আপু আপনার জন্য।
খুব সুস্বাদু একটি পিঠা অনেক ভালো লেগেছিল খেতে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বিন্নি ধানের খই খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপু আপনি আজকে বিন্নি চালের আটা দিয়ে সুন্দরভাবে পাকন পিঠা তৈরি করেছেন। তবে আপনার তৈরি করার প্রতিটি ধাপ দেখেছেন এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো। কিন্তু এভাবে আমরা কলার বড়া তৈরি করি। যাই হোক রেসিপিটা দেখে তো মনে হচ্ছে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল।
এভাবে করে খেয়ে দেখবেন একদিন বিনি চালের পাকান পিঠা। খেতে খুবই ভালো লাগে আপু।
মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। বিকেলবেলা গরম গরম তেলে ভাজা পাকন পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার পিঠাগুলো দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। তবে কলা দিয়ে এভাবে পিঠা তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। দেখে বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখবো। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
চলে আসেন আপু বাসায় আবার তৈরি করবো আপনার জন্য।
পাকন পিঠা মাঝেমাঝে খেতে ভালই লাগে। আজকে আপনি বিন্নি চালের গুঁড়া দিয়ে পাকন পিঠা তৈরি করলেন। এটা বেশ দারুণ ছিল। প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলি সঠিক মাত্রায় তুলে ধরেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আমারও বেশ ভাল লাগে বিশেষ করে বিন্নি চালের গুঁড়া দিয়ে।
বিন্নি চালের গুঁড়া দিয়ে পাকন পিঠা তৈরি করেছেন বাহ্ দারুন। এই পিঠার নাম আমি আজকে প্রথম শুনলাম। তবে এভাবে পিঠা তৈরি করে খেতে ভীষণ সুস্বাদু লাগে। চমৎকার একটি ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমিও বাসায় তৈরি করবো ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সময় দিয়ে রেসিপিটি দেখলেন।
আপনি আজকে বিন্নি চালের গুঁড়া দিয়ে পাকন পিঠা তৈরি করেছেন দেখেইতো লোভ লেগে গেলো। আসলে পিঠা খেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর আপনার তৈরি করা পাকন পিঠা দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজাদার হয়েছে। তৈরির ধাপ গুলো সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে রেসিপিটি ভিজিট করার জন্য ধন্যবাদ।
বিন্নি চালটা আমার কাছে পরিচিত মনে হচ্ছে। বিন্নি চালের গুড়ো দিয়ে মজাদার পাকন পিঠা বানিয়েছেন। ভিতরে কলা দেয়াতে মনে হয় খেতেও মজা হয়েছিল আপু।
কেউ বলে বিনি চাল আবার কেউ বলে বিন্নি চাল। ধন্যবাদ সময় দিয়ে দেখার জন্য।
আপু আপনি বিন্নি চালের গুঁড়া দিয়ে খুবই মজাদার পাকন পিঠা রেসিপি তৈরি করেছেন। কলা দিয়ে এভাবে পিঠা খেতে আমি খুব পছন্দ করি। বেশ কিছুদিন আগে তৈরি করেছিলাম। আপনার পিঠা দেখে তো খুব খেতে ইচ্ছে করছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু আমার শেয়ার করা রেসিপিটি ভালো লাগার জন্য।