আর্ট পোস্টঃ- একটি মেহেদির ডিজাইন আর্ট।
সবাইকে শুভ বিকেল,
প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন? আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। বন্ধুরা আজকাল ভালো থাকা এত বেশি কঠিন হয়ে গেছে গরমের কারণে জনজীবন যেন অতিষ্ঠ। দিন দিন বৈশ্বিক আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে গরমের তাপমাত্রা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এত জনসংখ্যার মাঝে আসলেই বিদ্যুৎ সাপ্লাই কম হওয়ার কারণে বারবার লোডশেডিং হচ্ছে। যদিও গরম বেশি কিন্তু ঠিক মতো যদি বিদ্যুৎ পাওয়া যেত তাহলে কিছুটা হলেও আরাম পাওয়া যেত। আমি মনে করি শহরের মানুষের তুলনায় গ্রামের মানুষ অনেক বেশি কষ্টে আছে। কারণ গ্রামের মধ্যে লোডশেডিং এর মাত্রা অনেক বেশি। শহরের মানুষ কিছুটা হলেও শান্তিতে থাকে। যেহেতু অফিস আদালত সবকিছু খোলা থাকে। তাই শহরে লোডশেডিং এর মাত্রা অনেক কম। আজকে আমি উপস্থিত হয়েছি একটি আর্ট পোস্ট নিয়ে।
এক সময় হাতে মেহেদি পরতাম অনেক বেশি। মেহেদি দিতে বেশি পছন্দ করতাম। বলতেই পারেন হাত থেকে মেহেদির রং যেত না এমন অবস্থা। কিন্তু যতই বড় হয়ে যাচ্ছি যতই বয়স বাড়তেছে এবং যতই ব্যস্ততা বাড়তেছে ততই ভালো লাগার বিষয় গুলো দিন দিন কোথাও হারিয়ে যাচ্ছে। শত ব্যস্ততার মাঝেও অনেক কিছু জিনিস ইচ্ছে থাকার সত্বেও করা সম্ভব হয় না। মাঝে মধ্যে চিন্তা করি হাতে মেহেদি লাগাবো কিন্তু ব্যস্ততার কারণে আবার ভুলে যায়। অথবা দেওয়ার সময় সুযোগ হয় না। গ্রামে এসেছি বেশ কয়েকদিন হলো। প্রথমে ঈদ করার জন্য মহেশখালীতে গেলাম সেখান থেকেই বাবার বাড়িতে আসলাম ঘুরে একেবারে চলে যাওয়ার জন্য। এখানে এসে বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা ঘোরাঘুরি বেশ সুন্দর একটি সময় যাচ্ছে।
হঠাৎ করেই আমার মেয়ে আদিলা যখন মেহেদি দিচ্ছে আমারও দিতে ইচ্ছে হলো। ইচ্ছে হলেও পরে দিবো না ভাবলাম। কিন্তু আমার ভাইজি এত জোর করলো আমি আর না করতে পারলাম না। আমারও দিতে ইচ্ছা হলো তাই সে আমার হাতে খুব সুন্দর করে মেহেদি পরায় দিল। চিন্তা করলাম এত সুন্দর করে হাতে মেহেদি পরাই দিছে বিষয়টা আপনাদের সাথে শেয়ার করলে হয়তো ভালো লাগবে। তাই আমাকে কিভাবে হাতে মেহেদীর আর্ট ডিজাইন করে দিল সেই ধাপ গুলো আমি ফটোগ্রাফি করে নিলাম। সেই মেহেদীর ডিজাইনের আর্ট পোস্ট আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আমার আজকের শেয়ার করা আর্ট পোস্ট আপনাদের বেশ ভালোই লাগবে। তাহলে বন্ধুরা আমি ধাপে ধাপে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিচ্ছি—---
আর্টের প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহঃ
কাশমেরী মেহেদির টিউব।
আমার নিজের হাত।
প্রথম ধাপঃ
প্রথমে আমি আমার হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিলাম। তারপর তোয়ালে দিয়ে হাত মুছে নিয়েছি। হাতে মেহেদির আর্ট করা শুরু করে দিলাম। প্রথমে কিছু অংশ আর্ট করে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপঃ
এখন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন মেহেদির টিউব দিয়ে আরও কিছু অংশ নকশা করে নিয়েছি। এরপর ধাপে ধাপে বিভিন্ন নকশা দিয়ে পুরো ডিজাইন আর্ট করে নিবো।
তৃতীয় ধাপঃ
এই ধাপে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আর্ট করা প্রায় শেষের দিকে। বিভিন্ন নকশা দিয়ে ডিজাইন করলে দেখতে বেশ ভালো লাগে।
চতুর্থ ধাপঃ
এই ধাপে হাতের মেহেদির ডিজাইন আর্ট করা শেষ। এখন দেখতে পাচ্ছেন পুরো আর্ট করা শেষ হয়ে গেছে।
উপস্থাপনা
যখন আর্ট করা শেষ হয়ে যায় তখন ভালোভাবে ফ্রেশ করে নিলাম হাতটি। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এতই ভালো লাগছে মেহেদির ডিজাইন আর্ট। আমি ভালোভাবে কয়েকটি হাতের ফটোগ্রাফি করে নিয়ে নিলাম। সেই ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম বন্ধুরা। আমার অনেক ভালো লাগলো দেখতে। আশা করি আমার আজকের শেয়ার করা মেহেদির ডিজাইন আর্ট আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে। সময় দিয়ে আমার আজকের মেহেদির ডিজাইন আর্ট দেখলেন অনেক ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সবাইকে।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | মেহেদীর ডিজাইন আর্ট |
আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি। আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
অধিক তাপমাত্রার কারণে আাসলে আনাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে।
এই কষ্ট আবার দ্বিগুণ করে দিচ্ছে বিদ্যুৎ।
আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। সারা দেশে।
আপনি অনেক সুন্দর একটি মেহেদী ডিজাইন তৈরি করেছেন দেখতে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে।
বিশেষ করে ছোট ছোট নকশা গুলো।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মেহেদির নকশা গুলো আপনার দেখে ভালো লাগলো তাতে আনন্দিত হয়েছি।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু বয়স বারের সাথে সাথে ভালো লাগার জিনিসগুলো হারাতে থাকে। কথায় আছে ছোটবেলা ছিলাম ভালো বয়স কেন বারিল। যাই হোক আপনি আপনার ভাতিজির কথায় হাতে মেহেদি দিয়েছেন মেহেদির ডিজাইন টা খুব সুন্দর হয়েছে। এত সুন্দর মেহেদীর ডিজাইন আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বাহ চমৎকার উদাহরণ দিলেন আপনি ভালো লাগলো। আসলে বয়সের সাথে সবকিছু হারিয়ে যায় ধীরে ধীরে।
আপু আপনি দেখছি খুবই সুন্দর করে মেহেদী দিয়েছেন। এবার ঈদে আর মেহেদী দেয়া হয়নি কারণ সময় হয়ে ওঠেনি। এবার ঈদে এই ব্যস্ততার সাথে সময় পার করেছি। তবে আপনি দেখছি খুবই সুন্দর করে মেহেদী দিয়েছেন। আপনার এই মেহেদীটি মনে হচ্ছে কাশ্মীর মেহেদী। এবং মেয়েদের কালারটা মাসাল্লাহ অনেক সুন্দর হয়েছে এবং ডিজাইনটা তো সেই সুন্দর ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
তাহলে তো মিস করলেন আপনি এবারে যেহেতু ঈদে মেহেদী দিতে পারলেন না। তবে আমি দিতে পেরেছি বেশ ভালো লাগলো হা হা হা।
আপু আপনি তো অনেক সুন্দর মেহেদী আর্ট করতে পারেন। নিজের হাতের ওপর নিজে অনেক সুন্দর ভাবে মেহেদির ডিজাইন আর্ট করেছেন। মেহেদির কালার টাও অনেক সুন্দর হয়েছে। তৈরি করার প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। খুবই ভালো লাগলো আপু আপনার মেহেদি ডিজাইন আর্ট দেখে।
আসলে মেহেদির ডিজাইন আর্ট আমি করিনি আপু আমার ভাতিজি করেত। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আমিও আপনার সাথে সহমত আপু যে, শহরের মানুষের তুলনায় গ্রামের মানুষ গরমের সময় অনেক বেশি কষ্ট করে। আপু নিজের হাতে নিজেই দেখছি মেহেদী দারুন আর্ট করেছেন। অনেক সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
গ্রামের মানুষ কত কষ্টে আছে গ্রামে না গেলে বুঝতাম না।
জি আপু গরম অনেক টাই বেড়েছে। যাক আল্লাহর রহমতে আজকে আমাদের এখানে বৃষ্টি হলো একটু আবহাওয়া ভালো লাগতেছে। মেহেদির ডিজাইন আর্ট গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। চমৎকার ভাবে আর্ট করে ধাপে ধাপে পোস্ট করেছেন। ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
যেহেতু আপনাদের ওখানে বৃষ্টি হলো তাহলে তো আরামে আছেন। আর আমাদের এখানে বৃষ্টির কোন নাম গন্ধ নেই।
আপনার মেহেদির ডিজাইন আর্টটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। দেখতেও চমৎকার লাগতেছে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আর্টের ডিজাইনটি বেশ সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আমার মেহেদির ডিজাইন আর্ট দেখলেন ভালো লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
গরমের কথা আর কি বলবো আপু। যতই দিন যাচ্ছে তাপমাত্রা বাড়ছে। পাশাপাশি লোডশেডিং এর যন্ত্রণা তো আছেই! গরমে বিদ্যুৎ থাকেই না। বলতে গেলে জনজীবন অতিষ্ট। যাইহোক, আপনার মেহেদী ডিজাইনটি খুবই সুন্দর হয়েছে আপু। একদম পারফেক্ট লাগছে আপনার হাতে।
আমি তো এক সপ্তাহ থেকে আমার যে বেহাল অবস্থা। হয়তো আর কয়েকদিন থাকলে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হতো হি হি হি😁 ।
https://twitter.com/nahar_hera/status/1780549875119333675?t=e6FjhA4rjLH9lM1W5MwzQw&s=19
আপু আপনি অনেক সুন্দর করে মেহেদী দিয়েছেন। মেহেদির রংটাও অনেক সুন্দর হয়েছে।ডিজাইন টা বেশ অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনি ঠিকই বলেছেন আপু বয়স বারার সাথে সাথে ভালো লাগার জিনিসগুলো আমরা হারাতে থাকি । এত সুন্দর মেহেদীর ডিজাইন আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।