লাইফস্টাইলঃ- শাটডাউনে রেস্টুরেন্টে সময় কাটানো এবং খাওয়া-দাওয়া।
সবাই কেমন আছেন?
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় কমিউনিটির সকল সম্মানিত ব্লগার ভাই ও বোনেরা। আশা করি বন্ধুরা সবাই সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে। যদিও আমরা মানসিকভাবে এখনো স্ট্রং না মনোবল একদম ভেঙে গেছে আমাদের। কিন্তু আমাদের করার কিছু নেই আমাদেরকে সবকিছু শক্ত হাতে হ্যান্ডেল করে এগিয়ে যেতে হবে সামনের দিকে। কিভাবে ভালো থাকবো সেই প্রসেস গুলো আমাদেরকে অবশ্যই খুঁজে নিতে হবে। সত্যি কথা বলতে কেউ ভালো রাখার দায়িত্ব কেউ নিবে না সেটা অবশ্যই নিজেকে ভালোভাবে বুঝে শুনে চলতে হবে। যে দিন গুলো চলে গেল সেটাও অবশ্যই আমাদেরকে শিক্ষা দিয়ে গেছে। আমাদের ভালো-মন্দ গুলো আমাদেরকেই বুঝতে হবে।
যাক বন্ধুরা সবাই তো সেই পরিস্থিতির সাথে পরিচিত সেই মুহূর্তের সাথে সবাই তো অবশ্যই সম্মুখীন হয়েছেন। এই যে গত একটা সপ্তাহ আমাদের উপরে কি দখল গেল সেটা আমরা নিজেরাই জানি। আমাদের জীবনে আসলে কোন সময় কোন বিপদ চলে আসে সেটা বলা খুবই মুশকিল। তাই সব সময় আমাদেরকে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। শত সাবধানতার মাঝেও কখন যে বিপদের মধ্যে প্রবেশ হয়ে যাচ্ছি সেটা নিজেরাই আন্দাজ করতে পারি না। কতগুলো তাজা প্রাণ চলে গেল তারাও বুঝতো না যে তাদেরকে এভাবে চলে যেতে হবে। আজ তাদের পরিবারের করুন পরিনতি। সেই সোনার সন্তানেরা হারিয়ে গেল দেশ থেকে পরিবার থেকে সমাজ থেকে। তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে আসি খাওয়া দাওয়ার একটি মুহূর্ত নিয়ে। যদিও শাটডাউনে সময় গুলো খুবই খারাপ কেটেছে। একদিকে গৃহবন্দী অন্যদিকে নেট কানেকশন না পাওয়া সবকিছু মিলিয়ে বেহাল অবস্থা আমাদের। মাঝে মধ্যেই সময় গুলো কাটাতে না পেরে সমুদ্র সৈকতে চলে যেতাম বাচ্চাদেরকে নিয়ে। বেশ কয়েকবার যাওয়া হয়েছে। গত দুই দিন আগে গেছিলাম বিকেল বেলায় একটি রেস্টুরেন্টে। আমাদের একদম পাশে একটি রেস্টুরেন্ট খোলা হয়েছে। কাবাব এন্ড রেস্টুরেন্ট হাউস। যদিও খাবারের মানগুলো খুবই মানসম্মত ছিল। তো আমি কখনো যাইনি এই প্রথমবার গিয়েছিলাম সেই কাবাব হাউসসে। যাওয়ার পরে দেখি বেশ ভালো লাগছিল।
এই লাজিজ কাবাব হাউস এন্ড রেস্টুরেন্টে যাওয়ার পরেই আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েছিলাম। যদিও বড় মেয়ে কোচিং এ ছিল আমি আর ছোট মেয়ে এবং তাদের বাবা মোট তিন জনে চলে গেছিলাম। যাওয়ার পরেই মেয়ের জন্য একটি মিল্ক শেক অর্ডার করে দিলাম চকলেট মিল্ক শেক। এরপরেই আমাদের পছন্দ মতো ফ্রেন্স ফ্রাই অর্ডার করে দিলাম। তাছাড়াও নান রুটি এবং কাবার অর্ডার করে দিয়েছিলাম। দেওয়ার পরে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি খাবারগুলো চলে আসে। এই খাবার গুলোর মধ্যে আমার সবচেয়ে বেশি খাবার ভালো লেগেছে সালাদের প্লেট। তবে সালাদের ডেকোরেশনটাও খুবই ভালো লাগছিল।
বিশেষ করে সালাদের সাথে গাজরের মিশ্রণ এবং সেখানে উপরে টক দই দেওয়া হয়েছিল। টক দইয়ের উপরে হালকা করে সস দেওয়াতেই ডেকোরেশনটি খুবই ভালো লাগছিল। আমার কাছে এই আইটেমটা খুবই ভালো লাগছে খেতে। আমি কাবাব দিয়ে নান রুটি খেয়েছি এবং সেই মজাদার সালাদের প্লেটটা খেলাম ভীষণ ভালো লাগছিল। রাতের খাবার বাদ দিয়ে দিলাম আর খাইনি কিছু। যেহেতু নান রুটি কাবাব এবং সালাদ খেয়ে পেট একদম ভরপুর ছিলো। সাথে বাসায় এসে এক কাপ চা খেয়েছিলাম। তবে মেয়েটা যেখানে যাই না কেন বেশ ঝামেলা করে। সেই ঠান্ডায় মিল্ক শেক খাবে। কিন্তু মানাতে পারলাম না। অবশেষে দিতে হলো মিল্ক শেক।
অর্ডার করার সময় বলে দিলাম আইস না দিতে। সেভাবে দিল আর মেয়ে খেতে পেরে বেশ আনন্দিত। আমার কাছে তাদের খাবারগুলো বেশ ভালই লাগছিল। তবে তারা দামটাও বেশ ভালো মানের লাগছিল। বিশেষ করে চারপাশের ডেকোরেশনটা অসাধারণ ছিল। আর সেদিন প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টি ছিল বৃষ্টির কারণে পরিবেশটা আরো আনন্দময় হয়ে উঠছিল। উপরের ছাদের তলায় হওয়াতেই তারা সুন্দর করে ডেকোরেশন করছিলেন। যখন বৃষ্টি পড়লো অনেকে আওয়াজ শুরু হলো। যেহেতু ছাদে টিন ছিল মনে করছিলাম যে সেই গ্রামের বাড়িতে টিনের চালের ঘরে বসে আছি এমনটাই মনে হয়েছিল আমার কাছে। খাবার গুলো গরম গরম খেতে বেশ ভালোই লাগছিল। একদিকে বৃষ্টির আওয়াজ অন্যদিকে খাওয়া-দাওয়া আর বিশেষ করে বাইরে খুব সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য ছিল।
মনে হয়েছিল একদম দিনের মধ্যে বসে আছি এমনটাই মনে হয়েছিল চারদিকের লাইট গুলো ছিল। আর তাদের বারান্দায় বেশ সুন্দর সবুজ গাছ গাছালি থাকার কারণে বড় হয়েছি একদম গ্রামীণ পরিবেশে বসে আছি। যখন খাওয়া দাওয়া শেষ করেছিলাম শেষে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম চারপাশের পরিবেশের। এত বৃষ্টি হয়েছিল যার কারণে কাস্টমার একটু কম ছিল বিশেষ করে শাটডাউন ছিল তার কারণেই মানুষজন কম ছিল। তবে যারা যাওয়ার তারাই তো শাটডাউন মানে না সত্যি কথা বলতেই বের হয়ে যাই। যেমন আমরাও বের হয়ে গেছিলাম শাটডাউনে। কার শাটডাউন ঘরের ভিতর এত অস্থিরতা করছিল ভালো লাগছিল না। যদিও আমাদের কক্সবাজারের এদিকে একটু কম ছিল শাটডাউন এর পরিস্থিতিটা। কারণ আমাদের এখানে ঝামেলাটা কম হয়েছিল।
যদিও সেদিন বৃহস্পতিবারে ঝামেলা হয়েছিল করুন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কঠোর নজরদারিতেই আর জামেলা করতে পারে নাই। এই হলো আমার আজকের ব্লগিং বন্ধুরা। আশা করি আমার আজকের লেখাগুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। একটা কথাই বলবো পরিবারের সবাইকে নিয়ে নিরাপদ স্থানে থাকুন। সবাইকে নিরাপত্তা প্রদান করা আমাদের দায়িত্ব। সবার মুখে হাসি ফোটানো হচ্ছে আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। দেশের এই পরিস্থিতিতে সবাইকে নিরাপদ থাকা আমাদের সবারই দায়িত্ব এবং কর্তব্য। সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার - লাজিজ কাবাব এন্ড রেস্টুরেন্ট |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
#lajij-restaurant #coxsabazar #eatingfood-family #lifestyle #amarbanglablog #steemit #steemexclusive
আসলে আপু আমাদের জীবনে কোন সময় কোন বিপদ চলে আসে সেটা কেউ জানিনা। তাই সব সময় আমাদেরকে সাবধানে থাকতে হবে। এই যে কতগুলো তাজা প্রাণ চলে গেল। তারাতো আগামী দিনের দেশের ভবিষ্যৎ। তাদেরকে এভাবে চলে যেতে হবে। আসলে কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আর তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। যাইহোক শাটডাউনের মধ্যেও বেশ সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। রিমঝিম বৃষ্টির আওয়াজে সুন্দর প্রকৃতির মাঝে ভালো সময় কাটিয়েছেন যদিও নেটওয়ার্কের জন্য ছবিগুলো দেখা হলো না। তারপরও মনে হচ্ছে পরিবেশের সাথে খাওয়া-দাওয়াটাও অনেক ভালই ছিল।
আপু চেষ্টা করেছিলাম এমন বন্দি পরিবেশে একটু ঘোরাঘুরি করে শান্তি পাওয়ার জন্য। কারণ ঘরে একদম শান্তি পাচ্ছিলাম না।
https://x.com/nahar_hera/status/1816550851529572512?t=lp_StRHoImodCbhMu88VCQ&s=19
মানুষের জীবনে বিপদ আপদ আসবেই আর বিপদ আপদ কে জয় করেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। শাটডাউন এর ভিতরেও আপনি রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন এবং বেশ সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আমরা চাই সবার ভিতরেই সুন্দর মুহূর্তটা ফিরে আসুক। আমরা যেন সবাই একসাথে সুন্দর ভাবে বাঁচতে পারি ও সুন্দর দেশ গড়তে পারি সেটাই কাম্য।
আপনার মতামতের সাথে আমিও একমত ভাইয়া। জীবনে জয় পরাজয় আসবে সবকিছুকে মেনে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। চেষ্টা করেছিলাম ভাইয়া সময় গুলো ভালোভাবে উপভোগ করার।
জ্বি আপু একমত পোষণ করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন আপু