রেসিপি- ঝাল ঝাল মজাদার কচু শাক রান্না।
ঝাল ঝাল মজাদার কচু শাক রান্না রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা!
রেসিপি তৈরির উপকরণ সমূহ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
কচু শাক | ৫০০ গ্রাম |
আমের আচার | অল্প পরিমাণ |
পেঁয়াজ | ২ টি |
রসুন | ৮ কোয়া |
লবণ | স্বাদমত |
কাঁচা মরিচ | ৮ টি |
আদা | এক টুকরো |
লাল মরিচ আধা ভাঙ্গা | ৩ চামচ |
হলুদ গুঁড়া | ১ চামচ |
জিরা গুঁড়া | ১ চামচ |
গরম মসলা | এক চামচ |
ধনে গুঁড়া | ১ চামচ |
সরিষার তেল | পরিমাণ মত |
ধনে পাতা কুচি | অল্প |
ঝাল ঝাল মজাদার কচু শাক রান্নার ধাপ সমূহ
প্রথমে কচু শাক গুলো বটি দিয়ে সাইজ করে কেটে নিয়েছি। একটি কে তিন টুকরো করে নিয়েছি। এভাবে সব শাক বটি দিয়ে কেটে নিয়েছি এবং কেটে নেওয়ার পরে একটা গাবলাতে নিয়ে ধুয়ে নিয়েছি ভালো করে। ধুয়ে নেওয়ার পরে একটি রান্নার পাত্রে নিয়ে নিলাম।
পরিমাণ মতো পানি নিয়ে সিদ্ধ করেছি। হালকা সিদ্ধ হয়ে আসলে সেখানে আমি এক চামচ পরিমাণ হলুদ দিয়েছি কারণ শাকের কালার টা সুন্দর হওয়ার জন্য। আপনারা হলুদ না দিলেও পারবেন আপনাদের পছন্দ মত। সিদ্ধ করার সময় আমি অল্প পরিমাণ আমের আচার দিয়েছি যাতে করে গলা না চুলকায়। তাছাড়া আমের আচার দিলে ভালো একটি ফ্লেভার আসে খেতে অনেক ভালো লাগে।
এভাবে সিদ্ধ করা শেষ হয়ে আসলে একটি চামচ দিয়ে ভালো করে নেড়ে ছেড়ে ভেঙে নিয়েছি। যেহেতু কচু শাক এভাবে ভেঙ্গে রান্না করতে হয় তাহলে খেতে অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া শুধু ডাটা রান্না করলে কিন্তু ডাটা কিছুটা আস্ত রাখা যায়। কিন্তু কচু শাক যদি ভর্তা করতে হয় তাহলে এভাবেই ভেঙ্গে ফেললে একটু খেতে ভালো লাগে। তেলে দেওয়ার জন্য একটা রান্নার পাত্র চুলায় বসায় দিলাম তাতে পরিমাণ মত তেল দিলাম।
তেল গরম হয়ে আসলে উল্লেখিত পরিমাণ কাঁচা মরিচ, আদা ও রসুন এবং পেঁয়াজ তেঁতো করে নেওয়া সব উপকরণ দিয়ে দিলাম। ভালো করে তেলের মধ্যে সিদ্ধ করে নিতে হবে। পেঁয়াজ, আদা,রসুন সিদ্ধ হয়ে আসলে সাথে দিয়ে দেব ধনিয়ার গুঁড়া, জিরা গুঁড়া এবং লাল মরিচ। সাথে আবারো দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো লবণ এবং হালকা আমের আচার।
এখন সব মশলা ভালো করে কষিয়ে নেওয়ার পরে শাক ঢেলে দিলাম। শাক ঢেলে দিয়ে সব মসলার সাথে মিশিয়ে ভালো করে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এবং লবন ঠিক মতো হয়েছে কিনা সেঁকে দেখতে হবে।
সিদ্ধ করা হয়ে আসলে এবং সেঁকে দেখলাম সব কিছু ঠিকঠাক আছে এবার নামায় ফেলতে হবে। এখন দিয়ে দেব কুচি করে রাখা ধনে পাতা। ধনে পাতা দিয়ে আর বেশিক্ষণ রাখব না চুলা অফ করে দিয়ে চুলা থেকে শাক নামায় ফেলব।
পরিবেশনা
ঝাল ঝাল করে কচু শাক রান্না আমার অনেক পছন্দের একটি শাক। আমি যেহেতু ঝাল একটু বাড়ায় দিয়েছি খেতে আমার অনেক ভালো লেগেছে। তাছাড়া কচু শাক অনেক আয়রন সমৃদ্ধ একটি খাবার। এছাড়া অন্যান্য পুষ্টিগুণে ভরা একটি শাক। বেশ ভালো লাগে আমার খেতে। প্রায় সময় বাজার থেকে এনে রান্না করে থাকি।
আশা করি আমার আজকের রেসিপিটা আপনাদের অবশ্যই ভালো লাগবে। কারণ কচু শাক কম বেশি সকলেই পছন্দ করে তাই বললাম। যেহেতু ঝাল ঝাল করে রান্না করেছি আরও দারুন ছিল খেতে। অনেক ধন্যবাদ সবাইকে আমার আজকের রেসিপি টি সময় দিয়ে দেখার জন্য।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি। আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
ঝাল ঝাল মজাদার কচু শাক রান্না খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। আমাদের মাঝে চমৎকার ভাবে আপনারা উপস্থাপন করেছেন। কচুর শাক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আমাদের মাঝে সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার রেসিপি দেখার জন্য।
আপু আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ঝাল ঝাল কচুর শাক এর রেসিপি। দেখে মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছে । কচুর শাক এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। কচু শাক শহরের তেমন একটা পাওয়া যায় না কিন্তু গ্রামে অনেক জায়গায় পাওয়া যায়। আপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমার ঝাল ঝাল কচু শাক রান্না রেসিপি আপনার ভালো লাগার জন্য।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/32jm9c
আপু আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। সত্যি আপু কচুশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন। সত্যি এই শাক গ্রামে পাওয়া গেলেও শহরে তেমন পাওয়া যায় না। তবে কচুশাকের ভিতর আমের আচার দিয়েছেন এটা আমি নতুন শিখলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
কচু শাকের ভিতর আমের আচার দিলে নতুন একটা ফ্লেভার আসে খেতে অনেক ভালো লাগে এভাবে তৈরি করে দেখবেন আপু।
ঝাল ঝাল মজাদার কচু শাক রান্না দেখে জীভে পানি চলে আসছে। যদিও কচুর শাক এখন তেমন একটা পাওয়া যায় না। তবে আপনার দের এলাকায় আসলে আপনার হাতে কাকড়ার রেসিপির ও কচুর শাখ খাব।🤪🤪
অবশ্যই খাওয়াবো ভাইয়া আমাদের এখানে প্রচুর কচু শাক পাওয়া যায় চলে আসেন।
ঝাল ঝাল মজাদার কচু শাকের রেসিপি দেখে লোভনীয় লাগছে। ঝাল ঝাল কোন কিছু খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। খেতে মনে হয় খুবই মজাদার হয়েছে। রেসিপি ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ঝাল ঝাল কচু শাকের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপু ঝাল ঝাল কচু শাকের রেসিপি ভালো রাখার জন্য। চলে আসেন তাহলে আপু।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ঝাল ঝাল মজাদার কচু শাক রান্না রেসিপি। আসলে এভাবে কখনো কচু শাক রান্না করে খাওয়া হয়নি। তবে কচু শাক ঘুটে খাওয়া হয়েছে। আসলে আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু লাগবে। তবে চেষ্টা করব আপু আপনার তৈরি রেসিপি দেখে রেসিপি তৈরি করে খাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া তাহলে তো এভাবে তৈরি করে খেতে পারেন ভালো লাগবে খেতে।
ঝাল ঝাল কচুর শাক রান্নার দারুন একটা রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। যেহেতু গ্রামে বসবাস করি তাই এই রেসিপিটা খাবার সৌভাগ্য আমার অনেকবার হয়েছে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া গ্রামে প্রচুর শাক পাওয়া যায় গ্রামের মানুষ এভাবে বেশি তৈরি করে।
আপনি জাল ঝাল করে কচুর শাকের রেসিপি করেছেন। কচুর শাক খেতে আমি অনেক পছন্দ করি। আমরা সবাই জানি কচুর শাকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন আছে। তবে আপু আমি কখনো কচুর শাকের মধ্যে আচার দিয়ে রান্না করিনি। তবে আপনার কচুর শাকের ঝাল ঝাল রেসিপি দেখে খেতে মন চাইতেছে। আর বর্ষার সময় তাজা কচুর শাক বেশি পাওয়া যায়। অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম আপু বর্ষাকালের কচু শাক খেতে অনেক ভালো লাগে কারণ অনেক তাজা থাকে তাই।
ঝাল ঝাল মজাদার কচুর শাক রান্নার রেসিপি দেখে আমার তো লোভ লেগে গিয়েছে। আপনি খুবই মজাদার ভাবে এই কচুর শাকের রেসিপিটা তৈরি করেছেন। আমার তো দেখেই খুব খেতে ইচ্ছে করছে। উপস্থাপনাটা অনেক সুন্দর করে আপনি অনেক সুন্দর করে করেছেন। কচুর শাক কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। কচুর শাকের উপকারিতা অনেক বেশি হয়ে থাকে। আর তাই আমাদেরকে কচুর শাক প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে।
মাঝে মাঝে কচু শাক খাওয়া অনেক ভালো শরীরের জন্য উপকার ধন্যবাদ আপু।