ট্রাভেলিংঃ- রাঙ্গামাটির সোনার বাংলা হোটেল।

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago (edited)

সবাইকে শুভ সকাল,

প্রিয় কমিউনিটির সকল ব্লগার ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। সবাইকে আমার আজকের ব্লগিংয়ে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। অনেক ভালো লাগে আপনাদের খুব সুন্দর সুন্দর সহযোগিতা পেলে। কারন একটি পোষ্টের মাধ্যমে সবাই যখন খুব সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য প্রদান করেন তখন অনেক উৎসাহ পায়। তাই কাজ করতে আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। আমি আপনাদের সাথে প্রতিনিয়ত ব্লগিং করি কক্সবাজার শহর থেকে। অনেক ভালো লাগে এত দূর থেকেও সবার সাথের ব্লগিং এর মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারি। সেটা একমাত্র সম্ভব স্টিমিট প্ল্যাটফর্ম আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির মাধ্যমে। আশা করি আপনাদের দিনকাল বেশ ভালোই যাচ্ছে বন্ধুরা।

WhatsApp Image 2024-02-13 at 12.40.03_396dc4ef.jpg

r8.jpg

আমিও বেশ ভালোই আছি ব্যস্ততার মধ্যেই আছি। আমি মনে করি ব্যস্ততার মধ্যে থাকলে জীবন খুব সুন্দর যায়। কারণ একটি ধারাবাহিকতার মধ্যে যখন যায় তাহলে আজেবাজে কোন চিন্তা ভাবনা মাথায় আসেনা। তো বন্ধুরা মূল কথায় ফিরে আসি এবার। আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব রাঙ্গামাটি ভ্রমণের আবারও আরেকটি পোস্ট। যদিও আমি বিভিন্নভাবে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে পোস্ট গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছি। রাঙ্গামাটিতে ঘোরাফেরার সময় খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। সেইখানে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত আমি আপনাদেরকে শেয়ার করতেছি।

r2.jpg

r3.jpg

আজকে আমি শেয়ার করব আমরা যখন রাঙ্গামাটি ভ্রমণে গিয়েছিলাম তখন সেখানে আমরা তিনদিন থেকে ছিলাম। প্রথমে আমরা কক্সবাজার থেকে রওনা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে যায়। চট্টগ্রাম থেকে আমরা আবার আড় একটি রিজার্ভ গাড়ি নিয়ে সোজা রাঙ্গামাটির উদ্দেশ্যে রওনা দিছিলাম। প্রথমে আমরা বুঝতে পারি নাই কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় টুকু আরামে গেছিল। এরপরে আমরা রাঙ্গামাটিতে যখন গেলাম কিছুদূর রাস্তা সমতল ছিল। এরপর শুরু হলো আঁকাবাঁকা রাস্তা। প্রথমত এত বেশি অনুভব করি নাই।

r.jpg

তাছাড়া রাত হয়ে গেছিল আমরা যেতে যেতে প্রায় রাত আটটা নয়টা পার হয়ে গেছিল। তো বন্ধুরা কিছুদূর সমতল রাস্তা যাওয়ার পরেই পাহাড়ের আঁকাবাঁকা রাস্তা গুলো আমার অনেক বেশি ভয় কাজ করছিল। কারণ ছোট বাচ্চারা ছিল সাথে সেই জন্য। একদম পাহাড় কেটে রাস্তাগুলো করা হয়েছে। গাড়ি একটুকু কাত যদি হয় তাহলে সরাসরি আমরা লেকের মধ্যে পড়ে যাব এমন অবস্থা। তাই রাঙ্গামাটি যেতে একটু সাবধানে যেতে হয়। এমন কিছু কিছু জায়গা আছে একদম উঁচু পাহাড়ের উপরে। তো সেখানে গেলেই দেখবেন নেটওয়ার্ক একদম অফ হয়ে গেছে। মনে হয় যে নিঃশ্বাস একদম নিতে পারছি না ভারি ভারি এমন অবস্থা।

r1.jpg

আবার যখন পাহাড় থেকে নেমে যাব তখন অনেকে স্পিডে চলে যেতে হয়। আবার এভাবে স্পিডে নামতে নামতে হঠাৎ একটু সমতল জায়গা পায়। আবারও দেখবেন যে অনেক উঁচুতে যেতে হয়। এভাবে আঁকাবাঁকা পথে যেতে যেতে অবশেষে আমরা আমাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যাই। আমরা সোনার বাংলা হোটেলের রুম বুকিং করেছিলাম আগে থেকেই। সেখানে আমরা দুটি রুম বুকিং করি যেহেতু আমরা দুইটা পরিবার গিয়েছিলাম। তাই আমরা এক রুমের মধ্যে ডাবল বেড হবে এভাবে দুটি রুম বুক করি।

r5.jpg

r6.jpg

একটা বিষয় আমার কাছে খুব বেশি ভালো লেগেছে। আমাদের কক্সবাজারে যে রুমগুলো ১০-১২ হাজার টাকা করে নেই। সেই একই রুম গুলো কিন্তু রাঙ্গামাটিতে আরও অনেক কম দামে পাওয়া যায়। রাঙ্গামাটির চেয়ে কক্সবাজারে অনেক মানুষের ভিড়। কিন্তু রাঙ্গামাটিতেও ভিড় থাকে। তবে আমরা গেছিলাম নির্বাচনের আগে। তাই হয়তো একটু গ্যাঞ্জাম কম ছিল। আর রুমের কোয়ালিটি গুলো অনেক ভালো ছিল। তাই আমি চিন্তা করলাম আসলে এরকম রুম হলে কক্সবাজার কিংবা ঢাকা-চট্টগ্রামে আরও অনেক টাকা বেশি নেওয়ার কথা। কিন্তু সেই পরিমাণে রাঙ্গামাটিতে অনেক কম দামে পেয়েছিলাম। তাছাড়া রাঙ্গামাটিতে যাওয়ার পরে খাবার দাবারের তেমন কোন সমস্যা হয়নি।

r7.jpg

যেহেতু রাঙ্গামাটি আমাদের চট্টগ্রামের একটি পার্শ্ববর্তী দ্বীপাঞ্চল এলাকা। সেই পার্বত্য চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটির কালচার প্রায় বলতে পারেন আমাদের চট্রগ্রামের মত। তাছাড়াও খাবার-দাবারের মধ্যে তেমন কোন অমিল খুঁজে পায়নি। অবশ্যই যারা পাহাড়ি উপজাতিরা আছেন তারা তো একটু ভিন্ন প্রকারের খাবেন। বিশেষ করে রাঙ্গামাটিতে বড় বড় লেকের মাছ গুলো পাওয়া যায়। তাছাড়া ও লবণাক্ত পানির মাছ তো আছেই। তো সোনার বাংলা হোটেলে আমরা যাওয়ার পরেই সবাই রুমে চলে যাই। রুমে চলে যাওয়ার পরে আমরা সবাই ফ্রেশ হয়ে নিলাম। ফ্রেশ হয়ে নেওয়ার পরেই আমরা সোজা সবাই বের হয়ে যাই খাবারের হোটেলে। যেহেতু সোনার বাংলা হোটেলের মধ্যে কোন রেস্টুরেন্ট ছিল না।

r9.jpg

আদৌ ছিল কিনা সেটা আমি জানিনা আমরা কিন্তু বাইরে খাওয়া দাওয়া করেছি। বাইরে খাওয়া দাওয়া করার পরেই আমরা আবার রুমে ফিরে আসি। রুমে ফিরে এসে আমরা সরাসরি ঘুমিয়ে পড়ি। তাছাড়া হাতে কিছু কাজ ছিল সেই কাজ গুলো করে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। যেহেতু আমরা নৌকা ভ্রমণে যাব সকাল সকাল তাই আগে ঘুমিয়ে পড়লাম। যদিও খুব তাড়াতাড়ি ঘুমাতে চেষ্টা করি কিন্তু বাচ্চারা খুব বিরক্ত করে। তাই দেরি হয়ে যায়। তাছাড়া ও সকালে উঠব উঠব করতে অনেক দেরি হয়ে যায়। অবশেষে আমরা সকাল 9 টায় ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে আবারও আমাদের মূল উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে দিয়েছিলাম।

r4.jpg

বন্ধুরা এতটুকু বলব আমি রাঙ্গামাটি ভ্রমণের সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে সেখানকার হোটেলে থাকা এবং খাওয়ার দাম গুলো তেমন বেশি না। তাছাড়াও পাশাপাশি লোকাল খাবার পাওয়া যায়। নিজেদের পছন্দ মত খাবার গুলো পাওয়া যায়। বেশ ভালই উপভোগ করেছিলাম সময় গুলো। আজকে আমি আপনাদের সাথে সেই সোনার বাংলা হোটেলের মুহূর্ত গুলো শেয়ার করেছি। আশা করি বন্ধুরা আপনাদের সকলের কাছে ভালোই লাগবে।


24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1Eh2qs4cCyucf3FD7ahStNw2cTHPk2QiaQacbQjJNEWnuhyjY1PXfUUMr27ifyD15nkQhFHksgx6bm9BxYLdCkQDMy8JhQrktZHYy6njdzRU4bQ9b1d2xjCdoVzCDDY85pLPq2s7FhKBwPjpuHdozHaReDxEaFH2aYse13zaqogf9utVshuSban6ex1saRA.png

ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
Locationরাঙ্গামাটি সোনার বাংলা হোটেল
ফটোগ্রাফার@samhunnahar
ক্যাটাগরিট্রাভেলিং


সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।

268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png

🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀


আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।

Polish_20230713_210902326.png

Steem_Pro.png

Sort:  
 4 months ago 

আপু,হোটেলটির ছবি দেখে ও বর্ণনা শুনে দারুণ মনে হচ্ছে।আপনারা পরিবারের সবাই মিলে দারুণ আনন্দে কাটিয়েছেন বুঝতে পারছি।আর পাহাড়ি খাবারের স্বাদও চেক করে দেখেছেন আশা করি।আসলে ভিন্ন কিছু খাওয়ার মজাই আলাদা, ধন্যবাদ আপু।

 4 months ago 

সময়টা দারুন ছিল আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সময় দিয়ে আমার পোস্ট ভিজিট করার জন্য।

 4 months ago 

রাঙ্গামাটি ভ্রমণের সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার আজকের এই পোস্ট শেয়ার করতে দেখে কিন্তু আমার অনেক অনেক ভালো লেগেছে। যেখানে নতুন একটি হোটেল সম্পর্কে আপনার ধারণা পেয়েছেন পাশাপাশি আমাদের সেই ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন সুন্দরভাবে বর্ণনার সাথে। তবে আপনার পোষ্টের মধ্য দিয়ে কিন্তু অনেক কিছু জানতে পারলাম।

 4 months ago 

একদম ভাইয়া হোটেলের পরিবেশ খুবই সুন্দর ছিল। তাছাড়া রাঙামাটিতে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম।

 4 months ago 

আপু রাঙ্গামাটি যাওয়ার আমার অনেক দিনের ইচ্ছে। আজ আপনি রাঙ্গামাটি নিয়ে একটি ট্রাভেল পোস্ট করলেন। তার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।কারন আমরা ওখানে যাবার আগে আজ আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক কিছু জেনে গেলাম। আমাদের কিছুদিন পর ওখানে যাবার ইচ্ছা আছে। শুনেছি ওখানে পাহাড়িদের খাবারগুলো নাকি অনেক স্বাদের হয়। বিশেষ করে শুনেছি ওখানে পাহাড়িদের বাশের মধ্যে অনেক মজাদার রান্না করা হয়। আর ঝুলন্ত ব্রিজ দেখার আমার অনেক দিনের ইচ্ছে।যাইহোক আপু। বেশ সুন্দর একটি ট্রাভেনিং পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। পড়ে অনেক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 4 months ago 

তাহলে তো বেশ ভালো আইডিয়া ফেলেন আপু। আশা করি গেলে আপনাদের কষ্ট হবেনা। খুব সুন্দর একটি জায়গা যেয়ে ঘুরে আসেন সবাই মিলে।

 4 months ago 

রাঙ্গামাটির সোনার বাংলা হোটেলে খুব সুন্দর কিছু মুহুর্ত উপভোগ করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে রাঙ্গামাটি যাওয়ার আমার অনেক ইচ্ছা রয়েছে। তবে সময়ের কারণে সে স্থানে এখনো যাওয়া হয়নি। তবে আজকে আপনি এই হোটেলে খুব সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ও খুব সুন্দর ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছেন। অবশ্যই চেষ্টা করব সময় করে এই স্থানে ঘুরে আসার।

 4 months ago 

যাবেন আরকি এইতো কক্সবাজার আসলেন সেখান থেকে গেলেন। হয়তো আগামী বছর রাঙ্গামাটিতে যাবেন। সুন্দর একটি জায়গা উপভোগ করার মত।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.12
JST 0.028
BTC 65435.53
ETH 3559.74
USDT 1.00
SBD 2.48