মামাতো ভাই টিপুর বিয়ের অনুষ্ঠানে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত (পর্ব-১)।
আসসালামু আলাইকুম/আদাব।
সবাই কেমন আছেন প্রিয় ব্লগার ভাই ও বোনেরা? আমি তেমন ভালো নেই হঠাৎ করে ছোট মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লো আবারও? মনে হয় সে তার ফুফির সাথে বের হয়েছিল সেখানে খাওয়া-দাওয়ার সমস্যা হলো। আমি মেয়েদের কে কারো সাথে যাইতে দিই না। মন খারাপ করবে তাই দিলাম। আজ দুই দিন ধরে জ্বালাতন করতেছে। বমি আর বাথ রুমে যাচ্ছে আর আসতেছে। তবে শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজের প্রিয় কমিউনিটির কাজ গুলো করতে খুবই ভালো লাগে। আসলে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে গেলে মায়েরা আরো বেশি অসুস্থ হয়ে যায়। তাই শারীরিকভাবে তেমন ভালো না। একটু গ্রামে গিয়েছিলাম সেখান থেকে আসলাম। তারপরে বাসায় গেস্ট আসলো। আবার মেয়ের অসুস্থ সব মিলিয়ে যেন ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।
তো বন্ধুরা আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগিং শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি। আজকে যেহেতু আমাদের ধারাবাহিক কাজের মধ্যে সপ্তাহের প্রথম দিন। প্রথম দিন আমি রেসিপি অথবা লাইফ স্টাইল পোস্ট শেয়ার করি। যেহেতু গতকাল রেসিপি শেয়ার করলাম প্রতিযোগিতার। তাই আজকে আমি একটি লাইফ স্টাইল পোস্ট শেয়ার করব। তাহলে চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাক।
আসলে গত সপ্তাহে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম আমার ছোট ভাই মামাতো ভাই টিপুর বিয়েতে যাওয়ার কথা। কিছু কিছু আত্মীয়-স্বজন আছে যাদের বিয়েতে না গেলে হয় না। আমি মনে করি যারা দাওয়াত দিতে আসে কষ্ট করে। তাই কষ্ট করে সময় বের করে হলেও যাওয়া উচিত। কারণ একজন মানুষ অনেক দূর থেকে আপনাকে বিয়ের দাওয়াত দিতে আসলো। কিংবা অন্য কোন অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিতে আসলো। কিন্তু তার প্রতি সম্মান জানানো উচিত। আসলে টাকা পয়সার হিসাব সবখানে করা যাই না। টাকা তো খরচ করলে শেষ হয়ে যায় কিন্তু চিরদিন একটা কথা থেকে যায়। তাই আমাদের সকলের উচিত সবার সাথে একটু সামাজিকতা বজায় রেখে চলাফেরা করা উচিত।
সেদিন ছিল রবিবার অক্টোবরের ৮ তারিখ ছিল। আসলে ঝামেলা হয়ে গেল যে রবিবারে বিয়ের দিন দেওয়ার কারণে। যেহেতু রবিবারে সবার অফিস থাকে এবং স্কুল খোলা থাকে। ভাবছিলাম বিয়েতে যাব না। কারণ শুক্রবার শনিবার হলে খুব বেশি আনন্দ করা যায়। তাছাড়া ছুটির দিন হলে সময় বের করে যাওয়া যায়। এখন যেহেতু রবিবারে মেয়ের স্কুল ছিল তাছাড়া আপনাদের ভাইয়ের অফিস ছিল। তো ভাবলাম বিয়েতে যাবো না। কিন্তু শেষমেষ চিন্তা করলাম আসলেই না গেলেই কেমন জানি খারাপ লাগতেছে। তো আপনাদের ভাইয়ের সাথে কথা বললাম ফোনে। উনি জানালেন যাওয়ার জন্য আমাদের। যেহেতু আমি যাওয়ার জন্য উনার কাছে প্রস্তাব রাখছিলাম। তো বলল মেয়ের পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে চলে যাওয়ার জন্য।
উনি অফিস থেকে ফিরলে তাহলে রাতের বিয়েতে যাবে। ঠিক তাই হল আমি সকাল সকাল কমিউনিটির পোস্ট টা করে দিলাম। সেই সাথে আমার টুকটাক কাজ ছিল তা করে গোসল করে আমি আর ছোট মেয়ে রেডি হয়ে গেলাম। তো বড় মেয়েকে আনতে গেলাম স্কুল থেকে। তাকে এনে গোসল করায় দিয়ে তারপর চলে গেলাম সোজা বিয়ের অনুষ্ঠানে। যেহেতু দুপুরে খাব বিয়েতে তাই আর বড় মেয়েকে খাওয়া দাওয়া করালাম না। সরাসরি যাব আমরা কনের বিয়ের অনুষ্ঠানে। কারণ সেখানে বর যাত্রা যাবে। তো আমি আর ঘরে গেলাম না সোজা বিয়ের ক্লাবে চলে গেলাম। যেহেতু আমাদের নানার বাড়ি এবং আমাদের বাবার বাড়ি প্রায় কাছাকাছি বলতে গেলে। তো এক জায়গায় গেলে দুই জায়গায় যাওয়া হয়ে যায়।
আমি ভাবলাম বাড়িতে যাব না এখন। সেখান থেকে খাওয়া দাওয়া করে আবার আমাদের বাড়িতে বিয়েতে যাব। সোজা গাড়িতে উঠে বিয়ের বাড়িতে কনের অনুষ্ঠানে চলে গেলাম। সেখানে সকল আত্মীয়-স্বজন চলে আসলো বরের সাথে। বরের সাথে সবাই আসলো অনেক ভালো লাগলো সব আত্মীয়-স্বজনকে দেখলাম এক সাথে। সবাই তো আমাকে দেখে প্রশ্ন করা শুরু করে দিল সবাই। যেহেতু এর আগের দিন গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান ছিল সেখানে যায়নি কেন। তো আমি বললাম মেয়ের পরীক্ষা ছিল। তাছাড়া রবিবারে বিয়ের দিন তাই আমার জন্য একটু কঠিন হয়ে গেল। তারপরও চলে এসেছি আপনাদের সাথে দেখা করার জন্য। তো সবাই বলাবলি শুরু করল আমাকে কালকে আসিস নাই আজকে একেবারে বিয়ের খাবারের প্যান্ডেলে চলে আসলি হি হি হি। আমিও বললাম আমি বরাবর সঠিক সময়ে উপস্থিত হয়ে গেলাম হা হা হা।
বুঝতেই তো পারছেন বিয়ের বাড়ি মানে হচ্ছে সেখানে সকল কাছের মানুষ ছিল। মামা মামীরা ছিল। কালা মনিরা ছিল। তাছাড়া সকল মামাতো বোন, খালাত বোন সব আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিল। তো যাওয়ার পরে বর আর কনের সাথে দেখা করলাম। তাদের কিছু ফটোগ্রাফি নিলাম সে সাথে নিজেদেরও একটা সেলফি নিলাম। তাছাড়া বিয়ের বাড়ির অন্যান্য কিছু দৃশ্য ফটোগ্রাফি করে নিলাম। এবার খাওয়া দাওয়ার পালা। যেহেতু বিয়ে মানে খাওয়া দাওয়া। বরের সাথে প্রায় ৪০০ মত মানুষ গেল। মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর করে খাওয়া দাওয়া করালো কনের পক্ষরা। সবাই বেশ সুনাম করলেন অনেক বেশি ভালো লাগলো শুনে।
তো বন্ধুরা খাওয়া-দাওয়া করলাম খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবারো বর আর কনের কাছে চলে আসলাম। তো আজকে এতটুকুতেই শেষ করছি। আশা করি পরবর্তী পর্বে বিস্তারিত আপনাদের সাথে শেয়ার করব। সাথে থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার, ঈদগাহ বাজার |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/4gshqr
মামাতো ভাইয়ের বিয়ের অসাধারণ মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন এ পোস্ট এর মাঝে। যেখান থেকে অনেক কিছু দেখতেও জানতে পারলাম। সত্যি সুন্দর একটি আনন্দঘন মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আর এই দেখে খুবই ভালো লেগেছে আমার।
ঠিক বুঝতে পারছেন ভাইয়া অনেক বেশি আনন্দ করেছিলাম।
আপনার মামাতো ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের কাটানোর মুহূর্ত পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আসলে বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলে সবার সাথে দেখা হয় সবাই মিলে খুব আনন্দ উপভোগ করতে পারি। ফটোগ্রাফিতে দেখে বোঝা যাচ্ছে সবাই মিলে বেশ আনন্দে সময় কাটিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে বিয়ের অনুষ্ঠানের কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলে বেশ ভালো লাগে যেহেতু সব আত্মীয়-স্বজন একত্রিত হয়।
আপনার মামাতো ভাইয়ের বিয়েতে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন। ঠিক বলেছেন আপু কেউ দাওয়াত দিলে না যেতে পারলে ভালো লাগে না। আর টাকা পয়সায় চেয়ে এই দাওয়াতের কথা বেশি মনে থাকবে। এটা সত্যি আপু বন্ধর দিন দাওয়াত হলে অনেক ভালো হয়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সেটাই আপু অনেক কষ্ট করে দাওয়াত দিতে আসে কিন্তু না গেলে কেমন জানি লাগে।
আপনার মামাতো ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে দারুন মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন মনে হচ্ছে আপু। আপনার ধারণ করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সেটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্ট পড়ে ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনি খুব সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করলেন।
আপনার মামাতো ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে আপনি অনেক চমৎকার সময় কাটিয়েছেন এটি আপনার লেখা পড়ে বোঝা গেল।বিয়ের অনেক ঘটনাই আপনি সুন্দরভাবে সাজিয়ে লিখেছেন। প্রায় ৪০০ জন বর পক্ষের লোক সুন্দরভাবে খাওয়া দাওয়া শেষ করেছেন। এটা আপনি জানিয়েছেন।
সর্বোপরি বিয়ে বাড়িতে আপনি উৎসব উপভোগ করেছেন এটি জেনে খুব ভালো লাগলো। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল
অনেক ধন্যবাদ আপু বেশ সুন্দর একটি গঠনমূলক মতামত দেওয়ার জন্য।
Twitter