মুভি রিভিউ || রাম সেতু
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
৬ই ফেব্রুয়ারি, সোমবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি।আমার দেখা চমৎকার একটা মুভি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব আশা করি ভালো লাগবে।
| পরিচালক | অভিষেক শর্মা |
| ------------ | ------------ |
| গল্প লেখক | অভিষেক শর্মা |
| প্রোডাকশন |আমাজন স্টুডিও |
| মুক্তির তারিখ |২৫অক্টোবর ২০২২|
| চলমান সময় | ১৪৩ মিনিট |
| দেশ| ভারত |
| ভাষা | হিন্দি |
| অক্ষয় কুমার | জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ |
| ------------ | ------------ |
| নুসরাত ভরুচ্চা | সত্য দেব |
| প্রবেশ রানা | নাসার |
এই মুভিতে মূলত দেখানো হয় রাম সেতুর তৈরি হওয়ার পেছনের ঘটনা , এর সত্যতা এবং বৈজ্ঞানিক জিনিসগুলো। বিভিন্ন সময় সরকার এটিকে ভেঙে ফেলার চিন্তা করেছিল, অনেক বিজনেসম্যান তাদের নজর ছিল এই রামসেতুর উপর কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাম সেতুকে কিভাবে প্রটেক্ট করা হলো সেটি মূলত তুলে ধরা হয়েছে।
মুভির শুরুতে আমরা দেখতে পারি আক্ষয় কুমার তিনি একজন ডাক্তার, পুরনো জিনিস নিয়ে তার কাজ। আফগানিস্তান এবং তালেবান এর মধ্যে যুদ্ধের পর সেখানকার অনেক পুরনো ভাস্কর্য মাটি চাপা পড়ে যায়। সেগুলো উত্তরণ করার জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে সাইন্টিস্টদের নিয়ে আসা হয়, তার মধ্যে ইন্ডিয়া থেকে তাকেও হায়ার করে নিয়ে আসা হয়।
কিন্তু ওই কাজের সময়ও তালেবানদের সাথে একটা যুদ্ধের সৃষ্টি হয়ে যায়, মূলত তারা অনেক বছর আগের কিছু স্বর্ণ গহনা এবং অর্থ পেয়েছিল। এভাবেই শুরু হয় এই মুভির ঘটনা।
অক্ষয় কুমার ছিল সাইন্টিস্ট এবং তার ছিল বিজ্ঞানের প্রতি বিশ্বাস, তিনি সম্পূর্ণ একজন নাস্তিক মানুষ, এজন্যই কিছু বিজনেসম্যান তাকে সিলেক্ট করেছে রাম সেতু ভাঙ্গার বিষয়ে সাহায্য করার জন্য। মূলত এখানে ধর্মীয় বিষয়ে রয়েছে তাই অনেকেই কাজ করতে চায় না। তাই নাস্তিকদেরকে একত্রে করে জাহাজে নিয়ে সব ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করার পারমিশন দেয়া হয়, যেটা ছিল রাম সেতুর একদম কাছে।
মূলত তাদের প্ল্যান ছিল, রাম সেতু প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়েছে এটা প্রমাণ করা, এমনটা প্রমাণ করতে পারলেই, ধর্মীয় বিষয়টা এখান থেকে চলে যাবে। কিন্তু রিসার্চ করার পর ধর্মীয় বিষয়গুলোই বেশি চলে আসছিলাম। চারজন সাইন্টিস্টদের মধ্যে তিনজনই ধর্মীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা শুরু করে। তাই ওই তিনজনকে বিভিন্ন কৌশলে মেরে ফেলার জন্য উঠে পড়ে লাগে বিজনেসম্যানরা।
তারা যখন নিজেদের প্রাণ বাঁচানোর জন্য একটি দ্বীপে পালিয়ে আসে, তখন তাদের পেছনে একটা বাহিনী লেগে যায় মেরে ফেলার জন্য, কিন্তু ওই দ্বীপে একজন টুডেস গাইড ছিল, সে বিভিন্নভাবে তাদেরকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। যখন দ্বীপে একা ফোর্স চলে আসে তাদেরকে মারার জন্য। তখন সে গাইড মালয়েশিয়ান আর্মিদের সাহায্য নেয়। তারা হেলিকপ্টার দিয়ে চলে আসেন তাদের প্রটেক্ট করার জন্য।
মালয়েশিয়া আসার পর তার প্ল্যানটাই চেঞ্জ হয়ে যায়, সে রাম সেতুকে আবিষ্কার করতে পারছে না কিন্তু এখান থেকে সে রাবণের অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে পারবে, আর একবার যদি প্রমাণ হয়ে যায় তাহলে রাম সেতুর এমনি এমনি প্রমাণিত হয়ে যাবে।
তারা অনেক পুরনো একটা বই পায় সেখানে সোনার লঙ্কার কোথায় ছিল তা ম্যাপে লেখা ছিল। কখনো মানুষ তাদেরকে সাহায্য করেছে কখনো বা প্রকৃতি তাদেরকে সাহায্য করেছে, কখনো ভুল করে কখনো বা পানির কুমিরও তাদেরকে সাহায্য করেছে। শেষ পর্যন্ত তারা সক্ষম হয় সেখানটায় যাওয়ার।
চলার পথে অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, অনেকে সাহায্য করেছে এভাবে অক্ষয় কুমার তার প্রমাণ নিয়ে কোর্টে হাজির হতে পেরেছে, সে কোর্টে প্রমাণ করতে বলেছে এটা প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়নি এবং এটি আমাদের দেশের ঐতিহ্য এটাকে নষ্ট করা ঠিক হবে না।
হাইকোর্ট বুঝতে পারেন পুরো বিষয়টা, এবং হাইকোর্ট জনগণের পক্ষে রায় দেয়। অক্ষয় কুমারের নাস্তিক হওয়ার কারণে দেশের মানুষ তাকে দেখতে পারত না কিন্তু রাম সেতু রক্ষা করার জন্য সবাই তার ফ্যান হয়ে যায়।
মুভি ট্রেলের ভিডিওটাই অসাধারণ আপনার মুভিটা দেখার আগ্রহ কয়েকগুন বাড়িয়ে দেবে।
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এই মুভির নাম শুনেছি কিন্তু কখনো দেখা হয়নি।আজ আপনার মুভি রিভিউ পড়ে খুব ভালো লেগেছে। হিন্দি মুভিগুলো দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে সম্পূর্ণ মুভির গল্প রিভিউ দিয়েছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মুভি রিভিউ দেওয়ার জন্য।
আমিও মুভিটার নাম অনেক শুনেছি, মাসখানেক হলো কম্পিউটারে ডাউনলোড করে রেখেছিলাম। আজ সময় করে দেখে ফেললাম এবং আপনাদের সামনে রিভিউ করে ফেললাম।
সিনেমা খুব একটা বেশি দেখা হয় না তবে গল্পটি অনেক ইন্টারেস্টিং ছিল এবং অক্ষয় কুমারকে আমার ব্যক্তিগতভাবে অনেক ভালো লাগে। যাইহোক অনেক ভাল ছিল আপনার উপস্থাপনাটি।
ব্যস্ত জীবনে খুব একটা মুভি না দেখাই ভালো, আমরা এখনো স্টুডেন্ট মানুষ সময় পেলে দেখি। তবে মাঝে মাঝে মুভি দেখতে পারেন মনের খোরাক বলেও একটা কথা আছে।