ট্রাভেলিং- ইনানীর ফাইন ডাইনিং রেস্তোরাঁতে অসাধারণ মুহূর্ত কাটানো।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার,
প্রিয় @amarbanglablog কমিউনিটির সকল ব্লগার ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আজকের ব্লগিং শুরু করতেছি। আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে ভালো আছি। আপনাদের দোয়ায় এবং সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে যতটুকু আছি বেশ ভালোই আছি। তো বন্ধুরা প্রতিদিন আপনাদের সাথে ভালো মন্দ শেয়ার করতে বেশ ভালই লাগে। তাই আজকে আবার উপস্থিত হয়ে গেছি আপনাদের সাথে ভিন্ন একটি টপিক্স শেয়ার করবো বলে। আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের ব্লগিং ভালো লাগবে।
তাহলে বন্ধুরা শুরু করা যাক আমার আজকের ব্লগিং-
আমি আজকে যে বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করব তা হচ্ছে ইনানী ঘুরতে গিয়ে বেশ কিছু আনন্দ উপভোগ করেছি। তাছাড়া অনেক কিছু বিষয় ইতিমধ্যে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। তবে আজকে আমি যে বিষয়টি শেয়ার করব তা হচ্ছে ফাইন ডাইনিং এ সন্ধ্যার মুহূর্তে খেতে যাওয়া নিয়ে লিখবো। যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন তো বিকেল বেলায় আমরা সুইমিং পুলে অনেক আনন্দ করেছি। তো সবাই আমরা উপরে উঠে যাই রুমে। সবাই ফ্রেশ হয়ে একটু বিশ্রাম নিয়েছিলাম। যখন সন্ধ্যার পর হয়ে যায় তখন ভাবলাম বাইরে গিয়ে একটু হেঁটে আসি। বন্ধুরা সেই উদ্দেশ্যে সবাই রেডি হয়ে আমরা বের হয়ে যাই। বের হয়ে আমরা রয়েল টিউলিপের এরিয়া থেকে বাইরে হাঁটার জন্য বের হলাম। ভাবলাম কোথায় নিরিবিলি পরিবেশে যেয়ে একটু বসবো। তাছাড়া গরম গরম কিছু চা কফি খাবো সেই চিন্তা ভাবনা করতে থাকলাম হাঁটতে তো আছি।
তো হেঁটে হেঁটে অনেক দূর গেলাম। যাওয়ার পরে দেখতে পেলাম বেশ সুন্দর একটি রেস্টুরেন্ট। ফাইন ডাইনিং রেস্টুরেন্ট টি রাতের দৃশ্য বেশ ভালই লাগছিল। রেস্টুরেন্টের নাম হচ্ছে ফাইন ডাইনিং রেস্টুরেন্ট। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশনটি। একদম সমুদ্রে সৈকতের সাথে লাগাওয়া খোলামেলা পরিবেশে রেস্টুরেন্টেটি করা হয়েছে। তো ভাবলাম সেখানে বসবো। দেখেই তো অবাক কান্ড খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে লাইটিং এর মাধ্যমে। মনে হয়েছিল সেখানে সারারাত থেকে যায়। মানে দুই ধরনের করে রেস্টুরেন্ট সাজানো হয়েছে। বাইরের সাইডে রয়েছে খোলামেলা পরিবেশে বিভিন্ন ধরনের লাইটিং এর মাধ্যমে।
অন্য সাইড হচ্ছে দ্বিতীয় তলায় খুব সুন্দর করে তাও সাজানো হয়েছে। তো আমরা চিন্তা করলাম যেহেতু বেশি কিছু খাবার খাব না। তাই হালকা কিছু অর্ডার দিব সেই চিন্তা করলাম। যেহেতু দুপুরের খাবারটি খেতে খুবই দেরি হয়ে গেল। তাই তখনও পেট ভরা ছিল মানে খিদা একটু কম ছিল। তো বাইরে বসে সবাই আড্ডা দিচ্ছিলাম। সেই সাথে কিছু কোল্ড ড্রিকস এবং কফি অর্ডার করি। সেখানে বসে খেতে খেতে মাথায় চিন্তা আসলো আসলে রাতের খাবারটা অর্ডার করে দিলে ভাল হয়। পার্সেল নিয়ে যাব সেই চিন্তা করে দুইটা খাবারের পার্সেল অর্ডার দিলাম। যেহেতু বাচ্চারা কম খাবে তাই দুটো অর্ডার দিলাম। একটা চিকেন বিরিয়ানি আরেকটা চিকেন খিচুড়ি অর্ডার দিয়ে দিলাম। যেহেতু বাচ্চারা চিকেন খেতে বেশ পছন্দ করে।
তো খাবার রেডি হতে হতে এদিক-ওদিক হাঁটাহাঁটি করছিলাম। তো দ্বিতীয় তলায় যে দৃশ্য দেখতে পেলাম খুবই ভালো লাগছিল। আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আমি দ্বিতীয় তলা থেকে যে ফটোগ্রাফি গুলো করে শেয়ার করেছি। দেখে তবে বেশ ভালই লাগছিল। দ্বিতীয় তলার সিঁড়িটা একটু খাড়া ছিল তাই বাচ্চারা উঠানামা করতে চাচ্ছিল। যেহেতু দেখলাম সিঁড়ি খুবই খাড়া তাই বাচ্চারা পড়ে যেতে পারে। সেজন্য আমিও বাচ্চাদের সাথে গেছি। যাওয়ার পরে যখন ওপর থেকে নিচে দেখলাম বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে। তাই অনেক গুলো ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। আমি আজকে সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।
সে সাথে বাচ্চারা খুবই আনন্দ করেছিল। তবে একটা বিষয় সেটা হচ্ছে আমি যে খাবার গুলো অর্ডার করেছিলাম। আসলে সেগুলো পার্সেল ছিল। আর সেটা মাথায় ছিল না যে খাবারের ফটোগ্রাফি করে নেওয়ার হা হা হা। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারলাম না। যখন পার্সেল গুলো আমাদের হাতে চলে আসে। তখন পার্সেল গুলো নিয়ে সোজা আমাদের রুমে চলে যাই। সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে খাবারগুলো খেলাম। তবে যে পরিমাণ খাবার গুলো অর্ডার করেছিলাম তার চেয়ে অনেক বেশি দিয়েছিল। বুঝতেই পারছেন দুইটা খাবার অর্ডার করেছিলাম দুই প্যাকেট। সেখানে আমরা চারজনে খেয়ে বেঁচে গেছিল। খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম বন্ধুরা ফাইন ডাইনিং রেস্টুরেন্টে।
আমার আসলে খাওয়া দাওয়ার কথা বাদ দিলাম। রেস্টুরেন্টের পরিবেশটা অসাধারণ ছিল। বেশ ভালই লাগছিল সেখানে। এত বেশি গ্যাঞ্জাম ছিল না রেস্টুরেন্টের মধ্যে। খুব নিরিবিলি পরিবেশের মধ্যে অসাধারণ একটি সুন্দর উপভোগ করার মত। আজ এই পর্যন্ত বন্ধুরা। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে সময় দিয়ে দেখার জন্য।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার ইনানী রয়েল টিউলিপ ভ্রমণ |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | ট্রাভেলিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
রেস্টুরেন্টের পরিবেশটা দেখে আসলেই মুগ্ধ হলাম। ডেকোরেশনটা খুব সুন্দর। এই ধরনের খাড়া সিঁড়ি গুলো তে আমার কাছেও খুব ভয় লাগে । ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো ইচ্ছে করছে এখনই চলে যাই সেখানে। তবে খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো মিস করলাম। ধন্যবাদ আপু আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
জি আপু অসাধারণ ছিল রেস্টুরেন্টের পরিবেশটি। সময় দিয়ে আমার পোস্ট পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/2xudhr
আজকে আপনি আমাদের মাঝে যে একটা ভিন্ন টপিক্স নিয়ে আলোচনা করবেন তা জেনে বেশি ভালো লাগলো। জি আপু অনেক কিছু মুহূর্ত তো আমরা উপভোগ করেছি ইনানীতে এর আগের পোস্টগুলিতে।সুইমিংপুলে আপনারা বিকেলবেলায় অনেক আনন্দ করেছেন সবাই মিলে। আসলে রাত্রে এটি এত সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে এইখানে তো হাঁটাহাঁটি করতে অনেক ভালো লাগবে মনে হচ্ছে। বিশেষ করে এই সিঁড়িটা অনেক ভালো লাগলো এবং সিঁড়ির ওপর থেকে নিচের যে ডেকোরেশন অনেক সুন্দর ছিল। আমি তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। মন বলছে এখনই চলে যায়।বাচ্চারাও খুব আনন্দ করছিল। আনন্দ করবে না কেন 🫣এত সুন্দর একটি জায়গা সত্যিই আমি তো বিশ্বাসই করতে পারতেছি না। আপনারা এত সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। যাক খাওয়া দাওয়া শেষ করে আপনার রেস্টুরেন্টে সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন। ভীষণ ভালো লাগলো
জায়গাটা অনেক সুন্দর ছিল ভাইয়া। অনেক আনন্দ করেছি সবাই মিলে। এত সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
রেস্টুরেন্টের নামের সাথে ডেকোরেশনটি একদম মিলে গেছে আপু । রাতের আলোয় রেস্টুরেন্টের অভ্যন্তরীণ দৃশ্যগুলো খুব সুন্দর লাগছে । এখানে সারারাত গল্প করে খাটিয়ে দিলেও ভালো লাগবে । তবে আপনারা দুই প্যাকেট চিকেন বিরানি অর্ডার দিয়েছেন কিন্তু চারজনে খেতে পেরেছেন এটা অবশ্য খুবই ভালো লাগলো । কারন অনেক রেস্টুরেন্ট কি করে অনেক কম দিয়ে দেয়।
অসাধারণ একটি মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম যেহেতু খোলামেলা পরিবেশের মধ্যে ছিল তাই।
সমুদ্রে সৈকতের পাশে গড়ে ওঠা রেস্টুরেন্টগুলি খুবই সুন্দর হয়।কারন বিশুদ্ধ হাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিরিবিলি পরিবেশ পাওয়া যায়, তাছাড়া খেতে খেতে সমুদ্রের সুন্দর দৃশ্য উপভোগও করা যায়।যাইহোক আপনি দারুণ সময় পার করেছেন বুঝতে পারছি।তাছাড়া মনে হচ্ছে খাবারের মান বেশ ভালোই ছিল যে,আপনি খেতে খেতে ফটোগ্রাফি করতেই ভুলে গেছেন।হি হি☺️☺️লাইটিং ও ভিতরের দৃশ্যগুলো ভালো লাগলো দেখে, ধন্যবাদ আপু।
সবকিছু মিলিয়ে অসাধারণ ছিল আপু অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনাদের বাসা হলো গিয়ে পর্যটন এলাকায়। কিছুদিন পর পর নতুন নতুন হোটেল রেস্টুরেন্ট যাবেন,ফটোগ্রাফি করবেন। আর আমরা বসে বসে সেটা দেখবো। কারন কবে যে বড় লোক হবো আর এসব হোটেলে যাবো। এসব হোটেলে গেলে নিজেকে বিদেশি বিদেশি লাগে তাই না,হি হি হি। ধন্যবাদ।
হা হা হা এত সুন্দর পরিবেশ সত্যি বলার মতই না। যদি সরাসরি না দেখেন বুঝবেন না। ভাবিকে নিয়ে চলে আসেন।
Twitter