রেসিপি- ঝাল ঝাল বেগুন ভর্তার সুস্বাদু রেসিপি।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার,
বন্ধুরা আসসালামুয়ালাইকুম সবাই কেমন আছেন? লেখার শুরুতে সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানিয়ে আজকে আমার ব্লগিং পর্ব শুরু করতেছি। আমিও ভাল আছি সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে আপনাদের দোয়ায়। বৃষ্টিময় দিনে ঠান্ডা ঠান্ডা ওয়েদারে কেমন থাকবো সেটা অবশ্যই আপনারা ভালই বুঝতে পারছেন। তাছাড়া গ্রামে অবস্থান করতেছি তাই সময় গুলো খুবই সুন্দর অতিবাহিত করতেছি। সেই সাথে আপনাদের সাথে যুক্ত হয়েছি নতুন একটি ব্লগিং শেয়ার করবো বলে। আজকে আমি একটি রেসিপি শেয়ার করব আপনাদের সাথে। আজকে আমি যে রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো সেটি হচ্ছে একটি ভর্তা রেসিপি।
ঝাল ঝাল বেগুন ভর্তার সুস্বাদু রেসিপি।
কারণ ভর্তা খেতে কম বেশি সকলেই অনেক পছন্দ করেন। আমার তো অনেক ভাল লাগে ভর্তা খেতে। যেকোন ভর্তা আমার ভীষণ ভাল লাগে। যদি হয় ঝাল ঝাল বেগুন ভর্তা তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। ভর্তা তৈরি করতে যেহেতু একটু ঝাল ঝাল করে করেছি খেতে তো অনেক ভালো হয়েছিল। সেই সাথে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য যুক্ত হয়ে গেলাম। আশা করি আমার আজকের ভর্তা রেসিপিটি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
চলুন বন্ধুরা তাহলে আমার আজকের ঝাল ঝাল বেগুন ভর্তা রেসিপি টি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিচ্ছি----
রেসিপির প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহঃ
প্রথমে আমি আপনাদেরকে উপকরণ সমূহ পরিমাণ মত নিয়ে দেখালাম।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|
বেগুন বড় সাইজের- ১ টি।
টমেটো- ২টি।
পেঁয়াজ - ২ টি।
রসুন - ৩ কোয়া।
কাঁচা মরিচ - ৫ টি।
শুকনা মরিচ- ৪/৫ টি
লবণ- স্বাদমত।
সরিষার তেল-পরিমাণ মত।
ঝাল ঝাল বেগুন ভর্তার সুস্বাদু রেসিপি তৈরির ধাপ সমূহ
রান্নার ধাপ-১
প্রথমে আমি সব উপকরণ সমূহকে ভালো করে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি। এরপর বেগুন গুলোকে পাতলা করে সাইজ করে কেটে নিয়েছে। টমেটো গুলোকে কেটে নিয়েছি। সেই সাথে পেঁয়াজ এবং রসুন গুলোকেও ভালো করে খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি। সব উপকরণ যেহেতু রেডি আছে এখন রান্নার ধাপে চলে যাবো।
রান্নার ধাপ-২
রান্না করার জন্য একটা ফ্রাই প্যান চুলায় বসিয়ে দিয়েছি। ফ্রাই প্যান গরম হয়ে আসলে সেখানে পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়েছি। তেল গরম হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবো। তেল যখন গরম হয়ে আসে সব উপকরণ আমি ভালোভাবে বিছিয়ে দিয়েছি। উপকরণ গুলোকে ভালোভাবে তেলের মধ্যে ভেজে নিতে হবে।
রান্নার ধাপ-৩
সব উপকরণ গুলোকে দুই দিকে উল্টিয়ে দিয়ে ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এই পদ্ধতিতে ভাজা প্রায় শেষ। এরপরে ভাজা যখন শেষ হয়ে যায় আমি একটি প্লেটের মধ্যে তুলে নিয়েছি। বেগুন এবং টমেটোর খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি। এরপরে সামান্য পরিমাণ লবণ দিয়ে উপকরণ গুলোকে মেখে নেওয়ার জন্য।
রান্নার ধাপ-৪
আমি প্রথমে লাল মরিচ এবং কাঁচা মরিচ গুলোকে ভালো করে ভর্তা করে নিয়েছি। এর পরে পেঁয়াজ ও রসুন মেখে নিয়েছি। সেই সাথে টমেটো এবং বেগুন গুলো মিক্স করে ভর্তা তৈরি করে নিতে হবে।
রান্নার ধাপ-৫
যেহেতু সব উপকরণ সমূহ তৈরি করা শেষ। এখন ভালো ভাবে হাত দিয়ে সব উপকরণ গুলোকে মিক্স করে ভর্তা তৈরি করে নিয়েছি। হয়ে গেল ঝাল ঝাল মজাদার বেগুন ভর্তার সুস্বাদু রেসিপি।
রেসিপির পরিবেশনা
প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আমার আজকের তৈরি করা ঝাল ঝাল বেগুন ভর্তা রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে। সত্যি বলতে এতই ভালো লেগেছে খেতে বলার মতই না। এক নিমিষে তো এক প্লেট ভাত ফিনিশ করে দিয়েছি। সেই সাথে আবারও নেওয়ার চেষ্টা করেছি হি হি হি। বুঝতেই তো পারছেন কতটা মজাদার হয়েছিল ভর্তা খেতে।
আপনারাও চাইলে এভাবে টমেটো এবং বেগুন মিক্স করে ভর্তা তৈরি করতে পারেন খেতে অনেক মজার একটি রেসিপি। আশা করি আপনারা তৈরি করে দেখবেন আমার রেসিপিটি দেখে। অনেক ধন্যবাদ আমার রেসিপিটি দেখার জন্য।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি। আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন আপু। খুবই ভালো লাগলো আপনার এই অসাধারণ রেসিপি। যেখানে আপনি কার্যক্রমের সম্পূর্ণ পর্যায় গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। আর প্রয়োজনে উপকরণগুলোর তালিকা বাধ্য করেছেন।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/4abb4292bf891
যেকোনো ধরনের ভর্তা খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আর ঝাল ঝাল বেগুন ভর্তা হলে তো কথাই নেই। বেশ কয়েকদিন বেগুন ভর্তা খাওয়া হয়না। আপনি রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে। টমেটো ব্যবহার করায় রেসিপিটি খেতে আরো বেশি সুস্বাদু হয়েছে। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
টমেটো দেওয়াতে অনেক মজা হয়েছিল আপু।
শুকনা মরিচ দিয়ে ঝাল ঝাল বেগুন ভর্তা গরম ভাতের সাথে খেতে সেই স্বাদ।আজকে আপনার তোরে ঝাল ঝাল বেগুন ভর্তা দেখেই তো আমার গরম ভাতের সাথে খেতে ইচ্ছা করছে। দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে।ধন্যবাদ জানাচ্ছি বেগুন ভর্তা তৈরির এত সুন্দর একটি পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক মজার ছিল ভাইয়া বলার মতই না।
আপু আপনার ভর্তা দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। আসলে আপু বেগুন ভর্তা অনেক খেয়েছি তবে এভাবে টমেটো দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার ভর্তা দেখে লোভ লেগে গেল। এভাবে একদিন তৈরি করব অবশ্যই। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই আপু একদিন তৈরি করে খাবেন অনেক ভাল লাগবে।
ঝাল ঝাল বেগুন ভর্তার সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।দেখতে খুবই মজাদার মনে হচ্ছে।আমার গরম ভাতের সাথে বেগুন ভর্তা খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আমার তো আর কিছুই লাগে না ভর্তা হলেই।
ঝাল ঝাল বেগুন ভর্তা দেখে তো বেশ লোভনীয় লাগছে আপু। টমেটো দেওয়ার কারণে রেসিপিটি আরো বেশি সুস্বাদু দেখাচ্ছে। যদিও বেগুন ভর্তা খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চলে আসেন আপু আবার তৈরি করবো আপনার জন্য।
আপু এত সুন্দর ভর্তার রেসিপি দেখে তো মন ভরে গেলো। কিন্তু পেটে তো ক্ষুধা লেগে গেলো, মনে হচ্ছে এক গামলা ভাত নিয়ে আর আপনার এই ভর্তা নিয়ে খেতে বসে যায়। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ক্ষুধা লাগলে তো খেতেই হবে। তাহলে ভাইয়া চলে আসুন ভর্তা খেতে।
ঝাল ঝাল বেগুন ভর্তা করার দারুন একটা রেসিপি তৈরি করে আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এই ধরনের ভর্তা তে যদি একটু বেশি পরিমাণে শুকনা মরিচ ব্যবহার করা যায় তাহলে খেতে খুবই ভালো লাগে।
আমি তো কাঁচা মরিচ আর শুকনা মরিচ দুইটা দিয়েছি। অনেক ভাল হয়েছিল খেতে।
বেগুন ভর্তা খেতে আমি অনেক বেশি পরিমাণে পছন্দ করি। আর মাঝেমধ্যে এরকম ভর্তা তৈরি করে খাওয়া হয়ে থাকে৷ আর আজকে আপনার কাছ থেকে এরকম ভাবে এ রেসিপি তৈরির পদ্ধতি দেখে খুবই ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য৷
তাহলে আর দেরি না করে ঘরে তৈরে ফেলুন আপনি।