প্রতিটি পরিবারের প্রধান কর্মক্ষম ব্যক্তির উচিত নিজের জন্য কিছু অর্থ জমিয়ে রাখা।
সবাই কেমন আছেন?
প্রিয় কমিউনিটির সম্মানিত সকল ব্লগার ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। আশা করি পরিবার-পরিজনকে নিয়ে সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। আমি আজকে আবার উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। সত্যি কথা বলতে বৃষ্টি দিলে এত অতিরিক্ত বৃষ্টি হয় যার কারণে সব জায়গায় তলিয়ে যায়। আর গরম হলে এত গরম হয় যা সহ্যের সীমা পার হয়ে যায়। শুধু গরম নয় সেই সাথে লোডশেডিং এর মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে যায়। বর্তমান সময়ের আবহাওয়াটা কিছুতেই বোঝা যায় না। গরমের তীব্রতা আর অতিরিক্ত বৃষ্টি সবকিছু মানুষকে অনেক বেশি নাজাহাল করে তুলেছে। এত গরমের মধ্যে অস্থিরতা অনেক বেড়ে গেছে। কি আর করার সবকিছু মেনে নিয়ে আমাদেরকে চলতে হয়।
আজকে আমি আবার উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি টপিক্স নিয়ে। আমি আজকে কি বিষয় নিয়ে শেয়ার করব তা অবশ্যই আপনারা শিরোনাম দেখে বুঝতে পারছেন। প্রতিটি মানুষ এক একটি পরিবারের প্রধান। এছাড়াও একজন স্বাবলম্বী মানুষ অনেক মানুষের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। একটি পরিবারের প্রধান যদি ইনকাম করতে না পারে তাহলে সেই পরিবারের অভাব অনটন সব সময় লেগে থাকে। একটি পরিবারের প্রধান বাবা, দাদা, অথবা বড় ভাই হতে পারেন। বিশেষ করে আমাদের এই সমাজে পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা বেশি প্রচলিত। অর্থাৎ পরিবারের প্রধান বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরুষদেরকে দেখা যায়। যদিও নারী প্রধান পরিবার খুবই কম রয়েছে অতি নগণ্য। কিন্তু প্রধান ইনকামের ব্যক্তি হচ্ছেন একজন পুরুষ।
তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বর্তমান সময়ে কিছুটা হলেও পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। চাকরি ক্ষেত্রে, যে কোন ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নারীদের উপস্থিত অনেক বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি যে পরিবারের বাবা অনুপস্থিত রয়েছে কিংবা কোন বড় ছেলে নেই সে ক্ষেত্রে নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়। অর্থাৎ তারা চাকরি করে, বিভিন্ন ধরনের আয় বৃদ্ধি মূলক কাজ করে পরিবারের খরচ বহন করে থাকেন। একজন পরিবারের প্রধান সেই পরিবারের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি। একজন পরিবারের প্রধান সেই পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের খাবার দাবার, ভরণপোষণ থেকে শুরু করে যাবতীয় দেখাশোনা করে থাকেন।
যখন কোন কারণে ওই ব্যক্তি ইনকাম থেকেই সরে দাঁড়াই। অথবা কোন কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিংবা কোন দুর্ঘটনা জনিত কারণেই ইনকাম করতে পারেনা তখন সেই পরিবারে অভাব অন্টন চলে আসে। তাই আমাদের সবার উচিত নিজেদের শারীরিক পরিচর্যা সবকিছু দেখাশোনা করা নিজেরও দায়িত্ব। কারণ এই পৃথিবীতে প্রায় প্রতিটি মানুষই স্বার্থপর। আগে মানুষ নিজের কথা চিন্তা করেন এরপরে অন্যান্য বিষয় চিন্তা করে থাকেন। যদি একজন মানুষ উদার মন মানসিকতা দেখিয়ে তার ইনকামের সমস্তটুকু তার পরিবারের জন্য দিয়ে থাকেন। কিন্তু দিনশেষে যখন ওই পরিবারের প্রধান অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে আর কোন উপায় থাকে না। তাই নিজের জন্য কিছু করে রাখা প্রতিটি মানুষেরই দায়িত্ব ও কর্তব্য।
আমরা যদি নিজেরাই ভালো না থাকি তাহলে পরিবার সামলাব কি করে। নিজেরা যদি সুস্থ না থাকি তাহলে অন্যান্যদের সুস্থ রাখার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলি। প্রতিটি পরিবারের নারী কিংবা পুরুষের উচিত নিজের যত্ন নেওয়া। নিজের ভালো-মন্দ দেখাশোনা করা। হয়তো সারা জীবন পরিবারের জন্য করে গেলেন কিন্তু নিজের কিছু ইচ্ছা-অনিচ্ছা থাকে। অনেক সময় মন চায় একটু ঘুরে বেড়ানো। অথবা অনেক সময় মন চায় একটু একাকীত্ব সময় কাটানো। অথবা নিজের পছন্দের কিছু জিনিস কেনাকাটা করা। এটা প্রতিটি ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কারণ নিজের ইচ্ছাটুকু কেউ কখনো পূরণ করে দিবে না। তাই সব সময় চিন্তা করতে হবে নিজের ভালো-মন্দের দিক।
আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। যারা তাদের ইনকামের সমস্ত অর্থ তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য খরচ করেছেন। তাদের শরীরের সুখ দুঃখ কিছু বুঝে নাই রাত দিন পরিশ্রম করে তারা ইনকাম করেছেন। যখন দেখা যায় বয়স বেড়ে গেছে অথবা অবসরে চলে গেছে তখন হাতে আর টাকা পয়সা থাকে না। যখন হাতে টাকা পয়সা থাকে না তখন অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে চলতে হয়। তখন নেমে আসে দুর্দশা আর হতাশা। তাই সারা জীবনের ইনকামের কিছু অংশ যদি নিজের জন্য রেখে দেওয়া হয় তাহলে পরবর্তীতে কাজে আসে। এরকম হাজারো নজির আমাদের সমাজে রয়েছে আমাদের আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে রয়েছেন। আমাদের পাড়া-প্রতিবেশীর মধ্যে লক্ষ্য করা যায়।
বিশেষ করে যারা কর্মক্ষমতা হারায় ফেলে তারা এক সময় সবার কাছ থেকে অবহেলার শিকার হয়। যা আসলে একজন মানুষের মেনে নেওয়া খুবই কষ্টের হয়ে দাঁড়ায়। কেননা সারা জীবন পরিবারের সবার জন্য করে গেলেন। যখন অসুস্থ হয়ে পড়লেন কিংবা কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেললেন তখন সবার অবহেলার পাত্র হয়ে বসবাস করতে হয়। এভাবে এক সময় অযত্ন, অবহেলা, হতাশাগ্রস্থতা সবকিছু নিয়ে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে হয়। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত নিজের ভালো মন্দ বিষয়টুকু একটু চিন্তা করা পরিবারের অন্যান্য বিষয় প্রাধান্য দেওয়ার পাশাপাশি। তাহলে একসময় এভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে অবহেলিত হয়ে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে হবে না।
তাই বয়স থাকতে কর্মক্ষম সময় থাকতে নিজের জন্য কিছু করে রাখা সবার উচিত। যাতে পরবর্তী সময় সেই জমিয়ে রাখা অর্থগুলো কাজে আসবে। আশা করি বন্ধুরা আমার আজকের লেখাগুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সময় দিয়ে আমার লেখাগুলো পড়ার জন্য। সব সময় অনেক সহযোগিতা করেন মতামতের মাধ্যমে তাতে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হয়। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
লেখার উৎস | নিজের অনুভূতি থেকে |
---|---|
ইমেজ সোর্স | ভিক্টিজি ডট কম |
অবস্থান | কক্সবাজার, বাংলাদেশ |
ক্যাটাগরি | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
#afunctional-personshould #dosomething-foryourself #creativewriting #amarbanglablog #steemxclusive #abb-school #shy-fox
আপু আপনি খুবই সুন্দর একটি পোষ্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু পরিবারের প্রধান প্রতিপক্ষের কিছু টাকা জমিয়ে রাখা অবশ্যই প্রয়োজন। কেননা যখন সে কাজ করতে পারবে না তখন তার এই টাকা অনেক সহযোগিতা করবে। এমনকি সে তখন কাজ করতে সক্ষম হবে না ঠিক ওই মুহূর্তেই এই জমি রাখা টাকাগুলো বেশী প্রয়োজনে আসবে। তাই তাদের টাকা জমিয়ে রাখা অবশ্যই প্রয়োজন। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমি মনে করি এটা সবার জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি।
বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন আপনি। আসলে এই বিষয়টা আমাদের সকলেরই প্রয়োজন। বেশ ভালো লাগলো আপনার এত সুন্দর সজাগ দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে লেখা পড়ে। আমাদের সকলেরই উচিত নিজের জন্য একটু গুছিয়ে রাখা।
ভবিষ্যৎ জীবনে নিজের জন্য কিছু করে রাখার চেষ্টা করবেন।
আসলে আপু আমাদের প্রত্যেকের উচিত সময় থাকতে কিছু গুছিয়ে রাখা। সত্যিই যখন কিছু করতে না পারা যায় তখন সত্যি সঞ্চয় গুলো কাজে আসবে।আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
ছোট ছোট সঞ্চয় পরবর্তীতে আমাদের জন্য খুবই দরকারী।
https://x.com/nahar_hera/status/1837917615379173527?t=CcbuaSakuLu1XLUvYWA1Cw&s=19
সত্যিই এই প্রচন্ড গরম এবং হঠাৎ বৃষ্টি বেশ নাজেহাল অবস্থা করে দিয়েছে সবার।ঠিক বলেছেন আপু দিনশেষে নিজের জন্য কিছু জমিয়ে রাখা উচিত।অন্তত নিজের চলাফেরা চিকিৎসার জন্য। বেশ ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্টটি পড়ে।
মানুষ সবচেয়ে বেশি অবহেলার শিকার হয় বৃদ্ধ বয়সে।
এটা নতুন কিছু না আপু। পরিবারে যে আয় করে সবসময়ই তাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। তার কথা শোনা হয়। তবে হ্যা এই ব্যাপার টা সুন্দর বলেছেন তার উচিত নিজের জন্য কিছু গুছিয়ে রাখা। কারণ খারাপ সময় বলে আসে না। এবং সময়ের পরিবর্তের সাথে সাথে মানুষও পরিবর্তি হয়ে যায়।
প্রতিটি মানুষের জীবনে খারাপ সময় অবশ্যই আসে। সে খারাপ সময় গুলো মোকাবেলা করার জন্য নিজেকে প্রস্তুতি করে রাখতে হয়।